ইখতিয়ারউদ্দীন বলকা খলজী

মালিক বলকা খলজি, দিল্লী সুলতান শামসুদ্দিন ইলতুতমিশ এর অধীনে ১২৩০–১২৩১ এর সময় লখ্নৌতির সিংহাসনে আরোহণ করেন। ১২৩০ খ্রীস্টাব্দে বাঙ্গলা দেশ পুনরায় বিজিত হইল। শামসুদ্দিন ইলতুতমিশ বাঙ্গলা এবং বিহারকে দুইটি পৃথক প্রদেশে বিভক্ত করিয়া দুই জন শাসক নিযুক্ত করিলেন। তাহাদের উপাধি হইল জাবিতান বা কর্মকতা[১]

ইতিহাস সম্পাদনা

বলখা ছিলেন গিয়াসউদ্দিন ইওয়াজ শাহ এর পুত্র [২] আলাউদ্দিন দৌলত শাহ খলজির মৃত্যুর পরে বলখা বাংলার সিংহাসন দখল করেছিলেন। বলখা নিজেকে বাংলার স্বাধীন শাসক হিসাবে রচনা করেছিলেন।বাংলার শাসনকর্তা নাসিরউদ্দীন মাহমুদ এর মৃত্যুর পর নতুন শাসনকর্তা নিযুক্ত না হওয়া পর্যন্ত বাংলার অভ্যন্তরীণ শান্তি রক্ষার জন্য সেনানায়ক দৌলত শাহ বিন মউদুদ সৈন্যবাহিনীর নেতৃত্ব গ্রহণ করেন। তিনি (১২২৯-৩০ খ্রি.) সুলতান ইলতুৎমিশের সঙ্গে যৌথ মুদ্রা প্রবর্তন করার মত প্রদান করায় ক্ষুব্ধ হয়ে মালিক ইখতিয়ারউদ্দীন বলকা খলজী বিদ্রোহ করেন এবং দৌলত শাহকে পরাভূত ও হত্যা করে নিজে ক্ষমতা দখল করেন (১২৩০ খ্রি.)। দিল্লির সুলতান ইলতুৎমিশ ১২৩১ খ্রিস্টাব্দে বলকা খলজীর বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করেন। সুলতান শামসুদ্দিন ইলতুতমিশ ১২৩১ সালে আবার বাংলা আক্রমণ করেছিলেন। বলখাকে পরে বন্দী করে হত্যা করা হয়েছিল। এভাবে বাংলার খলজি রাজবংশের শাসনের অবসান ঘটে।[৩]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "দিল্লীতে দাস রাজত্ব (১২০৬-১২৯০ খ্রীঃ)"। ভারতবর্ষের বৃহত্তর পরিচয় মধ্যযুগ (পিডিএফ)। পৃষ্ঠা ০৯–১০।  line feed character in |শিরোনাম= at position 26 (সাহায্য)[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  2. Far East Kingdoms : South Asia
  3. "বলকা খলজী, ইখতিয়ার উদ্দীন"। সংগ্রহের তারিখ ২ এপ্রিল ২০২০