আলাপ:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ/সংগ্রহশালা ১

সংগ্রহশালা ১ সংগ্রহশালা ২

দৃষ্টি আকর্ষন

বাংলা উইকিপিডিয়াতে সম্প্রতি বেশ কিছু সাফল্য অর্জন করেছে:- ৩০০০ নিবন্ধ হয়েছে, রাগিব ভাই ব্যুরোক্রেট হয়েছেন, বেলায়ত ভাই প্রশাসক হয়েছেন। আশা করছি অচিরেই ডাঃ সপ্তর্ষি প্রশাসক হবেন। কিন্তু আমার কাছে কিছুটা অস্বস্তি লাগে যখন দেখি বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। এই ব্যাপারে প্রশাসকদের দৃষ্টি আকর্ষন করছি।রাজিবুল ০৯:৫৭, ১৫ জুলাই ২০০৬ (ইউটিসি)

Work needed

এই নিবন্ধটা খুব গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু গত ১ বছরে এর পরিবর্ধন হয়নি। আপাতত ইংরেজি নিবন্ধটআ থেকে অনুবাদ করে কাজ শুরু করা যেতে পারে। --রাগিব (আলাপ | অবদান) ২২:১৭, ১২ জুলাই ২০০৭ (ইউটিসি)

একটি তথ্য সম্পর্কে সন্দেহ

এ নিবন্ধে বলা হয়েছে ৭১এ জগন্নাথ হল পুরোপুরি ধ্বংস করে দেয়া হয় । এখানে পুরোপুরি ধ্বংস করে দেয়ার কথাটা সত্য কিনা সেটা ভেবে দেখা দরকার । পুরোপুরি ধ্বংস তখনই বলা যেতে পারে যখন কোন স্থাপত্যের প্রতিটি অংশ গুড়িয়ে দেয়া হয় । স্মৃতি থেকে যদ্দুর মনে পড়ে সেটা হলো অক্টোবর ট্রাজেডীর টিভি ভবনটা স্বাধীনতার অনেক আগের তৈরী এবং সেটা আশির দশকে ধ্বসে পড়ে । কেউ একটু নিশ্চিত হয়ে নিন ।

আপনি ঠিক বলছেন Moheiminul Islam (আলাপ) ০২:৫০, ২৪ এপ্রিল ২০২০ (ইউটিসি)

সেক্টর সমূহের তালিকা

সেক্টর সমূহের নাম ও তালিকা কি এই নিবন্ধে থাকাটা জরুরি? ইংরেজি উইকিতে এই নিবন্ধটিতে তালিকাটি বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ নিবন্ধে ব্যবহার করা হয়নি। নিবন্ধটি বেশ বড়সড়, তাই এত বড় একটি তালিকা নিবন্ধকে ভারাক্রান্ত করা খুব ভালো দেখায় না। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সেক্টরসমূহের তালিকা এই নিবন্ধে তালিকাটি রয়েছে, আরও দেখুন দিয়ে তা "যুদ্ধক্ষেত্র" প্যারাগ্রাফে থাকতে পারে। -- ফয়সল (আলাপ | অবদান) ১৮:৪৬, ৩০ অক্টোবর ২০০৯ (ইউটিসি)

অনুচ্ছেদ খালি করে তালিকা মুছে ফেলে রাখার চেয়ে, তালিকাটি থাকা ভাল। যদি প্যারাগাফ যোগ করা সম্ভব হয় তখনই না হয় তালিকাটি সরিয়ে ফেলা যাবে।--বেলায়েত (আলাপ | অবদান) ০৫:২১, ৩১ অক্টোবর ২০০৯ (ইউটিসি)

"স্বাধীনতাযুদ্ধ" হবে বলে মনে হচ্ছে

নিবন্ধটি মনে হচ্ছে বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধ শিরোনামে রিডিরেক্ট হওয়া দরকার। কেননা, "স্বাধীনতাযুদ্ধ", আমার কাছে মনে হচ্ছে সমাসবদ্ধ শব্ধ। যদি কথা হতো "বাংলাদেশের স্বাধীনতার যুদ্ধ", তাহলে স্পেসটা ঠিক ছিলো। কিন্তু এখন যখন উচ্চারিত হয়, তখন 'স্বাধীনতা' এবং 'যুদ্ধ' শব্দ দুটো একসাথে উচ্চারিত হয়। তাছাড়া, স্বাধীনতা এবং যুদ্ধের মাঝখানে স্পেস থাকলে উচ্চারণের সময় "বাংলাদেশের স্বাধীনতা, [এবং] যুদ্ধ"-এরকম একটা উচ্চারণগত সুযোগ থেকে যায়। তাই আমার মনে হয় শব্দটা "স্বাধীনতাযুদ্ধ" হবে। 'স্বাধীনতাযুদ্ধ' একটি সমাসবদ্ধ term বলে অনুমিত হচ্ছে। এব্যাপারে দৈনিক প্রথম আলো কী লিখছে, একটু দেখে নেয়া যেতে পারে। কারণ বাংলার ব্যাপারে বেশ কিছু নান্দনিক পরিবর্তন আমি প্রথম আলোতে দেখেছি। ...ব্যাপারটা ঠিক "মুক্তিযুদ্ধ" বলার মতো। 'মুক্তি' এবং 'যুদ্ধ' আলাদা আলাদা অর্থ প্রকাশ করলেও একত্রে "মুক্তিযুদ্ধ" শব্দটি সমাসবদ্ধভাবে বাংলাদেশের স্বাধীকার আন্দোলন তথা মুক্তির জন্য করা যুদ্ধকে বোঝায়। আশা করি পরিষ্কার করতে পেরেছি। —মঈনুল ইসলাম (আলাপ * অবদান) ১৭:৪১, ২৬ ডিসেম্বর ২০১০ (ইউটিসি)

  • একথা ঠিক যে "স্বাধীনতাযুদ্ধ" একটি সমাসবদ্ধ পদ; কিন্তু সরকারীভাবে মুক্তিযুদ্ধকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ হিসাবে উল্লেখ করা হয়। উল্লেখ্য যে সকল ক্ষেত্রে সন্নিহিত পদগুলো সমাসবদ্ধ করা হয় না। -Faizul Latif Chowdhury (আলাপ) ২০:৪৬, ২৯ ডিসেম্বর ২০১২ (ইউটিসি)
ধন্যবাদ। অনেক দেরিতে হলেও একটা গ্রহণযোগ্য উত্তর পেলাম। —মঈনুল ইসলাম (আলাপ * অবদান) ১৫:৫৬, ৩০ ডিসেম্বর ২০১২ (ইউটিসি)

ছবি দেখাচ্ছে না কেন?

এই ভুক্তির গণহত্যা অংশে রায়ের বাজারের বধ্যভূমির ছবিটি দেখা যাচ্ছে না। চেষ্টা করেও ঠিক করতে পারলাম না। কেউ কি একটু দেখবেন?

'অপারেশন জ্যাকপট' নামীয় অনুচ্ছেদ অবলোপন

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ নামীয় নিবন্ধটির সুখপাঠ্যতা এবং বিষয়বস্তুর সৌষাম্যের প্রয়োজনে 'অপারেশন জ্যাকপট' নামীয় অতি দীর্ঘ অনুচ্ছেদটি অবলোপন করা হলো। অপসারিত আংশ নিচে সংরক্ষণ করা হলো। তবে সান্ত্বনা এই যে অপারেশন জ্যাকপট ইতোমধ্যে পৃথক নিবন্ধ প্রণয়ন করা হয়েছে।

অপারেশন জ্যাকপট

যোদ্ধাদের প্রশিক্ষণের শেষদিকে এসে আক্রমণের পরিকল্পনা সাজানো হতে থাকে। একই সাথে একই সময়ে দুই সমুদ্র বন্দর ও দুই নদী বন্দরে আক্রমণ চালানোর জন্য চার সেক্টরের পরিকল্পনার সমন্বয় ঘটানো হয়। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রথম ব্যাচকে চার স্থানে আক্রমণের উদ্দেশ্যে মোট চারটি দলে ভাগ করা হয়েছিল। ৬০ জনের ২টি দল এবং ২০ জনের আরো ২টি দল। চারটি দলের চারজন লিডার ঠিক করে দেয়া হয়েছিল। টিম লিডারদের অপারেশন পরিচালনার জন্য শিখিয়ে দেয়া হয়েছিল বিশেষ গোপনীয় পদ্ধতি যা টিমের অন্যান্য সদস্যদের কাছে গোপন রাখা হয়েছিল।[১] টিম কমান্ডারদের বলা হয়েছিল যে, দুটি বাংলা গানকে সতর্ক সঙ্কেত হিসেবে ব্যবহার করা হবে। গান দুটি প্রচার করা হবে কলকাতা আকাশবানীর পক্ষ থেকে পূর্বাঞ্চলীয় শ্রোতাদের জন্য বিশেষ অনুষ্ঠানে সকাল ৬টা থেকে ৬:৩০ মিনিট অথবা রাত ১০:৩০ মিনিট থেকে রাত ১১টায়। এই ফ্রিকোয়েন্সির নাম ও গান দুইটি শুধু টিমের কমান্ডারই জানতো[১০]। গানদুটি অথবা তাদের সঙ্কেত হলোঃ- ১ '। আমার পুতুল আজকে প্রথম যাবে শশুর বাড়ি, আল্পনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গাওয়া শিশু সংগীত। এটি হবে প্রথম সঙ্কেত, এর অর্থ হবে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ২য় গান প্রচার হবে। এর মধ্যে আক্রমণের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে হবে। '২.'আমি তোমায় যত শুনিয়েছিলাম গান, বদলে চাইনি প্রতিদান পংকজ মল্লিকের গাওয়া রবীন্দ্র সংগীত। এটি ২য় এবং চূড়ান্ত সঙ্কেত, অর্থাৎ সুস্পষ্ট নির্দেশ যে ঐ রাতে যে ভাবেই হোক আক্রমণ করতেই হবে।[২] [৩]

দলগুলোর গ্রুপ লিডারদের নাম ও তাদের গন্তব্যগুলো হলঃ-

গ্রুপ ১- কমান্ডার চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরঃ সাবমেরিনার আবদুল ওয়াহেদ চৌধুরী। সদস্য সংখ্যাঃ ৬০ । গন্তব্যঃ চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর'

গ্রুপ ২- কমান্ডার মংলা সমুদ্র বন্দরঃ নৌ- কমানডো আমিনুর রহমান,খসরু I সদস্য সংখ্যাঃ ২৬০ ।(৬০জন নৌ কমানডো ও ২০০ জন সি আন্ড সি কমান্ডো) গন্তব্যঃ মংলা সমুদ্র বন্দর ।

গ্রুপ ৩- কমান্ডার চাঁদপুর নদী বন্দরঃ সাবমেরিনার বদিউল আলম। সদস্য সংখ্যাঃ ২০ । গন্তব্যঃ চাঁদপুর নদী বন্দর I

গ্রুপ ৪- কমান্ডার নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরঃ সাবমেরিনার আবদুর রহমান। সদস্য সংখ্যাঃ ২০। গন্তব্যঃ নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দর[৪]

যাত্রা শুরু হয়েছিল পলাশির হরিনা ক্যাম্প থেকে। পরিকল্পনা অনুযায়ী সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছিল, তারা একযোগে পৌছে যাবেন স্ব স্ব এলাকা চট্টগ্রাম,মংলা, চাঁদপুর ও নারায়ণগঞ্জ।তারা যাত্রা করার সময় তাদেরকে প্রয়োজনীয় অস্ত্র দিয়ে দেয়া হয়। প্রত্যেক নৌ-কমান্ডোকে একটি করে লিমপেট মাইন,ছুরি,একজোড়া সাঁতারের ফিন আর কিছু শুকনো খাবার দেয়া হয়। প্রতি তিন জনের জন্য একটি করে স্টেনগান এবং কমানডারদের দেয়া হয় একটি করে ট্রানজিস্টার। অপারেশনের দিন ধার্য করা হয়েছিল ১৫ আগস্ট '১৯৭১ I

এখানে অপারশনগুলোর বর্ননা দেয়া হলঃ

চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর' অপারেশন

চট্টগ্রাম বন্দরে অপারেশন পরিচালিত হয় ১৫ আগস্ট মধ্যরাতে অর্থাৎ ১৬ আগস্ট প্রথম প্রহরে।

হরিনা ক্যাম্প থেকে আগত ৬০ জনের দলকে ২০ জন করে তিন ভাগে বিভক্ত করা হয়। ১ ও ২ নং দল তাদের পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক ভিন্ন ভিন্ন পথ ধরে চট্টগ্রামের নির্দিষ্ট বেইজ ক্যাম্পের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে এবং ১৪ আগস্ট তারা প্রথম গানের সংকেত পায়। এই সংকেত পাবার পর তারা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে কর্ণফুলী নদীর পূর্বতীরে চরলক্ষ্যায় তাদের বেইজ ক্যাম্পে পৌছায়। ৩য় দলটির তখনো কোন খবর পাওয়া যায় নি। এরপর ১৫ আগস্ট তারা ট্রানজিস্টারে চূড়ান্ত সংকেত পায়, এবং অপারেশনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করে। এ অপারেশনে ৩১ জন কমান্ডো যোদ্ধা অংশ নেয়। ১৬ আগস্ট প্রথম প্রহরে রাত ১টায় নৌ-কমান্ডোরা তাদের অপারেশনের জন্য যাত্রা করে। রাত ১টা ১৫ তে তারা পানিতে নেমে জাহাজের উদ্দেশ্যে সাঁতরানো শুরু করে, এবং বেশ দ্রুততার সাথে নিজ নিজ বাছাইকৃত টার্গেট জাহাজসমূহের গায়ে মাইন লাগিয়ে সাঁতার কেটে সরে পরে। রাত ১টা ৪০ মিনিটে প্রথম বিস্ফোরণ ঘটে। তারপর একে একে সব গুলো মাইন বিস্ফোরিত হয়। এ সফল অপারেশনে তিনটি বড় অস্ত্রবাহী জাহাজ এবং বড় জাহাজ গুলো হলোঃ এম ভি হরমুজ। এটি ১৪ আগস্ট চট্টগ্রাম বন্দরে আসে। ৯৯১০ টন অস্ত্রসম্ভারবাহী এই জাহাজটি ১৩ নং জেটিতে নোঙর করা ছিল। এম ভি আল-আব্বাস। এটি ১০৪১৮ টন সামরিক সরঞ্জাম নিয়ে ৯ আগস্ট ১২ নং জেটিতে অবস্থান নেয়। ওরিয়েন্ট বার্জ নং ৬ । এটি ৬২৭৬ টন অস্ত্র,গোলাবারুদ নিয়ে ফিস হারবার জেটির সামনে অবস্থান করছিল

মংলা সমুদ্র বন্দর অপারেশন

২৭শে জুলাই ১৯৭১ সনে,৬০ জন নৌ- কমান্ডো ও ২০০ জন বাংদেশী সি আন্ড সি বিশেষ কমান্ডো দল আমিনুর রহমান,খসরুর নেতৃত্বে ভারতের পোরট কানিং মাতলার থেকে মংলা অপারেশনের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে Iসুন্দর বনের গভীর জংগল পাড়ি দিয়ে কমান্ডো দলটি ১৩ ই আগস্ট ১৯৭১ সনে সন্ধা ৬ টায় মংলা বন্দর এ পৌঁছায় I ২৬০ জনের কমান্ডো দলটি মংলা বন্দর ও ডাংমারি বিলের পিছনে, পরিতাক্তো জমিদার বাড়িতে অবস্তান নেয়I সেখান থেকে মংলার দুরত্ব ডাংমারি বিলের মাঝ দিয়ে ৬ মাইল,নৌকায় পৌঁছোতে সময় লাগে ১ঘনটা I ১৫ই আগস্ট,৭১ এ রেডিও মারফত একশন গান শোনার পর কমান্ডোরা গায়বি যানযায় অংশ নেয় এবং গায়বি যানাযা শেষে পরম করুনাময় আল্লাহ`র কাছে স্বাধীনতা যুদ্ধের শহিদের ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সকল অপারেশন সাফল্যের জন্য বিশেষ দোয়া করা হয়I ঠিক রাত ১২টায় কমান্ডোরা ১৫টি নৌকায় মংলা বন্দরের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে Iমংলায় পৌঁছোনোর শেষ সময় নিরধারিত ছিল রাত ২ টা কিন্তু পথ পরিদরশকের ভুল পরিচালনায় কমানডোরা নিরধারিত সময়ের অনেক পরে মংলা বন্দরে পৌঁছায়I ইতি মধ্য অপারেশনের নকশা মাফিক বাংলাদেশের সব নদি ও সমুদ্র বন্দর এ অপারেশন শেষI এ অপারেশন শুধু মাত্র জীবনের ঝুকিই নয় বরং মংলার ১৬ আগসট,৭১ ভোরের এ অপারেশন ছিল সরাসরি একটি সুইসাইড একশান I সব বাধা বিপত্তি অতিক্রম করে ভোর ৪.৩০ মিনিটে মংলা অপারেশন শুরু হয়,অপারেশন চলা কালে ২০০ জন সি আন্ড সি বিশেষ কমান্ডো দল, হেভি মেশিন গান,মেশিন গান,এনরগা সহকারে ৩ জনার ছোট ছোট দল করে, ৬৬টি উপদলে বিভক্ত হয়ে, নৌ- কমান্ডোদের ছাওনি দিতে (কভারিং দিতে) মংলা বাঁধের পিছনে অবস্তান নেনI অপারেশন চলা কালে, সি আন্ড সি কমান্ডো দলের উপ -কমান্ডার জনাব রাজা ও জনাব খিজির জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নৌ- কমান্ডোদের সহোযোগিতায় মেশিন গান নিয়ে পশুর নদীর হাটু পানিতে নেমে আসেন I সময় এর অভাবে শুধুমাত্র ২৪ জন নৌ- কমানডো এ অভিযানে অংশ নিতে পেরেছিলেন I ৬টি উপদলে বিভক্ত হয়ে ২৪জন নৌ-কমান্ডো ৬ টি বিদেশী জাহাজে মাইন লাগন,ভোর ৬-৩০ মিনিট থেকে নৌ- কমান্ডোদের লাগানো মাইন বিকট শব্দ করে ফাটতে শুরু করেI ৩০ মিনিটের মধ্যেই পাকিস্তান বিমান বাহিনির ৪টি বিমান মংলা বন্দরের উপরে ঘুরতে দেখা যায়I Iআক্রান্ত জাহজ গুলির মধ্য একটি সোমালিয়ান,একটি মারকিন যুক্তরাষট্রের,২টি চায়নিজ,১টি জাপানি ও ১টি পাকিস্তানি জাহাজ I এ অপারেশনে আক্রান্ত মোট ৬টি বিদেশী জাহাজ ই ধ্বংস হয় এবং ৩০,০০০ হাজার টন গোলা-বারুদ ও যুদ্ধের সরঞ্জাম সহকারে ধীরে ধীরে পশুর নদীতে নিমজ্জিত হয় [৫]I মংলা অপারেশন কমান্ডার আমিনুর রহমান,খসরু ও আরও ২ জন নৌ- কমান্ডো এ অপারেশনে মংলা বন্দর এর অতিরিক্ত বাধা পার হয়ে অসীম সাহসিকতার সাথে সোমালিয়ান ৭,০০০ হাজার টনের অস্ত্রসম্ভারবাহী জাহাজ এস,এস,লাইটং এ মাইন লাগান এবং এস,এস,লাইটংI কে ধ্বংস করেন I[৬]

