ইসলা দেল সোল (স্পেনীয় ভাষা - Isla del sol; আক্ষরিক অর্থ - সূর্যদ্বীপ) হল দক্ষিণ আমেরিকার সুউচ্চ আন্দেস পর্বতমালার উপর আলতিপ্লানো উচ্চভূমিতে অবস্থিত তিতিকাকা হ্রদের মধ্যের একটি দ্বীপ। এটি বলিভিয়ার অংশ। ছোট্ট পাথুরে এই দ্বীপটির ভূমিরূপ যথেষ্ট রুক্ষ। দ্বীপটিকে সাধারণত তিনটি অংশে ভাগ করা যায় - উত্তরে চালাপাম্পা, মধ্যে চালা ও দক্ষিণে ইউমানি। দ্বীপটিতে বর্তমানে প্রায় ২০০০ লোকের বাস।[১]

ইসলা দেল সোল'এর চিত্র
ইসলা দেল সোল
দ্বীপ
দেশ বলিভিয়া
রাজ্য মানকো কাপাক
অঞ্চল লা পাজ দেপাতমেন্তো
অবস্থান তিতিকাকা হ্রদ
দৈর্ঘ্য ৯.৬ কিলোমিটার (৬ মাইল)
প্রস্থ ৪.৬ কিলোমিটার (৩ মাইল)
উচ্চতা ৪,০৭৫ মিটার (১৩,৩৬৯ ফিট)
ক্ষেত্র ১৪.৩ বর্গকিলোমিটার (৬ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা ১,৯৮৪[১] (২০০১)
তিতিকাকা হ্রদের মানচিত্র (ইসলা দেল সোল'এর অবস্থান একেবারে মাঝখানে)

দৈর্ঘে ৯.৬ কিলোমিটার ও প্রস্থে ৪.৬ কিলোমিটার দ্বীপটির মোট আয়তন ১৪.৩ বর্গকিলোমিটার। হ্রদের তীরবর্তী সবচেয়ে কাছের অংশ কোপাকাবানা উপদ্বীপের থেকে এর দূরত্ব ১ কিলোমিটার। দ্বীপের উচ্চতম বিন্দু সেরো চেকুয়েসান সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৪০৭৫ মিটার উঁচু, যদিও হ্রদের জলতল থেকে তার উচ্চতা মাত্র ২৬৫ মিটার। দ্বীপটিতে প্রচূর ইউক্যালিপটাস গাছ আছে। কিন্তু এই দ্বীপে কোনও মোটরযান বা বাঁধানো রাস্তা নেই। কৃষি, মাছ ধরা ও ভ্রমণ এই দ্বীপের অধিবাসীদের প্রধান জীবিকা। এখানে দ্বীপের পাহাড়ে ধাপ কেটে কেটে চাষ করা হয়ে থাকে। পাহাড় কেটে জমি বের করে চাষ করার এই পদ্ধতি এই দ্বীপের অধিবাসীদের এক সুপ্রাচীন ঐতিহ্য।

দ্বীপটিতে ইনকা যুগের বহু স্থাপত্যের ভগ্নাবশেষ পরিলক্ষিত হয়। এগুলির বেশির ভাগটাই পঞ্চদশ শতাব্দীতে তৈরি। কিন্তু দ্বীপে প্রত্নতাত্ত্বিক খননকার্য থেকে আমরা জানতে পারি এমনকী খ্রিস্টপূর্ব তৃতীয় সহস্রাব্দ থেকেই এখানে মানুষের বসবাস ছিল। ইনকাদের বিশ্বাস অনুযায়ী তাদের সূর্যদেবতা ও প্রথম ইনকার জন্মস্থান হল এই দ্বীপই।

নামের ইতিহাস সম্পাদনা

তিতিকাকা নামটি আসলে প্রথমে ছিল এই দ্বীপেরই। পরে এর থেকেই সমগ্র হ্রদটিরই নাম দাঁড়ায় তিতিকাকা হ্রদ। তবে এই নামের উৎপত্তি সম্পর্কে নিশ্চিত করে কিছু বলা যায় না। আইমারা ভাষার দুটি শব্দ হল তিতি (বড় বিড়াল বা পুমা) ও কাক (পাথর বা শিলা), বহুবচনে কাকা। অর্থাৎ, সেই অর্থে শব্দটির পুরো অর্থ হল পুমাকৃতি শিলা বা শিলা পুমা। আবার তিতি শব্দটির অন্য অর্থ হল সিসা বা সিসার মতো রঙ। কেচুয়া ভাষাতেও শব্দটি এই অর্থে ব্যবহৃত হয়। সেক্ষেত্রে তিতিকাকা শব্দটির পুরো অর্থ দাঁড়ায় সিসার রঙের শিলা। ১৬১২ খ্রিষ্টাব্দে রচিত লুদোভিকো বেতোনিও প্রণীত আইমারা-স্পেনীয় অভিধানেও তা-কসি কালা বলে একটি শব্দবন্ধ পাওয়া যায়, যার মানে বলা আছে piedra fundamental বা "ভিত্তি পাথর"। এই শব্দবন্ধটিও বিশেষজ্ঞদের ধারণা এই দ্বীপের সাথে যুক্ত ইনকাদের উদ্ভবের উপকথাটির সাথে যুক্ত।

 
ইনকাদের পবিত্র তিতি কালা বা পুমাকৃতি পাথর

কথিত আছে, এই দ্বীপেই পুমাকৃতি একটি পাথরের উপর (আইমারা ভাষায় তিতি কালা) সূর্যদেবতা ইনতির দুই সন্তান প্রথম ইনকা মানকো কাপাক ও তার বোন মামা ওকলো জন্মগ্রহণ করেন (উপকথা অনুযায়ী পৃথিবীতে নেমে আসেন)। আবার পঞ্চদশ-ষোড়শ শতাব্দীর স্পেনীয় জেসুইট পাদ্রী ও এই অঞ্চলে আসা পর্যটক ও ঔপনিবেশিক বের্নাবে কোবো কথিত আরেকটি উপকথা[২] অনুযায়ী প্রাচীন যুগে পৃথিবীতে কোনও আলো ছিল না। মানুষ তখন আলোর অভাবে খুব কষ্ট পেত ও অন্ধকারে ভয় পেত। শেষপর্যন্ত এই দ্বীপেরই একটি পাথরের আড়াল থেকে প্রথম সূর্যর উদয় হয়। এই কারণেই এই দ্বীপের নাম সূর্যদ্বীপ। এই উপকথারই আরেকটি ভাষ্য আছে। তা অনুযায়ী, এই দ্বীপটি সূর্যদেবের জন্য পবিত্র স্থান হিসেবে পরিগণিত, কারণ অতীতে এক ভয়াবহ বন্যায় যখন সারা পৃথিবী ডুবে যায়, সূর্য তখন এই দ্বীপেরই পাথরের আড়ালে আশ্রয় নিয়ে বেঁচে যান। বন্যা সরে গেলে সূর্য আবার এই দ্বীপ থেকেই আকাশে উত্থিত হয়ে পৃথিবীকে আলোকিত করে তোলে। এই কারণেই এই দ্বীপে সূর্যদেবের উদ্দেশ্য একটি মন্দির প্রতিষ্ঠা হয়, যাকে পরবর্তীকালে ইনকা তুপাক আরও সংস্কার করে পরিবর্ধিত করেন।

ইতিহাস সম্পাদনা

 
১৮৮৭ সালে প্রকাশিত ইসলা দেল সোল'এ অবস্থিত সূর্যমন্দিরের চিত্র

এই দ্বীপের ইতিহাস সুপ্রাচীন। ইনকা উপকথা অনুযায়ী সূর্যদেবতা ইনতি'র সন্তান প্রথম ইনকা ও তার স্ত্রী এই দ্বীপেই জন্মগ্রহণ করেন। আবার সূর্যর আবির্ভাবও ঘটে এই দ্বীপেই। অর্থাৎ দ্বীপটি ইনকাদের দৃষ্টিতে সৃষ্টিরহস্যের সাথে যুক্ত। ফলে তাদের কাছে এর গুরুত্ব ছিল অপরিসীম। দশম ইনকা তুপাক ইনকা ইউপানাকি এইকারণেই এখানে অবস্থিত সূর্যমন্দিরটির সংস্কার করেন ও এখানে নির্বাচিত মহিলাদের বসবাস ও প্রশিক্ষণের জন্য একটি প্রশিক্ষণকেন্দ্র ও বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত তীর্থযাত্রীদের থাকাখাওয়ার সুবন্দোবস্ত করার জন্য একটি তামবো, অর্থাৎ সরাইখানাও নির্মাণ করান। বর্তমানে এই দ্বীপে ইনকা যুগের মোট ৮০টিরও বেশি ধ্বংসাবশেষ দেখতে পাওয়া যায়। এগুলির মধ্যে রয়েছে ইনকা আমলে তৈরি পাথরের বসতবাটি, প্রাচীর, একটি গোলকধাঁধার মতো বাড়ি চিনকানা ও রাস্তা। কোনওরকম সিমেন্ট বা বালি জাতীয় কিছু জোড়া লাগানোর জন্য ব্যবহৃত না হলেও শুধুমাত্র পাথরে পাথরে মিলিয়ে তৈরি এইসব নির্মাণ সাদাসিধে, কিন্তু এতই মজবুত যে প্রায় কোনওরকম মেরামত ছাড়াই সেগুলি আজও প্রায় অটুটই রয়েছে।[৩] ঐতিহাসিক এইসব নির্মাণের প্রাচূর্য স্বাভাবিকভাবেই দ্বীপটিকে একধরনের অনন্যতা দান করেছে।

 
ইনকাদের তৈরি রাস্তা, ইসলা দেল সোল।

কিন্তু প্রত্নতাত্ত্বিক খননকার্যের ফলে জানা গেছে, এই দ্বীপে মানুষের ইতিহাস ইনকা যুগের থেকেও অনেক প্রাচীন। চালা গ্রামের কাছে হ্রদের ধারে একটি উঁচু টিলায় খননকার্য চালিয়ে ২২০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের মানুষের ব্যবহৃত কিছু নিদর্শন উদ্ধার হয়েছে।[৪] এছাড়াও এখানে আটটি অবসিডিয় কাচের টুকরো পাওয়া গেছে, যার মধ্যে অন্তত তিনটির ক্ষেত্রে নিউট্রন অ্যাকটিভেশন বিশ্লেষণের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া গেছে যে সেগুলি কোলচা উপত্যকার চিভে অবসিডিয় উৎস থেকে আনীত। অর্থাৎ এর থেকে বোঝা যায় সেই সুপ্রাচীন যুগেই এই দ্বীপে শুধু সভ্যতা গড়েই ওঠেনি, তাদের সাথে বিভিন্ন দূরবর্তী অঞ্চলের দ্রব্য বিনিময়ও ঘটতো। আবার ভূতাত্ত্বিক পরীক্ষানিরীক্ষা থেকে জানা গেছে, খ্রিস্টপূর্ব ৩১০০ অব্দ নাগাদ তিতিকাকা হ্রদের জলতল ছিল আজকের থেকে অন্তত ৮৫ মিটার নিচে।[৫] ফলে সেই সময় এই দ্বীপের আয়তন নিশ্চিতভাবেই ছিল অনেক বড়। তবে তখনও তা হ্রদের তীরবর্তী এলাকা থেকে বিচ্ছিন্ন দ্বীপই ছিল, কারণ তীরের মূলভূমি থেকে সূর্যদ্বীপে যাওয়ার কোনও রাস্তা এখনও পর্যন্ত পাওয়া সম্ভব হয়নি, যেখানে জলতল অন্ততপক্ষে ২০০ মিটারের কম গভীর। আর ২০০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ নাগাদ হ্রদের জলতল বর্তমানের কাছাঁকাছি উচ্চতাতেই চলে এসেছিল।[৬][৭] এছাড়াও ১৪২৬ - ১৩১৬ খ্রিস্টপূর্বাব্দের মধ্যে তৈরি বেশ কিছু মৃৎপাত্রও উদ্ধার হয়েছে এই দ্বীপ থেকে। এগুলি থেকে পরিষ্কারই বোঝা যায় যে অন্তত খ্রিস্টপূর্ব ২২০০ অব্দ নাগাদ থেকেই এই দ্বীপে অবিচ্ছিন্নভাবে সভ্যতার পরম্পরা চলে এসেছে ও তারা ছিল বরাবরই নৌ-চালনায় পটু।

