আলেক্‌সঁদ্র ইয়েরসাঁ

ফরাসি-সুইজারল্যান্ডীয় চিকিৎসক, ব্যাকটেরিয়া বিজ্ঞানী ও অভিযাত্রী, যিনি বিউবনিক প্লেগ রোগের জ
(আলেকজেন্ডার ইরসিন থেকে পুনর্নির্দেশিত)

আলেক্‌সঁদ্র এমিল জঁ ইয়েরসাঁ (ফরাসি: Alexandre Yersin) (২২শে সেপ্টেম্বর, ১৮৬৩ - ১লা মার্চ, ১৯৪৩) একজন ফরাসি-সুইজারল্যান্ডীয় চিকিৎসক ও ব্যাকটেরিয়া বিজ্ঞানী। তিনি বিউবনিক প্লেগ রোগের জন্য দায়ী ব্যাকটেরিয়ার আবিস্কারক হিসেবেই প্রধানত পরিচিত, যা পরবর্তীতে তার সম্মানার্থে তার নামানুসারে (ইয়েরসিনিয়া পেস্টিস) নামে পরিচিত হয়।

আলেক্‌সঁদ্র ইয়েরসাঁ
আলেক্‌সঁদ্র ইয়েরসাঁ
জন্ম(১৮৬৩-০৯-২২)২২ সেপ্টেম্বর ১৮৬৩
মৃত্যু১ মার্চ ১৯৪৩(1943-03-01) (বয়স ৭৯)
জাতীয়তাফরাসি-সুইজারল্যান্ডীয়
পরিচিতির কারণইয়েরসিনিয়া পেস্টিস
বৈজ্ঞানিক কর্মজীবন
কর্মক্ষেত্রব্যাকটেরিয়া বিজ্ঞানী
প্রতিষ্ঠানসমূহএকল নরমাল সুপেরিয়র
যাদের দ্বারা প্রভাবিত হয়েছেনকিতাসাতো শিবাসাবুরো

জন্ম ও শিক্ষা সম্পাদনা

ইয়েরসাঁ ১৮৬৩ সালের ২২ সেপ্টেম্বর ওবন, ভো ক্যান্টন, সুইজারল্যান্ড জন্মগ্রহণ করেন; তবে তার পরিবার ফ্রান্স থেকে আগত। তিনি ১৮৮৩ ও ১৮৮৪ সালে সুইজারল্যান্ডের লোজান শহরে চিকিৎসাশাস্ত্রে অধ্যয়ন করেন; এরপর জার্মানির মারবুর্গ এবং পরবর্তীতে ১৮৮৬ সাল পর্যন্ত প্যারিসে শিক্ষা গ্রহণ করেন।

মৃত্যু সম্পাদনা

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে ১৯৪৩ সালে তিনি নেহ ত্রাং শহরে নিজ বাসভবনে মৃত্যুবরণ করেন।

সম্মাননা সম্পাদনা

আলেক্‌সঁদ্র ইয়েরসাঁ ভিয়েতনামে একজন পরিচিত ও সম্মানিত ব্যক্তিত্ব এবং সেখানে তাকে ভালোবেসে অং নাম (মি. নাম/পঞ্চম) নামে ডাকা হয়। ভিয়েতনামের স্বাধীনতা লাভের পর সেখানকার রাস্তা তার নামে নামাঙ্কিত করা হয় ও তার সমাধিতে একটি প্যাগোডা তৈরী করা হয়। ভিয়েতনামের নেহ ত্রাং-এ অবস্থিত তার বাড়িটি বর্তমানে ইয়েরসাঁ জাদুঘর হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ডাক্তার ইয়েরসাঁকে সাইগন শহর থেকে ৩০০ কি.মি. উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত ডা লাট শহরের স্থান নির্বাচনের জন্য কৃতিত্ব দেয়া হয়। এখানে তার নামানুসারে ১৯২০ সালে একটি বিদ্যালয় ও ২০০০ সালে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

তিনি ১৯৩৪ সালে পাস্তুর ইনস্টিটিউটের সম্মানিত সভাপতি হিসেবে এবং একজন প্রশাসনিক সভার সভ্য নির্বাচিত হন।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা