ইসলাম ও জাতীয়তাবাদ

জাতীয়তাবাদী কর্মকাণ্ড বিষয়ে ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গির সারসংক্ষেপ

ইসলাম ও জাতীয়তাবাদ এর মধ্যে সম্পর্ক শুরু থেকেই প্রায়শই উত্তেজনাপূর্ণ ছিল, সাধারণত ইসলামজাতীয়তাবাদ পরস্পর বিরোধী দুটি ধারণা হিসেবে বিবেচিত হয়।

কুরআন ও হাদিস

সম্পাদনা

কুরআন মাজীদে সূরা হুজুরাতে আল্লাহ তা’আলা বলেন,

یٰۤاَیُّهَا النَّاسُ اِنَّا خَلَقۡنٰكُمۡ مِّنۡ ذَكَرٍ وَّ اُنۡثٰی وَ جَعَلۡنٰكُمۡ شُعُوۡبًا وَّ قَبَآئِلَ لِتَعَارَفُوۡا ؕ اِنَّ اَكۡرَمَكُمۡ عِنۡدَ اللّٰهِ اَتۡقٰكُمۡ ؕ اِنَّ اللّٰهَ عَلِیۡمٌ خَبِیۡرٌ

বাংলা অনুবাদ:[][]

হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, ইসলামের সর্বশেষ নবী মুহাম্মদ (সা.) বলেন,[]

জাতীয়তাবাদ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি উত্তর দেন, "এটি পরিত্যাগ করো, এটি পচা।"[] কিছু মুসলিম বিশ্বাস করেন যে, তিনি জাতীয়তাবাদীদের অমুসলিম ঘোষণা করে বলেন, "যে ব্যক্তি গোত্রপ্রীতির দিকে আহ্বান জানায়, সে আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়। যে ব্যক্তি গোত্রপ্রীতির জন্য যুদ্ধ করে, সে আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়। আর যে ব্যক্তি গোত্রপ্রীতির পথে মারা যায়, সেও আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়।"[] তিনি খাযরাজআউস গোত্রের মধ্যকার দীর্ঘ ও রক্তক্ষয়ী সংঘাত নিরসনের জন্য মদিনায় গিয়েছিলেন। অবশেষে উভয় গোত্র ইসলাম গ্রহণ করে এবং আনসার নামে পরিচিত হয়। মুহাম্মদ (সা.) আরও বলেন যে, ঘুরাবা হবে “তারা যারা নিজেদেরকে তাদের গোত্র থেকে বিচ্ছিন্ন করবে।”[]

আধুনিক ইতিহাস

সম্পাদনা

১৮০০ সালের শেষ এবং ১৯০০ সালের শুরুর দিকে মধ্যপ্রাচ্যে বিভিন্ন জাতীয়তাবাদী মতাদর্শের উদ্ভব ঘটে, যার মধ্যে তুর্কি জাতীয়তাবাদ, আরব জাতীয়তাবাদ এবং ইরানি জাতীয়তাবাদ উল্লেখযোগ্য এবং এই তিনটি মতবাদই কুর্দি জাতীয়তাবাদের পথ প্রশস্ত করে, যা শুরুতে তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষামূলক আন্দোলন হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছিল। এই সময়কালেই সালাফি আন্দোলন, ইসলামবাদ এবং সর্ব-ইসলামবাদ এর উত্থান ঘটে, যা বিভিন্ন জাতির ধারণাকে প্রত্যাখ্যান করে একক ইসলামি জাতির ধারণাকে সমর্থন করে।[]

জামালুদ্দিন আফগানি একটি আন্তর্জাতিকতাবাদী ও জাতীয়তাবিরোধী আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন এবং মুসলমানদের মধ্যে ঐক্য কামনা করেন। আফগানি আশঙ্কা প্রকাশ করেন যে জাতীয়তাবাদ মুসলিম বিশ্বকে বিভক্ত করবে এবং তিনি মনে করতেন মুসলিম ঐক্য জাতিগত পরিচয়ের চেয়ে অধিক গুরুত্বপূর্ণ।[] আফগানির ছাত্র এবং আফগানির শিষ্য মুহাম্মদ আবদুহ এর ছাত্র মুহাম্মদ রশিদ রিদা এই বিশ্বাসের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতেন। রিদা বিশ্বাস করতেন যে শরীয়া বাস্তবায়নকারী একটি ইসলামী খিলাফত পুনঃপ্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই কেবল মুসলিম সম্প্রদায়ের ঐক্য সম্ভব। রিদা আরবদের প্রতি এমন একটি সর্ব-ইসলামী প্রকল্প গ্রহণের আহ্বান জানান যার লক্ষ্য হলো সকল মুসলিম ভূমিকে অন্তর্ভুক্ত করে একটি ইসলামী খিলাফতের পুনরুজ্জীবন ঘটাবে।[] রিদা মুসলমানদের প্রতি জাতীয়তাবাদের পরিবর্তে ইসলামের উপর ভিত্তি করে একটি রাজনৈতিক ব্যবস্থা গড়ে তোলার আহ্বান জানান, কারণ তিনি প্রায়শই জাতীয়তাবাদকে একটি পশ্চিমা মতাদর্শ হিসেবে নিন্দা করতেন।[১০][১১][১২]

