আজনাদায়নের যুদ্ধে পরাজয়ের কারণে সিরিয়া মুসলিম বাহিনীর কাছে অসুরক্ষিত হয়ে যায়। খালিদ বাইজেন্টাইনের শক্ত অঞ্চল দামেস্ক দখল করার সিদ্ধান্ত নেন। দামেস্কে বাইজেন্টাইন সম্রাট হেরাক্লিয়াসের জামাতা থমাস দায়িত্বে ছিলেন। খালিদের দামেস্কের দিকে যাত্রা করার গোয়েন্দা তথ্য পেয়ে তিনি দামেস্কের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা প্রস্তুত করেন। তিনি আরও শক্তিশালীকরণের জন্য সে সময় এমেসায় সম্রাট হেরাক্লিয়াসকে চিঠি লিখেছিলেন। অধিকন্তু, থমাস অবরোধের প্রস্তুতির জন্য আরও সময় পাওয়ার জন্য সেনাবাহিনীকে প্রেরণ করেন খালিদের যাত্রা বিলম্বের জন্য বা সম্ভব হলে দামেস্কে আসার আগেই থামিয়ে দেয়ার জন্য। ৬৩৪ সালের আগস্টের মাঝামাঝি সময়ে দামাস্কাস থেকে ১৫০ কিলোমিটার দূরে তাইবেরিয়াস হ্রদের কাছে এ ধরনের একটি সেনাবাহিনী ইয়াকুসার যুদ্ধে (ওয়াকুসা নামেও পরিচিত) পরাজিত হয়।[১] দামেস্কে মুসলমানদের অগ্রযাত্রা থামিয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যে পাঠানো আরেকটি সেনাবাহিনী ১৯ আগস্ট ৬৩৪ সালের মার্জ আল-সাফফারের যুদ্ধে পরাজিত হয়েছিল।[২][৩]

ইয়াকুসার যুদ্ধ
মূল যুদ্ধ: মুসলমানদের সিরিয়া বিজয়
এবং আরব–বাইজেন্টাইন যুদ্ধ
তারিখ৩০ জুলাই, ৬৩৪[১]
অবস্থান
ইয়াকুসা, তাইবেরিয়াস হ্রদের কাছে, দামেস্কাস থেকে ১৫০ কিলোমিটার[১]
ফলাফল রাশিদুন খিলাফতের বিজয়
বিবাদমান পক্ষ
বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্য রাশিদুন খিলাফত
সেনাধিপতি ও নেতৃত্ব প্রদানকারী
খালিদ ইবনে আল ওয়ালিদ

তাবারিসহ কিছু প্রারম্ভিক লেখক ইয়াকুসার (আরবি: الياقوصة) এ একই অঞ্চলে যুদ্ধ করা ইয়ারমুকের যুদ্ধের সাথে এই যুদ্ধটি মিলিয়ে ফেলেছিলেন বলে মনে হয় এবং ইয়ারমুকের বছরটিকে ১৩ হিজরি দেওয়া হয়েছে যা ভুল।[১]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা