আ ফেয়ারওয়েল টু আর্মস

আর্নেস্ট হেমিংওয়ের উপন্যাস

আ ফেয়ারওয়েল টু আর্মস (ইংরেজি: A Farewell to Arms) আর্নেস্ট হেমিংওয়ে কর্তৃক রচিত একটি যুদ্ধ বিরোধী ইংরেজি উপন্যাস। ১৯২৯ সালে আর্নেস্ট হেমিংওয়ে রচিত একটি প্রায়-আত্মজীবনীমূলক উপন্যাস। উপন্যাসটির অধিকাংশই হেমিংওয়ে তার আরকানস'র পিগটে শ্বশুরবাড়িতে বসে লেখেন। এটি ইংরেজি ভাষায় লেখা সেরা যুদ্ধ উপন্যাসগুলির একটি হিসেবে পরিগণিত।[১] তার লেখা বইয়ের মধ্যে এটি বেশি বিক্রি হয়েছে।[২] উপন্যাসটি প্রথম বিশ্বযুদ্ধে ইতালীয় সেনাবাহিনীতে একজন অ্যাম্বুলেন্স চালক হিসেবে কর্মরত মার্কিন লেফটেন্যান্ট ফ্রেডেরিক হেনরি চরিত্রটির দৃষ্টিকোণ থেকে রচিত হয়েছে।

আ ফেয়ারওয়েল টু আর্মস
এ ফেয়ারওয়েল টু আর্মস বইয়ের প্রচ্ছদ.png
প্রথম সংস্করণের প্রচ্ছদ
লেখকআর্নেস্ট হেমিংওয়ে
মূল শিরোনামA Farewell to Arms
দেশমার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
ভাষাইংরেজি
ধরনযুদ্ধ
অর্ধ আত্মজীবনীমূলক
প্রকাশকচার্লস স্ক্রিবনার্স সন্স
প্রকাশনার তারিখ
মে-অক্টোবর, ১৯২৯
মিডিয়া ধরনপ্রিন্ট
পৃষ্ঠাসংখ্যা৩৩৬
আইএসবিএন৯৭৮-০-৬৮৪-৮০১৪৬-৯ আইএসবিএন বৈধ নয়

কাহিনিসম্পাদনা

প্রথম বিশ্বযুদ্ধকে নিয়ে লেখা একটি প্রেমের উপন্যাস এটি। উপন্যাসের প্রধান চরিত্র ফ্রেডারিক হেনরি ইতালীয় সেনাবাহিনীর মেডিকেল কোরে কাজ করে। চিকিৎসার কাজ করতে গিয়ে তার সাথে পরিচয় হয় নার্স ক্যাথরিন বার্কলের। একে অপরের প্রেমে পড়ে যায়। এক রাতে যুদ্ধচলাকালিন সময়ে গুরুত্বরভাবে জখম হন। হাসপাতালে ভর্তি হয়ে পুনরায় ক্যথরিনের সাথে দেখা হয় এবং সুন্দর দিন কাটাতে থাকে। এরমধে হেনরিকে চলে যেতে হয় যুদ্ধক্ষেত্রে। সেই সময় ক্যাথরিন সন্তানস্মভবা হন। যুদ্ধক্ষেত্র পালিয়ে হেনরি ক্যাথরিনের কাছে চলে আসে। কিন্তু পালিয়েই বিপদে পড়ে। কারণ, ধরা পড়লেই হয়তো বা মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত হতে হবে।তখন তারা দুজনে পোল্যান্ডে চলে যান। অবশেষে ক্যাথরিন মারা যায় সন্তান প্রসব করতে গিয়ে।

ভাষান্তরসম্পাদনা

বইটির বাংলা ভাষাতে প্রথম অনুদিত হয় ১৯৬০-এর দশকে। অনুবাদ করেন অধ্যাপক কাম্রুল ইসলাম প্রকাশক মাওলা ব্রাদার্স। অনুবাদের নাম দেয়া হয় 'আর যুদ্ধ নয়'। মূল বইয়ের নামে নাম রেখে সেবা প্রকাশনী থেকে ১৯৮৮ সালেও এটি প্রকাশিত হয়েছিল। অনুবাদ করেন নিয়াজ মোরশেদ। এটা দ্বিতীয় প্রকাশ হয় ২০০২ সালে। বইটির প্রকাশক কাজী আনোয়ার হোসেন এবং প্রচ্ছদ পরিকল্পনা করেছেন আসাদুজ্জামান।

তথ্যসূত্রসম্পাদনা

  1. Mellow (1992), 378
  2. Wagner-Martin, Linda; Reynolds, Michael (২০০০)। "Ernest Hemingway 1899-1961: A Brief Biography"। A Historical Guide to Ernest Hemingway। New York: Oxford University Press। পৃষ্ঠা 31আইএসবিএন 0-19-512151-1 

বহিঃসংযোগসম্পাদনা