ইলেকট্রনিক বর্জ্য

ই-বর্জ্য
(ই-বর্জ্য থেকে পুনর্নির্দেশিত)

ইলেকট্রনিক বর্জ্য বা ই-বর্জ্য (ইংরেজি: Electronic waste বা E-waste) বলতে পরিত্যক্ত বৈদ্যুতিক বা ইলেকট্রনিক সরঞ্জাম বা পরিত্যক্ত যন্ত্রপাতি বোঝায়। এগুলি মূলত ভোক্তার বাসাবাড়িতে ব্যবহৃত বৈদ্যুতিক ও ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি, যেমন- ফ্রিজ, ক্যামেরা, মাইক্রোওয়েভ, কাপড় ধোয়ার ও শুকানোর যন্ত্র, টেলিভিশন, কম্পিউটার, মোবাইল ফোন, ইত্যাদি। উন্নয়নশীল দেশগুলিতে ইলেকট্রনিক বর্জ্যের নিয়মনীতিহীন ব্যবস্থাপনা ও প্রক্রিয়াকরণ থেকে মানবস্বাস্থ্যের উপর বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে এবং পরিবেশ দূষণ হতে পারে।

ক্রটিপূর্ণ এবং অব্যবহার্য ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি

কম্পিউটারের সিপিইউ বা কেন্দ্রীয় প্রক্রিয়াকরণ যন্ত্রাংশটির মত কিছু কিছু ইলেকট্রনিক যন্ত্রাংশে সীসা, ক্যাডমিয়াম, বেরিলিয়াম, ক্রোমিয়াম, ইত্যাদির মত ক্ষতিকর পদার্থ থাকা সম্ভব। উন্নয়নশীল দেশের ইলেকট্রনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় জড়িত শ্রমিক সম্প্রদায়ের স্বাস্থ্যের ঝুঁকি অনেক বেশি।[১] এসমস্ত বর্জ্য পুনঃচক্রায়ন প্রক্রিয়াতে শ্রমিকেরা ভারী ধাতুর সংস্পর্শে যেন না আসে, সে ব্যাপারে অত্যন্ত যত্নবান হওয়া উচিত।[২]

বিশ্বব্যাপী ইলেক্ট্রনিক বর্জ্যের পরিমাণ সম্পাদনা

২০১৪ সালে জাপানে অবস্থিত জাতিসংঘ বিশ্ববিদ্যালয় “The Global E-waste Monitor 2014: Quantities, Flows and Resources” শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে, যাতে বলা হয় যে বিশ্বে প্রতিবছর ৪ কোটি টনেরও বেশি ইলেকট্রনিক বর্জ্য উৎপাদিত হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রগণচীন – এই দুইটি দেশ সারা বিশ্বের ই-বর্জ্যের এক-তৃতীয়াংশ উৎপাদন করে। এইসব ই-বর্জ্যে অনেক অর্থনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ধাতু ও অন্যান্য উপাদান আছে, যেগুলি পুনঃচক্রায়ন করা সম্ভব। লোহা, তামা, সোনা, রূপা, অ্যালুমিনিয়াম, প্যালাডিয়াম ও পুনর্ব্যবহারযোগ্য অন্যান্য উপাদানগুলির মোট মূল্য ৫২০০ কোটি মার্কিন ডলারেরও বেশি।[৩]

বাংলাদেশে ইলেকট্রনিক বর্জ্য সম্পাদনা

বাংলাদেশে গত ২১ বছরে মোবাইল ফোন থেকে ১০,৫০৪ মেট্রিকটন বিষাক্ত ইলেকট্রনিক বর্জ্য উৎপন্ন হয়েছে। [৪][৫][৬]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Sakar, Anne। "Dad brought home lead, kids got sick"। ১৭ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  2. : Sthiannopkao S, Wong MH. (2012) Handling e-waste in developed and developing countries: Initiatives, practices, and consequences. Sci Total Environ.
  3. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ১৩ নভেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ ডিসেম্বর ২০১৭ 
  4. "Study on E-waste: Bangladesh Situation" (পিডিএফ) 
  5. "E-waste management in Bangladesh"The Financial Express (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৪-২১ 
  6. "Wasted potential of e-waste"The Business Standard (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৩-০১-০২। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৪-২১