আল-মাকতুম কলেজ অফ হায়ার এডুকেশন
আল-মাকতুম কলেজ অফ হায়ার এডুকেশন হল ডান্ডিতে অবস্থিত একটি কলেজ, যা দুবাইয়ের উপ-শাসক এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের অর্থমন্ত্রী হামদান বিন রশিদ আল-মাকতুম দ্বারা অর্থায়ন করেন। পূর্বে এটি আল-মাকতুম ইনস্টিটিউট ফর এরাবিক অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ নামে পরিচিত ছিল। কলেজটি ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল,[১] এবং স্থানীয় মুসলিম জনগোষ্ঠীর জন্য এর ক্যাম্পাসে ১.৩ মিলিয়ন পাউন্ড ব্যয়ে একটি মসজিদও নির্মাণ করা হয়েছে। [২] ইনস্টিটিউটের নিজস্ব প্রকাশনা প্রেসও আছে। [৩]
প্রাক্তন নাম | আল-মাকতুম ইনস্টিটিউট অফ ইসলামিক স্টাডিজ |
|---|---|
| স্থাপিত | ২০০১ |
| চেয়ারম্যান | মির্জা আল-সায়েগ |
| আচার্য | মারে এল্ডার, ব্যারন এল্ডার |
| অবস্থান | |
| ওয়েবসাইট | https://www.almcollege.ac.uk/ |
কোর্স
সম্পাদনাকলেজটিতে ইসলাম, অর্থনীতি এবং আরবি বিষয়ে স্নাতকোত্তর প্রোগ্রাম পরিচালনা করা হয়। [৪] কলেজটি ডিগ্রি প্রোগ্রামও পরিচালনা করত কিন্তু অ্যাবারডিনসহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সাথে চুক্তি পরে প্রত্যাহার করা হয়েছে। কলেজের অ্যাবারডিন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে অংশীদারিত্ব চুক্তি ২০১২ সালের সেপ্টেম্বরে প্রত্যাহার করা হয়েছিল। এবং এর আগে কলেজের উচ্চ শিক্ষা প্রোগ্রামে ভর্তি হওয়া সকল শিক্ষার্থকে অ্যাবারডিন বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল। [৫]
কিউএএ তদারকি প্রতিবেদন
সম্পাদনাকলেজটিকে উচ্চশিক্ষার জন্য মান নিশ্চিতকরণ সংস্থা বেশ কয়েকবার পর্যালোচনা করেছে, এবং ২০১৮ এর তথ্য অনুযায়ী এটি যুক্তরাজ্যের মানদণ্ড পূরণ করতে সমর্থ হয়েছে। [৬]
প্রতিবেদন অনুসারে, ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে কলেজটিতে ১৮ জন নিবন্ধিত শিক্ষার্থী, ৬ জন একাডেমিক কর্মী, ৫ জন ভিজিটিং ফেলো এবং ৬ জন প্রশাসনিক কর্মী ছিলেন। [৭]
ম্যালোরি নাই বিতর্ক
সম্পাদনাম্যালোরি নাই ২০১১ সালের জুন পর্যন্ত কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন। এরপর তাকে ও তার স্ত্রী ইসাবেল ক্যাম্পবেল, যিনি ইংরেজি ভাষা কেন্দ্রের প্রধান ছিলেন, উভয়কেই তাদের পদ থেকে বরখাস্ত করা হয়।
এই দম্পতি অভিযোগ করেছেন যে কলেজের পরিচালনা পর্ষদের পরিচালক এবং সভাপতি তাদের জোর করে বের করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কারণ অন্যান্য কিছু বিষয়ের পাশাপাশি তারা শ্বেতাঙ্গ, ব্রিটিশ খ্রিস্টান ছিলেন বলে। [৮][৯] তবে, গ্লাসগোর একটি কর্মসংস্থান ট্রাইব্যুনাল তাদের সমস্ত দাবি খারিজ করা দেয়। [৯]
এই দম্পতি কলেজের চ্যান্সেলর লর্ড ব্যারন এল্ডারের বিরুদ্ধেও অভিযোগ দায়ের করেছেন, যিনি এই প্রক্রিয়াটি পরিচালনা করেছিলেন। এরপর লর্ড এল্ডারের বিরুদ্ধে হাউস অফ লর্ডস কন্ডাক্ট কমিটি তদন্ত করে এবং দেখা যায় যে তিনি হাউস অফ লর্ডসের আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন কারণ তিনি কলেজে তার ব্যক্তিগত ব্যবসার জন্য লর্ড ইন্টারেস্টের ভুল নিবন্ধন করেছেন এবং হাউস অফ লর্ডসের স্টেশনারির অপব্যবহার করেছেন, হাউস অফ লর্ডসের খাম ব্যবহার করে প্রাক্তন কলেজ অধ্যক্ষকে তার বরখাস্তের চিঠি পাঠিয়েছেন। [১০] তদন্তের পর, তিনি আচরণবিধির তার ছোটখাটো লঙ্ঘনের জন্য ক্ষমা চেয়েছিলেন। [১১]
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "About The College"। Al-Maktoum College of Higher Education। সংগ্রহের তারিখ ১১ মে ২০২১।
- ↑ "New £1.3m mosque opens on Dundee city campus"। BBC। ২ সেপ্টেম্বর ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জানুয়ারি ২০১৮।
- ↑ "About Us"। Al-Maktoum Academic Press। সংগ্রহের তারিখ ১১ মে ২০২১।
- ↑ "Available Programmes - Al-Maktoum College"। Al-Maktoum College (ইংরেজি ভাষায়)। ১৮ জানুয়ারি ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০১-১৭।
- ↑ "Al-Maktoum College of Higher Education Review for Educational Oversight" (পিডিএফ)। dera.ioe.ac.uk। Quality Assurance Agency for Higher Education। মে ২০১২।
- ↑ "Al-Maktoum College of Higher Education"। The Quality Assurance Agency for Higher Education। সংগ্রহের তারিখ ৩০ আগস্ট ২০১৮।
- ↑ "Higher Education Review (Alternative Providers) of Al-Maktoum College of Higher Education" (পিডিএফ)। The Quality Assurance Agency for Higher Education। জানুয়ারি ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ৩০ আগস্ট ২০১৮।
- ↑ McKlevie, Geraldine (জুন ১, ২০১২)। "I was fired for being a white Christian, claims professor"। The Scotsman (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০১-১৩।
- ↑ ক খ "Academics lose dismissal claims"। HeraldScotland.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৩-২৭।
- ↑ Kernaghan, Paul। "Annex 2: Report from the commissioner for standards"। publications.parliament.uk। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০১-১৪।
- ↑ "Lord Elder sorry for code breach"। HeraldScotland (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০১-১৩।