আশুতোষ ভট্টাচার্য
আশুতোষ ভট্টাচার্য (জন্ম জানুয়ারি ১৭ ১৯০৯ – মৃত্যু মার্চ ১৯ ১৯৮৪) একজন বিশিষ্ট বাংলা সাহিত্য ও লোকসংস্কৃতি গবেষক ও অধ্যাপক। জন্ম অবিভক্ত বাংলার ময়মনসিংহ জেলার ঢালুয়াতে। পিতা মুরারিমোহন ভট্টাচার্য। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রথমে বাংলা সাহিত্যে (১৯৩২) ও পরে সংস্কৃতে এমএ পাশ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেন ১৯৩৫ থেকে ১৯৪৭ পর্যন্ত। এরপর সাত বছর আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ায় সহায়ক গবেষকের কাজ করেন। ১৯৫৫ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দিয়ে ১৯৫৯ সালে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৬৭ সালে উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্র অধ্যাপক এবং ১৯৭০ সালে বাংলা বিভাগের প্রধান হন। অবসর গ্রহণ করেন ১৯৭৮ সালে।
আশুতোষ ভট্টাচার্য | |
---|---|
জন্ম | ১৭ জানুয়ারি ১৯০৯ ঢালুয়া, ময়মনসিংহ, অবিভক্ত ভারতবর্ষ |
মৃত্যু | ১৯ মার্চ ১৯৮৪ |
পেশা | বাংলা সাহিত্য ও লোকসংস্কৃতি গবেষক, অধ্যাপক |
জাতীয়তা | ভারতীয় |
নাগরিকত্ব | ভারতীয় |
ধরন | গবেষণা |
উল্লেখযোগ্য রচনাবলি | ‘বাংলা মঙ্গলকাব্যের ইতিহাস’, ‘বাংলার লোকসাহিত্য’, ‘বাইশ কবির মনসামঙ্গল’, ‘পুরুলিয়া থেকে আমেরিকা’ |
উল্লেখযোগ্য পুরস্কার | ১৯৫০ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সরোজিনী বসু স্বর্ণপদক |
আশুতোষ ভট্টাচার্যের গবেষণার প্রধান বিষয় ছিল লোকসংস্কৃতি। এই বিষয়ে তিনি অনেক নিবন্ধও রচনা করেন। পুরুলিয়ার ছৌ নাচ তিনিই বিশ্বের সমক্ষে প্রথম তুলে ধরেন। তার রচিত গ্রন্থগুলির মধ্যে ‘বাংলা মঙ্গলকাব্যের ইতিহাস’, ‘বাংলার লোকসাহিত্য’, ‘বাইশ কবির মনসামঙ্গল’, ‘পুরুলিয়া থেকে আমেরিকা’ প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।
গবেষণার স্বীকৃতি রূপে ১৯৫০ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সরোজিনী বসু স্বর্ণপদক, ১৯৬১ সালে শিশির স্মৃতি পুরস্কার পান এবং ১৯৬৯ সালে সঙ্গীত নাটক অকাদেমির ফেলো নির্বাচিত হন। এছাড়া লোকসংস্কৃতি পরিষদ, নিখিলবঙ্গ সাহিত্য-সম্মেলন ইত্যাদি বহু সম্মেলনে প্রতিনিধিত্ব করেন। আমেরিকা ও ইউরোপের একাধিক স্থানে লোকসংস্কৃতি বিষয়ে বক্তৃতাও দেন।[১]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ সুবোধচন্দ্র সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু (২০০২)। বাঙালি চরিতাভিধান, প্রথম খণ্ড,। কলকাতা: সাহিত্য সংসদ।
* বাঙালি চরিতাভিধান, প্রথম খণ্ড, সুবোধচন্দ্র সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু সম্পাদিত, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, ২০০২