ইশিগাকি দ্বীপ

জাপানের একটি দ্বীপ

ইশিগাকি দ্বীপ জাপানের দ্বীপ গুলোর একটি, এর অবস্থান ওকিনাওয়া হোন্তর পশ্চিমে। (Okinawa Hontō), দ্বিতীয় বৃহত্তম দ্বীপ ইয়েইইয়েমা আইলেন্ড গ্রুপের। (Yaeyama Island group) দ্বীপটি ওকিনাওয়াতে ইশিগাকি শহরে। এই দ্বীপ ব্যবসা প্রধান্য এবং পরিবহন কেন্দ্র । এই দ্বীপে আছে নিঊ ইশিগাকি বিমান বন্দর (New Ishigaki Airport) যা ইয়েয়ামাস (Yaeyamas) এ সবচে বড় বিমান বন্দর।

ইশিগাকি দ্বীপ
স্থানীয় নাম:
Ishigaki-jima (石垣島)
কবির উপসাগর
ভূগোল
অবস্থানপ্রশান্ত মহাসাগর
স্থানাঙ্ক২২°১৪′ উত্তর ১২৪°১৩′ পূর্ব / ২২.২৪° উত্তর ১২৪.২২° পূর্ব / 22.24; 124.22
দ্বীপপুঞ্জইয়েয়ামা দ্বীপ
আয়তন২২২.৫৪ বর্গকিলোমিটার (৮৫.৯২ বর্গমাইল)
সর্বোচ্চ উচ্চতা৫২৫.৫ মিটার (১,৭২৪.১ ফুট)
প্রশাসন
জাপান
ওকিনাওয়া
জনপরিসংখ্যান
জনসংখ্যা৪৮,০০০

এই দ্বীপের চারদিক এমনকি মৌন্ট ওমোতো (Mount Omoto) এবং কবির উপসাগর (Kabira Bay) শুরক্ষিত আছে রিমোট ইশিগাকি নেশনাল পার্ক ( riomote-Ishigaki National Park) দ্বরা।

প্রেক্ষাপট সম্পাদনা

এই দ্বীপ নিয়ে তথা কথিত দুই দেশের সমস্যা আছে জায়গা নিয়ে, জাপান এবং তাইওয়ান এর মধ্যে। পূর্ব উত্তরে ৩০০কিঃমি তাইওয়ানের দ্বাবিদার।

১৭৭১ সালে টি-সুনামি সবচেয়ে বড় আঘাত হানে এই দ্বীপে।

এই দ্বীপ ব্যবসা কেন্দ্রিক হওয়ায় অপরাধ মার্তাও বেড়ে যায় এক সময়। র্টেন আক্রমণ হয় এই দ্বীপ থেকে খুব কাছে, যার নাম ইয়াসো হায়াআশি (Yasuo Hayashi), (sarin gas attack)

এবং ২১ মাস পর অপরাধীরা ধরা পড়ে এই দ্বীপেই।

ইশিগাকি নৌ-বন্দর প্রসার করা হবে তার ফলে জাপানিজ টহল কোস্ট গার্ডের নৌকা হয়ত রাখা যাবে। জেএসডিএফ (JSDF- Japan Self-Defense Forces) সেখানে স্থাপনা করেতে চাচ্ছেন এন্টি-শিপ-মিজাইল(anti-ship missiles) যদিও খুব ছোট পরিসারে। ধারণা করা হয় ৯৬-মাল্টি-পারপোজ মিজাইল সিস্টেম (96 Multi-Purpose Missile System)

জাপানের অনেক সৈন্য সেনকাকু দ্বীপেই থেকে যা ইশিগাকি দ্বীপ থেকে মাত্র ১৭০ কি.মি. এবং এই সৈন্য ইশিগাকি মেয়রের অধীনেই। সেনকাকু দ্বীপপুঞ্জটি উৎসুরি জিমা, তাইশো জিমা, কুবা জিমা, কিতা কোজিমামিনামি কোজিমা নামের পাঁচটি দ্বীপ এবং তিনটি ভাসমান পাথুরে টিলার সমন্বয়ে গঠিত। ১৯৭২ সালে উএস এর কাছ থেকে প্রত্যাবর্তনের পর এই দ্বীপ গণ চায়না কিছু অংশ তাদের দাবি করে। চায়না সেনকাকু দ্বীপ আপত্তির জন্য ১৯৭২ থেকে ২০১২ পূর্যন্ত দাবি করেছিল। জাপান প্রথম দ্বীপপুঞ্জটির নিয়ন্ত্রণ পায় ১৮৯৫ সালের ১৪ জানুয়ারিদ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় আত্মসমর্পণ করার আগ পর্যন্ত এটির নিয়ন্ত্রণ তাদের হাতেই ছিল। ১৯৪৫ সালে যুক্তরাষ্ট্র তাদের প্রশাসনের আওতায় আনে দ্বীপটিকে। ১৯৬৮ সালে এশিয়ার অর্থনীতিবিষয়ক জাতিসংঘ কমিশন দ্বীপটিতে তেল-গ্যাস মজুদ থাকার কথা জানায়। এর পর থেকেই তিন দেশ দ্বীপের মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণ নিয়ে টানাটানি করছে। ১৯৭২ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের কাছেই ছিল এর নিয়ন্ত্রণ। জাপান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার ওকিনাওয়া সংরক্ষণ চুক্তির আওতায় টোকিওর কাছে দ্বীপের মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণ হস্তান্তর করে ওয়াশিংটন। একই বছর চীন ও তাইওয়ান এটিতে তাদের মালিকানার কথা ঘোষণা দেয়। অবশ্য এটির নিয়ন্ত্রণ এখনো জাপানের কাছেই

সংস্কৃতি সম্পাদনা

মিয়ারাদুনচি

দৃশ্য সম্পাদনা

ইশিগাকি ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য গ্রীষ্মকালে স্বর্গোদ্যান, সমুদ্র সৈকতের পানি অনেক পরিষ্কার এবং টলটলে। যেহেতু যায়গাটা বাণিজ্যিক বিনোদনের অনেক ব্যবস্থা আছে যেমন স্কুবা ডাইভিং, ঘুড়ি সার্ফিং, সার্ফিং

খাবার সম্পাদনা

বাণিজ্য কেন্দ্রিক হওয়ায় জাপান থেকে এখানকার রন্ধনপ্রণালী ও অনেক আলাদা। অনেক রকমের মাছের রান্না যা বাহিরের দেশে হয় সেই ভাবে রান্না করা হয়, এবং অনেক অচেনা অজান খাবারের সন্ধান মেলে এই দ্বীপে

আরো দেখুন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা