অধ্যাপক আ ন ম রইছ উদ্দিন (মৃত্যু ৭ মে ২০১৫) একজন বাংলাদেশী অধ্যাপক, ইসলামি বই লেখক ও গবেষক। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের একজন সুপরিচিত অধ্যাপক ছিলেন। তিনি ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য ছিলেন।[১] ২০০৯ সালে তাকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশের উপাচার্য হিসাবেও মনোনীত করা হয়েছিলো, কিন্তু শেষ পর্যন্ত নিয়োগপ্রাপ্ত হয়নি।[২][৩] তিনি বাংলাপিডিয়ার একজন সম্পাদক ছিলেন।[৪]

অধ্যাপক ড.
আ ন ম রইছ উদ্দিন
১ম উপাচার্য
ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়
কাজের মেয়াদ
৩ এপ্রিল ২০১৪ – ৩১ ডিসেম্বর ২০১৪
উত্তরসূরীমুহাম্মদ আহসান উল্লাহ
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্মবাংলাদেশ
মৃত্যু৭ মে ২০১৫
মৃত্যুর কারণবার্ধক্যজনিত
জাতীয়তাবাংলাদেশী
পেশাঅধ্যাপক, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসক

পরিচয় সম্পাদনা

আ ন ম রইছ উদ্দিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের একজন শিক্ষার্থী ছিলেন। পরবর্তী সময়ে তিনি এই বিভাগের প্রভাষক হিসাবে যোগদান করেন, এবং ক্রমান্বয়ে অধ্যাপকে পদোন্নতি হোন। ২০০৯ সালে তাকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ফয়েজ মুহাম্মাদ সিরাজুল ইসলামের পরবর্তী উপাচার্য হিসাবে মমোনীত করা হয়, তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিরোধীতায় তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়নি।[২] বরং এম আলাউদ্দিনকে উপাচার্য মনোনীত করা হয়। ২০১৪ সালের ৩ এপ্রিল তাকে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের নিয়োগ দেওয়া হয়, কিন্তু একই বছরের শেষের দিকে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। ৩১ ডিসেম্বর তিনি উপাচার্য থেকে পদত্যাগ করেন, এবং এই অসুস্থতায় মৃত্যুবরণ করেন।[১] তিনি মাত্র ৮ মাস উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

তিনি ব্যক্তিগতভাবে সুফিবাদের ভক্ত একজন ব্যক্তি ছিলেন।[৫] বাংলাদেশের বিভিন্ন সুফিবাদ প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করতেন।

মৃত্যু সম্পাদনা

রইছ বার্ধক্যজনিত কারণে ৭ মে ২০১৫ সালে মৃত্যুবরণ করেন।

রচনাবলি সম্পাদনা

আ ন ম রইছ উদ্দিন একজন প্রভাবশালী ইসলামি লেখক।[৬] তার লেখা তানভিরুল কুর’আন বইটি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ধর্মতত্ত্ব অনুষদে, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত কলেজসমূহইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত আলিয়া মাদ্রাসাসমূহের স্নাতক শ্রেণীর ইসলামের ইতিহাস বিভাগে পড়ানো হয়।[৭]

তার লিখিত উল্লেখযোগ্য বইসমূহ:[৮]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস" (পিডিএফ)ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়। সংগ্রহের তারিখ ২৩ ডিসেম্বর ২০২১ 
  2. "ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী আজ"শ্যামল বাংলা। ২০১৩-১১-২২। ২০২২-০৭-০৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১২-২৩ 
  3. "উচ্চ শিক্ষার অভিযাত্রায় মাইলফলক কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়"The Daily Sangram। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১২-২৩ 
  4. "সম্পাদকবৃন্দ - বাংলাপিডিয়া"bn.banglapedia.org। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১২-২৩ 
  5. "ইসলাম শান্তি ও মানবতার ধর্ম : ঢাবিতে সুফিবাদ সেমিনার"banglanews24.com। ২০১২-০৫-১০। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১২-২৩ 
  6. "হুসাইন ইবনে মাসউদ আল বাগাভী (র) মাসাবিহুস সুন্নাহ ও ওয়ালি উদ্দিন মুহাম্মাদ খতিব আত তাবরিযী (র) এর মিশকাতুল মাসাবীহ: একটি পর্যালোচনা" (পিডিএফ)ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগার। ২৩ ডিসেম্বর ২০২১ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ 
  7. "জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিলেবাস" (পিডিএফ)জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। সংগ্রহের তারিখ ২৩ ডিসেম্বর ২০২১ 
  8. "Professor Dr. A. N. M. Rois Uddin Books - প্রফেসর ড. আ. ন. ম. রইছ উদ্দীন এর বই | Rokomari.com"www.rokomari.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১২-২৩