চাঁদপুর নদী বন্দর অপারেশন

এটিও ১৯৭১ এর ১৫ আগস্ট মধ্যরাত বা ১৬ আগস্ট প্রথম প্রহরে হয়েছিল। এ অপারেশনে ১৮জন নৌ-কমান্ডো অংশ নেন। এ গ্রুপের ১৮ জনকে তিনজন করে মোট ৬টি ছোট দলে ভাগ করা হয়। এই অভিযানে মাইন বিস্ফোরণে ২টি স্টিমার, গমবাহী একটি জাহাজ সহ ছোট বড় আরো অনেকগুলো নৌযান ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়I

নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দর অপারেশন

এটিও ১৯৭১ এর ১৫ আগস্ট মধ্যরাত বা ১৬ আগস্ট প্রথম প্রহরে হয়েছিলIএ অপারেশনে মোট ৪টি জাহাজ ও বেশ কয়েকটি নৌযান নৌ কমানডোরা ধংস করেনI শহরের মাঝে এ অপারেশনে কমানডোরা বিশেষ সাহসকতার পরিচয় দান করেনIএ অপারেশনে মোট ২০জন কমানডো অংশ নেনI ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ১৫ আগস্টের ঐ অপারেশন গুলোতেই প্রায় ২৬টি জাহাজ ধ্বংসপ্রাপ্ত হয় এবং আরো অনেক নৌযান ক্ষতিগ্রস্থ হয়I[৭] আগস্ট মাসের এসব অপারেশন ছাড়াও আগস্ট-নভেম্বর মাসব্যাপী আরো অনেকগুলো নৌ-কমান্ডো অপারেশন পরিচালনা করা হয়। এসব অপারেশনে পাকিস্তানি বাহিনীর আনুমানিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ হলঃ প্রায় সর্বমোট ৫০৮০০ টন জাহাজ ধ্বংসপ্রাপ্ত ও নিমজ্জিত। ৬৬০৪০ টন জাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত। এবং বেশ কিছু সংখ্যক পাকিস্তানি নৌযান বাংলাদেশী নৌ-কমান্ডোদের হস্তগত।[৮]

অপারেশনের মূল্যায়ন

নৌ কমান্ড মিশনগুলোর সবগুলোই কিন্তু সাফল্যের মুখ দেখেনি । অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহের পর পাহারা শক্তিশালী করায় চট্টগ্রামে আর কোন অভিযান চালানো সম্ভব হয়নি[১৭], যার ফলে চারবার হার্ডিঞ্জ ব্রিজ ধ্বংস করার চেষ্টা করা হলেও তা বিফলে যায় । [৯] কয়েকটি কমান্ডো দল শত্রুপক্ষের এম্বুশের কবলে পড়ে তাদের নির্ধারিত লক্ষ্য অর্জন করতে পারেনি।[১০] দূর্ভাগ্য ও ভুল হিসাবের কারনেও কিছু অভিযান বিফল হয় । শত্রু[১১] পক্ষ তাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করায় নারায়নগঞ্জ, বগুরা, ফরিদপুর এবং চট্টগ্রাম এর তেলের ডিপোগুলো স্যাবোটাজ করা সম্ভব হয়নি । যদিও পরবর্তীতে মুক্তিবাহিনি হেলিকপ্টার এবং টুইন অট্টার বিমানের সাহায্যে ১৯৭১ সালের ২ ডিসেম্বরে চট্টগ্রাম এবং নারায়নগঞ্জের তেল ডিপো দুটো ধ্বংস করতে সক্ষম হয় ।

মোট ৫১৫ জন কমান্ডো সিটুপি (C2P) থেকে প্রশিক্ষন নেন । আটজন কমান্ডো শহীদ হন, ৩৪ জন আহত হন এবং আগস্ট-ডিসেম্বরের মাঝে ১৫ জন কমান্ডো শত্রুর হাতে ধরা পড়েন । এই ref>Md.Khaliliur Rahman;Mukti Juddhay Nou Avijan, Pages 268-270,আইএসবিএন ৯৮৪-৪৬৫-৯৪৯-১ {{আইএসবিএন}} এ প্যারামিটার ত্রুটি: চেকসাম</ref> সময় কালের ভেতর নৌ কমান্ডোরা প্রায় ১২৬ টি জাহাজ/কোস্টার/ফেরি নষ্ট বা ডুবিয়ে দিতে সক্ষম হন, এবং এক সূত্র মোতাবেক অগাস্ট-নভেম্বর ১৯৭১ এই সময়ের মধ্যে কমপক্ষে ৬৫টি বিভিন্ন ধরনের নৌযান (১৫ টি পাকিস্তানি জাহাজ, ১১ টি কোস্টার, ৭ টি গানবোট, ১১ টি বার্জ, ২ টি ট্যাংকার এবং ১৯টি সাধারন নৌযান) [১২]তারা ডুবিয়ে দিতে সক্ষম হন । কমপক্ষে ১০০,০০০ টন নৌযান ডুবিয়ে বা বিকল করে দেয়া হয়, জেটি এবং বন্দর অকার্যকর করে দেয়া হয় এবং চ্যানেলগুলো বন্ধ করে দেয়া হয় । কোনো নিজস্ব সামরিক নৌযান না থাকা সত্তেও, নৌ কমান্ডোরা তদানিং পুর্ব পাকিস্তানের (বর্তমানে বাংলাদেশ) নৌপথকে একরকম নিজেদের দখলেই রেখেছিলো [১৩] অপারেশন 'হটপ্যান্টস

১৬ অগাস্ট এর অপারেশনের পর, সকল কমান্ডো ভারতে ফেরত যায় । এর পরে নৌকমান্ডোরা আর কোন পূর্ব-পরিকল্পিত এবং একযোগে অভিযান পরিচালনা করেননি । তার বদলে, ছোট ছোট দল পাঠানো হতো কিছু নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুর ওপর আঘাত হানতে, এবং সুযোগ পেলেই কমান্ডোরা সেখানে আক্রমন চালাতেন । মেজর জলিল, মুক্তিবাহিনীর সেক্টর ৯ এর কমান্ডার, অগাস্ট মাসে তত্কালীন বাংলাদেশ সরকার প্রধান তাজউদ্দীন আহমদ কাছ থেকে অনুমতি পেয়েছিলেন একটি নৌ ইউনিট এর গোড়াপত্তন করার এবং সেই মোতাবেক কমান্ডার এম এন সামান্থ এর কাছে ৪টি গানবোটের জন্য আবেদন করেছিলেন । ১৯৭১ সালের অক্টোবার মাসে কোলকাতা বন্দর ট্রাস্ট ২টি টহলযান (অজয় এবং অক্ষয়) মুক্তিবাহিনীকে দান করে । ৩৮ লাখ ভারতীয় রুপি খরচায় নৌযান দুটি ক্ষিদিরপুর ডকইয়ার্ডে একমাস ধরে মেরামত করা হয় [২৫] যা পরবর্তীতে ২ টি কানাডিয়ান ৪০X৬০ মিমি বোফর গান এবং ২টি হালকা ইঞ্জিন এবং ৮ টি গ্রাউন্ড মাইন (ডেকের দুই পাশে চারটি করে) এবং উপরন্ত আরো ১১টি গ্রাউন্ড মাইন দ্বারা সজ্জিত করা হয় । তাদের নতুন নাম দেয়া হয় বিএনএস পদ্মা এবং পলাশ, এবং তাতে মোট ৪৪ জন বাংগালী নাবিক এবং ১২ জন নৌকমান্ডো ছিলেন । জাহাজ দুটোর নেতৃত্বে ছিলেন ভারতীর নৌবাহিনীর সদস্যরা এবং মুক্তিবাহিনীর কাছে তা পুরোপুরি হস্তান্তর করা হয় ৩০, অক্টোবর, ১৯৭১ সালে । প্রবাসী বাংলাদেশে সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্যাপ্টেইন কামরুজ্জামানের উপস্থিতিতে কোলকাতা পোর্ট ট্রাস্ট চেয়ারম্যান মিঃ পি কে সেন জাহাজ দুটো কমিশন করেন। লেঃ কমান্ডার কেপি রায় এবং কে মিত্র ছিলেন জাহাজ দুটোর কমান্ডে নিয়োজিত । বাংলাদেশে নবগঠিত এই নৌবাহিনীর উদ্দেশ্য ছিলোI

তথ্যসূত্র:

  1. Shamsul Huda Chowdhury,Ekatorre Roangaon,Publisher Ahmed Publishing Ltd.আইএসবিএন ৯৮৪-১১০৫০৫-০ {{আইএসবিএন}} এ প্যারামিটার ত্রুটি: চেকসাম
  2. Rafiquel Islam,Lokho Praner Binimoye,Aononna Praksahoni, আইএসবিএন ৯৮৪-৪১২-০৩৩-০
  3. Khaliliur Rahman,Mukto Juddhay Nou Avijan,,iSBN 984-465-949-1
  4. Shamsul Huda Chowdhury,Ekatorre Roangaon,Publisher Ahmed Publishing Ltd.আইএসবিএন ৯৮৪-১১০৫০৫-০ {{আইএসবিএন}} এ প্যারামিটার ত্রুটি: চেকসাম
  5. Mir Mustak Ahmed Robi,Chetonai Ekattor Page 69,আইএসবিএন ৯৮৪-৭০২৬-০১১ {{আইএসবিএন}} এ প্যারামিটার ত্রুটি: চেকসাম-2
  6. Mihir,K.Roy,Vice Admiral,War In The Indian Ocean,Page 154,আইএসবিএন ১৮৯-৭৮২৯-১১-৬
  7. Md.Khaliliur Rahman;Mukti Juddhay Nou Avijan,আইএসবিএন ৯৮৪-৪৬৫-৯৪৯-১ {{আইএসবিএন}} এ প্যারামিটার ত্রুটি: চেকসাম
  8. Mohidul Hasan,Mul Dhara-71,The University Press Limited,আইএসবিএন ৯৮৪-০১-০১২১-৬ {{আইএসবিএন}} এ প্যারামিটার ত্রুটি: চেকসাম
  9. Md.Khaliliur Rahman;Mukti Juddhay Nou Avijan, Page 94,আইএসবিএন ৯৮৪-৪৬৫-৯৪৯-১ {{আইএসবিএন}} এ প্যারামিটার ত্রুটি: চেকসাম
  10. Md.Khaliliur Rahman;Mukti Juddhay Nou Avijan, Pages 196,198,217,আইএসবিএন ৯৮৪-৪৬৫-৯৪৯-১ {{আইএসবিএন}} এ প্যারামিটার ত্রুটি: চেকসাম
  11. Md.Khaliliur Rahman;Mukti Juddhay Nou Avijan, Pages 84,119,201ISBN 984-465-949-1
  12. Lt.Gen.Jacob,Surrender at Dhaka Page 91
  13. Mihir,K,Roy,Vice Admiral,War in the Indian Ocean,Page 114

মুক্তিযোদ্ধার ছবি প্রয়োজন

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ নিবন্ধে মুক্তিযোদ্ধা ও সম্মুখ সমরের ছবি প্রয়োজন। তদুপরি, কমপক্ষে তাজউদ্দিন এবং ওসমানীর ছবিও আবশ্যক। সমর সেনানায়কদের ছবিও দু-একটি থাকতে পারে। -Faizul Latif Chowdhury (আলাপ) ০৪:৩২, ৩১ জানুয়ারি ২০১৩ (ইউটিসি)

বর্জিত অংশ সংরক্ষণ

পূর্ব পাকিস্তানের দুর্দশার ইতিহাস

অর্থনৈতিক বৈষম্য

পশ্চিম পাকিস্তানের সাথে পূর্ব পাকিস্তানের অর্থনৈতিক বৈষম্য ছিল। মোট জাতীয় বাজেটের সিংহভাগ বরাদ্দ থাকত পশ্চিম পাকিস্তানের জন্য।[১] পাকিস্তানের মূল শাসক গোষ্ঠী ছিল পশ্চিম পাকিস্তানের। পশ্চিমা শাসকেরা পূর্ব পাকিস্তানের প্রতি বিমাতাসূলভ আচরণ করতে থাকে। পূর্ব পাকিস্তান চরম অর্থনৈতিক বঞ্চনার শিকার হয়। এ কারণে পূর্ব পাকিস্তানের মানুষ পাকিস্তান সম্পর্কে হতাশ হয়ে পড়ে এবং মানুষের মনে ক্ষোভ দানা বাধতে শুরু করে।

ভাষা আন্দোলন

 
১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারির গণমিছিল

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের পটভূমি অনুসন্ধান করে দেখা যায় ১৯৪৭ সালে পাকিস্তানের জন্মলগ্ন থেকেই শুরু হয় পূর্ব পাকিস্তানের প্রতি পশ্চিম পাকিস্তানের শোষণমূলক আচরণ। কেবল অর্থনৈতিক শোষণ নয়, বাঙ্গালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের ওপরও নিপীড়ন শুরু হয় এবং এর প্রথম দৃষ্টান্ত স্থাপিত হয় যখন পাকিস্তানের জনক মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ঢাকায় এসে ঘোষণা দেন "উর্দু এবং কেবলমাত্র উর্দুই হবে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা"। সাথে সাথে পূর্ব পাকিস্তানের বাঙ্গালীরা এই ঘোষণার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে ফেটে পড়ে। ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি ভাষার জন্যে এই আন্দোলন তীব্রতম রূপ ধারণ করে। এদিন পুলিশের গুলিতে প্রাণ দেন সালাম, বরকত, রফিক, জব্বার সহ আরো অনেকে। পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠীকে শেষ পর্যন্ত ১৯৫৬ সালে বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষার স্বীকৃতি দিতে হয়। আজ পৃথিবীব্যাপী ২১শে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালিত হয়।

সামরিক অসমতা

পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীতে বাঙ্গালীরা অবহেলিত ছিল। সশস্ত্র বাহিনীর বিভিন্ন অংশে সমগ্র বাহিনীর মাত্র ৫ শতাংশ ছিল বাঙ্গালী অফিসার এবং এদের মধ্যে অধিকাংশই প্রযুক্তিগত বা ব্যবস্থাপনার পদে ছিলেন। খুব অল্প সংখ্যক বাঙ্গালী অফিসার আদেশদানকারী পদ লাভের সুযোগ পেতেন। পশ্চিম পাকিস্তানিরা বিশ্বাস করত বাঙ্গালীরা পশতুন বা পাঞ্জাবীদের মত "সাহসী" নয়। পাকিস্তানের বাজেটের একটি বিশাল অংশ সামরিক খাতে বরাদ্দ থাকলেও পূর্ব পাকিস্তান এর সুফল সামান্যই পেত। ১৯৬৫ সালে কাশ্মির নিয়ে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ বাঙ্গালীদের মধ্যে নিরাপত্তাহীনতার অনুভূতি আরও বাড়িয়ে দেয়।