 
ইনকাদের তৈরি কৃত্রিম ঝরনা

ইনকাদের আগে তাদের পূর্বসূরী সভ্যতা তিওয়ানাকু সভ্যতারও (মোটামুটি খ্রিঃপূঃ ৩০০ অব্দ - ৮০০ খ্রিষ্টাব্দ)[৮] এক গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র ছিল এই দ্বীপ। দ্বীপের পশ্চিমে চুকারিপুপাতা ছিল যতদূর সম্ভব তাদের এক পবিত্র তীর্থস্থান। এর অবস্থান ইনকাদের পবিত্র "তিতি কালা" থেকে মাত্র কয়েক শ' মিটার দূরে। এর ঠিক উপরে একটি ঝুলন্ত বড় পাথরের অংশ আছে যা পাহাড় থেকে খানিকটা বেরিয়ে এসেছে। স্থানীয় ভাষায় এর পরিচিতি মুরোকাতা বলে। বিশেষজ্ঞদের অণুমান, এটি ছিল তিওয়ানাকুদের কাছে একটি পবিত্র শিলা।[৯] কিন্তু প্রত্নতাত্ত্বিক খননকার্য থেকে জানতে পারা গেছে যে ১০০০ - ১৪৫০ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে কি মুরোকাতা কি তিতি কালা, দুটির কোনওটিই পূজিত হত না। অর্থাৎ এই সময়টি ছিল তিওয়ানাকু ও ইনকা - এই দুই সভ্যতার মধ্যবর্তী সময়। এরপর ইনকাদের আবির্ভাব ও দক্ষিণ তিতিকাকা হ্রদের উপর তাদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার সাথে সাথে তিতি কালা'র জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে ও এটি ক্রমে লিমার দক্ষিণে তাদের বিখ্যাত তীর্থস্থান পাচাকামাকের মতোই পবিত্র স্থান হিসেবে গণ্য হতে থাকে।

দ্বীপের সংলগ্ন হ্রদের জলমগ্ন কিছু স্থানেও খননকার্যের ফলে ১৯৮৯ - ৯২ সালে ইনকা ও তিওয়ানাকু যুগের ব্যবহৃত বেশ কিছু জিনিসপত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এগুলি বর্তমানে চালাপাম্পা গ্রামের মিউজিয়ামে রক্ষিত আছে।[১০]

জীবন ও অর্থনীতি সম্পাদনা

 
পাহাড়ের গায়ে দাপ কেটে চাষ, ইসলা দেল সোল

ইসলা দেল সোল হল তিতিকাকা হ্রদের মধ্যে অবস্থিত সবচেয়ে বড় দ্বীপ। বলিভিয়ার প্রশাসনিক প্রধান নগরী লা পাজ থেকে এর দূরত্ব প্রায় ১৭০ কিলোমিটার।[১] কোপাকাবানা শহর থেকে এই দ্বীপে নিয়মিত ফেরি যোগাযোগ চালু আছে। নৌপথে ১৫-২০ মিনিটের মধ্যেই এইভাবে মূলভূমি থেকে এই দ্বীপে হাজির হওয়া যায়। এখানে বেশ কয়েকটি গ্রাম আছে, যাদের মধ্যে উত্তরে চালাপাম্পা ও দক্ষিণে ইউমানি হল প্রধান। এই দ্বীপে বর্তমানে প্রায় ৮০০টি পরিবার বাস করে। এদের বেশির ভাগই বিভিন্ন আমেরিন্ডিয়ান গোষ্ঠীর। তাই এই দ্বীপে আইমারা ও কেচুয়া ভাষাই বেশি চলে। তবে অধিবাসীরা পাশাপাশি স্পেনীয় ভাষাতেও মোটামুটি কথা বলতে পারেন।

