ইউসুফ ও জুলেখা

পুথিসাহিত্যের প্রাচীনতম কাব্য

ইউসুফ ও জুলেখা নবী ইউসুফ ও পটিফারের স্ত্রীর কাহিনীর মধ্যযুগীয় ইসলামী সংস্করণকে বোঝায় যা মুসলিম বিশ্বের বিভিন্ন ভাষায় অগণিত বার লোকমুখে বলা হয়েছে। এটির সবচেয়ে বিখ্যাত সংস্করণ ফার্সি ভাষাতে জামী (১৪১৪-১৪৯২) তার হাফত আওরাঙ ("সাতটি সিংহাসন") গ্রন্থে লিখেছেন।

গল্পের অন্যান্য সংস্করণ সম্পাদনা

মধ্যযুগে শাহ মুহম্মদ সগীর, আবদুল হাকিম, শাহ্ গরীবউল্লাহ, গোলাম সফাতউল্লাহ, সাদেক আলী ও ফকির মোহাম্মদ ইউসুফ-জুলেখা কাব্য রচনা করেন। তাদের মধ্যে প্রথম তিনজন বাংলা এবং অন্যরা দোভাষী পুথির মিশ্র ভাষা ব্যবহার করেন। ফারসি ভাষায় ফেরদৌসী (১১শ শতক) ও জামী (১৫শ শতক) ইউসুফ-জুলেখার প্রেমকথা অবলম্বনে কাব্য রচনা করেন।[১]

বাংলা সাহিত্যে সম্পাদনা

বাংলা সাহিত্যের প্রথম মুসলমান কবি শাহ মুহম্মদ সগীর, গৌড়ের সুলতান গিয়াসউদ্দিন আজম শাহের রাজত্বকালে(১৩৯৩-১৪০৯ খ্রিষ্টাব্দ) ইউসুফ-জোলেখা কাব্য রচনা করেন। শাহ মুহম্মদ সগীর ছাড়াও মধ্যযুগের আরো অনেক কবি ইউসুফ-জোলেখা নাম দিয়ে কাব্য রচনা করেন। তার মধ্যে আবদুল হাকিম, শাহ গরিবুল্লাহ, গোলাম সফাতুল্লাহ, সাদেক আলী এবং ফকির মোহাম্মদ উল্লেখযোগ্য।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. ওয়াকিল আহমদ (২০১২)। "ইউসুফ-জুলেখা"ইসলাম, সিরাজুল; মিয়া, সাজাহান; খানম, মাহফুজা; আহমেদ, সাব্বীর। বাংলাপিডিয়া: বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্বকোষ (২য় সংস্করণ)। ঢাকা, বাংলাদেশ: বাংলাপিডিয়া ট্রাস্ট, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটিআইএসবিএন 9843205901ওএল 30677644Mওসিএলসি 883871743