আল্ফ হল
আলফ্রেড ইউয়ার্ট হল (ইংরেজি: Alf Hall; জন্ম: ২৩ জানুয়ারি, ১৮৯৬ - মৃত্যু: ১ জানুয়ারি, ১৯৬৪) ল্যাঙ্কাশায়ারের বোল্টনে জন্মগ্রহণকারী বিশিষ্ট দক্ষিণ আফ্রিকান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন। দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ল্যাঙ্কাশায়ার ও ট্রান্সভালের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ১৯২৩ থেকে ১৯৩১ সময়কালে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে সাত টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন আল্ফ হল। দলে তিনি মূলতঃ বামহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম বোলিংয়ে পারদর্শীতা দেখিয়েছেন। পাশাপাশি বামহাতে ব্যাটিংয়ে নিচেরসারিতে অংশগ্রহণ করেছেন।
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | আলফ্রেড ইউয়ার্ট হল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | বোল্টন, ল্যাঙ্কাশায়ার, ইংল্যান্ড | ২৩ জানুয়ারি ১৮৯৬|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মৃত্যু | ১ জানুয়ারি ১৯৬৪ দ্য হিল, জোহেন্সবার্গ, ট্রান্সভাল, দক্ষিণ আফ্রিকা | (বয়স ৬৭)|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | বামহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | বামহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক | ১ জানুয়ারি ১৯২৩ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ১৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৩১ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১০ মার্চ ২০১৭ |
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট
সম্পাদনাপ্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে তার অংশগ্রহণ বেশ সীমিত ছিল। দক্ষিণ আফ্রিকা ও নিজ কাউন্টি ল্যাঙ্কাশায়ারের মধ্যে ব্যবসায়িক সম্পর্কে আবদ্ধ থাকাই তার এ সীমাবদ্ধতার কারণ। তাস্বত্ত্বেও ১৯২৩ থেকে ১৯২৪ সময়কালে পেশাদারী পর্যায়ে ল্যাঙ্কাশায়ারের পক্ষে নয়টি খেলায় অংশ নিতে পেরেছিলেন। তবে, দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে তার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি করেছিল।[১]
দক্ষিণ আফ্রিকায় তৎকালীন সময়ে ম্যাটিং পিচ ব্যবহারে তার বোলিংয়ে বেশ উন্নতি সাধিত হয়। দুইটি বিশ্ববিদ্যালয় দলের বিপক্ষে ষোল উইকেট পেলেও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তেমন সুবিধা করতে পারেননি। তাস্বত্ত্বেও ল্যাঙ্কাশায়ার লীগে ইস্ট ল্যাঙ্কাশায়ার ও টডমোর্ডেনের বিপক্ষে বোলিংয়ে নামেন যা কার্যত অকার্যকর ছিল।
বামহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম বোলার হিসেবে আল্ফ হল ম্যাটিং পীচে স্পিন করতে সক্ষমতা দেখান। ১৯২৬-২৭ মৌসুমের কারি কাপে ছয় খেলায় বায়ান্নো উইকেট দখল করে রেকর্ড গড়েন। তন্মধ্যে নাটালের বিপক্ষে ১৪/১১৫ ও বর্ডারের বিপক্ষে ১১/৯৮ লাভ করেন। বুস্টার নুপেনের সাথে আক্রমণাত্মক জুটি গড়ে ট্রান্সভালকে ঐ বছরের কারি কাপের শিরোপা জয়ে প্রভূতঃ ভূমিকা রাখেন। ১৯২৫-২৬ মৌসুমের ছয় খেলার পাঁচটিতেই তার দল জয় পেয়েছিল। ১৯২০-২১ মৌসুমে ট্রান্সভালের পক্ষে প্রথম খেলেন। ১৯২১-২২ মৌসুমের কারি কাপে ৩৬ উইকেট নিয়ে যৌথভাবে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী হন।[২]
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
সম্পাদনাপরের বছর আঘাতের কারণে প্রথম টেস্ট খেলতে পারেননি। কিন্তু ১৯২২-২৩ মৌসুমে ইংল্যান্ড সফরের বাদ-বাকী চার টেস্টে আশাতীত সাফল্য লাভ করতে সক্ষম হন। কিন্ত সিরিজের কোন খেলায় তার দল জয় পায়নি। সিরিজের দ্বিতীয় ও নিজস্ব প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ৭/৬৩ নিয়ে অভিষেকে পাঁচ উইকেট লাভের কীর্তিগাঁথা রচনা করেন।[৩] মার্চ, ২০১৭ সাল পর্যন্ত সিডনি বার্ক ও আল্ফ হল অভিষেকে ১০ বা ততোধিক উইকেট লাভের কৃতিত্ব দেখান। খেলায় তার ১১২ রান খরচায় ১১ উইকেট প্রাপ্তি অভিষেকে যে-কোন দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটারের সেরা বোলিং নৈপুণ্য।[৪][৫] মাঠে কাঁধ সমান উঁচু ক্যাচ ধরার খেসারত হিসেবে ইংল্যান্ড মাত্র এক উইকেটে জয় পেয়েছিল।
১৯২৪-২৫ মৌসুমে এস.বি. জুয়েলের নেতৃত্বাধীন দলের বিপক্ষে খেলেন। টেক্সটাইল শিল্পে কাজ করতেন। ফলে ব্যবসায়িক দায়িত্ববোধের অংশ হিসেবে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট থেকে পুনরায় নিজেকে গুটিয়ে নেন। ১৯২৭-২৮ মৌসুমে ইংল্যান্ডের পরবর্তী দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে মুখোমুখি হন। কিন্তু, দুই টেস্টের একটিতে ৯/১৬৭ পেলেও অনেক রান দিয়ে ফেলেন।[৬] ১৯৩০-৩১ মৌসুমে দক্ষিণ আফ্রিকার টার্ফ পিচে খেললেও তেমন সফলতা পাননি।
মূল্যায়ন
সম্পাদনাবোলিংয়ে দক্ষতা পেলেও আল্ফ হল প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটের ইতিহাসে অন্যতম র্যাবিটে পরিণত হন। টেস্ট খেলোয়াড়দের মধ্যে কেবলমাত্র ভাগবত চন্দ্রশেখর রানের তুলনায় উইকেট গড়ে শীর্ষে অবস্থান করেন। প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে হোপার রিড ব্যাটিং গড়ে তার নিম্নে অবস্থান করছেন। হল তার সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে ৫৭টি প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অংশ নিলেও মাত্র তিনবার দুই অঙ্কের কোটা স্পর্শ করতে পেরেছিলেন।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ Pardon, Sydney H. (editor); John Wisden’s Cricketers’ Almanack; Sixty-Second Edition (1925); Part II p. 153
- ↑ http://www.cricketarchive.co.uk/Archive/Events/RSA/Currie_Cup_1921-22/Bowling_by_Wickets.html Bowling in 1921/1922 Currie Cup
- ↑ "2nd Test: South Africa v England at Cape Town, Jan 1-4, 1923"। espncricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-১২-১৩।
- ↑ "Bowling records: Test matches (South Africa)"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪।
- ↑ "Statistics / Statsguru / Test matches / Bowling records / South Africa / Debut / wickets taken (descending)"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জানুয়ারি ২০১৫।
- ↑ South Africa v England at Old Wanderers in 1928
আরও দেখুন
সম্পাদনাবহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে আল্ফ হল (ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে আল্ফ হল (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)