রাজনৈতিক অসমতা

জনসংখ্যার দিক দিয়ে পূর্ব পাকিস্তান পাকিস্তানের বৃহত্তর অংশ হওয়া সত্ত্বেও দেশের রাজনৈতিক ক্ষমতা পশ্চিম পাকিস্তান কুক্ষিগত করে রাখে। জনসংখ্যার ভিত্তিতে ক্ষমতার বণ্টন পূর্ব পাকিস্তানের অনুকূল হওয়ায় পশ্চিম পাকিস্তান "এক ইউনিট তত্ত্ব" নামে এক অভিনব ধারণার সূত্রপাত করে, যেখানে সমগ্র পশ্চিম পাকিস্তান একটি প্রদেশ হিসেবে বিবেচিত হয়। এর একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল পাকিস্তানের পূর্ব ও পশ্চিম অংশের ভোটের ভারসাম্য আনা। মজার ব্যাপার হল বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর পাঞ্জাব প্রদেশ প্রস্তাব করে পাকিস্তানে সরাসরি জনসংখ্যার বন্টনের ভিত্তিতে ভোট অনুষ্ঠিত হোক, কারণ পাঞ্জাবিরা ছিল সিন্ধি, পশতুন, বালুচ বা পাকিস্তানের অন্য যেকোন গোত্রের তুলনায় সংখ্যাগরিষ্ঠ। একেবারে শুরু থেকেই পাকিস্তানে শাসনের নামে ষড়যন্ত্র শুরু হয়, আর এই ষড়যন্ত্রে মূল ভূমিকা পালন করে সামরিক বাহিনী। যখনই পূর্ব পাকিস্তানের কোন নেতা, যেমন খাজা নাজিমুদ্দিন, মোহাম্মদ আলী বগুড়া, অথবা হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হতেন, তখনই পশ্চিম পাকিস্তানিরা কোন না কোন অজুহাতে তাদের পদচ্যুত করত। নানারকম টালবাহানা করে জেনারেল আইয়ুব খান ১৯৫৮ সালে পাকিস্তানের শাসন ক্ষমতা দখল করে নেন এবং দীর্ঘ ১১ বছর ধরে পাকিস্তানে তার স্বৈরতান্ত্রিক শাসন চালু থাকে। পশ্চিম পাকিস্তানের সামরিক শাসকদের এই অনৈতিক ক্ষমতা দখল পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের মধ্যে দূরত্ব বাড়িয়েই চলে।

১৯৭০-এর সাইক্লোনের প্রতিক্রিয়া

১৯৭০ সালের ১২ই নভেম্বর ভোলার সাইক্লোন পূর্ব পাকিস্তানের উপকূলীয় অঞ্চলে প্রবল জলোচ্ছ্বাসের সৃষ্টি করে, সেই সাথে জোয়ারের কারণে প্রায় ৩,০০,০০০ থেকে ৫,০০,০০০ মানুষ প্রাণ হারায়। প্রাণহানির সঠিক সংখ্যা জানা না গেলেও এটিকে ইতিহাসের অন্যতম ভয়াবহ হারিকেন হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কিন্তু পাকিস্তানের সামরিক সরকার এমন ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পরও জরুরি ত্রাণকার্য পরিচালনায় গড়িমসি করে। ঘূর্ণিঝড়ের পরও যারা বেঁচে ছিল তারা মারা যায় খাবার আর পানির অভাবে। ঘূর্ণিঝড়ের এক সপ্তাহ পরে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান স্বীকার করে সরকার দুর্যোগের ভয়াবহতা বুঝতে না পারার কারণেই ত্রাণকার্য সঠিকভাবে পরিচালনা করা সম্ভব হয়নি। ঘূর্ণিঝড়ে বিপর্যস্ত মানুষগুলোর প্রতি পাকিস্তান সরকারের এমন নিষ্ঠুরতা দেখে পূর্ব পাকিস্তানের সাধারণ মানুষ ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। ২৪শে নভেম্বর এক সভায় মাওলানা ভাসানী পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে অদক্ষতার অভিযোগ তোলেন এবং অবিলম্বে তার পদত্যাগ দাবি করেন। ইতিহাসে প্রথমবারের মত একটি প্রাকৃতিক ঘটনা একটি দেশে গৃহযুদ্ধের অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

তথ্যসূত্র:

  1. পাকিস্তানের পরিকল্পনা কমিশন কর্তৃক প্রকাশিত চতুর্থ মেয়াদী পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার জন্য উপদেষ্টা প্যানেলের রিপোর্ট।


‘বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ’ নামে স্থানান্তর

নিম্নোক্ত মন্তব্যের অনুরোধটি বর্তমানে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। দয়া করে এটি পরিবর্তন করবেন না। এই আলোচনায় আর কোনও সম্পাদনা করা উচিত নয়। সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর জন্য যে সংক্ষিপ্তসার অনুসরণ করে।
শিরোনাম পরিবর্তনে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়নি। বর্তমান আলোচনা একই যুক্তি-তর্কে আবর্তিত হচ্ছে যা ফলপ্রসূ হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ। ~ যুদ্ধমন্ত্রী আলাপ ১৩:২৯, ১৪ ডিসেম্বর ২০২০ (ইউটিসি)

সুধী, এই নিবন্ধটি তৈরির সময় থেকেই এটি "বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ" নামে রয়েছে। কিন্তু দাপ্তরিকভাবে (যেমন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়), ঐতিহাসিকভাবে (যেমন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর) এবং প্রচলিতভাবে এই আন্দোলন "মুক্তিযুদ্ধ" নামে পরিচিত। "বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ" কেবল ইংরেজি নিবন্ধ শিরোনাম "Liberation War of Bangladesh" এর সরাসরি (বা আনাড়ি, বলা যায়) বঙ্গানুবাদ ধরা যায়। এই ঐতিহাসিক নিবন্ধটিকে "বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ" অথবা শুধু "মুক্তিযুদ্ধ" (এই নিবন্ধে পুনর্নির্দেশিত) শিরোনামে স্থানান্তরের প্রস্তাব করছি। — আদিভাইআলাপ১০:২৭, ১ ডিসেম্বর ২০২০ (ইউটিসি)

নিরপেক্ষ শিরোনাম চিন্তা করলে এই শিরোনামটি-ই ঠিক আছে। বাংলাদেশের মন্ত্রণালয়ের নামের যুক্তি এখানে খাঁটে না, কারণ বাংলাদেশ সরকার বাংলাদেশের জাতিগত ঐতিহ্য ও আবেগকে গ্রহণ করে নামকরণ করবে এটাই স্বাভাবিক (এজন্য প্রতিষ্ঠানের নাম যেমন মন্ত্রণালয় বা জাদুঘরের নাম), কিন্তু উইকিপিডিয়ার ক্ষেত্রে এ ধরনের চিন্তার সুযোগ নেই। তাছাড়া উইকিপিডিয়ায় যুদ্ধের নাম কোনো দেশের সরকারি নামের উপর ভিত্তি করে করা হয় না। — তানভির১১:২৭, ১ ডিসেম্বর ২০২০ (ইউটিসি)
তানভির ভাইয়ের সাথে সম্পূর্ণরূপে একমত পোষণ করছি। পাশাপাশি উপরে উল্লেখিত বর্জিত অংশ একইভাবে সম্ভাব্য নিরপেক্ষকরণের মাধ্যমে নিবন্ধে যুক্ত করার অনুরোধ জানাচ্ছি।43.245.121.156 (আলাপ) ১২:০৫, ১ ডিসেম্বর ২০২০ (ইউটিসি)
@Wikitanvir: ভাই, নিবন্ধটির নামকরণের ব্যাপারে অনেক আগে থেকেই আলোচনা হয়েছে। তাতেও "মুক্তিযুদ্ধ" শব্দটিকে অনিরপেক্ষ দাবি করা হয়েছে। তবে ঠিক কোন দৃষ্টিকোণ থেকে "মুক্তিযুদ্ধ" অনিরপেক্ষ, তা স্পষ্ট নয়। উইকিপিডিয়া:নিবন্ধ শিরোনাম নীতি অনুযায়ী, একটি নিবন্ধের শিরোনামকে "পরিচয়জ্ঞাপক", "অনুসন্ধানযোগ্য", "সঠিক", "সংক্ষিপ্ত" এবং "সামঞ্জস্যপূর্ণ" হতে হবে। উভয় শিরোনাম বিষয়বস্তুর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। তবে "মুক্তিযুদ্ধ" নামটি সংক্ষিপ্ত, সঠিক এবং পরিচয়জ্ঞাপক। সঠিক এই কারণে যে, এই নামটি বাংলাদেশে দাপ্তরিকভাবে স্বীকৃত এবং সর্বাধিক ব্যবহৃত। "স্বাধীনতা যুদ্ধ" এই যুদ্ধকে নির্দেশ করতে কদাচিৎ ব্যবহৃত হয়। "বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ" নামটি সহজে অনুসন্ধানযোগ্য নয়। "মুক্তিযুদ্ধ" নামটিই উইকিপিডিয়ায় তুলনামূলক বেশি অনুসন্ধান করা হয়, এটা আমি হলফ করে বলতে পারি। উইকিপিডিয়ায় অনুসন্ধানের ব্যাপারে আমার হাতে কোনো যুক্তি-প্রমাণ নেই, তবে গুগল এক্ষেত্রে সাহায্য করতে পারে। আগেও যেমন বললাম, "মুক্তিযুদ্ধ" শব্দের অ-নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন থাকে। এক্ষেত্রে "মহান মুক্তিযুদ্ধ" টাইপ শব্দ তো ব্যবহার করার কথা হচ্ছে না। "মুক্তিযুদ্ধ" ঐতিহাসিকভাবে প্রতিষ্ঠিত, অপরিতর্নীয় এবং অপ্রতিস্থাপনীয়। আমরা "মুক্তিযোদ্ধা" বলি, স্বাধীনতা যোদ্ধা কিংবা স্বাধীনতা সংগ্রামী বলি না (যেমনটা ভারতে বলা হয়)। ইংরেজি উইকিপিডিয়াতেও নিবন্ধের শিরোনাম "Bangladesh Liberation War"; "Bangladesh War of Independence" নয়। হিন্দিতেও "বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ"। এই সংস্করণগুলোর সম্প্রদায় বাংলার চেয়ে বড়, তার ওপরে বাংলাদেশের সরকারি ভাষার উইকিপিডিয়ায় ভিন্ন একটি শব্দ ব্যবহার হচ্ছে। নিরপেক্ষতার প্রশ্ন উঠলে অনেক আগেই এগুলোতেও উঠতো। সরকার বা কোনো সংস্থা জাতীয় আবেগকে প্রাধান্য দেয়, এই শর্তে কোনো নিবন্ধের ভিন্ন নামকরণ হতে পারে না। শব্দের গঠন অনুযায়ী "মুক্তিযুদ্ধ" শব্দটি "স্বাধীনতা যুদ্ধ" শব্দের মতোই নিরপেক্ষ; কাজেই ঐতিহাসিক স্বীকৃত "মুক্তিযুদ্ধ" নামের সাথে জাতীয় আবেগগত অনিরপেক্ষতার যুক্তি নিয়ে সন্দেহের অবকাশ থাকে। ঐতিহাসিকভাবে "আলেকজান্ডার দি গ্রেট" "মেসিডোনিয়ার তৃতীয় আলেকজান্ডার"ও তো হতে পারতেন! তবে হ্যাঁ, দেশের ইতিহাসের সাথে জাতীয় আবেগ জড়িয়ে থাকে। এই শর্তে নিবন্ধের প্রচলিত নামকরণ উপেক্ষা করলে ভাষা আন্দোলন-এরও ভিন্ন নাম খুঁজতে হয়! — আদিভাইআলাপ১৪:১৭, ১ ডিসেম্বর ২০২০ (ইউটিসি)
@Meghmollar2017: উইকিপিডিয়া একটি আন্তর্জাতিক বিশ্বকোষ। ‘মুক্তিযুদ্ধ’ শব্দ হিসেবে কতোটা নিরপেক্ষ তার থেকেও আন্তর্জাতিক দৃষ্টিকোণ থেকে কোন নামটি বেশি প্রযোজ্য ও পরিচিত সেটিও বিবেচ্য। বাংলা ভাষা আন্দোলনের যে উদাহরণ আপনি দিয়েছেন তা ঠিক নেই, কারণ বিশ্ব পরিমণ্ডলেও এটি Bengali language movement নামেই পরিচিত, যার বাংলা ‘বাংলা ভাষা আন্দোলন’ আর এটিকেও কিন্তু আমরা ছোট করে শুধু ‘ভাষা আন্দোলন’ বলি যদিও নিবন্ধের নামে তা ব্যবহার করি না। সোজাকথা, নিবন্ধের লেখায় বা নিবন্ধের শিরোনামে জাতীয়করণমূলক শব্দ যতোটা কম ব্যবহার করা যায় আর কী। — তানভির১৪:২৭, ১ ডিসেম্বর ২০২০ (ইউটিসি)
@Wikitanvir: উইকিপিডিয়া বিশ্বকোষ, আর তার লক্ষ্য পাঠক। ইংরেজিতে Bengali Language movement হয় "বাংলা ভাষা আন্দোলন", তাহলে "Bangladesh Liberation War"ও "বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ" হওয়া উচিত ছিল। "মুক্তিযুদ্ধ" কোন দৃষ্টিতে অ-নিরপেক্ষ, তা বোধগম্য নয়। এটি আমি আগের মন্তব্যেও বলেছি। বিশ্ব পরিমণ্ডলেও "বাংলাদেশ লিবারেশন ওয়ার" হলো "বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ" (আগের মন্তব্যে হিন্দি উইকিপিডিয়ার উদাহরণ দ্রষ্টব্য)। এটি জাতীয়করণের বিষয়ও নয়, ঐতিহাসিক প্রয়োগকে জাতীয়করণের আওতায় আনা যায় না। — আদিভাইআলাপ১৪:৪৮, ১ ডিসেম্বর ২০২০ (ইউটিসি)
মুক্তিযুদ্ধ = war of freedom বা freedom war বা freedom fight (মুক্তির লড়াই, হিন্দিতে আজাদী কি লড়াই), স্বাধীনতা যুদ্ধ = war of independence,যা হিন্দিতে সঠিক অনুবাদ হবে স্বতন্ত্রতা যুদ্ধ। 103.230.106.51 (আলাপ) ১৫:৪৪, ১ ডিসেম্বর ২০২০ (ইউটিসি)
মুক্তিযুদ্ধ কম নিরপেক্ষ, স্বাধীনতা বেশি নিরপেক্ষ বা তদ্বিপরীত এমন কিছুই নয়। উভয় শব্দ সমান নিরপেক্ষ ও সঠিক। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ বললে আমরা যে যুদ্ধকে বুঝি, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ বললে আমরা ঠিক একই যুদ্ধকে বুঝি। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করে, আবার স্বাধীন হবার যুদ্ধই স্বাধীনতা যুদ্ধ। এটাকে যে যুদ্ধই বলুন না কেন কেউ ভুল নয় এবং উভয় নামে শত শত লেখা পাবেন। কোন উইকিতে, ভাষায় কি নামে রয়েছে তা না দেখে, বাংলা সকল/যেকোন মাধ্যমে এই যুদ্ধকে উল্লেখ করতে কি বলা হয় বেশি তার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেয়া যেতে পারে। পরিশেষে, মুক্তিযুদ্ধ বলুন আর স্বাধীনতা বলুন, উভয় সঠিক। শেখ মুজিবের ভাষায় এবারেরা সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। আফতাবুজ্জামান (আলাপ) ২২:১০, ১ ডিসেম্বর ২০২০ (ইউটিসি)
@আফতাবুজ্জামান এবং Wikitanvir: "বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ" এর চাইতে "বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ" এই যুদ্ধের সার্থক প্রতিনিধিত্ব করে। গুগলে অনুসন্ধান এ বিষয়ে একটি উপযুক্ত দলিল। অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে উভয় শব্দ প্রয়োগের যোজন ব্যবধান এ কথা স্পষ্ট করে যে "মুক্তিযুদ্ধ" শব্দ অধিক উপযুক্ত। আফতাব ভাইয়ের মন্তব্য থেকে স্পষ্ট যে, "মুক্তিযুদ্ধ" শব্দটি সমান নিরপেক্ষ। বৈশ্বিক অঙ্গনেও শব্দটি বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধকে সার্থকভাবে তুলে ধরে। উইকিপিডিয়ায় যেহেতু দ্ব্যর্থতা নিরসনের বিষয় থাকে, কাজেই নিবন্ধটিকে "বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ" শিরোনামে স্থানান্তর করা হউক। — আদিভাইআলাপ০৩:১৩, ২ ডিসেম্বর ২০২০ (ইউটিসি)
  মন্তব্য আচ্ছা, একাডেমিকভাবে বাংলাদেশী শব্দটি ভুল! তারপরও সংবিধানে আমাদেরকে বাংলাদেশী বলেই গণ্য করা হয়েছে এই মর্মে উইকিপিডিয়াতেও বাংলাদেশির পরিবর্তে বাংলাদেশী শব্দটিকেই গ্রহণ করা হয়েছে। ঠিক একইভাবে সংবিধানে নিম্নোলিখিত লাইনগুলো যুক্ত রয়েছে। মন্ত্রণালয়ের যুক্তি মানা না গেলেও সংবিধান একটা গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট (আপনাদেরই আগের হিসেবে!!)। সংবিধানে অবশ্য স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তি সংগ্রাম শব্দগুলোও রয়েছে। তবে একাডেমিক তফাৎ থাকলে ব্যক্তিগতভাবে স্বাধীনতা যুদ্ধ ও মুক্তিযুদ্ধ দুইটার মধ্যে আবেগিক কোন তফাৎ পাই না। যেই লাউ, সেই কদু মনে হয়। হীরক রাজা ❯❯❯ আলাপ ০৯:২০, ২ ডিসেম্বর ২০২০ (ইউটিসি

ভাষাগত ও সংস্কৃতিগত একক সত্তাবিশিষ্ট যে বাঙালী জাতি ঐক্যবদ্ধ ও সংকল্পবদ্ধ সংগ্রাম করিয়া জাতীয় মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব অর্জন করিয়াছেন, সেই বাঙালী জাতির ঐক্য ও সংহতি হইবে বাঙালী জাতীয়তাবাদের ভিত্তি

মুক্তিযুদ্ধ একটি সাধারণ শব্দ হিসেবে নিরপেক্ষ মনে হলেও প্রায়োগিক অর্থে এটি ততোটা নিরপেক্ষ নয় বলেই আমি মনে করি। উইকিতে আমরা সাধারণ নামকরণের ক্ষেত্রে প্রায় সকল ক্ষেত্রেই একটি সাধারণ কাঠামো ব্যবহার করি। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ নামটি যেমন সঠিক, তেমনি সেই কাঠামোকেও অনুসরণ করে। যেমন, আয়ারল্যান্ডের স্বাধীনতা যুদ্ধ ইত্যাদি। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নামটি অপ্রয়োজনীয় ও এর প্রয়োগ নেই, কারণ শুধু মুক্তিযুদ্ধ বললেই তা সাধারণ অর্থে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধকে নির্দেশ করে। অপরদিকে শুধু মুক্তিযুদ্ধ বিশ্বকোষের জন্য কোনো সুনির্দিষ্ট নাম হতে পারে না। এসকল দিক বিবেচনা করলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ নামটি-ই ঠিক আছে। গুগল অনুসন্ধানে আমি স্বাধীনতা যুদ্ধের পক্ষে ২৫ লক্ষ+ ও মুক্তিযুদ্ধের দিকে ২৩ লক্ষ+ ফলাফল পাচ্ছি। উল্লেখ্য ২০১২ সালে উপরের একটি আলোচনায় জনাব ফয়জুল লতিফ চৌধুরী উল্লেখ করেছেন যে, সরকারিভাবে মুক্তিযুদ্ধকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। — তানভির১১:৫৪, ২ ডিসেম্বর ২০২০ (ইউটিসি)
@Wikitanvir: বাংলাদেশের সংবিধান "মুক্তিযুদ্ধ" শব্দটি ব্যবহার করে। সরকারের মন্ত্রণালয়ের নাম "মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়"। এরপরেও সরকারি আর কোন নাম গৃহীত হতে পারে বলে আপনার মনে হয়? বাংলা উইকিপিডিয়ায় দ্ব্যর্থতা নিরসনে "বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ" (যেরকম ইংরেজিতে Bangladesh Liberation War) ব্যবহার করা যায়। উইকিপিডিয়ায় কাঠামোর বাইরে ভাবা যাবে না, এই যুক্তি গ্রহণযোগ্য নয়। ইংরেজি উইকিপিডিয়ায় যতদূর অনুসন্ধান করেছি শিরোনাম হিসেবে "Liberation War" শব্দযুগল শুধু বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের জন্য ব্যবহার করা হয়েছে। বাকি শিরোনামগুলো অন্যান্য নিবন্ধে পুনর্নির্দেশিত হয়েছে। গুগল অনুসন্ধানের ২৩ লক্ষ+ কেবল সলিড "মুক্তিযুদ্ধ"। কিন্তু স্বাধীনতা যুদ্ধের ২৫ লক্ষ+ এর পেছনের দিকেরগুলো হয় শুধু "স্বাধীনতা" অথবা "যুদ্ধ" এর সাথে ম্যাচ করছে; "বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ" সম্পূর্ণ বাক্যাংশের সাথে নয়। তাছাড়া "মুক্তিযুদ্ধ" শব্দটিকে অনিরপেক্ষ দাবি করা হচ্ছে, কিন্তু ঠিক কোন অর্থে অনিরপেক্ষ তার কোনো যুক্তি দেওয়া হচ্ছে না। আফতাব ভাইও তার মন্তব্যে উভয় শব্দেরই সমান অনিরপেক্ষতার কথাই বললেন। — আদিভাইআলাপ১২:৪৮, ২ ডিসেম্বর ২০২০ (ইউটিসি)
মুক্তিযুদ্ধ শব্দটির মধ্যে আবেগীয় পক্ষপাতিত্ব আছে কিন্তু স্বাধীনতা যুদ্ধের মাঝে নেই, যেমন, সাঃ কিংবা বঙ্গবন্ধুর মাঝে আছে কিন্তু মুহাম্মদ কিংবা শেখ মুজিবুর রহমানের মাঝে নেই, যেমনটি পৃথিবীতে আগমন পরলোকগমনের মাঝে আছে কিন্তু জন্ম ও মৃত্যুর মাঝে নেই। 103.230.106.1 (আলাপ) ১৩:০৫, ২ ডিসেম্বর ২০২০ (ইউটিসি)
জনাব আইপি ব্যবহারকারী, আপনার এই দাবিটি মনগড়া। আপনার উদাহরণ আর আলোচ্য বিষয়ে যোজন যোজন ব্যবধান। এতে আবেগীয় পক্ষপাতিত্ব ঠিক কোন অর্থে? প্রশ্নটি জিজ্ঞাস্য, ব্যাখ্যা করবেন; যদি না আপনি ইচ্ছা করে আলোচনা পণ্ড করতে উদাহরণগুলো দাঁড় করান। দেশের ইতিহাসের সাথে আবেগীয় সম্পর্ক থাকেই, আমি কিংবা আপনি অস্বীকার করতে পারবো না। কিন্তু তার সাথে এই নামকরণের কোনোই সম্পর্ক নাই। মুক্তিযুদ্ধের নামে আপনার আবেগ জাগে এটা নিতান্তই আপনার মহৎ দেশপ্রেম। :) — আদিভাইআলাপ১৩:১৭, ২ ডিসেম্বর ২০২০ (ইউটিসি)
পুনশ্চঃ @Wikitanvir: আয়ারল্যান্ডের স্বাধীনতা যুদ্ধ নিবন্ধের ইংরেজি নাম Irish War of Independence। বাংলায় স্বাভাবিকভাবেই Independence এর পরিভাষা হিসেবে স্বাধীনতা ব্যবহৃত হয়। আর অনুরূপে Liberation এর বাংলা পরিভাষা হয় মুক্তি। (সূত্র বাংলা একাডেমি ইংরেজি-বাংলা অভিধান) — আদিভাইআলাপ১৩:২৩, ২ ডিসেম্বর ২০২০ (ইউটিসি)
ইংরেজি উইকির এই মুহূর্তের অবস্থার হুবুহু অনুবাদ হলে মুক্তিযুদ্ধই করা উচিৎ, আর না হলে যদি চূড়ান্ত নিরপেক্ষতা রাখতে হয়, তবে ইংরেজি উইকির নিবন্ধের নাম বদলানো উচিৎ। 103.230.106.9 (আলাপ) ১৩:৩৬, ২ ডিসেম্বর ২০২০ (ইউটিসি)

একটি কথা, বাংলাদেশের সংবিধান বাংলাদেশের নাগরিকদের পরিচয় নির্ধারণ করে, কারণ বাংলাদেশদের নাগরিকদেরকে কি নামে ডাকা হবে তা ঠিক করার এখতিয়ার শুধুমাত্র বাংলাদেশের। কিন্তু যুদ্ধ একটি বহুপাক্ষিক বিষয়। বাংলাদেশের কাছে এটি স্বাধীনতা যুদ্ধ, কিন্তু অন্য অনেকের কাছে এটি অন্য নামে থাকতে পারে। বাংলাদেশের সংবিধান কি বলছে তা হুবহু মেনে নিতে হবে তা এখানে প্রযোজ্য নয়। তাই মুক্তিযুদ্ধ শব্দটি আমার মতে খাটে না, কারণ এটির গায়ে আঞ্চলিকতার গন্ধ স্পষ্ট, যদিও এই যুদ্ধটি শুধু আমাদের নিজেদের মধ্যে নয়। মুক্তিযুদ্ধ বলতে আমরা অন্য কোনো দেশের স্বাধীনতাযুদ্ধকে বুঝাই না, শুধু বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধকেই বোঝাই। বিশ্বকোষীয় দৃষ্টিকোণ থেকে সর্বোচ্চ পরিমাণ নিরপেক্ষতা এই নামকরণের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য, আর সেক্ষেত্রে অন্য নিবন্ধগুলোকেও একই নামকরণের আওতায় আনা সম্ভব। এই আলোচনায় অনেকেই যুক্তি চেয়ে আবেগকে প্রশ্রয় বেশি দিচ্ছেন, কারণ মুক্তিযুদ্ধ বলাতে বেশি মানুষের আবেগ জড়িত। এটি বলা ছোট এবং এই বিষয়টি শুধু বাংলাদেশেই প্রচলতি। এজন্য স্বাধীনতা যুদ্ধ বেশি নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য। বাংলাদেশের সরকারি প্রকাশনায় দুটো নাম-ই কমবেশি প্রচলিত। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় যেমন আছে তেমনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ: দলিলপত্র নামে অফিসিয়াল বিশদ প্রকাশনাও আছে। এখানে নামকরণে কিন্তু মুক্তিযুদ্ধ শব্দটি ব্যবহার করা হয়নি, কারণ আগেই বলেছি যুদ্ধটির অফিসিয়াল নাম বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ, আর কারণেই অফিসিয়াল ডকুমেন্ট তৈরির সময় এই নামটি প্রাধান্য পেয়েছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রচলিত নাম-ই হচ্ছে ‘মুক্তিযুদ্ধ’। — তানভির১৪:৩২, ২ ডিসেম্বর ২০২০ (ইউটিসি)

@Wikitanvir: এতে আবেগকে কোনোভাবেই টানা হচ্ছে না। প্লিজ আইপি ব্যবহারকারীর কথায় বিভ্রান্ত হবেন না। আমি এই ভয়টাই পাচ্ছিলাম। এই আইপি ব্যবহারকারী উইকিপিডিয়ায় প্রায় প্রতিটি আলোচনায় ইচ্ছাকৃতভাবে এইসব প্রসঙ্গ টেনে আনেন। ইতোমধ্যে এরকম একটি অপ্রাসঙ্গিক মন্তব্য আমি রিভার্ট করেছি। উইকিপিডিয়ার আলোচনাসভায় চলমান কিছু আলোচনা অনুসরণ করলেই আইপি ব্যবহারকারীর সম্পাদনার প্যাটার্ন আপনি স্পষ্টভাবে বুঝতে পারবেন। আলোচনায় আবেগের কোনো প্রাধান্য নয়, আমার যুক্তি আমি প্রথম থেকেই দিয়ে আসছি। উইকিপিডিয়ার নীতিমালা, প্রচলন, পরিচিত শব্দরূপ এবং আপনার উত্থাপিত নিরপেক্ষতার প্রশ্ন নিয়েই আলোচনা করছি। দয়া করে বিভ্রান্ত হবেন না। দুটো নামই নিরপেক্ষ। তবে মুক্তিযুদ্ধ অধিক পরিচিত। গুগল অনুসন্ধানের পরিসংখ্যান এবং সরকারিভাবে এর প্রয়োগ থেকে এটা স্পষ্ট যে "মুক্তিযুদ্ধ"-ই অধিক পরিচিত। কাজেই নীতিমালার অনেক শর্তানুসারে "মুক্তিযুদ্ধ" সার্থক। বাংলাপিডিয়ার কথাই যখন উঠলো, বাংলাপিডিয়ায় নিবন্ধটির নাম কিন্তু "মুক্তিযুদ্ধ"; বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ নয়। নামটি স্থানীয় প্রয়োগ, এটাও ঠিক নয় (হিন্দি উইকির উদাহরণ দ্রষ্টব্য)। তারপরেও যদি বলতে হয়, বাংলা উইকিপিডিয়ার নীতিমালাও কিন্তু স্থানীয় নামের পক্ষপাতী। — আদিভাইআলাপ১৪:৫২, ২ ডিসেম্বর ২০২০ (ইউটিসি)
অজ্ঞাতনামা আইপি ব্যবহারকারী, আপনাকে কিছু কথা আর না বলে পারছি না। উইকিপিডিয়ায় বিগত কয়েক দিন ধরে লক্ষ্য করছি সমস্ত আলোচনাতেই এসে আপনি ধান ভানতে শিবের গীত জুড়ে দেন। আপনি আসলে কে তা জানার প্রয়োজন না থাকলেও তা অনেকটাই বুঝে গেছি। উইকিতে আপনি যথেষ্ট উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করছেন। আলোচনার পরিবেশ পণ্ড করার বেশ কারিশমা আপনার আছে সেটা আমরা স্বীকার করছি, এবার অন্তত ক্ষ্যামা দেন। লক্ষ্য করলাম আপনি কেবল আজাইরা আলাপগুলোই আইপি থেকে করেন, নিয়মিত সম্পাদনা আইডি থেকেই করতেছেন। ধারণা করছি আলোচনা সভায় হুট করে শ্রাবন্তী আর জিতের গল্প শুরু করে দেওয়া, লক্ষ্য এবার লক্ষ এডিটাথনে অর্থনীতি নামে আন্দাজি পর্ব শুরু করা এবং উইকিপিডিয়া এশীয় মাসে পর্যালোচকদের তালিকায় নিজেই নিজের নাম যুক্ত করে ফেলা ব্যক্তিটি একজনই আর সেটা আপনি। যাক্‌গে যদি কিছু বলার থাকে বা করার থাকে সেটা নিজ আইডি থেকে স্পষ্টভাবে বললেই হয়। এরকমভাবে শিবের গীত গাওয়া বন্ধ করুন। আশা করি সনামে হাজির হয়ে আমার অভিযোগগুলোকে উড়িয়ে দিবেন। না উড়ালেও সমস্যা নাই, পরিবেশটা রক্ষা করুন। হীরক রাজা ❯❯❯ আলাপ ১৪:৫৫, ২ ডিসেম্বর ২০২০ (ইউটিসি)
আমি পর্যালোচক তালিকায় নিজের নামও যুক্ত করিনি এবং আমি নিজের আইডি থেকে সম্পাদনাও করি না। আমার আইডি ব্লক এবং এখন পর্যন্ত কোন নতুন একাউন্ট খুলি নি। 103.230.105.40 (আলাপ) ১৬:২৮, ২ ডিসেম্বর ২০২০ (ইউটিসি)
en:Talk:Bangladesh Liberation War#Proposal for renaming the article as Bangladesh War of Independence 103.230.105.50 (আলাপ) ১৭:১৬, ২ ডিসেম্বর ২০২০ (ইউটিসি) বাংলা উইকির সিদ্ধান্ত বাংলা উইকির সম্পাদকরা নিবে। অন্য উইকির আলোচনার ভিত্তিতে নয়। --আফতাবুজ্জামান (আলাপ) ১৭:৪৬, ২ ডিসেম্বর ২০২০ (ইউটিসি)
এটা একদমই ঠিক হলো না, জনাব আইপি ব্যবহারকারী। আলোচনাটা খুব সহজভাবেই সমাপ্ত করা যেত। আপনি আরেকটা আলোচনা শুরু করে বিষয়টাকে আরও জটিল করে দিলেন। অনেক হয়েছে! আপনার এই কর্মকাণ্ড বন্ধ করুন। — আদিভাইআলাপ১৭:৪৭, ২ ডিসেম্বর ২০২০ (ইউটিসি)

@Aishik Rehman এবং Meghmollar2017: অফ-টপিক: ভাইয়েরা, আপনাদের দুজনকেই আরও সহিষ্ণু ও শান্ত হওয়ার অনুরোধ। আইপি ব্যবহারকারীরাও আলোচনা করতে পারেন, আলোচনায় যদি তারা সম্পূর্ণ ভিন্ন ধরনের ধরনের মত প্রকাশ করেন তবে আমরা সেটা উপেক্ষা করতে পারি (অযৌক্তিক হলে আইপির ক্ষেত্রে এধরনের মন্তব্য সিদ্ধান্ত গ্রহণে প্রভাবও ফেলে না, যা আপনারা ইতোমধ্যেই অনুধাবন করেছেন বলে মনে করি। এই আইপি কিন্তু এখনও ট্রোলিংয়ের পর্যায়ে যায়নি যে আমরা তাকে আলোচনা করতে বন্ধ করতে বা অংশগ্রহণ করতে মানা করতে পারি। আলোচনা বিভিন্ন সময়ে ডালপালা মিলে জটিল হতে পারে, সেক্ষেত্রে আমরা অন-টপিকে রাখার চেষ্টা করবো। কিন্তু সেই সাথে আমাদের মাথা ঠাণ্ডা রাখা জরুরী। তবে এই আইপির কার্যক্রম দেখে মনে হচ্ছে ইনি গঠনমূলককাজে খুব একটি সহায়ক নন। তাই যতোক্ষণ না তিনি গঠনমূলক কিছু বলছেন ততোক্ষণ তা উপেক্ষা করাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে। ট্রোলিংয়ের পর্যায়ে গেলে তা ঠেকানোর মতো সামর্থ তো আমাদের রয়েছেই। — তানভির২২:০৭, ২ ডিসেম্বর ২০২০ (ইউটিসি)

@Aishik Rehman এবং Meghmollar2017: আদিভাই ও হীরক রাজা, বাংলাপিডিয়ার মুক্তিযুদ্ধ নামে নিবন্ধ থাকা প্রসঙ্গে বলবো যে, বাংলাপিডিয়া জাতীয় বিশ্বকোষ হিসেবে শুধু জাতীয় পরিমণ্ডলকে প্রাধান্য দেয়। যেমন বাংলাপিডিয়ায় বহু নিবন্ধে আপনি শুধু বাংলাদেশ কেন্দ্রিক তথ্য পাবেন, অন্য কোথাও সেই বিষয়টি কীভাবে উপস্থাপিত হয় সে সম্পর্কে কিছুই পাবেন না। তাদের সেই নীতিগত দিক থেকে শুধু মুক্তিযুদ্ধ শিরোনাম ঠিক আছে। কিন্তু আমি বাংলাপিডিয়ার যে রেফারেন্স দিয়েছি সেটি কিন্তু বাংলাপিডিয়ার সৃষ্টি নয়, বরং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক বাংলাদেশ সরকারের একটি অফিসিয়াল প্রকাশনা যেখানে মুক্তিযুদ্ধের সকল দলিল সংরক্ষণের চেষ্টায় সংকলন করা হয়েছে আর সেখানে মুক্তিযুদ্ধকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ বলে অভিহিত করা হয়েছে। আপনি হয়তো জেনে থাকবেন এ ধরনের প্রকাশনায় সাধারণত অফিসিয়াল ও পূর্ণ নাম ব্যবহৃত হয়, কারণ এটি একটি রেফারেন্স বুক। এধরনের গুরুত্বপূর্ণ প্রকাশনায় যেখানে স্পষ্ট করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ ব্যবহার করা হয়েছে সেখানে উইকিপিডিয়ার নামে কেনো অন্য কিছু ব্যবহার করতে হবে, তা আমার বোধগম্য নয়। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় বা মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে মুক্তিযুদ্ধ ব্যবহার করার পেছনে অনেক কারণ থাকতে পারে। যেমন: বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সুন্দর শোনায় না, শুধু স্বাধীনতা যুদ্ধ বললে কাদের স্বাধীনতা তা স্পষ্ট হয় না, তাই মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে বেশি চলনসই। তবে এগুলো প্রতিষ্ঠানের নাম, যুদ্ধের অফিসিয়াল রেফারেন্স নয়। অপরদিকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের দলিলপত্র একটি অফিসিয়াল রেফারেন্স বুক। আমাদের আলোচনার ক্ষেত্রে সূত্র হিসেবে দুটোর মান কিন্তু এক নয়। আশা করি আপনারা বিষয়টি বুঝবেন। WP:COMMONNAME কিন্তু প্রচলনকে স্থান দিলেও, অফিসিয়াল রেফারেন্সকে উপেক্ষা করতে বলেনি, বিশেষ করে অফিসিয়াল রেফারেন্সের নাম যেখানে সমান প্রচলিত (বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধও সমান প্রচলিত আশা করি তা মানবেন)। ধন্যবাদ। — তানভির২২:২১, ২ ডিসেম্বর ২০২০ (ইউটিসি)

@Wikitanvir: আইপি ব্যবহারকারী যথেষ্ট সমস্যা সৃষ্টি করেছেন, বিভ্রান্ত করতে চাইছেন, এমনকি অনেকটা সফলও হয়েছিলেন। আপনার আগের মন্তব্যেও "আবেগ" শব্দটি প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছিল; থ্যাংকস টু আইপি। :) যাই হোক, একটি রেফারেন্স বই আনুষ্ঠানিক হতে পারে, কিন্তু দেশের সংবিধান কিংবা সংশ্লিষ্ট বিষয়ের মন্ত্রণালয়কে উপেক্ষা করা যায় না। এছাড়া সংশ্লিষ্ট জাদুঘরকেও প্রামাণ্য দলিল ধরা যায়। বাংলাপিডিয়াকে জাতীয় পক্ষপাতদুষ্ট বলে এড়ানোও যায় না। তেমনি দেশের আইন, সংবিধান এবং সরকারের একটি মন্ত্রণালয়কেও অফিসিয়াল রেফারেন্স হিসেবে উপেক্ষা করার সুযোগ নেই। উইকিপিডিয়ায় বিদ্যমান যে নীতিমালা, তাতে একটি নিবন্ধের শিরোনামকে "পরিচয়জ্ঞাপক", "অনুসন্ধানযোগ্য", "সঠিক", "সংক্ষিপ্ত" এবং "সামঞ্জস্যপূর্ণ" হতে হয়। "বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ" নামটি এই সব কটি শর্ত উত্তীর্ণ, যেখানে "বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ" এক বা একাধিক শর্তে পিছিয়ে আছে। এখানে প্রথম থেকে যে আলোচনা হয়েছে, তাতে এটি স্পষ্ট, এমনকি পরোক্ষভাবে আপনিও স্বীকার করেছেন, "বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ" টার্মের তুলনায় "বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ" নামটি অধিক প্রাসঙ্গিক ও উপযুক্ত। :) — আদিভাইআলাপ০৩:৩০, ৩ ডিসেম্বর ২০২০ (ইউটিসি)
@Wikitanvir, Aishik Rehman, Meghmollar2017, এবং আফতাবুজ্জামান: যুদ্ধটা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নাকি স্বাধীনতা যুদ্ধ, সেটা নিয়ে বিভিন্ন সময়ে সরকারের উপরের মহলের মধ্যেই বিভ্রান্তি ছিল। শুরুর দিকে সরকার ও সংবিধান স্বীকৃত ভাবেই যুদ্ধটির নাম ছিল "মুক্তিযুদ্ধ", কিন্তু জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে এর পরিবর্তন করেন। তিনি সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনীতে প্রথম অনুচ্ছেদের জাতীয় মুক্তির জন্য ঐতিহাসিক সংগ্রাম- এর বদলে জাতীয় স্বাধীনতার জন্য ঐতিহাসিক যুদ্ধ। আবার দ্বিতীয় অনুচ্ছেদের জাতীয় মুক্তিসংগ্রাম-এর বদলে জাতীয় স্বাধীনতার যুদ্ধ বসানো হয়। তাই "বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ: দলিলপত্র নামে অফিসিয়াল বিশদ প্রকাশনা"র কারণ হচ্ছে এটি জিয়াউর রহমানের আমলের কাজ। পরবর্তীতে জিয়াউর রহমানের সংশোধনীগুলো বাতিল করা হয়। "বইটি বহুল প্রচলিত বলে হয়তো নাম পরিবর্তন করা হয়নি" (ব্যক্তিগত মতামত)। আফতাব ভাইয়ের মতামত অনুযায়ী উভয়টিই সমান নিরপেক্ষ। তাই অধিক প্রচলন এবং সাংবিধানিক স্বীকৃতি অনুযায়ী নিবন্ধের নাম বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ-এর পক্ষে সমর্থন জানাচ্ছি। ≈ MS Sakib  «আলাপ» ০৪:৫৫, ৩ ডিসেম্বর ২০২০ (ইউটিসি)
@Meghmollar2017:,আদিব সাহেবের সাথে আমি একমত। দেখুন, ইংরেজি উইকিপিডিয়ায় আমেরিকার স্বাধীনতাযুদ্ধকে "American revolutionary war" নামে লেখা রয়েছে। কিন্তু এ নামটি অনিরপেক্ষ। নিরপেক্ষ নাম হলো- American war of independence. কিন্তু খুব কম মানুষই American war of independence লিখে অনুসন্ধান করবে। "পরিচয়জ্ঞাপক", "অনুসন্ধানযোগ্য", "সঠিক", "সংক্ষিপ্ত" এবং "সামঞ্জস্যপূর্ণ" হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতেই সাধারণত যুদ্ধসংক্রান্ত বিষয়ের নামকরণ করা হয়। একই কারণে "French mass uprising" না লিখে French revolution এবং "Genocide of jews by Nazis during WWII"না লিখে Holocaust নামে প্রবন্ধটি সংরক্ষিত আছে। এটি শুধু ইংরেজি না, স্পেনীয়, ফরাসি-সহ অন্যান্য ভাষার উইকিপিডিয়ার ক্ষেত্রেও যথার্থ প্রতীয়মান হয়। বাংলা উইকিপিডিয়ার ক্ষেত্রে অনবদ্য কোনো Standard প্রয়োগের যৌক্তিকতা নেই। তাই আদিব সাহেব ও হীরক সাহেবের সাথে আমি ঐকমত্য পোষণ করছি। Ppt2003 (আলাপ) ০৫:১৪, ৩ ডিসেম্বর ২০২০ (ইউটিসি)
আপনারা সবাই একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এড়িয়ে যাচ্ছে এই যুদ্ধের নাম কখনোই ‘বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ’ ছিলো না। এটি একটি জোড়াতালি দেওয়া নাম। এজন্য এটি গ্রহণযোগ্য নয়। যে রেফারেন্সগুলো আপনারা দিচ্ছেন তা শুধু ‘মুক্তিযুদ্ধ’-কে নির্দেশ করছে এবং আসলেই তাই। তবে মুক্তিযুদ্ধ নামটি বিশ্বকোষের জন্য সুনির্দিষ্ট নয়। এখন এটি হয় ‘মুক্তিযুদ্ধ’ (যা প্রচলিত নাম এবং একই সাথে শর্ট ফর্ম ও রাজনৈতিক ও আবেগীভাবে শুনতে ভালো শোনায় ও তাৎপর্যপূর্ণও বটে) না হয় ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ’ (যার প্রেক্ষিতে আমি অকাট্ট সূত্র উপরেই দিয়েছি)। এদের মধ্যে ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ’ নামটি-ই তাই সকল শর্ত পূরণ করে। অর্থাৎ, সুনির্দিষ্ট, অফিসিয়ালি গ্রহণযোগ্য ও পোক্ত অবস্থান ও ব্যবহার রয়েছে, গণমানুষের মধ্যেও যথেষ্ট ব্যবহার আছে, বর্তমান নামকরণের চর্চা অনুসরণ করে, ইত্যাদি। গভীরভাবে ভাবলে মুক্তিযুদ্ধ = বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ। কারণ বাঙালির মুক্তির সংগ্রাম শুরু অনেক আগে, সেই পঞ্চাশের দশকে, সেই মুক্তির সংগ্রাম শেষ হয়েছে যুদ্ধ দিয়ে তাই সেটি মুক্তিযুদ্ধ। কিন্তু যুদ্ধ হয়েছে স্বাধীনতার জন্য। এটি স্বায়ত্বশাসনের মুক্তি নয়, স্বাধীনতার জন্য। তাই এটি স্বাধীনতাযুদ্ধ ও মুক্তিযুদ্ধ দুটোই। আমি অন্যান্য অভিজ্ঞ ব্যবহারকারীর মত প্রত্যাশা করি। ধন্যবাদ। — তানভির০৮:৩২, ৩ ডিসেম্বর ২০২০ (ইউটিসি)
@Wikitanvir: মুক্তি আর স্বায়ত্তশাসন এক জিনিস নয়। পঞ্চাশের দশক থেকে শুরু হওয়া আন্দোলন বঙ্গবন্ধুর ভাষণের মুক্তির সংগ্রাম (কিংবা স্বাধীনতার সংগ্রাম, যাই বলুন) হতে পারে, কিন্তু "মুক্তিযুদ্ধ" ১৯৭১ সালের যুদ্ধ ছাড়া অন্য কিছুকে নির্দেশ করে না। গণমানুষই "মুক্তিযুদ্ধ" ব্যবহার করে। সহজে উচ্চারিত শব্দই গণমানুষের দৈনন্দিন কাজে ব্যবহৃত হয়, এটা সাধারণ প্রবণতা। এটি এখানে আলোচ্য নয়। তবে গুগল অনুসন্ধানের দলিল অবশ্যই সেই প্রবণতার প্রতিফলন ঘটায়। অফিসিয়াল ব্যবহারের সংজ্ঞার্থ (কয়েক ধাপ আগের আলোচনা অনুসারে) এখন "মুক্তিযুদ্ধ" শব্দের পক্ষে যাচ্ছে। বৈশ্বিক দৃষ্টিকোণ থেকে দ্ব্যর্থতা এড়ানোর জন্যই "বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ" ব্যবহারে মত দেওয়া হচ্ছে। উল্লেখ্য আমেরিকার গৃহযুদ্ধ সেদেশে শুধুমাত্র গৃহযুদ্ধ নামে পরিচিত। বৈশ্বিক দৃষ্টিকোণ থেকেই একে "মার্কিন গৃহযুদ্ধ" বলা হচ্ছে। কাজেই "বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ" বিষয়ক যুক্তিটি অকাট্য নয়। রাজনৈতিক ভাষণের মাধুর্য আর আবেগ কোনো শিরোনামের অযোগ্যতার মাপকাঠি হতে পারে না। এটা ঐতিহাসিক ও ব্যবহারিক প্রয়োগের বিষয়; উইকিপিডিয়ার নীতিমালাও তাই বলে। — আদিভাইআলাপ০৯:০৬, ৩ ডিসেম্বর ২০২০ (ইউটিসি)
@Meghmollar2017: আপনার জ্ঞাতার্থে বাংলাদেশ সরকারের প্রকাশনার প্রমাণ দিলাম (বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র)। মুক্তিযুদ্ধের প্রসঙ্গে এর থেকে বিস্তৃত ও মূল্যবান দলিল আর নেই এবং সেখানে শুধু নাম নয় ভূমিকাতেও (যা ২০০৩ সালে লেখা) বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ লেখা হয়েছে। — তানভির০৯:৪৩, ৩ ডিসেম্বর ২০২০ (ইউটিসি)
@Wikitanvir:, "এই যুদ্ধের নাম কখনোই মুক্তিযুদ্ধ ছিল না, এটি একটি জোড়াতালি দেওয়া নাম"- আপনি কোন সূত্র মারফতে এ ধরনের কথা বললেন? আপনি যদি গ্রহণযোগ্য সূত্রের সন্ধান দিয়ে আপনার এ বক্তব্য উপস্থাপন করতে সক্ষম হন, তাহলে আপনার কথাই শিরোধার্য রইবে। আর যদি না হন, তাহলে এরকম inflammatory speech প্রদানের আগে একটু চিন্তা করবেন। Ppt2003 (আলাপ) ০৯:৪৪, ৩ ডিসেম্বর ২০২০ (ইউটিসি)
@Ppt2003: আমি শুধু ‘মুক্তিযুদ্ধ’ বলিনি ‘বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ’ বলেছি। অনুগ্রহ করে একটু ভালো করে পড়ুন তারপর না হয় উষ্কানিমূলক বক্তব্যের অভিযোগ আনবেন। আর হ্যাঁ, এটি তো সাধারণ ভাবে মুক্তিযুদ্ধ-ই বলা হচ্ছে, সুস্পষ্ট করে বাংলাদেশের মুক্তযুদ্ধ তো বলা হয় না সেভাবে। আপনি-আমি বলতে গেলেও তো মুক্তিযুদ্ধ-ই বলি তাই নয় কি? — তানভির০৯:৪৯, ৩ ডিসেম্বর ২০২০ (ইউটিসি)
আর আপনি গ্রহণযোগ্য তথ্যসূত্র চাইলেন, উপরের রেফারেন্স বুকটা কি ভাই গ্রহণযোগ্য নয়? ভুল বোঝাবুঝির অবসান হোক। — তানভির০৯:৫১, ৩ ডিসেম্বর ২০২০ (ইউটিসি)
@Ppt2003 এবং Wikitanvir: ভাইয়া শেষ পর্যন্ত "মুক্তিযুদ্ধ" শব্দের প্রচলিত রূপের বিষয়টি মানলেন! (উত্তপ্ত মাঠ একটু হালকা করার চেষ্টা!  ) বইটি ২০০৩-০৪ এ প্রকাশিত সেটা জানি, কিন্তু বইটি প্রকাশের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল ১৯৭৮ সালে। বইয়ের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে, এমন কোনো নজির সাধারণত পাওয়া যায় না। "বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ" ব্যবহারের ক্ষেত্রে আমি আমার যুক্তি উপস্থাপন করেছি। বৈশ্বিকভাবে বাংলা ভাষায় তেমন নথি না থাকায় কেবল "মুক্তিযুদ্ধ" হয়তো ব্যবহৃত হতে পারে। কিন্তু ইংরেজিতে ঠিকই Bangladesh Liberation War ব্যবহৃত হয়। বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটেই তাই "বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ" ব্যবহারের প্রস্তাব দিয়েছিলাম। অবশ্য আপনার যদি মনে হয়, শুধু "মুক্তিযুদ্ধ" রাখা উচিত, তবে সেটাও বিবেচ্য হোক। :) তবে আমার মনে হয় না, সেটা ভালো সিদ্ধান্ত হবে। — আদিভাইআলাপ০৯:৫৭, ৩ ডিসেম্বর ২০২০ (ইউটিসি)
@Wikitanvir:, আমি অত্যন্ত দুঃখিত। এ প্রসঙ্গে আমার যা যুক্তি দেওয়ার, তা দিয়ে ফেলেছি। তবে এক্ষেত্রে সবার ঐকমত্যে অবশ্যই আসতে হবে। প্রসঙ্গত এখানে একটি অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করা যায়। সম্প্রতি ইংরেজি উইকিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন প্রবন্ধে ফলাফল যোগ নিয়ে তুমুল তর্কযুদ্ধ হয়। জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের ১৬টি ইলেকটোরাল ভোট যোগ করা নিয়ে শতাধিক ব্যবহারকারীর মধ্যে ঝগড়া হয়। এমতাবস্থায় নির্দিষ্ট সময়ের পূর্বে ইলেকটোরাল ভোট যোগ করার বিপক্ষে শুধু গুটিকয়েক ব্যবহারকারী ছিলেন। কিন্তু উইকির মূল উদ্দেশ্য হলো ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা, তাই গুটিকয়েক ব্যবহারকারীর কথাতেও শুদ্ধ জিনিসকে শতাধিকের চাপে পড়ে ভুল করা হয় না। আবার একজনের কথা/যুক্তিতেও পরিবর্তন আটকে যায় না। আপনি উইকির একজন ব্যুরোক্রেট, আপনাকে এ বিষয়ে বলাটা ধৃষ্টতা ছাড়া কিছুই নয়। এখন পর্যন্ত হীরক সাহেব, আদিব সাহেব, সাকিব সাহেব, আমি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ শিরোনামের পক্ষে ও আফতাব সাহেব মধ্যপন্থী। আইপি এড্রেসের সাথে ব্লকড হওয়া একজন ব্যবহারকারীর সাদৃশ্য পাচ্ছি, তাই উনার কথা ধরা যাবে না। এক্ষেত্রে শিরোনামটি অপরিবর্তিত রাখতে আপনাকে আরো ১-২ জনের সমর্থন আদায় করে নিতে হবে । এটা যদি হয়, @Meghmollar2017:, তাহলে শিরোনাম অক্ষুণ্ন রাখার বিষয়টি আরো জোরালো হয়ে যেতে পারে। Ppt2003 (আলাপ) ১০:০৮, ৩ ডিসেম্বর ২০২০ (ইউটিসি)
@Ppt2003: চলমান আলোচনার মাঝখানে হুট করে ইতি টেনে দেওয়ার কোনো মানে হয় না। উইকিপিডিয়ার আলোচনা কোনো হারজিতের বিষয় নয়। সবার ঐকমত্যের মাধ্যমেই সিদ্ধান্ত আসবে। কেউ বিপক্ষে যাবে, কেউ পক্ষে। সেজন্য এত জলদ্-বাজির কিছু নেই। তবে তর্ক যেন শুধু তর্কের খাতিরেই না হয়ে যায়, সেই পরিবেশটাই রক্ষা করা গুরুত্বপূর্ণ। — আদিভাইআলাপ১০:১৪, ৩ ডিসেম্বর ২০২০ (ইউটিসি)
@Meghmollar2017 এবং Ppt2003: উত্তপ্ত মাঠ হালকা করার চেষ্টার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ। আমিসহ আমাদের সবার-ই মাথা ঠাণ্ডা রেখে, শান্তভাবে ও ভদ্রতা সহকারে আলোচনা করা দরকার। আমার পক্ষ থেকে এধরনের ত্রুটি হয়ে থাকলে তার জন্য আমি দুঃখ প্রকাশ করছি।
তবে কী না আমি তো কখনোই ‘মুক্তিযুদ্ধ’ প্রচলিত নয় বলিনি। এটি অস্বীকার্য যে মুক্তিযুদ্ধ বহুল প্রচলিত। কিন্তু আপনার মতো আমিও মনে করি নিবন্ধের নাম শুধু ‘মুক্তিযুদ্ধ’ ভালো হবে না, কারণ এটি সুনির্দিষ্ট নয়। আমার স্ট্যান্ডপয়েন্টটি বলি: এক্ষেত্রে উইকিপিডিয়া যেহেতু নতুন করে কিছু বানাতে পারে না, তাই আমাদের পরবর্তী শক্ত রেফারেন্সসহ শিরোনামটি কি? সেটা তো বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ-ই তাই না? যার রেফারেন্সও আমি উপরে দিয়েছি, বইয়ের ভূমিকাংশ কিন্তু পরেই লেখা। আর আপনি ইংরেজির অনুবাদ করে দিয়েছেন, সে হিসেবে আপনার যুক্তি ঠিক আছে; liberation = মুক্তি। কিন্তু আমাদের অফিসিয়াল বাংলা নাম যেখানে আছে, সেখানে ইংরেজি থেকে অনুবাদের তো প্রয়োজন হচ্ছে না ভাই। Ppt2003, আপনাকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ যে আলোচনায় ইতি টানার সুবিধার্থে একটি সংক্ষেপে দাড়া করানোর চেষ্টা করায় (আদিভাই, আমার মতে উনি ইতি টানেনি, প্রস্তাবনা সংক্ষেপ ও বাস্তবতা তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন মাত্র)। যদিও উইকিপিডিয়া কোনো গণতন্ত্র নয়, তবে আমি এটি অনুধাবন করি এই আলোচনায় বেশিরভাগের মত ‘বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ’-এর পক্ষে। আমরা সবাই যার যার অবস্থান থেকে যুক্তি দিয়েছে। আমার নিজের যুক্তির ভাণ্ডারও তলানিতে এসে পৌঁছেছে। আমার মতে এ মুহুর্তে আমাদের অপেক্ষা করে দেখা যে, অন্যদের বক্তব্য কী আসে। — তানভির১০:২১, ৩ ডিসেম্বর ২০২০ (ইউটিসি)
@Wikitanvir: উইকিপিডিয়ায় আসলেই নতুন করে বানানোর মতো কিছু নেই। হয়তো আমরা সকলেই যার যার অবস্থান থেকে সঠিক (আমিও কিন্তু বলছি না স্বাধীনতা যুদ্ধ ভুল, শুধু বলছি কম উপযুক্ত)। এক্ষেত্রে অন্য ব্যবহারকারীদের মতামত প্রদানের জন্য অপেক্ষা করার জন্য আপনার প্রস্তাব গ্রহণ করা যায়। তবে অপেক্ষা যেন কয়েক যুগ গড়িয়ে না যায়, সেই আশঙ্কা করি (যে কারণে আলোচনাসভায় বার্তা দিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলাম)। বাংলা উইকিপিডিয়ায় ২০০৪ সাল থেকে [বিভিন্ন বিষয়ে] সক্রিয় আলোচনা রয়েছে, যেগুলোকে আদৌ "সক্রিয়" বলা যাবে না। এক্ষেত্রে বাংলা উইকিপিডিয়ার বিভিন্ন গ্রুপে মতামত আহ্বান করা যায়। আপনার কী মত? — আদিভাইআলাপ১০:৩৫, ৩ ডিসেম্বর ২০২০ (ইউটিসি)
পুনশ্চঃ এর অর্থ এই নয় যে, নিবন্ধটিকে "বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ" শিরোনামে স্থানান্তরের পক্ষে নমনীয় হচ্ছি। শুধু আগ্রহী উইকিপিডিয়ানদের মতামত কামনা করছি। — আদিভাইআলাপ১০:৩৮, ৩ ডিসেম্বর ২০২০ (ইউটিসি)
@Wikitanvir: বাংলাদেশ সরকারের প্রকাশনা হিসেবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র বইটি এই আলোচনার ক্ষেত্রে কতটা যৌক্তিক, তা আমি পূর্বের বক্তব্যে বলেছি। ১৯৭৮ সালে বইটির কাজ শুরু হয় এবং ১৯৮২ বইটি প্রথমবারের মতো প্রকাশিত হয়। সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনী অনুযায়ী তখন সাংবিধানিক ভাবে যুদ্ধের নাম ছিল "স্বাধীনতা যুদ্ধ"। তখন সাংবিধানিক কারণেই বইটির এরূপ নাম রাখা হয় এবং একই কারণে ২০০৩ সালে বইটির ভূমিকায় স্বাধীনতা যুদ্ধ লিখা হয়। কিন্তু পরবর্তীতে ২০০৫ সালে হাইকোর্ট কর্তৃক সংশোধনীটি অবৈধ ঘোষীত হয়। আবার পঞ্চদশ সংশোধনীতে ‘জাতীয় স্বাধীনতার জন্য ঐতিহাসিক যুদ্ধের’ শব্দগুলো বাদ দিয়ে ৭২-এর সংবিধানে ফিরে আসা হয়। তাই এই বইটি খুব একটা শক্তিশালী যুক্তি হতে পারেনা। বর্তমানে সাংবিধানিক এবং সরকারিভাবে "মুক্তিযুদ্ধ"ই স্বীকৃত। ≈ MS Sakib  «আলাপ» ১৩:৩৩, ৩ ডিসেম্বর ২০২০ (ইউটিসি)

২০০৫ সালে আলোচ্য নিবন্ধটি তৈরির পর থেকে অগণিত পাঠক পাতাটি পরিদর্শন করেছেন। অগণিত ব্যবহারকারীসহ কম-বেশী সকল প্রশাসকই এতে ভূমিকা রেখেছেন। সংশ্লিষ্ট সকলকেই ধন্যবাদ।

বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক নিবন্ধটি বেশ স্পর্শকাতর হলেও বিশাল গৌরবের। নিবন্ধের নাম পরিবর্তনের বিষয়ে যে আলোচনা উত্থাপিত হয়েছে তাতে বেশকিছু বিষয়াবলী চলে এসেছে। যেমন: দেশপ্রেমের পাশাপাশি পারিপার্শ্বিকতা, ভিন্ন ভাষা, আবেগ-অনুভূতি, যুক্তিখণ্ডন ইত্যাদি। যে-কেউ স্বাভাবিক দৃষ্টিকোণে মনে করতেই পারেন যে, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ ও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ - একই অর্থ বহন করছে। তাসত্ত্বেও, যদি ভেঙ্গে ভেঙ্গে বিশ্লেষণ করা যায় তাহলে দেখা যাবে যে, স্বাধীনতা শব্দের মাঝেই বাংলাদেশ নামক একটি স্বাধীন, [সার্বভৌম] রাষ্ট্রের অস্তিত্ব নিহিত। এ প্রেক্ষাপটেই কিন্তু পরবর্তীতে [বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ: দলিলপত্র] নামে খণ্ডাকারে গ্রন্থ প্রকাশ করা হয়েছে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে। ঠিক একইভাবে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ কিংবা মুক্তিযুদ্ধ বিভিন্ন অভিধায়ও যথোচিত ব্যবহার ঘটে চলেছে বিভিন্ন মাধ্যমে। ঘোষণাপত্র, দিবস পালন, পদক বিতরণ ইত্যাদিতে স্বাধীনতা শব্দটির ব্যবহার রয়েছে। এছাড়াও, সংগ্রামের সময় বা সংগ্রামের বছর শব্দগুচ্ছও কিন্তু মৌখিকভাবে প্রচলিত।

এ আলোচনায় বেশ জোড়ালো, ধারালো বক্তব্যের যথোচিত প্রয়োগ ঘটেছে - যা বেশ বিস্ময়কর ও সামঞ্জস্যপূর্ণ। পাশাপাশি ‘আনাড়ি’ শব্দের ন্যায় আপত্তিকর শব্দও ব্যবহৃত হয়েছে। তবে, শব্দটি বেশ নির্মম ছিল যা অস্তিত্বকে আঘাত করেছে। এ ধরনের শব্দ প্রয়োগে সচেতন থাকা উচিত বলে মনে করি।

শেষদিকে ভোটাভুটির প্রসঙ্গ এসেছে। তবে, সবক্ষেত্রে ভোট প্রয়োগ করা যায় না; যেমন - এ আলোচনায়! এখানে যুক্তি-তর্ককেই প্রাধান্য দেয়া হয় এবং তাই করা উচিৎ। ইতোমধ্যেই বেশ কয়েকটি শিরোনাম অত্র নিবন্ধের পুণঃনির্দেশনা হিসেবে যুক্ত রয়েছে। তালিকা লক্ষ্য করলে দেখতে পারেন।

তবে, বাস্তবিক ও স্বাভাবিক অর্থে দৃশ্যমান যে, [বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ] শব্দগুচ্ছ দেশ স্বাধীনের পর কিছুদিন যে-ভাবে প্রয়োগ হয়েছে, পরবর্তীকালে এর তুলনায় দ্বি-গুণ, ত্রি-গুণ পরিমাণে [বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ] শব্দগুচ্ছের ব্যবহার ঘটেছে। ঐ হিসেবে যদি চিন্তা করা হয়, তাহলে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ সঠিক অবস্থানে রয়েছে। কিন্তু, ইতিহাসের দিকে যদি আমরা তাকাই তাহলে দেখা যাবে যে, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ সঠিক। এ নামকে ঘিরে গণমাধ্যম থেকে শুরু করে পাঠ্যপুস্তক, প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। ইতিহাস বড্ড নির্মম! অর্থাৎ, অদল-বদল ঘটলেই এ আলোচনার সাথে জড়িত প্রত্যেকেই ইতিহাস বিকৃতির দিকে চলে যাবেন বলে ধারনা রাখি। আর এ আলোচনাও কালের স্বাক্ষী হিসেবে রয়ে যাবে যুগের পর যুগ! কেবলমাত্র তর্কের খাতিরে তর্ক নয়; ভালকে ভালো বলা, সত্যকে মেনে নেয়ার সৎসাহস প্রত্যেকেরই থাকা উচিৎ হবে।

সে লক্ষ্যে আমি স্বেচ্ছায় ও স্বজ্ঞানে যে, যেভাবেই ভাবুক না কেন, অত্র নিবন্ধ বহালের দিকেই নিজেকে যুক্ত রাখবো, বিশ্বাস রাখবো বা সমর্থন জানাবো। কিন্তু, যদি মনে করেন যে, এতো কষ্টের পরও আমাকে হারানো হয়েছে বা শেষ পর্যন্ত আমাকে সন্তুষ্ট করা হয়েছে বা নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করবো - তাহলে ভুল ভাবা হবে, ভীষণ ভুল করা হবে। আন্তরিকভাবে আশাবাদী যে, অনুগ্রহপূর্বক প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশকে ঘিরে অত্র নিবন্ধের নাম পরিবর্তনের বিষয়ে আর কোন আলাপ-আলোচনায় অগ্রসর হবেন না ও এ আলোচনার সফল ইতি টানবেন, ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটাবেন; কিন্তু, তিক্ততার মধ্যে নয়! প্রত্যেককে অজস্র ধন্যবাদ, নিজস্ব ও জোড়ালো মন্তব্য / মতামত প্রদানের জন্যে। - Suvray (আলাপ) ১৪:৪৩, ৩ ডিসেম্বর ২০২০ (ইউটিসি)

