আল-ইসলাহ জামে মসজিদ

আল-ইসলাহ জামে মসজিদ (ইংরেজি: Al-Islah Mosque) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান প্রদেশের হ্যামট্রামিক শহরে অবস্থিত একটি মসজিদ।যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সর্বপ্রথম রাষ্ট্রীয় অনুমোদনে এই মসজিদে মাইকের মাধ্যমে আজান হয় এটি আল-ইসলাহ ইসলামিক সেন্টার বা আল-ইসলাহ জামে মসজিদ নামেও পরিচিত। মসজিদটি ২০০০ সালে আল্লামা আব্দুল লতিফ চৌধুরী ফুলতলী রঃ এবং যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশীদের দ্বারা নির্মিত হয়।

ইতিহাস সম্পাদনা

এই মসজিদের প্রতিষ্ঠাতা আল্লামা আব্দুল লতিফ চৌধুরীর এবং তাহার অণুসারী মার্কিন বাংলাদেশীরা। মিশিগানের ইসলামিক সেন্টার অব আমেরিকা যে মসজিদের নাম আল-ইসলাহ মসজিদ। এই মসজিদ যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সর্বপ্রথম রাষ্ট্রীয় অনুমোদনে মাইকের মাধ্যমে আজান হয়। ইহা ২০০০ সালে জোসেফ কাম্পুওর দোকানের সামনে এবং পরে ২০০১ সালে একটি মেডিক্যাল ক্লিনিকে স্থানান্তরিত করা হয়। ২০০৪ সালে মসজিদ পাশের জমি ক্রয় করে, যাতে একটি মাদ্রাসা স্থাপন করতে পারে।[১]

২০০৪ সালে এই মসজিদ জাতীয় নজর কাড়ে, যখন এটি আযান প্রচারের জন্য আবেদন করে। এটি এই এলাকার অ-মুসলিমদের হতাশ করে, যাদের অধিকাংশ বহুদিনের পুরাতন পোলিশ ক্যাথোলিক জনগোষ্ঠী। প্রবক্তারা যুক্তি দেখান যে, এই এলাকার চার্চে আগে থেকেই জোরালো শব্দের বেল বাজান হয়, যদিও বিরোধীরা বলেন যে, এই চার্চ বেল অ-ধর্মীয়দের উদ্দেশ্যে বাজানো হয়। তারপরও কেউ মসজিদের আযান প্রচার থেকে বিরত রাখতে পারেনি, সিটি কাউন্সিল ২০০৪ সালের মে মাসে আযান প্রচারের অণুমতি প্রদান করেন। ঐ বছেরর পরবর্তী সময়ে, সিটি কাউন্সিল শহরের সব ধর্মীয় ধ্বনি শব্দসীমা নিরধারন করে শব্দদূষণ প্রবিধান সংশোধন করে। এই পর থেকে, ডেট্রয়েট শহরের অন্যন্য মসজিদে কোন ঘটনা ছাড়াই শব্দ করে আযান প্রচার চলছে।[২]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Al-Islah Islamic Center ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৮ ডিসেম্বর ২০১৫ তারিখে" (). University of Michigan. Retrieved on December 4, 2015.
  2. John Leland (মে ৫, ২০০৪)। "Call to Prayer in Michigan Causes Tension"New York Times। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৩-৩১ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা