ইরাকের ইতিহাস
১৯২০ খ্রিষ্টাব্দে ইরাককে আধুনিক রাষ্ট্রের অঞ্চল হিসাবে ঘোষনা করা হয়েছিল। নিম্ন মেসোপটেমিয়া (প্রথমে ঐতিহাসিক বাবিলনিয়া এবং পরে 'ইরাক-আই' আরব নামেও) অন্তর্ভুক্ত করা হয়। আবার উচ্চ মেসোপটেমিয়া এবং সিরিয়ার মরুভূমি উভয়ে আরবীয় মরুভূমির অংশ হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ইরাকের ইতিহাস- দুনিয়ার সবচেয়ে পুরাতন ইতিহাস হিসাবে পরিচিত। লেখা, সাহিত্য, বিজ্ঞান, গণিত, আইন এবং দর্শনশাস্ত্র এগুলা ইরাকের পুরাতন ইতিহাসের মাঝে অন্তর্ভুক্ত; সুতরাং এর সাধারণ উপাধি হচ্ছে তহজিবের দোলনা। উবায়েদের জমানায় তহজিবের প্রথম দিকে ক্রিসেন্টের অংশ হিসাবে, মেসোপটেমিয়ায় নবোপলীয় আবির্ভাব ঘটে এবং ব্রোঞ্জ জমানা জুড়ে (সুমেরীয়, আক্কাদীয়ান, ব্যাবিলনীয় ও আসিরিয়ান নিয়ে একটি উল্লেখযোগ্য অংশ গঠন করে)।[১] ব্যাবেলনের সাম্রাজ্যের পতনের বাদে, মেসোপটেমিয়ায় প্রথম ফার্সী শাসন চালু হয় এবং তারপর ধীরে ধীরে ইউনানী শাসনও চালু হতে থাকে। তৃতীয় শতাব্দীতে আবারো এটি ফার্সীদের নিয়ন্ত্রণের চলে গিয়েছিল। আরবদের কারণে জনসংখ্যা ক্রমবর্ধমানভাবে বিচ্ছিন্ন হচ্ছিল এবং তখন থেকে ইরাকের আরবী নাম আল-'ইরাক হিসাবে সময় সম্পর্কে তারিখগুলি নির্ধারণ করা হয়।[২] ৭ম শতাব্দীতে ইসলামী খেলাফতের বিজয়ের মাধ্যমে খলিফা রাশিদূন সাসানিদ সাম্রাজ্যটি ধ্বংস করেন । ৯ম শতাব্দীতে আব্বাসীয় খেলাফতের সময়ে বাগদাদ শহর "ইসলামী সোনালী জমানার" কেন্দ্রে পরিনত হয়ে ওঠে। ১০ম শতাব্দীতে বাওয়াহীদ ও সেলজুক আক্রমণ ও বিজয়ের ফলে বাগদাদের আয়তন দ্রুত বৃদ্ধি পেতে থাকে ।১২৫৮ খ্রিষ্টাব্দে মঙ্গোলেরা বগদাদ আক্রমণ করার মধ্য দিয়ে এর সম্প্রসারণ বন্ধ হয়ে যায় ।তুর্কি-মঙ্গোল ও ইরাক মিলে একটি সুবাহ গঠিত করে ।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ Hart, Ron Duncan (২০০৭), A Phoenix Rising, World Arts Press, পৃষ্ঠা 33, আইএসবিএন 978-0-9777514-1-9 Elsheshtawy, Yasser (২০০৪), Planning Middle Eastern Cities, Routledge, পৃষ্ঠা 60, আইএসবিএন 978-0-415-30400-9 "Baghdad's Treasure: Lost To The Ages"। Time। ২৮ এপ্রিল ২০০৩। ২৭ আগস্ট ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ মে ২০১০।
- ↑ Concise Encyclopedia Of World History। Carlos Ramirez-Faria। ২০০৭। পৃষ্ঠা 33।
আরও পড়ুন
সম্পাদনা- Kriwaczek, Paul. Babylon : Mesopotamia and the Birth of Civilization. Atlantic Books (2010). আইএসবিএন ৯৭৮-১-৮৪৮৮৭-১৫৭-১
- Roux, Georges. Ancient Iraq. Penguin Books (1992). আইএসবিএন ০-১৪-০১২৫২৩-X
- Taurus,I.B. Three Kings in Baghdad: The Tragedy of Iraq's Monarchy, (2008). আইএসবিএন ৯৭৮-১-৮৪৫১১-৫৩৫-৭
- Tripp, Charles R. H. (২০০২)। A History of Iraq। Cambridge University Press। আইএসবিএন 978-0-521-87823-4।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- Iraq: The Cradle of Civilization
- Iraq History and Culture from the cradle of civilization and Noah to the present age and time ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৪ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে
- Historical Context of the Iran - Iraq War from the Dean Peter Krogh Foreign Affairs Digital Archives
এই নিবন্ধটি বাংলায় অনুবাদ করা প্রয়োজন। এই নিবন্ধটি বাংলা ব্যতীত অন্য কোন ভাষায় লেখা হয়েছে। নিবন্ধটি যদি ঐ নির্দিষ্ট ভাষা ব্যবহারকারীদের উদ্দেশ্যে লেখা হয়ে থাকে তবে, অনুগ্রহ করে নিবন্ধটি ঐ নির্দিষ্ট ভাষার উইকিপিডিয়াতে তৈরি করুন। অন্যান্য ভাষার উইকিপিডিয়ার তালিকা দেখুন এখানে। এই নিবন্ধটি পড়ার জন্য আপনি গুগল অনুবাদ ব্যবহার করতে পারেন। কিন্তু এ ধরনের স্বয়ংক্রিয় সরঞ্জাম দ্বারা অনুবাদকৃত লেখা উইকিপিডিয়াতে সংযোজন করবেন না, কারণ সাধারণত এই সরঞ্জামগুলোর অনুবাদ মানসম্পন্ন হয় না। |