আস্কর আলী পণ্ডিতের দুর্লভ পুথি জ্ঞান চৌতিসা ও পঞ্চসতী প্যারজান

আস্কর আলী পণ্ডিতের দুর্লভ পুথি জ্ঞান চৌতিসা ও পঞ্চসতী প্যারজান শামসুল আরেফীন কর্তৃক সংগৃহীত ও সম্পাদিত একটি গ্রন্থ। বাংলাদেশের অন্যতম কবি আস্কর আলী পণ্ডিতের দু’টো দুর্লভ পুথি ‘জ্ঞান চৌতিসা’ ও ‘পঞ্চসতী প্যারজান’। এ পুথি দুইটির সমন্বয় গ্রন্থটি চট্টগ্রামের বলাকা প্রকাশন থেকে ২০১০ সালের একুশে বইমেলায় প্রকাশিত হয়।[১]

আস্কর আলী পণ্ডিতের দুর্লভ পুথি জ্ঞান চৌতিসা ও পঞ্চসতী প্যারজান
পুস্তক প্রচ্ছদ
পুস্তক প্রচ্ছদ
লেখকশামসুল আরেফীন
মূল শিরোনামআস্কর আলী পণ্ডিতের দুর্লভ পুথি জ্ঞান চৌতিসা ও পঞ্চসতী প্যারজান
দেশবাংলাদেশ
ভাষাবাংলা
প্রকাশকবলাকা
প্রকাশনার তারিখ
ফেব্রুয়ারি ২০১০
পৃষ্ঠাসংখ্যা280
আইএসবিএন৯৮৪-৭০০৭০-০০৭৪-৬ {{ISBNT}} এ প্যারামিটার ত্রুটি: অবৈধ উপসর্গ

সারসংক্ষেপ সম্পাদনা

উনিশ শতকের কবি আস্কর আলী পণ্ডিত তাঁর জীবদ্দশায় অনেক গান ও একাধিক পুথি রচনা করেন। তার উল্লেখযোগ্য পুথি ‘জ্ঞান চৌতিসা’, ‘পঞ্চসতী প্যারজান’ ও ‘হাদিস-বাণী’ প্রভৃতি। ‘জ্ঞানচৌতিসা’ অর্থ জ্ঞানের স্তোত্র বা পয়ার। পুথিটি প্রেমকাহিনী বটে; কিন্তু তাতে প্রণয়কাহিনী বা প্রেমকাহিনীর আশ্রয়ে আস্কর আলী পণ্ডিতের মরমি দর্শনের চর্চা লক্ষণীয়। তাঁর ‘পঞ্চসতী প্যারজান’ও প্রণয়কাহিনী। তাতে এই প্রণয়কাহিনীর আশ্রয়ে মরমি দর্শনের চর্চা করা না-হলেও শাস্ত্রীয় রীতি-নীতি ও সমাজ-বাস্তবতার সামান্য ছোঁয়া তুলে ধরা হয়েছে। [২] ‘পঞ্চসতী প্যারজান’ পুঁথির কয়েকটি চরণ:

‘কবি কুল দরিদ্র আরতি মহাজন।

পরভাগ্যে করয় কবিতা সুবচন॥
রাজকন্যা পেয়ারজান পাঁচক্ষরে সন্ধি।
এক সূত্রে পঞ্চসতী কেনে হৈল বন্ধি॥
দৈব গতি আমা প্রতি কৃপার বিধানে।
জিজ্ঞাসিলা পঞ্চসতী কেবা কোন স্থানে॥
মহাজন আদেশ হীনের শিরে ধরি।

পঞ্চসতী বলে জারে সেই পঞ্চ নারী॥’[৩]

পুথিগুলো বাংলা সাহিত্যের মধ্যযুগীয় কাব্যধারার। খ্রিস্টীয় অষ্টাদশ শতকেই মধ্যযুগের অবসান হয়েছে বলে ধরা হয়। কিন্তু উনিশ শতকে বাংলা সাহিত্যে আধুনিক যুগের সূচনা হওয়ার পরেও, এমনকি বিশ শতকেও মধ্যযুগীয় কাব্যধারায় সাহিত্যচর্চা চলেছে।[৪] আস্কর আলী পণ্ডিতের পুথিগুলো রচনা তারই প্রমাণ। মধ্যযুগে সৈয়দ সুলতান প্রমুখ কবি ‘জ্ঞান চৌতিসা’ নামে কাব্য রচনা করেন। আস্কর আলী পণ্ডিতও তারই ধারাবাহিকতায় উনিশ-বিশ শতকে তাঁর পুথিগুলো রচনা করেন।[৫] শামসুল আরেফীন এই কবি ও তাঁর পুথি ‘জ্ঞান চৌতিসা’ ও ‘পঞ্চসতী প্যারজান’ উদ্‌ঘাটন করেছেন এবং চট্টগ্রামের বলাকা প্রকাশন থেকে ২০১০ সালের একুশে বইমেলায় ‘আস্কর আলী পণ্ডিতের দুর্লভ পুথি জ্ঞান চৌতিসা ও পঞ্চসতী প্যারজান’ নামে প্রকাশ করেছেন। বইটির পৃষ্ঠাসংখ্যা ২৮০।[৬][৭][৮]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. যতীন সরকার। "জ্ঞান চৌতিসা ও পঞ্চসতী প্যারজান-এক মরমি দর্শন চর্চা"banglanews24.com। জুয়েল মাজহার। Archived from the original on ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ১৮ মার্চ ২০২০ 
  2. প্রভাংশু ত্রিপুরা। "লোকসঙ্গীত সংগ্রাহক শামসুল আরেফীন"। বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম। Archived from the original on ২৭ জুন ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ১ নভেম্বর ২০২০ 
  3. নুরুল আলম। "লোক কবিদের পেছনে ২২ বছর"। মোঃ হারুন-অর-রশিদ। দেশ রূপান্তর। Archived from the original on ২৭ জুন ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ১ নভেম্বর ২০২০ 
  4. যতীন সরকার। "আস্কর আলী পণ্ডিত ও জ্ঞান চৌতিসা ও পঞ্চসতী প্যারজান"। শ্যামল দত্ত। www.bhorerkagoj.com। Archived from the original on ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ১৮ মার্চ ২০২০ 
  5. "বিলুপ্ত-বিস্মৃত লোককবির খোঁজে শামসুল আরেফীন"। ইমদাদুল হক মিলন। কালের কণ্ঠ। Archived from the original on ২৬ এপ্রিল ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ১৮ মার্চ ২০২০ 
  6. "লোকগবেষণায় শামসুল আরেফীনের অবদান অমর-অক্ষয় হয়ে থাকবে"banglanews24.com। সংগ্রহের তারিখ ১৮ মার্চ ২০২০ 
  7. "তারুণ্য : শামসুল আরেফীন বিস্মৃত লোককবির গবেষক"। এ. কে. আজাদ। সমকাল। Archived from the original on ১৩ মে ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ১ নভেম্বর ২০২০ 
  8. আবু ইউসুফ। "লোকগবেষণায় শামসুল আরেফীনের অবদান অমর-অক্ষয় হয়ে থাকবে"। বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম। Archived from the original on ৯ নভেম্বর ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ১ নভেম্বর ২০২০