১৯০৮ সালের দিকেই তুর্কি জাতীয়তাবাদের উল্লেখযোগ্য উত্থান শুরু হয়। উসমানীয় সাম্রাজ্যের শেষ দিকে, মোস্তফা কামাল আতাতুর্কের নেতৃত্বে তুর্কি জাতীয় আন্দোলন কামালবাদ মতাদর্শের পথ প্রশস্ত করে, যা তুরস্কের প্রতিষ্ঠাকালীন মতাদর্শে পরিণত হয়। কামালবাদীরা তুরস্ককে তুর্কি-করণ এবং ধর্মনিরপেক্ষ করার লক্ষ্য স্থির করে এবং এই উদ্দেশ্যে তারা হিজাব নিষিদ্ধ করে ও তুর্কি আযান প্রবর্তন করেন।[১৩] তুরস্কে, কট্টরপন্থী কামালবাদী সংস্কারগুলির ফলে কুর্দি-ইসলামিক সংশ্লেষণ নামক একটি মতাদর্শের জন্ম হয়। বহু দশক পরে, স্নায়ুযুদ্ধের কালপর্বে এবং অপারেশন গ্লাডিও চলাকালীন, 'তুর্কি-ইসলামিক সংশ্লেষণ' নামক একটি মতাদর্শের উদ্ভব হয়। এই সময়ে, তুর্কি আযানের প্রবক্তা আল্পারসলান তুর্কেশ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় 'ধূসর নেকড়ে' নামক সংগঠনের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করেন। এই কেন্দ্রগুলোতে সদস্যদের বামপন্থী, আলেভি, কুর্দি এবং তুর্কি জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী নয় এমন ইসলামপন্থীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার প্রশিক্ষণ দেওয়া হতো।[১৪][১৫]

১৯২৫ খ্রিষ্টাব্দে পাহলভি রাজবংশের শাসনামলে ইরান জাতীয়তাবাদী নীতি সহ একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রে পরিণত হয়। ইরানি বিপ্লব পর্যন্ত দেশটি ক্রমশ ধর্মনিরপেক্ষ এবং পাশ্চাত্য-সংস্কৃতির অনুগামী হয়ে উঠছিল, যা পরবর্তীতে ইসলামকে ইরানের রাজনীতির মূল ভিত্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে। রুহুল্লাহ খোমেইনী 'ইসলামি ফিকাহবিদের অভিভাবকত্বে' সকল মুসলমানের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার লক্ষ্যও পোষণ করতেন। খোমেইনী সুন্নি ও শিয়াদের মধ্যকার বিভেদ দূর করতে এবং ইরানের জাতীয়তাবাদ নির্মূল করতে বহু প্রচেষ্টা চালান।[১৬]

১৯২০-এর দশকে আরব জাতীয়তাবাদের উদ্ভব হয় এবং এটি মাশরিকের প্রধান আদর্শে পরিণত হয়। এর প্রভাব বৃদ্ধি পায় এবং আরব জাতীয়তাবাদীরা বিভিন্ন আরব দেশের নিয়ন্ত্রণ লাভ করে। পরবর্তীতে জামাল আবদেল নাসের আসেন এবং আরব জাতীয়তাবাদকে আরও বেগবান করেন এবং বাথ পার্টির মতো রাজনৈতিক দলগুলোও অনুরূপ ভূমিকা পালন করে। ইসলামবাদ আরব জাতীয়তাবাদকে চ্যালেঞ্জ করতে শুরু করে এবং এর প্রধান রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ হয়ে ওঠে।[১৭] ছয় দিনের যুদ্ধের পর মনোবল হ্রাস পাওয়ায় আরব জাতীয়তাবাদ দুর্বল হয়ে পড়ে।[১৮][১৯] অতঃপর ইখওয়ানুল মুসলিমিন আরব জাতীয়তাবাদের বিরুদ্ধে, বিশেষত আরব জাতীয়তাবাদের প্রধান কেন্দ্র মিশর ও সিরিয়ায়, তাদের কার্যক্রম আরও তীব্র করে তোলে।[২০] সিরীয় বাথ পার্টি নিয়মিতভাবে ধর্মের বিরুদ্ধে আক্রমণ করত এবং নাসেরবাদ মতাদর্শের মতো অন্যান্য আরব জাতীয়তাবাদী ভাবাদর্শের সাথে তাদের বিরোধ সৃষ্টি হয়, যাকে সিরীয় বাথবাদীরা সমাজতান্ত্রিক আদর্শের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতার অভিযোগে অভিযুক্ত করত। নাসের পরবর্তীতে বাথবাদীদের ধর্মবিরোধী এবং আরবদের মধ্যে সাম্প্রদায়িকতা প্রসারের অভিযোগে অভিযুক্ত করেন।[২১][২২] ইরাকি বাথ পার্টি, বিশেষ করে সাদ্দাম হুসাইনের শাসনামলে, সিরীয় বাথ পার্টির মতোই একটি ধর্মনিরপেক্ষ এবং সমাজতান্ত্রিক দল ছিল। কিন্তু, ইরাকি বাথ পার্টিতে ইরান-বিদ্বেষী অনুভূতি ছিল অনেক তীব্র[২৩][২৪] এবং উপসাগরীয় যুদ্ধে পরাজয়ের পর 'বিশ্বাস অভিযান' নামক কার্যক্রমের মাধ্যমে তারা ধর্মীয়তাকে গ্রহণ করে, তবে তাদের জাতীয়তাবাদী চেতনা অক্ষুণ্ণ রাখে।[২৫]

হিযবুত তাহরীর জাতীয়তাবাদের তীব্র বিরোধিতা করে।[২৬]

ইসলাম ও জাতীয়তাবাদের মধ্যেকার অন্তর্নিহিত বৈপরীত্য সত্ত্বেও, পাকিস্তানি জাতীয়তাবাদ ধর্মনিরপেক্ষ না হয়ে বরং ধর্মীয় এবং ইসলামই এর কেন্দ্রস্বরূপ।[২৭] হামাস ফিলিস্তিনি জাতীয়তাবাদের সাথে ইসলামবাদকেও একত্রিত করে, যার কারণে আইএসজি এবং অন্যান্য সালাফি সংগঠনগুলোর সাথে তাদের সংঘাত হয়। জইশ উল-আদল বালুচ জাতীয়তাবাদের সাথে ইসলামবাদের সংমিশ্রণ ঘটায়। আহরার আল-শাম, জেইশ আল-ইসলাম এবং অন্যান্য বিদ্রোহী গোষ্ঠী সিরীয় জাতীয়তাবাদকে ইসলামবাদের সাথে একীভূত করে। তালেবানের আনুষ্ঠানিক মতাদর্শ ইসলামবাদ, পশতুনওয়ালি এবং আফগান জাতীয়তাবাদের সমন্বয়ে গঠিত, যা ইসলামিক স্টেট ও তালেবানের মধ্যকার সংঘাতের অন্যতম কারণ। আল-শাবাব সোমালি জাতীয়তাবাদ দ্বারা অনুপ্রাণিত ইথিওপিয়া-বিরোধী মনোভাবকে তাদের মতাদর্শের অন্তর্ভুক্ত করেছে।[২৮][২৯]

আরও দেখুন

সম্পাদনা

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. A Charter 2015, পৃ. 14–15।
  2. The Study Quran 2015, পৃ. 1262, v. 13 commentary।
  3. Sahih Muslim 4561
  4. رواه مسلم، في صحيح مسلم، عن جابر بن عبد الله، الصفحة أو الرقم: 2584، صحيح.
  5. Sunan Abī Dāwūd 5102
  6. Musnad Aḥmad 3784
  7. Esposito, John L. (১৯৮৪)। Islam and politics। পৃষ্ঠা 59। 
  8. World Book Encyclopedia, 2018 ed., s.v. "Muslims"
  9. "The Pan-Islamic Movement"। The Times। London, England। মার্চ ১৩, ১৯০২। 
  10. Motadel, David (২০১৪)। Islam and the European Empires। Oxford University Press। পৃষ্ঠা 35, 175, 187, 190, 197। আইএসবিএন 978-0-19-966831-1 
  11. Milton-Edwards, Beverley (২০০৫)। Islamic Fundamentalism since 1945। Routledge Publishers। পৃষ্ঠা 23। আইএসবিএন 0-203-57276-9 
  12. Bennett, Andrew M. (২০১৩)। "Islamic History & Al-Qaeda: A Primer to Understanding the Rise of Islamist Movements in the Modern World"Pace International Law Review Online। PACE UNIVERSITY SCHOOL OF LAW। 3 (10): 344–345 – DigitalCommons-এর মাধ্যমে। 
  13. "Turkish Society (Turkish organization) -- Britannica Online Encyclopedia"। ২০০৮-০১-২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৩-২২  (1912)
  14. Combs; Slann, Cindy C.; Martin (২০০৭)। "Grey Wolves". Encyclopedia of terrorism. New York: Facts On File.। পৃষ্ঠা 110। আইএসবিএন 978-1-4381-1019-6The Grey Wolves, the unofficial militant arm of the MHP, has been involved in street killings and gunbattles. 
  15. Martin, Augustus; Prager, Fynnwin (২০১৯)। "Part II: The Terrorists – Violent Ideologies: Terrorism From the Left and Right"Terrorism: An International PerspectiveThousand Oaks, California: SAGE Publications। পৃষ্ঠা 302। আইএসবিএন 9781526459954এলসিসিএন 2018948259। ১৩ জানুয়ারি ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ নভেম্বর ২০২১The Grey Wolves – The most prominent organization of the violent right wing in Turkey is the Grey Wolves. The Grey Wolves are named for a mythical she-wolf who led ancient Turks to freedom. Its wolf's-head symbol is displayed by MHP members and other nationalists. The Grey Wolves have been implicated in many attacks against leftists, Kurds, Muslim activists, and student organizations. They have also been implicated in attacks supporting the Turkish occupation of Cyprus. Mehmet Ali Ağca, who was convicted of shooting Pope John Paul II, was a former Grey Wolf. 
  16. M. Lüthi, Lorenz (২০২০)। Cold Wars: Asia, the Middle East, Europe। New York: Cambridge University Press। পৃষ্ঠা 491, 505–506। আইএসবিএন 978-1-108-41833-1ডিওআই:10.1017/9781108289825 
  17. "ARAB NATIONALISM" 
  18. "Requiem for Arab Nationalism" by Adeed Dawisha, Middle East Quarterly, Winter 2003
  19. Charles Smith, The Arab-Israeli Conflict, in International Relations in the Middle East by Louise Fawcett, p. 220.
  20. "The end of Nasserism: How the 1967 War opened new space for Islamism in the Arab world"। Brookings। ৫ জুন ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ১৫ মে ২০১৯ 
  21. Roberts, David (২০১৫)। The Ba'ath and the creation of modern Syria (Routledge Library Editions: Syria সংস্করণ)। Abingdon, Oxon: Routledge। পৃষ্ঠা 49, 57, 61, 72, 82–83, 88–100, 133–134, 148–149, 153, 161। আইএসবিএন 978-0-415-83882-5 
  22. S. Abu Jaber, Kamel (১৯৬৬)। The Arab Ba'th Socialist Party: History, Ideology and Organization (1st সংস্করণ)। Syracuse, New York, USA: Syracuse University Press। পৃষ্ঠা xii–xiii, 76–78, 93–95। এলসিসিএন 66-25181 
  23. Jerry M. Long (১৭ আগস্ট ২০০৯)। Saddam's War of Words: Politics, Religion, and the Iraqi Invasion of Kuwait। University of Texas Press। পৃষ্ঠা 69–। আইএসবিএন 978-0-292-77816-0 
  24. Con Coughlin. Saddam: His Rise and Fall, page 19. আইএসবিএন ৯৭৮-০-০৬-০৫০৫৪৩-১: Quoted from Samir al-Khalil. Republic of Fear, 1989. University of California press. pg 17
  25. "News from Khilafah Conference 2013: Nationalism weakened the unity of Muslim Ummah"Khilafah। HTI Press। ১৩ মে ২০১৩। ২ জুলাই ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ মে ২০১৬Abdillah, a representative of Hizb ut Tahrir-Batam, confirmed that nationalism is dangerous for Muslim beliefs. Nationalism is a sense of identity with the nation. 
  26. Ḥaqqānī, Husain (২০০৫)। Pakistan: between mosque and military। Washington: Carnegie Endowment for International Peace। পৃষ্ঠা 131। আইএসবিএন 0-87003-214-3। সংগ্রহের তারিখ ২৩ মে ২০১০Zia ul-Haq is often identified as the person most responsible for turning Pakistan into a global center for political Islam. ... 
  27. Makhaus, Ken (আগস্ট ২০০৯)। "Somalia: What went Wrong?"। The RUSI Journal154 (4): 8। এসটুসিআইডি 219626653ডিওআই:10.1080/03071840903216395  
  28. Allen, William; Gakuo Mwangi, Oscar (২৫ মার্চ ২০২১)। "Al-Shabaab" Oxford Research Encyclopedias: African Historyআইএসবিএন 978-0-19-027773-4ডিওআই:10.1093/acrefore/9780190277734.013.785। ২৯ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।