আলিনগর স্কুল ও কলেজ

আলিনগর স্কুল ও কলেজ চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তাপুর উপজেলায় অবস্থিত অন্যতম একটি মহাবিদ্যালয়। এটি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, রাজশাহী এর অধীনে পরিচালিত।[১]

আলিনগর স্কুল ও কলেজ
স্থাপিত১৯১৪ (1914)
অধিভুক্তিমাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, রাজশাহী, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়
ঠিকানা, ,
৬৩২০
,
শিক্ষাঙ্গনমফস্বল
ওয়েবসাইটasac.edu.bd

ইতিহাস সম্পাদনা

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তাপুর উপজেলাধীন আলিনগরে ১৯৬৪ সালে গড়ে ওঠে মাইনর স্কুল। ১৯৬৪ সালের পরে স্থানীয় জনগনের একান্ত একাগ্রতা ও প্রচেষ্টায় মাইনর স্কুল রূপান্তরিত হল জুনিয়র স্কুলে। জুনিয়র স্কুল প্রতিষ্ঠার অল্প সময়ের মধ্যেই আলিনগর জুনিয়র স্কুল আলিনগর দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে পরিণত হয়। এক সময় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে আলিনগরে একটি কলেজ প্রতিষ্ঠা করা হবে। কলেজ প্রতিষ্ঠার প্রত্যয়ে ৪ সেপ্টেম্বর, ১৯৮৫ তারিখে আলীনগর এর বিশিষ্ট ব্যক্তিগণ মিলিত হন আলিনগর দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে।

কলেজ প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে সর্বপ্রথম যিনি এগিয়ে আসেন সন্তোষপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এর তৎকালীন প্রধান শিক্ষক জনাব মমতাজ উদ্দিন আহমেদ। এছাড়াও অত্র এলাকার মোঃ এহিয়া মিয়া, রেজাউল করিম, ডাঃ মোঃ আশরাফুল হক (চুনু), মোঃ তাহের আলি, মোঃ আমিরুল ইসলাম , মরহুম আলহাজ্ব গিয়াস উদ্দিন, উজাল উদ্দিন মিয়াসহ তৎকালীন স্কুল পরিচালনার সকল সদস্য ও শিক্ষকমন্ডলী কলেজ প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করে গেছেন। কলেজ পাঠদানের অণুমতি পায় ৩ জুলাই, ১৯৮৬ তারিখে। ১৯৮৫-৮৬ শিক্ষা বর্ষ থেকে প্রথম পাঠদান শুরু হয় কলেজ লেভেলে এবং ১৯৮৭ সালে ১ম এইচ.এস.সি পরীক্ষায় ২২ জন অংশগ্রহণ করে।

১৯৯৯ সাল পর্যন্ত শুধু মাত্র মানবিক বিভাগে মাত্র চারটি বিষয় থাকলেও ২০০০ সালে বিজ্ঞান বিভাগ, ব্যবসায় শিক্ষা শাখাসহ কম্পিউটার শিক্ষা ও পরিসংখ্যান বিষয় খোলা হয়।[২]

অবকাঠামো সম্পাদনা

উপজেলা সদর হতে পাকা সড়ক পথে এর দুরত্ব প্রায় ৬ কি.মি.। অবস্থান উপজেলা সদর হতে পশ্চিমে। এল প্যাটার্ন এর দ্বিতল ভবন বিশিষ্ট প্রতিষ্ঠানটি মোট কক্ষ সংখ্যা ২০টি। তার মধ্যে একটি অধ্যক্ষ কক্ষ, একটি শিক্ষক মিলনায়তন, একটি লাইব্রেরী, একটি বিজ্ঞানাগার, ১টি ছাত্রী কমনরুম ও ১টি কম্পিউটার ল্যাব। স্কুলের সামনে একটি বিশাল খেলার মাঠ। মাঠের পূর্ব প্রান্তে প্রতিষ্ঠান সংলগ্ন একটি শহীদ মিনার।

পঠিত বিষয় এবং কোর্স সম্পাদনা

এখানে তিন বিভাগেরই বিষয় পড়ানো হয়। বিজ্ঞান,বাণিজ্য ও কলা। তবে মাধ্যমিক লেবেলে বাণিজ্য বিষয় পড়ানো শুরু হয়েছে ২০১৪ সাল থেকে। উচ্চ মাধ্যামিকে সব বিভাগেরই বিষয় পড়ানো হয়।

মুক্তিযুদ্ধে অবদান সম্পাদনা

১৯৭১সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় আলিনগর স্কুল ও কলেজটি মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মুখ ক্যাম্প ছিল। এখান থেকে মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধ পরিচালনা করেছেন এবং এই প্রতিষ্ঠানের অনেক ছাত্র মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি অংশগ্রহণ করেছেন।

আরো দেখুন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Institute Basic Info"Education Management Information System। Directorate of Secondary And Higher Education। ৩১ মার্চ ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ জানুয়ারি ২০১৯ 
  2. কলেজ ম্যাগাজিন ২০১৩