ইঙ্গ-তুর্কি যুদ্ধ (১৮৯৭-১৮০৯)
১৮০৭-১৮০৯ সালের ইঙ্গ-তুর্কি যুদ্ধ যুক্তরাজ্যের গ্রেট ব্রিটেন এবং আয়ারল্যান্ড এবং উসমানীয় সাম্রাজ্যের মধ্যে সংঘটিত হয়েছিল। এটি নেপোলিয়নীয় যুদ্ধের অংশ ছিল।
ইঙ্গ-তুর্কি যুদ্ধ | |||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|
মূল যুদ্ধ: নেপোলিয়নীয় যুদ্ধ | |||||||
| |||||||
বিবাদমান পক্ষ | |||||||
সমর্থনে: ফরাসী সাম্রাজ্য |
যুক্তরাজ্য সমর্থনে: রুশ সাম্রাজ্য | ||||||
সেনাধিপতি ও নেতৃত্ব প্রদানকারী | |||||||
তৃতীয় সেলিম মুহাম্মাদ আলী সাবিস্তিয়ানি |
তৃতীয় জর্জ জন ডাকওয়ার্থ |
চরমপত্র
সম্পাদনা১৮০৬ সালের গ্রীষ্মে, তৃতীয় জোটের যুদ্ধের সময় (গ্রেট ব্রিটেন, রাশিয়া, অস্ট্রিয়া, সুইডেন ) নেপোলিয়নের রাষ্ট্রদূত জেনারেল কাউন্ট সেবাস্তিয়ানি পোর্টেকে ১৮০৫ সালে রাশিয়াকে দেওয়া সমস্ত বিশেষ সুবিধা বাতিল করতে এবং উসমানীয়দেরকে একচেটিয়াভাবে ফরাসি যুদ্ধজাহাজের জন্য প্রণালী (দার্দানেলেস) খুলতে রাজি করাতে সক্ষম হন। বিনিময়ে নেপোলিয়ন সার্বিয়ার বিদ্রোহ দমন করার এবং হারানো অঞ্চল পুনরুদ্ধারে সুলতানকে সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দেন। ১৮০৬ সালে রুশ সেনাবাহিনী মোলদাভিয়া এবং ওয়ালাচিয়ায় অগ্রসর হলে উসমানীয়রা রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে ।
দার্দানেলেস অপারেশন
সম্পাদনা১৮০৬ সালের সেপ্টেম্বরে ব্রিটিশ সরকার সেবাস্তিয়ানিকে বহিষ্কার করার জন্য সুলতান তৃতীয় সেলিমকে চাপ দেয় এবং ফ্রান্সের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। এছাড়া তারা দানুবীয় প্রিন্সিপ্যালিটিগুলি রাশিয়ার কাছে হস্তান্তর করার এবং দার্দানেলেসের দুর্গসহ উসমানীয় নৌবহরকে রাজকীয় নৌবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করতে দাবি করে। সেলিমের চরমপত্র প্রত্যাখ্যান করার পর ভাইস অ্যাডমিরাল জন থমাস ডাকওয়ার্থের অধীনে একটি ব্রিটিশ স্কোয়াড্রন ১৯ ফেব্রুয়ারি ১৮০৭ তারিখে দার্দানেলসে প্রবেশ করে এবং মার্মারা সাগরে একটি উসমানীয় নৌবাহিনীকে ধ্বংস করে। তারা কনস্টান্টিনোপলের বিপরীতে নোঙর করে। ফরাসি সহায়তায় উসমানীয়রা শক্তিশালী সারিবন্দি কামান স্থাপন করে এবং তাদের দুর্গকে শক্তিশালী করে।[২] বৃটিশ যুদ্ধজাহাজ দুটি জাহাজের ক্ষতির শিকার হয়ে কামানবন্দী হয়ে পড়ে। ডাকওয়ার্থ ১৮০৭ সালের ৩ মার্চ ভূমধ্যসাগরে প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নেন।
১৮০৭ সালের আলেকজান্দ্রিয়া অভিযান
সম্পাদনা১৮০৭ সালের ১৬ মার্চ ৬,০০০ ব্রিটিশ সৈন্য উসমানীয় মিশরের আলেকজান্দ্রিয়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা করে, যেটি তারা আগস্টে দখল করে। গভর্নর মুহাম্মদ আলী কার্যকর পাল্টা আক্রমণ চালান এবং সরবরাহের অভাবে ব্রিটিশরা ফিরে যেতে বাধ্য হয়। রাশিয়ার সাথে যুদ্ধে উসমানীয় সাম্রাজ্যের ফ্রান্স থেকে সামান্য সামরিক সহায়তা ছিল; নেপোলিয়ন ব্রিটেনের সাথে ১৮০৭ সালের অস্ত্রবিরতি চুক্তির সাথে রাশিয়ার সম্মতি নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছিল। কারণ ব্রিটেন ফ্রান্স এবং রাশিয়া উভয়ের সাথে যুদ্ধে ছিল।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ Simply Napoleon By J. David Markham, Matthew Zarzeczny
- ↑ Daniel Panzac, La marine ottomane, de l'apogée à la chute de l'Empire (1572-1923), 2009, p. 259