দ্বীপে পাকা রাস্তা বলে কিছু নেই। স্বাভাবিকভাবেই মোটরচালিত যান বলেও সেখানে বিশেষ কিছু নেই। তবে পরিবহনের কাজে খচ্চর ব্যবহৃত হয়। দ্বীপের অধিবাসীদের মূল জীবিকা কৃষি ও মাছ ধরা। জমি পাথুরে ও রুক্ষ হলেও পাহাড়ের গায়ে ধাপ কেটে কেটে এই দ্বীপে চাষাবাদ হয়ে থাকে। সুপ্রাচীনকাল থেকেই চাষের জন্য এই পদ্ধতি এখানে চালু রয়েছে। তবে পাশাপাশি এখন পর্যটন শিল্পেরও বিশেষ উন্নতি ঘটেছে। দ্বীপের অর্থনীতির এখন বেশ বড় অংশই এর উপর বিশেষভাবে নির্ভরশীল।

আরও দেখুন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Inauguraron Repositorio Cultural en la Isla del Sol. ১২ মে, ২০০৩. সংগৃহীত ২৩ জুম, ২০১৫।
  2. Cobo, Bernabé 1990[1653] History of the Inca Empire. University of Texas, Austin.
  3. সুমিতা দাস. কলম্বাস-পূর্ব আমেরিকা: মুছে দেওয়া সভ্যতার ইতিহাস. কলকাতা: পিপলস বুক সোসাইটি, ২০১৪। আইএসবিএন ৮১-৮৫৩৮৩-৬২-৬ পৃঃ - ৯৩ - ১০৩।
  4. Stanish, Charles et al. "Evidence for Early Long-Distance Obsidian Exchange and Watercraft Use from the Southern Lake Titicaca Basin of Bolivia and Peru". ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৭ মে ২০১৬ তারিখে 2002. Latin American Antiquity. 2002. 13(4):444-454. সংগৃহীত ২৫ জুন, ২০১৫।
  5. Ybert, Jean-Pierre 1992 "Ancient Lake Environments as Deduced from Pollen Analysis". In Lake Titicaca: A Synthesis of Limnological Knowledge, edited by C. Dejoux and A. Iltis, pp. 49-62. Monographiae Biologicae. vol. 68, H. J. Dumont and M. J. A. Werger, general editor. Kluwer Academic Publishers, Boston.
  6. Cross, S. L., P. A. Baker, G. O. Seltzer, S. C. Fritz and R. B. Dunbar 2001 "Late Quaternary Climate and Hydrology of Tropical South America Inferred from an Isotopic and Chemical Model of Lake Titicaca, Bolivia and Peru". Quaternary Research 56(1):1-9.
  7. Baker, Paul A., Catherine Rigsby, Geoffrey O Seltzer, Sherlyn C. Fritz, Tim K. Lowenstein, Miklas Bacher, P. and Carlos Veliz 2001 "Tropical Climate Changes at Millennial and Orbital Timescales on the Bolivian Altiplano". Nature 409(February 8):698-701.
  8. সুমিতা দাস. কলম্বাস-পূর্ব আমেরিকা: মুছে দেওয়া সভ্যতার ইতিহাস. কলকাতা: পিপলস বুক সোসাইটি, ২০১৪। আইএসবিএন ৮১-৮৫৩৮৩-৬২-৬ পৃঃ - ৮৮ - ৯০।
  9. Bauer, Brian and Charles Stanish 2001 "Ritual and Pilgrimage in the Ancient Andes". University of Texas press, Austin
  10. Reinhard, Johan "Underwater Archaeological Research in Lake Titicaca, Bolivia" in Ancient America: Contributions to New World Archaeology, 1992. N. Saunders (ed.), Oxford: Oxbow Books. পৃঃ - ১১৭-৪৩।

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা