আল-মুসান্না ইবনে হারিসা

আল-মুসান্না ইবনে হারিসা (আরবি: المثنى بن حارثة الشيباني) খেলাফতে রাশেদার সময়ে মুসলিম সেনাবাহিনীর একজন আরব জেনারেল ছিলেন। তিনি জিসর যুদ্ধে আহত হন।

পেশা সম্পাদনা

আল মুসান্না আল-হিরাতে মুসলিম আরবদের সেনাপতি ছিলেন, যেখান থেকে তারা সাসানিয়ান মেসোপটেমিয়ার সমভূমিতে অভিযান চালাচ্ছিলেন। তিনি আবু বকরকে সাসানীয়দের বিরুদ্ধে নিজ বাহিনী আরও শক্তিশালীকরণের জন্য সাহায্যের আবেদন করেছিলেন। যখন হযরত খালিদ বিন ওয়ালিদ রা. রোমান বাহিনীর সাথে যুদ্ধের জন্য ইয়ারমুকে গমন করলেন তখন তিনি আবু বকর রা. এর নির্দেশে মুসান্না বিন হারিসার হাতে ইরাকের দায়িত্ব দিয়ে যান। পরবর্তীতে হযরত উমর খলিফা হওয়ার সাথে সাথে তিনি আবু উবায়দ আল-সাকাফির অধীনে মুসান্না রা. এর সাহায্যে একটি বাহিনী প্রেরণ করেছিলেন। সেতুর যুদ্ধ নামে পরিচিত ইউফ্রেটিস নদীর উপকূলে সংঘটিত যুদ্ধে আবু উবাইদ সাকাফি শহীদ হন এবং আরব মুসলমানরা সাময়িক পরাজিত হয়। কিন্তু আল মুসান্না আহত হলেও ৩,০০০ সৈন্য নিয়ে বেঁচে যান এবং কৌশলগতভাবে পিছু হটেন। তিনি বাহিনী নিয়ে মদিনায় চলে যান। [১][২][৩][৪] ৬৪৩৪ সালে আল-মুসান্না তার সেনাবাহিনীকে বুয়েব যুদ্ধে পার্সিয়ানদের পরাজিত করতে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।

তিনি আল-কাদিসিয়াহ যুদ্ধের সেনাপতিদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন। [৫] ৬৩৬ সালে, মুসলিম আরব বাহিনী ইরাকের পারস্য অঞ্চল দখল এবং খালিদ ইবনে আল-ওয়ালিদের চলে যাওয়ার পরে, আল-মুসান্নাকে ইরাকের মুসলিম আরব অধিকৃত অঞ্চলগুলির দায়িত্বে নিযুক্ত করা হয়েছিল। [৬] আল মুসান্না এই অঞ্চলগুলিতে নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখার জন্য তার নিজ গোত্র সহ বনু বকর এবং বনু তাগলিব এবং বনু তামিম সহ অন্যান্য শক্তিশালী আরব উপজাতির উপর নির্ভর করেছিলেন।

উত্তরাধিকার সম্পাদনা

তার বিজয়ের কারণে তিনি আধুনিক ইরাকে একজন বিখ্যাত ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্ব হয়ে ওঠেন। তাঁর নাম একটি প্যান-আরব জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক আন্দোলনে আল মুসান্না ক্লাব নামে শিরোনাম হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছিল। [৭] দেশটির দক্ষিণের একটি প্রদেশও তাঁর নামে মুসান্না প্রদেশ করা হয়েছিল এবং ১৯৮১ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত ব্যবহৃত পূর্ব ইরাকি জাতীয় সংগীতে তাঁর নাম উল্লেখ ছিল।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Abdul Malik Mujahid। Golden Stories of Umar Ibn Al-Khattab (R.A)। Darussalam Publishers। পৃষ্ঠা 195–। 
  2. Peter Crawford (১৬ জুলাই ২০১৩)। The War of the Three Gods: Romans, Persians and the Rise of Islam। Pen and Sword। পৃষ্ঠা 133–। আইএসবিএন 978-1-4738-2865-0 
  3. Mahmood Ibrahim (১ নভেম্বর ২০১১)। Merchant Capital and Islam। University of Texas Press। পৃষ্ঠা 115–। আইএসবিএন 978-0-292-74118-8 
  4. Ahmad Bin Yahya Bin Jabir Al Biladuri (১ মার্চ ২০১১)। The Origins of the Islamic State। Cosimo, Inc.। পৃষ্ঠা 404–। আইএসবিএন 978-1-61640-534-2 
  5. Ghareeb & Dougherty (2004), pp. 1, 167.
  6. Ghareeb & Dougherty (2004), p. 1.
  7. Ghareeb & Dougherty (2004), p. 167.

উৎস সম্পাদনা

  • Edmund Ghareeb, Beth Dougherty. Historical Dictionary of Iraq. Lanham, Maryland, USA; Oxford, England, UK: Scarecrow Press, 2004