ই তু মামা তামবিয়েন

ই তু মামা তামবিয়েন (স্পেনীয়: Y Tu Mamá También এবং আপনার মাও) মেক্সিকীয় পরিচালক আলফোনসো কুয়ারোন পরিচালিত ২০০১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি মেক্সিকীয় চলচ্চিত্র। চলচ্চিত্রটির গল্প আলফোনসো কুয়ারোন ও তার ভাই কার্লোস কুয়ারোন কর্তৃক রচিত। ই তু মামা তামবিয়েন স্পেনীয় ভাষার চলচ্চিত্র।

ই তু মামা তামবিয়েন
পরিচালকআলফোনসো কুয়ারোন
প্রযোজকআলফোনসো কুয়ারোন
হোর্হে বের্গারা
রচয়িতাকার্লোস কুয়ারোন
আলফোনসো কুয়ারোন
শ্রেষ্ঠাংশেমারিবেল বেরদু
গায়েল গার্সিয়া বের্নাল
দিয়েগো লুনা
বর্ণনাকারীদানিয়েল হিমেনেজ কাচো
সুরকারসঙ্গীত:
নাতালিয়া ইম্ব্রুগ্লিয়া
ফ্রাঙ্ক জাপ্পা
মিয়ো আতোরি
চিত্রগ্রাহকএমানুয়েল লুবেজকি
সম্পাদকআলেক্স রদ্রিগেজ
আলফোনসো কুয়ারোন
পরিবেশকটুয়েন্টিয়েথ সেঞ্চুরি ফক্স
মুক্তি৮ জুন, ২০০১
স্থিতিকাল১০৫ মিনিট
দেশমেক্সিকো
ভাষাস্পেনীয়
নির্মাণব্যয়$৫ মিলিয়ন
আয়$৩,৩৬,১৬,৬৯২

কাহিনী সংক্ষেপ

সম্পাদনা

পুরো চলচ্চিত্রটি আবর্তিত হয়েছে মেক্সিকোর দু'জন কিশোরকে কেন্দ্র করে, যারা খুব শীঘ্রই যৌবনে পদার্পণ করতে যাচ্ছে: হুলিও (গায়েল গার্সিয়া বের্নাল) এক মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান; আর তেনোচ (দিয়েগো লুনা) যার বাবা একজন উচ্চপর্যায়ের রাজনৈতিক কর্মকর্তা। ঘটনার শুরুতেই ছেলেদের প্রত্যেকের বান্ধবী ইতালিতে ছুটি কাটাতে চলে যায়। মেয়েদের আশেপাশে না পেয়ে তারা দু'জন খুব তাড়াতাড়িই বিরক্ত হয়ে পড়ে। এমন সময় এক বিয়ের অনুষ্ঠানে লুইসা (মারিবেল বেরদু) নামের এক স্পেন-ফেরত রমণীর সাথে তাদের আলাপ হয়। লুইসা তেনোচের আত্মীয় হানোর স্ত্রী। ছেলেরা লুইসার মন জয় করার আপ্রাণ প্রচেষ্টা চালায়। তাকে তাদের সঙ্গে লা বোকা দেল সিয়েলো (স্বর্গদ্বার) নামের এক চমৎকার সৈকতে যাবার প্রস্তাব দেয়। লুইসা সে প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে। কিন্তু খুব তাড়াতাড়িই তার মত পরিবর্তিত হয় যখন হানো তার কাছে স্বীকার করে যে আরেক নারীর সাথে তার সম্পর্ক রয়েছে।

লুইসা তাদের প্রস্তাব মেনে নেওয়ায় হুলিও আর তেনোচ একটু বিপদেই পড়ে যায়। কারণ স্বর্গদ্বার নামের সৈকতের ব্যাপারটি পুরোপুরি তাদের কল্পনাপ্রসূত। তবে শেষ পর্যন্ত তারা তিনজন সেই সৈকতের খোঁজে বেরিয়ে পড়ে। গ্রামীণ মেক্সিকোর দরিদ্র পরিবেশের মধ্যে দিয়ে যেতে যেতে তারা এক জন আরেকজনের সাথে তাদের প্রেম-ভালবাসা আর যৌন অভিজ্ঞতার বিস্তারিত বিবরণ দিতে থাকে। ছেলেরা মন উজাড় করে তাদের অভিজ্ঞতার কথা বলে দেয়। হানোর ব্যাপারে বলতে গিয়ে লুইসা বেশ সংযত থাকে; কিন্তু তার বাঁধ ভেঙে যায় যখন সে তার প্রথম প্রেমের কথা বলা শুরু করে। লুইসা যখন কিশোরী ছিল, তখন তার প্রথম প্রেমিক এক ভয়াবহ মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় মারা যায়। রাতে তারা এক মোটেলে থামে। সেখানে লুইসা হানোকে ফোন করে তার সাথে সম্পর্ক চুকিয়ে ফেলে। তেনোচ লুইসার কাছে শ্যাম্পু চাইতে গিয়ে দেখে সে কাঁদছে। এই অদ্ভুত সময়ে আবেগতাড়িত হয়ে তারা পরস্পর মিলিত হয়। হুলিও খোলা দরজা দিয়ে পুরো বিষয়টি দেখে ফেলে। সে তেনোচকে শাসিয়ে দেয় যাতে সে আর লুইসার কাছাকাছি না হয়; কারণ লুইসা হুলিওর বান্ধবী। ঠিক পরদিনই লুইসা হুলিওর সাথে মিলিত হওয়ার চেষ্টা করলে তেনোচও হুলিওকে একইভাবে শাসিয়ে দেয়। তাদের দু'জনের দ্বন্দ্ব্বের অবসান ঘটে যখন লুইসা তাদের ছেড়ে চলে যাবার হুমকি দেয়। তবে তাদের বন্ধুত্বে ফাটল ধরে।

ভাগ্যক্রমে তারা একটা নির্জন সৈকত পেয়ে যায়। সেখানে তার সৈকতের বিশালতা উপভোগ করতে করতে তাদের সব পুরোন গ্লানি আর ক্লেশ ভুলে যায়। সন্ধ্যায় তারা একসাথে বসে পানাহার করতে করতে একটু বেশামাল হয়ে পড়ে। মদ্যমাতাল হুলিও একসময় স্বীকার করে যে তেনোচের মায়ের সাথে তার সম্পর্ক ছিল। সেই রাতটা ভালভাবে গেলেও ঠিক পরদিনই তাদের মধ্যের সব সম্পর্ক টুটে যায়। দিনের আলোয় হুলিও আর তেনোচ পরস্পরের প্রতি তীব্র বিদ্বেষ অনুভব করে। তারা নীরবে বাড়ি ফিরে যায়। তারা মুখ দেখাদেখি বন্ধ করে দেয়। লুইসা আশেপাশের গুহাগুলো ভালভাবে দেখার জন্য রয়ে যায়।

বহু বছর পরে হুলিও আর তেনোচের আবার দেখা হয়। তেনোচ হুলিওকে জানায় যে তাদের সেই "ভ্রমণের" একমাস পর লুইসা মারা যায়। লুইসা জানত যে তার ক্যান্সার হয়েছে, সে বেশি দিন বাঁচবে না। জীবনকে উপভোগ করার জন্য তার কিছু একটা দরকার ছিল। হুলিও আর তেনোচ তাকে সেই "কিছু একটা" এনে দিয়েছিল।

হুলিওর সাথে তেনোচের আর কখনো দেখা হয় নি।[][]

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. Y Tu Mamá También (2001), Rotten Tomatoes.
  2. Y Tu Mamá También, Intenet Movie Database.