ইয়েলোহ্যামার

পাখির প্রজাতি

ইয়েলোহ্যামার (Emberiza citrinella) হচ্ছে প্যাসারিন জাতের পাখি যারা ইউরেশিয়ার নেটিভ এবং নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, ফকল্যাণ্ড দ্বীপপুঞ্জ এবং দক্ষিণ আফ্রিকায় দেখতে পাওয়া যায়।[২] অধিকাংশ পাখি তাদের নিজস্ব সীমানায় সারা বছর কাটিয়ে দেয় কিন্তু পূর্বাঞ্চলীয় পাখিরা আংশিক অভিবাসী।

ইয়েলো হ্যামার
পুরুষ E. c. citrinella
ইংল্যান্ডের ডেভনে রেকর্ড করা গান
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ: প্রাণীজগত
পর্ব: কর্ডাটা
শ্রেণী: পাখি
বর্গ: প্যাসারিফরমিস
পরিবার: এমবেরিজিডি
গণ: এমবেরিজা
প্রজাতি: E. citrinella
দ্বিপদী নাম
'এমবেরিজা সাইট্রিনেল্লা
লিনিয়াস, সিস্টেমা ন্যাচারাই
       Breeding summer visitor
       Resident year-round
       Winter visitor
Approximate natural range

বর্ণনা সম্পাদনা

হলুদ হ্যামার পাখি লম্বায় ১৬ থেকে সাড়ে ১৬ সেমি, ওজনে ২০-৬.৫ গ্রাম এবং এদের ডানার বিস্তৃতি ২-২৯.৫ সেমি। উপপ্রজাতি E. c. citrinella এর পুরুষ পাখির মাথা উজ্জ্বল হলুদ। উপপ্রজাতি সমূহের মধ্যে পার্থক্য খুবই কম।

শ্রেণীবিন্যাস সম্পাদনা

১৭৫৮ সালে ক্যারোলাস লিনিয়াস তার সিস্টেমা ন্যাচারাই গ্রন্থে ইয়েলোহ্যামারকে বর্তমান দ্বিপদ নামে বর্ণনা করেন। এমবেরিজা শব্দটি এসেছে পুরাতন জার্মান শব্দ এমব্রিৎজ থেকে এবং সাইট্রিনেল্লা ইতালীয় শব্দ যার অর্থ ছোট্ট হলুদ পাখি।

আবাস্থল সম্পাদনা

এরান ইউরেশিয়া অঞ্চলে বাস করে যেখানকার তাপমাত্রা ১৬-২০ °C থাকে। এটা ইউরোপের সব থেকে সাধারণ এবং সব থেকে বেশি বিস্তৃত বাউন্টিং পাখি। এরা উচ্চ পর্বত, আর্কটিক অঞ্চল, নেদারল্যান্ডসের পশ্চিমাঞ্চল, আইবেরিয়ার বেশিরভাগ এলাকা, গ্রীস এবং ভূমধ্য সাগরের পার্শ্ববর্তী দেশের নিম্নভূমির অঞ্চলে এদের দেখতে পাওয়া যায় না।

স্বভাব সম্পাদনা

এরা এক বছর বয়সে প্রজননের উপযোগী হয়। পাতা, শুকনো ঘাস দিয়ে এরা বাসা করে। ৩-৫ টি ডিম পাড়ে। ডিমে সাদার উপর কালো দাগ আকা থাকে। ১২-১৪ দিন মা পাখি তাওয়া দেওয়ার পরে বাচ্চা ফুটে বের হয়। বাবা-মা বাচ্চা পাখিকে খাওয়ায়। এরা সাধারনত তিন বছর বাঁচে। তবে গ্রেট ব্রিটেন এবং জার্মানি ১৩ বছরের বেশি বাঁচার রেকর্ড আছে।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Emberiza citrinella"বিপদগ্রস্ত প্রজাতির আইইউসিএন লাল তালিকা। সংস্করণ 2013.2প্রকৃতি সংরক্ষণের জন্য আন্তর্জাতিক ইউনিয়ন। ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ২৬ নভেম্বর ২০১৩ 
  2. Long, John L. (1981). Introduced Birds of the World. Agricultural Protection Board of Western Australia. pp. 21–493

বহি:সংযোগ সম্পাদনা