যেহেতু সবার মতামত প্রকাশের একটি বিষয় সামনে এসেছে তাই আমি আমার মতামত প্রকাশ করছি মাত্র, আমি 'বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ’ নামে স্থানান্তর বিষয়টি সমর্থন করছি। এর পক্ষে নতুন করে বলার কিছু নাই, উপরে অনেক যুক্তিই দেওয়া হয়েছে। আমার মনে হয় বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ শিরোনামের চেয়ে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নামটি নিবন্ধকে আরো অর্থবহ এবং ফুটিয়ে তুলবে। -শাকিল হোসেন আলাপ ১৫:৩৩, ৩ ডিসেম্বর ২০২০ (ইউটিসি)
@MS Sakib: আপনি বার বার জিয়ার আমল বলে একটি ভ্যালিড ডকুমেন্টকে মর্যাদা নষ্ট করছেন বা প্রাপ্য মর্যাদা দিচ্ছেন না, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। বাস্তব কথা হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের সবচেয়ে দামি দলিল-ই এই বইটি! এটা বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক একটি আনুষ্ঠানিক ও সরকারি প্রকাশনা যা এখনও বলবৎ—এটি-ই একমাত্র বিবেচ্য বিষয়। যাই হোক, কিছুটা গবেষণা করে আপনার জন্য আমি আরও দুইটি সরকারি আইনের উদ্ধৃতি দিচ্ছি যেখানে স্বাধীনতা যুদ্ধ ব্যবহৃত হয়েছে। জাতির পিতার পরিবার-সদস্যগণের নিরাপত্তা আইন, ২০০৯ এবং বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট আইন, ২০১৮। এখানে উল্লেখ্য যে, প্রথম আইনে কোথাও মুক্তিযুদ্ধের উল্লেখ নেই, আর দ্বিতীয় আইনে মুক্তিযুদ্ধের একটি সংজ্ঞা দেওয়া হয়েছে উদ্ধৃতি চিহ্নে। আইনের রচনাশৈলী অনুসারে যখন কোনো শব্দ বা শব্দগুচ্ছ বারবার ব্যবহারের প্রয়োজন পড়ে তখন সেটি ব্যাখ্যা করতে একটি তুলনামূলক ছোট শব্দ বা শব্দগুচ্ছকে তার শর্টফর্ম হিসেবে নেওয়া হয় ও তার অর্থের ব্যাখ্যা দেওয়া হয়। মুক্তিযুদ্ধ শব্দটিকে তাই সেভাবে নিয়ে তার ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আইনের সবার প্রথমেই এটিকে স্বাধীনতা যুদ্ধ হিসেবেই উল্লেখ করা হয়েছে। এখন আপনারা যারা মুক্তিযুদ্ধকে ফোকাস করছেন তারা কিন্তু সরকারি প্রকাশনা, রেফারেন্স বুক, আইন, ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ নথিতে কীভাবে এই যুদ্ধকে উল্লেখ/অভিহিত করা হয়েছে তা এড়িয়ে যাচ্ছেন, যা দুঃখজনক। উইকিপিডিয়া একটি সাধারণ প্রবন্ধের ওয়েবসাইট নয়। বিশ্বকোষ সব সময় সবচেয়ে উচ্চ পর্যায়ের রেফারেন্সকে গুরুত্ব দেবে এটাই হওয়া উচিত বলে আমি মনে করি। — তানভির১৫:৫৮, ৩ ডিসেম্বর ২০২০ (ইউটিসি)
@Wikitanvir: দুঃখিত, এখানে "জিয়াউর রহমানের আমলে" শব্দগুলো কোন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করিনি (আসলে আমি বাংলাদেশের রাজনীতির কোন পক্ষেরই সমর্থক নই)। আমি বইটির সংকলন ও প্রকাশকাল বুঝাতে চেয়েছিলাম (আমি মেনে নিচ্ছি, এখানে ব্যক্তির নাম উল্লেখ করা উচিৎ হয়নি)। আমার মূল বক্তব্য হচ্ছে বইটি প্রকাশকালে যুদ্ধটির সাংবিধানিক নাম ছিল স্বাধীনতা যুদ্ধ। বর্তমানে ওই সংশোধনীটি হাইকোর্টের রায়ে অবৈধ। বর্তমান সংবিধান অনুযায়ী এবং সংবিধানের "বৈধ" সংশোধনী অনুযায়ী যুদ্ধটি মুক্তিযুদ্ধ। আপনার শেষ বক্তব্য এবং অন্যান্যদের আগের বক্তব্য অনুযায়ী সরকার দুটোই ব্যবহার করে থাকে। তাই আমি সাংবিধানিক স্বীকৃতির কারণে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ শিরোনামের পক্ষে। ধন্যবাদ। ≈ MS Sakib  «আলাপ» ০৫:৫৩, ৪ ডিসেম্বর ২০২০ (ইউটিসি)
পুনশ্চঃ @Wikitanvir: আমি বারবার "জিয়ার আমল" লেখিনি। শুধু প্রথম বক্তব্যেই লিখেছি। ≈ MS Sakib  «আলাপ» ০৫:৫৬, ৪ ডিসেম্বর ২০২০ (ইউটিসি)
পুনশ্চ-২: @Wikitanvir: আমার কোন বক্তব্যেই আমি 'বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র'-এর মতো "ভ্যালিড ডকুমেন্টকে মর্যাদা নষ্ট" করিনি এবং এর "প্রাপ্য মর্যাদা" না দিয়ে কথা বলিনি। আমি শুধু সংকলন ও প্রকাশকাল অনুযায়ী বইটির এরূপ নামকরণের কারন বলেছি। বইটি জিয়াউর রহমানের আমলেই হোক কিংবা বঙ্গবন্ধু বা অন্য কারোর আমলেই হোক- কোন ভাবেই এরকম একটি প্রামান্য দলিলের মর্যাদা একটুও কমবেনা। ≈ MS Sakib  «আলাপ» ১০:৪২, ৪ ডিসেম্বর ২০২০ (ইউটিসি)
@MS Sakib: আপনি জিয়াউর রহমানের আমলে করার কারণে এই নাম তার অবস্থান হারিয়েছে বলতে চেয়েছেন একাধিকবার ও তার সপক্ষে যুক্তি দিয়েছেন তাই আমি এ কথা বলেছি। তবে আপনার কথার সম্মানার্থে ‘বার বার’ অংশটুকু আমি কেটে দিলাম। যাই হোক, মর্যাদা যেহেতু কমবে না বলছেন তবে বিশ্বকোষে যদি যুদ্ধটির আনুষ্ঠানিক নামের ক্ষেত্রে যদি এই মর্যাদাপূর্ণ দলিলকে গুরুত্ব না দেওয়া হয় তবে মর্যাদা থাকলো কোথায়? তাছাড়া বিশেষ করে আপনার যুক্তির প্রেক্ষিতেই বর্তমান সরকারের আমলে করা দুটি সম্পূর্ণ নতুন দুটি আইনে স্বাধীনতা যুদ্ধ শব্দ গুচ্ছের প্রয়োগ দেখালাম যা প্রয়োগের ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্ব বহন করে বলে আমি মনে করি। অন্যদের মতামতও চলুক। আপনাকে ধন্যবাদ। — তানভির১৪:১১, ৪ ডিসেম্বর ২০২০ (ইউটিসি)
@Wikitanvir: আপনি হয়তো আবারও ভুল বুঝেছেন। বইটি "জিয়াউর রহমানের আমলে করার কারণে এই নাম তার অবস্থান হারিয়েছে বলতে" চাইনি এবং বলিনি। আমি বলেছি, বইটি প্রকাশকালে সাংবিধানিক ভাবে যুদ্ধের যেই নাম ছিল, এখন আর সাংবিধানিক ভাবে সেই নাম নেই। তাই সাংবিধানিক কারণে আমি বলেছি এই আলোচনার ক্ষেত্রে বইটি খুব জোড়ালো যুক্তি নয়। আমার বক্তব্য সংবিধান কেন্দ্রীক, কোন শাসক কেন্দ্রীক নয়। (১ম বক্তবে আমি সংবিধান সংশোধনের কাল বুঝাতে শাসকের নাম বলেছি, যা হয়তো উচিৎ হয়নি। কিন্তু কোনভাবেই ব্যক্তির মাধ্যমে বইটির মূল্যায়ন করিনি। আসলে দৈনন্দিন কথাবার্তায় জিয়ার আমল, এরশাদের আমল ইত্যাদি বলার প্রভাবটা ১ম বক্তব্যে পড়েছিল)। ধন্যবাদ। ≈ MS Sakib  «আলাপ» ০৬:২৯, ৫ ডিসেম্বর ২০২০ (ইউটিসি)
@Suvray এবং Wikitanvir: আমার বক্তব্যের শুরুতেই আমি ক্ষমা প্রার্থনা করছি, কারণ আলোচনায় আমার ব্যবহৃত শব্দ কাউকে আঘাত দিয়েছে বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। সত্যিই কাউকে আঘাত দেওয়া আমাদের উদ্দেশ্য নয়। এই অনভিপ্রেত বিষয়ের জন্য তাই আমি সকলের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। এখানে প্রথম থেকেই পরিশীলিত মন্তব্য প্রদান করা প্রয়োজন ছিল। এমনকি ভবিষ্যতের আলোচনাতেও (এখানে কিংবা অন্য কোথাও) এ বিষয়ে সচেতন থাকা গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনায় আনছি। এই আলোচনায় অংশগ্রহণকারীদের বক্তব্যে অনাকাঙ্ক্ষিতভাবেই রাজনৈতিক মতাদর্শের বিষয়টি চলে এসেছে। এটি যদিও কাম্য নয়; তবু বলতে হয়, আমাদের অনেকে প্রথম থেকে একটি নির্দিষ্ট দলের শাসন দেখে আসছি। তাই তাদের রাজনৈতিক মতাদর্শ আমাদের চিন্তাভাবনায় প্রভাব ফেলা স্বাভাবিক। এ কারণে এমন কারও মন্তব্য আশা করছিলাম, যিনি এই জেনারেশন গ্যাপটা ঘুচাতে সাহায্য করবেন। সৌভাগ্যবশত সুব্রত স্যারের মন্তব্য সেই ব্যবধান কমিয়ে এনেছে; সেজন্য আমরা স্যারের প্রতি কৃতজ্ঞ। এখানে, [আলোচনায়] হারজিতের কোনো বিষয় আসলেই নেই। তবু এতোদূর আসার পর কোনো সুনির্দিষ্ট ঐকমত্য তথা সিদ্ধান্ত ছাড়া আলোচনায় ইতি টানাটা কঠিন হবে। স্যারের মতো তাই আমিও আশা করি, সকলে সুপরিবেশ বজায় রেখে আলোচনায় একটি "সুনির্দিষ্ট" সমাপ্তি টানবেন, যেখানে কেউ মনে করবে না, কাউকে সন্তুষ্ট করা হয়েছে। এই আলোচনায় রাজনৈতিক দলাদলির অভিযোগ যেমন অপ্রাসঙ্গিক, তেমনি কারও মন্তব্যই উপেক্ষাযোগ্য নয়। তবে, আমার কেন জানি না মনে হয়েছে, তানভির ভাইয়া বিষয়টিকে একতরফাভাবে দেখছেন। আমরা কেউ বলছি না যে, "বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ" নিবন্ধ শিরোনাম হিসেবে তার যোগ্যতা রাখে না। উপরন্তু আমরা বলছি "বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ" নামটি অধিক উপযোগী ও প্রাসঙ্গিক। আমি একটু নিচ থেকে আসি। বাংলাদেশ ও বহির্বিশ্বের গণমাধ্যমে (অবশ্যই বাংলা ভাষায়) "বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ" শব্দের প্রয়োগ অত্যধিক, যেটা আমার আগের বক্তব্য, এমনকি সুব্রত রায় স্যারের মন্তব্যেও স্পষ্ট। সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে "বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ" নামটি অধিক প্রাসঙ্গিক, যা "মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর" নাম থেকে স্পষ্টত প্রতীয়মান। বাংলাদেশের পাঠ্যক্রমে (বিশেষ করে ইতিহাস ও বাংলা বই দ্রষ্টব্য) "মুক্তিযুদ্ধ" শব্দের প্রয়োগ অন্য যেকোনো টার্ম থেকে বেশি। বাংলাদেশের প্রশাসনিক ক্ষেত্রে "মুক্তিযুদ্ধ" প্রাসঙ্গিক; এক্ষেত্রে "মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়" নামে সরকারের একটি শাখার অস্তিত্ব বিবেচনাযোগ্য। দেশের আইনে কখনোই শুধুমাত্র "বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ" শব্দসমষ্টি ব্যবহার করা হয় না, বরং "মুক্তিযুদ্ধ" শব্দের সমান প্রয়োগ বিরাজমান। এক্ষেত্রে সাম্প্রতিক আইনের উদাহরণস্বরূপ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮ এর ষষ্ঠ অধ্যায় দ্রষ্টব্য। আর সবচেয়ে বড় বিষয় বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আইন, দেশের সংবিধান, "মুক্তিযুদ্ধ"কে স্বীকৃতি দেয়। এবার আসা যাক, পদকের বিষয়ে। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ "স্বাধীনতা পদক (বা পুরস্কার)" দেওয়া প্রাসঙ্গিক হতে পারে, তবে তা দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি ইঙ্গিত দেয়, ১৯৭১ সালের যুদ্ধের প্রতি নয়। একই কারণে "স্বাধীনতা দিবস"ও প্রাসঙ্গিক। একইভাবে বলতে গেলে "একুশে পদক" দেওয়া হয়, "ভাষা আন্দোলন পদক" দেওয়া হয় না। বিষয়টিকে আবার উল্টোভাবেও বলা যায়। যারা মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন, তারাই [বীর] মুক্তিযোদ্ধা। তদ্রূপ "মুক্তিযুদ্ধ মৈত্রী সম্মাননা", যেটি মুক্তিযুদ্ধে অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ প্রদান করা হয়, সেটিকেও দূরে সরিয়ে রাখা যায় না। ইংরেজি উইকিপিডিয়ায় সদ্যই একটি আইপি থেকে সংশ্লিষ্ট নিবন্ধ স্থানান্তরের জন্য আলোচনা খোলা হয়েছিল। আইপি ব্যবহারকারী নিঃসন্দেহে এভাবে যথেষ্ট সমস্যা সৃষ্টি করেছিলেন, তবে তা শেষ পর্যন্ত আমাদের সামনে একটি নতুন দৃষ্টিকোণ উন্মোচন করেছে। ইংরেজি উইকিপিডিয়ার আলোচনায় একজন ব্যবহারকারীর মন্তব্য ছিল, "A high quality article has to be based upon attributes from academia." হ্যাঁ, আসলেই তো! যদিও এক উইকির আলোচনা অন্য উইকিতে প্রাসঙ্গিক নয়, এ কথা ঠিক, তবু কোনো দৃষ্টিকোণকেই খাটো করে দেখার সুযোগ নেই। উইকিপিডিয়া কোনো রাজনৈতিক দলের প্রসপেক্টাস নয়, বরং একটি বিশ্বকোষ। ঐ ব্যবহারকারীর মন্তব্যের পর মনে হয়েছে, সত্যিই তো, কথা ঠিক; এটাই তো আমাদের আলোচনার "মিসিং লিংক"। রাজনৈতিক দলভেদে মতাদর্শ ভিন্ন হয়, তাতে ইতিহাস বিকৃতির সম্ভাবনাও দেখা যায়। কিন্তু আসলে সেটা হয় না, তার কারণ হলো সেই "Academia", অর্থাৎ শিক্ষায়তনিক ব্যক্তিত্ব। উইকিপিডিয়া শিক্ষায়তনিক ব্যক্তিত্বের অ্যাট্রিবিউটের ওপরই নির্ভরশীল, হোক সেটা সাম্প্রতিক কিংবা হাজার বছরের প্রাচীন ইতিহাস অথবা কোনো সদ্য আবিষ্কৃত পরজীবী। কাজেই, এখানে আবার বাংলাপিডিয়ার নিবন্ধ প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে। কোনো সরকারি নথিপত্র অফিসিয়াল রেফারেন্স হতে পারে, কিন্তু বাংলাপিডিয়া দেশের সেই অ্যাকাডেমিয়া তথা শিক্ষায়তনিক ব্যক্তিদের প্রতিফলন ঘটায়। তারা যেই অ্যাট্রিবিউট ব্যবহার করেন, সেটাই উইকিপিডিয়ার আদর্শ, কোনো রাজনৈতিক দল কিংবা সরকার নয়। বিষয়টি আরেকটু ব্যাখ্যা করলে পরিষ্কার হবে। ঐতিহাসিক "রাষ্ট্র বনাম শেখ মুজিবুর রহমান ও অন্যান্য" মামলা অফিসিয়াল নামকরণ তো হতে পারে, কিন্তু দেশের অ্যাকাডেমিয়া বা শিক্ষায়তনিক রেফারেন্সের জন্য এটি "আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা"। লক্ষ্য করুন, নামটি কিন্তু চরমভাবে অনিরপেক্ষ। তবু শিক্ষায়তনিক কারণে যেমন নিবন্ধ শিরোনাম হিসেবে সেটি অবশ্য ব্যবহার্য (WP:NATURALNESS), তেমনি "বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ"-ও একই কারণে উত্তীর্ণ। অর্থাৎ জাতীয় বিশ্বকোষ হিসেবে বাংলাপিডিয়াকে উপেক্ষা করার আর সুযোগ রইলো না। উপরন্তু দাপ্তরিক নাম (WP:OFFICIALNAME) হিসেবে "মুক্তিযুদ্ধ"-ও "বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ"-এর পাশাপাশি বসলো। অর্থাৎ, আবারও বলতে চাই, সামগ্রিক বিবেচনায় "বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ" নামটি শিরোনাম হিসেবে অধিক প্রাসঙ্গিক। — আদিভাইআলাপ০৬:৪০, ৫ ডিসেম্বর ২০২০ (ইউটিসি)

পুনশ্চঃ আমার বার্তাটি অত্যন্ত দীর্ঘ হয়ে গেছে, যা সকলের ধৈর্যচ্যুতির কারণ হতে পারে। সেজন্য পুনরায় ক্ষমাপ্রার্থী। আশা করবো, সবাই ঠাণ্ডা মাথায়, পরিবেশ বজায় রেখে এবং একে অপরকে দোষারোপ না করে আলোচনা চালিয়ে যাবেন। ধন্যবাদ। — আদিভাইআলাপ০৬:৪০, ৫ ডিসেম্বর ২০২০ (ইউটিসি)

মুক্তিযুদ্ধ করা হোক তনয় ভট্টাচার্য (আলাপ) ১১:২৫, ৫ ডিসেম্বর ২০২০ (ইউটিসি)
আদিভাই, সত্যি বলতে আপনার দীর্ঘ মন্তব্য পড়ে আমার ধৈর্যচ্যুতি ঘটেনি, বরং আমি উপভোগ করেছি। এই আলোচনায় আমার দৃষ্টিভঙ্গি আপনার কাছে ‘একতরফা’ মনে হওয়ায় দুঃখপ্রকাশ করছি। আমার বক্তব্যের সপক্ষে যুক্তি যা দেওয়ার আমি দিয়েছি। আমি আমার এই বক্তব্যে একটু নিরপেক্ষ হওয়ার চেষ্টা করবো। সুব্রতদা বলেছেন এই নামকরণের বিষয়টি আমাদের কাছে অনেক স্পর্শকাতর। তবে একই সাথে এটি অত্যন্ত জটিল ও তালগোল পাকানো একটি অবস্থা। আমাদের সকলের প্রদানকৃত যুক্তিদ্বারা এটা স্পষ্ট যে, ‘মুক্তিযুদ্ধ’ ও ‘স্বাধীনতা যুদ্ধ’ দুটো নামের-ই বহুল ব্যবহার রয়েছে এবং এই ব্যবহার সর্বত্র ছড়িয়ে আছে। অর্থাৎ, কথায়, বইয়ে, সংবাদপত্রে, এমনকী আইনের ভাষাতেও। এই প্রয়োগের বিষয়েও দেখা যাচ্ছে মিশ্রিত ভাব এসেছে, যেমন মুক্তিযুদ্ধকে স্বাধীনতার সংগ্রাম বা এর অংশ যেমন বলা হয়েছে, আবার কোথাও স্বাধীনতা যুদ্ধকে মুক্তির সংগ্রাম বা এর অংশও বলা হয়েছে। অর্থাৎ, আমার মনে হয়েছে কেউ এখানে কোনোকিছু স্ট্যান্ডার্ড বা আদর্শ হিসেবে নেয়নি। মুক্তিযুদ্ধের সবচেয়ে বড় দলিলে লেখা হয়েছে ‘স্বাধীনতা যুদ্ধ’, কিছু আইন লেখার সময় ‘স্বাধীনতা যুদ্ধ’ ব্যবহার হয়েছে। আবার সংবিধান ও গুরুত্বপূর্ণ কিছু জায়গায় ‘মুক্তিযুদ্ধ’-ও ব্যবহৃত হয়েছে। আদিভাই, আপনি যে শিক্ষায়তনিক রেফারেন্সের কথা বলেছেন তাদের হিসাব ধরে বাংলাপিডিয়াকে রেফারেন্স দিলেন, তা যেমন ঠিক আছে, আবার স্বাধীনতা যুদ্ধের দলিল-ও কিন্তু ঐ শিক্ষায়তনিক ব্যক্তিবর্গের লেখা, তাদের মধ্যে কেউ কেউ খোদ বাংলাপিডিয়ার লেখকও আছেন। অর্থাৎ, এইখানেও চূড়ান্ত মিশ্রণ হয়েছে। আবার ভিন্ন যুক্তিতে জনাব ছাকিব বলেছেন যে, সংবিধান পরিবর্তনের কারণে ঐ ব্যবহার যা এখন আর বিবেচনা করা উচিত হবে না। রাজনৈতিক কারণ যে একাডেমিক রচনায় প্রভাব ফেলে না তা নয়, কিন্তু আসলেই তাই হয়েছে কি? তাহলে পরবর্তী সময়ের পরিমার্জন ও এ সংক্রান্ত বক্তব্যে সেগুলো সংশোধিত হয়নি কেনো সেই প্রশ্নও এসে যায়, রাজনৈতিক না অন্য কোনো কারণে, নাকি দুটো এক বিষয় তাই এ ধরনের বিতর্ক তাদের রচনায় প্রভাব ফেলেনি বা চিন্তাও করেননি? এসব বিবেচনায় সত্যি বলতে আলোচনার এই প্রান্তে এসে, আমি বিভ্রান্ত যে কোন যুক্তিকে কোনটির উপরে স্থান দেবো। উইকিপিডিয়ায় এমন চল আছে যেখানে, ভিন্ন শিরোনাম ও বর্তমান শিরোনাম দুটির ক্ষেত্রেই শক্তযুক্তি থাকলে অনেক সময় মূল নিবন্ধ প্রণেতার ইচ্ছাকে সম্মান জানিয়ে সেই নামেই রেখে দেওয়া হয়। এতোকিছু বিবেচনা যেহেতু হয়েছে তাই এখানে বিবেচনা করা যায় কী না সেটাও হয়তো বিবেচনার সময় এসেছে। দুটির অর্থ এক হওয়ায় কেউ হয়তো একটি আদর্শ হিসেবে নেওয়ার কথা ভাবেনি, তবে বাংলাদেশের ইতিহাসে এই ব্যাপারটি নিয়ে হয়তো বাংলা উইকিপিডিয়ায়-ই এতো বিশদভাবে আলোচনা করলো। ফলাফল সময়-ই বলবে। আরও কেউ মতামত প্রদান করেন কী না দেখা যাক। ‍‍‍— তানভির১১:৪৯, ৫ ডিসেম্বর ২০২০ (ইউটিসি)

এখানে চারটা পরিভাষা নিয়ে কথা বলা হচ্ছে: "স্বাধীনতা যুদ্ধ", "মুক্তিযুদ্ধ", "বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ" এবং "বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ"। ইংরেজিতে War of independence বা Liberation war বলতে যে ধারণাটাকে বোঝায়, সেটা তো শুধু বাংলাদেশেই ঘটেনি, বরং বহু দেশের ইতিহাসেই ঘটেছে। এখন প্রশ্ন হল বাংলা উইকিপিডিয়াতে সর্বত্র বিভিন্ন দেশের War of independence সংক্রান্ত নিবন্ধের শিরোনামে এই ধারণাটির বাংলা পরিভাষা কী হওয়া উচিত। আমার মতে শিরোনামে হয় "মুক্তিযুদ্ধ", অথবা "স্বাধীনতা যুদ্ধ" যেকোনও একটাকে নির্বাচন করতে হবে। দুটোই যখন তখন যখন যেরকম ইচ্ছা সেরকম ব্যবহার করলে চলবে না। নাহলে শিরোনামে এক ধরনের পারিভাষিক বিভ্রান্তি সৃষ্টি হবে, যেটা আমাদের কাম্য নয় বলে আমি মনে করি। আমার যতদূর জ্ঞান, তা অনুসারে আন্তর্জাতিক বিষয়াবলির আলোচনাতে "স্বাধীনতা যুদ্ধ" পরিভাষাটিই বেশি ব্যবহৃত হয়, সেটা সব দেশের ক্ষেত্রেই, "মুক্তিযুদ্ধ" নয়। "মুক্তিযুদ্ধ" বা "বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ" কথাগুলি কেবলমাত্র বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটেই নির্দিষ্ট করে ব্যবহৃত হয়। আমি "ভারতের মুক্তিযুদ্ধ", বা "মার্কিন মুক্তিযুদ্ধ", এরকম কথা কখনও দেখিনি বা পড়িনি, থাকলেও সেটা খুবই বিরল। সুতরাং উইকিপিডিয়াব্যাপী পারিভাষিক সমতা বিধানের স্বার্থে (অর্থাৎ সম্পূর্ণ ভাষাগত কারণে, অন্য কোনও কারণে নয়) আমার মত হল এই যে নিবন্ধের শিরোনাম "বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ" রাখলেই বেশি ভাল হবে। তবে নিবন্ধের অভ্যন্তরে মুক্তিযুদ্ধ, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, ইত্যাদি সমার্থক পরিভাষাগুলি যে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ প্রেক্ষাপটে বহুল প্রচলিত, সে ব্যাপারটা উল্লেখ করার ব্যাপারে কোনোই বাধা নেই। --অর্ণব (আলাপ | অবদান) ১১:৫৮, ৫ ডিসেম্বর ২০২০ (ইউটিসি)

আরেকটু কথা বাড়াই। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ আর বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ - এই দুইয়ের মধ্যে যে কোনও পার্থক্য আছে, বা একটা যে আরেকটার চেয়ে বেশি পছন্দনীয় হতে পারে - এ ব্যাপারটা আমার জন্ম থেকে আজ পর্যন্ত মাথাতেই আসেনি। আমি একটু চিন্তা করে দেখলাম যে স্বাধীনতা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়েছে ২৬শে মার্চ (যে কারণে ২৬শে মার্চ স্বাধীনতা দিবস), কিন্তু দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধের বাংলাদেশ পাকিস্তানি শাসন থেকে মুক্ত হয়েছে ১৬ই ডিসেম্বর (যেটাকে "বিজয় দিবস" নামে উদযাপন করা হয়)। এখন এই নয় মাসের যুদ্ধ কি স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠার জন্য যুদ্ধ (অর্থাৎ "বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ") নাকি স্বাধীনতা ঘোষণার পরে পাকিস্তানি শাসন থেকে মুক্তির জন্য যুদ্ধ (অর্থাৎ "বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ") -- এরকম চুলচেরা বিশ্লেষণ জীবনেও করিনি। আর এই দুইয়ের মধ্যে আদৌ কোনও পার্থক্য কি আছে? বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে স্বাধীনতা যুদ্ধ মানেই মুক্তিযুদ্ধ, আর মুক্তিযুদ্ধ মানেই স্বাধীনতা যুদ্ধ --- এভাবেই সারা জীবন ভেবে এসেছি এবং দুটোকে সমার্থক শব্দ হিসেবেই ব্যবহার করেছি ও করতে দেখেছি। এখন শিরোনামে একটাকে আরেকটার চেয়ে বেশি পছন্দ কেন করা হবে, সে ব্যাপারে আমার যে মত উপরে দিয়েছি, সেটা বাংলা ভাষায় লেখা ও জাতি-দেশের ঊর্ধ্বে অবস্থিত বিশ্বজনীন বিশ্বকোষ উইকিপিডিয়াকেন্দ্রিক একটি দৃষ্টিভঙ্গি থেকে, যেখানে পারিভাষিক সমতা বিধান করাটাই আমার কাছে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনে হচ্ছে। সে কারণেই আমি শিরোনামে "বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ" রেখে দেবার পক্ষপাতী। তবে উইকিপিডিয়ার যে কোনও মূলনীতিরই ব্যতিক্রম থাকতে পারে, সেটাও মাথায় রাখতে হবে। কিন্তু আমাকে যদি জোর করে অবস্থান নিতে বলা হয়, তাহলে আমি শিরোনামে "বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ"-ই আপাতত পছন্দ করব। --অর্ণব (আলাপ | অবদান) ১৮:৩৪, ৫ ডিসেম্বর ২০২০ (ইউটিসি)

@Meghmollar2017:, আপনি দলিলপত্রের মোকাবিলা করতে গিয়ে বাংলাপিডিয়ার কথা উল্লেখ করলেন। আপনি ভালো করে বাংলাপিডিয়ার অনলাইন সংস্করণের মুক্তিযুদ্ধ নিবন্ধটি পড়ে দেখুন। এটা ঠিক যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু জিয়াউর রহমান কালুরঘাট থেকে যে একটি গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য দিয়েছিলেন, তার উল্লেখ অন্তত আমার চোখে পড়েনি- আপনার চোখে পড়ে থাকলে জানাবেন। বাংলাপিডিয়ায় সম্মানসূচক উপাধির ব্যবহারও লক্ষ্য করেছি। সেক্ষেত্রে বাংলাপিডিয়াকে যুক্তির উৎস হিসেবে ব্যবহার করাটা কি উচিৎ হবে?Ppt2003 (আলাপ) ১৪:৩৬, ৫ ডিসেম্বর ২০২০ (ইউটিসি)
শুধু জিয়া না, আওয়ামী লীগের এম. এ. হান্নান, এবং তারও আগে, সবার আগে, বেতারকেন্দ্রের এক টেকনিশিয়ান মুজিবুর রহমানের পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন (আবদুল করিম খন্দকার-এর ১৯৭১ : ভেতরে বাইরে বইয়ের তথ্য অনুযায়ী)। সেটাও নেই। 103.67.157.76 (আলাপ) ০৮:১১, ৬ ডিসেম্বর ২০২০ (ইউটিসি)
@Wikitanvir, Zaheen, এবং Ppt2003: প্রথমেই আমি দুঃখিত যে, বিভিন্ন কারণে আমাকে একদিন দেরিতে উত্তর দিতে হচ্ছে। শুরুতেই পিপিটি ভাইকে ধন্যবাদ জানাই, কেননা উনি এই আলোচনায় সবচেয়ে ভার্সেটাইল মন্তব্যটি করেছেন। আসলে বলতে গেলে সবকিছুই আপাতদৃষ্টিতে শতভাগ নিরপেক্ষতা বিবেচিত নাও হতে পারে। সামসময়িক কিংবা ঐতিহাসিক, কোনো না কোনোভাবে তা অনিরপেক্ষ মনে হয়। শেখ মুজিবুর রহমানের পর আরও অন্তত দুইবার বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা প্রচার করা হয়েছে। এর মধ্যে কেবল জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণা প্রচার সাম্প্রতিক সময়ের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে হয়। তবে, মুক্তিযুদ্ধের মার্কিন দলিলসহ অনেক নথিপত্রে সে সময় জিয়াউর রহমানকে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বলে তালিকাভুক্ত করা হয় নি। এ সমস্ত বিষয় রাজনৈতিক কারণে বিতর্কিত। তবে এর দরুণ বাংলাপিডিয়ার মতো ভ্যালিড উৎসকে অনিরপেক্ষ দাবি করা যায় না। তার ওপর এখানে আলোচ্য বিষয় হলো "নিবন্ধের নামকরণ" এবং নামকরণ নিরপেক্ষ কিনা। এরপর জাহিন ভাইয়ার মন্তব্যের জবাবে বলবো (যদিও প্রায় সমস্ত কিছু নিয়ে আগেই আলোচনা হয়ে গিয়েছে), বিষয়গুলো আসলেই আপেক্ষিক। আপনার কাছে দুটিই সমান অর্থ বহন করছে। আমার কাছে মনে হয়েছে নামটি "মুক্তিযুদ্ধ" হলে সবকিছু আরও পরিষ্কার হতো। প্রথমত, সবকিছুকে একই কাঠামোয় আনা উইকিপিডিয়ার নীতি নয়। ইংরেজি উইকিপিডিয়ায় আমি যতদূর দেখেছি "Liberation War" শব্দযুগল কেবল বাংলাদেশের ক্ষেত্রেই ব্যবহার করা হয়েছে, অন্য সকল দেশের ক্ষেত্রে তাদের স্ব-স্ব ইতিহাস ও প্রয়োগ অনুযায়ী "War of Independence" ও অন্যান্য শব্দসমষ্টি ব্যবহৃত হচ্ছে। নীতিগত কারণে বাংলা উইকিপিডিয়াও এর ব্যতিক্রম নয়। কাজেই কাঠামোর বাইরে ভাবা যাবে না, এটা যথার্থ যুক্তি হতে পারে না। দিবস, পদক - এই সবকিছুও এক দৃষ্টিকোণ থেকে আপেক্ষিক। এখন "স্বাধীনতা" শব্দের বদলে যদি "মুক্তি" শব্দটি কোনো দেশের সার্বভৌমত্বকে নির্দেশ করতো, তবে আমরাও সেই শব্দটি ব্যবহারের পক্ষপাতী হতাম। কিন্তু এখানে বিবেচ্য হলো ১৯৭১ সালের যুদ্ধকে কী হিসেবে উল্লেখ করা হবে। এখন দিবস পদককে বিবেচনায় আনা হলে আমি বলবো, এক্ষেত্রেও "মুক্তি"কে উপেক্ষা করা হয়নি। উদাহরণস্বরূপ ১১ ডিসেম্বর "নান্দাইল মুক্ত দিবস", কারণ এদিন নান্দাইল যুদ্ধে পাকবাহিনী পরাজিত হয়। গতকাল (৬ ডিসেম্বর) ছিল "যশোর মুক্ত দিবস"। মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকবাহিনীর অধিকারমুক্ত এলাকা ছিল "মুক্তাঙ্গন" বা "মুক্তাঞ্চল"। অর্থে ও প্রয়োগে যেখানে যেটি সার্থক, সেটিই সেখানে ব্যবহার করা সমীচীন। তানভির ভাইয়ার মতে, "স্বাধীনতা যুদ্ধ" ও "মুক্তিযুদ্ধ" উভয় শব্দই সবক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। তবে আমি বলবো, উভয় শব্দের ব্যবহার সমান নয়। সর্বক্ষেত্রে, বিশেষ করে, অ্যাকাডেমিক দিক থেকে যদি দুইটি শব্দ সমান হতো, তবে নিশ্চয়ই দুই শব্দের ভারসাম্যপূর্ণ সহাবস্থান দেখতে পেতাম। অথবা কোনো একটি উৎসে কোনো একটির আধিক্য থাকলে, অন্য উৎসে অন্যটির আধিক্য থাকতো। কিন্তু পর্যবেক্ষণ বলছে, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির সাহিত্যপাঠ (শিক্ষাবর্ষ ২০১৮-১৯) বইয়ের সিলেবাসভুক্ত (এইচএসসি ২০২১) অংশে "স্বাধীনতা যুদ্ধ" (কেবল "স্বাধীনতা যুদ্ধ") শব্দটি এসেছে মাত্র ২ বার। কিন্তু "মুক্তিযুদ্ধ" এসেছে ১৬ বার। ২০১৬ শিক্ষাবর্ষের মাধ্যমিক বাংলা সাহিত্য, নবম-দশম শ্রেণি বইয়ের সিলেবাসভুক্ত (এসএসসি ২০১৮) অংশে কেবল "স্বাধীনতা যুদ্ধ" এসেছে ৩ বার, যেখানে "মুক্তিযুদ্ধ" এসেছে ২৩ বার। ২০১৪ শিক্ষাবর্ষের নবম-দশম শ্রেণির বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা বইয়ে যেখানে "স্বাধীনতা যুদ্ধ" শব্দ এসেছে মাত্র ৪ বার, সেখানে "মুক্তিযুদ্ধ" এসেছে ১২১ বার! তাতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় "বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ" টার্মেরও সমাবেশ ঘটেছে। ইতিহাস বইটিই শুরু হয়েছে এই লাইন দিয়ে - "১৯৭১ সালে আমাদের মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল।" বইয়ে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের অধ্যায়ের নাম "সত্তরের নির্বাচন ও মুক্তিযুদ্ধ"। ১৬৩ পৃষ্ঠায় ১৯৭১ সালের যুদ্ধের সংজ্ঞা দেওয়া হয়েছে - "[...] পাকিস্তানি সেনাদের সঙ্গে বাঙালি পুলিশ, আনসার ও সাধারণ মানুষের এক অসম লড়াই যা বাংলাদেশের ইতিহাসে মহান মুক্তিযুদ্ধ নামে পরিচিত।" এই একতরফা প্রয়োগই পার্থক্যটা তৈরি করে। পাশাপাশি এই ব্যবহার ঐতিহাসিকও। একাত্তরের দিনগুলিতে ৫ সেপ্টেম্বর ১৯৭১ তারিখে জাহানারা ইমাম লিখেছেন, "[...] কিন্তু শরীফ রাজি হতে পারছে না। যে সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে রুমী মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিয়েছে, সেই সরকারের কাছে মার্সি পিটিশন করলে রুমী সেটা মোটেও পছন্দ করবে না এবং ...।" কাজেই এতে ইতিহাস বিকৃত হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে না। দুই শব্দের প্রয়োগের এই পার্থক্যই নিবন্ধের নামকরণ নিয়ে এই বিস্তর আলোচনার সূত্রপাত করেছে। তাই আপাতদৃষ্টিতে নামকরণ নিয়ে আলোচনা অর্থহীন মনে হলেও, ভিত্তিহীন নয়। যারা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে মত দিচ্ছেন, তারাও এই পার্থক্য দ্বারাই প্রভাবিত। আর আমিও মনে করি, "বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ" হিসেবে এই নিবন্ধের নামকরণ নিবন্ধটিকে সার্থকভাবে উপস্থাপন করবে। — আদিভাইআলাপ০৫:১৪, ৭ ডিসেম্বর ২০২০ (ইউটিসি)
Meghmollar2017, প্রথমত, আমার কাছে "বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ" ও "বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ" একই জিনিস, সারা জীবন ছিল, সারা জীবনই থাকবে। আপনার কাছে কেন এই দুইটা জিনিস ভিন্ন মনে হচ্ছে সেটা এখনও আমার বোধগম্য হল না। এটার পেছনে কি কোনও বিশেষ ব্যক্তিগত বা রাজনৈতিক আবেগ কাজ করছে? জাহানারা ইমামের বইয়ের ব্যক্তিগত স্মৃতিচারণের উদ্ধৃতিতে এবং সাম্প্রতিক সময়ের পাঠ্যপুস্তকের উদ্ধৃতিগুলিতে হয়ত "মুক্তিযুদ্ধ" বেশি করে ব্যবহার করা হয়েছে, কিন্তু সেটাতে আমার মতে "বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ"-র ভার মোটেও কমে যায়নি। এটা সম্পূর্ণ লেখকের পছন্দ-অপছন্দের ব্যাপার। অতি সাম্প্রতিক কালে এসে পাঠ্যপুস্তকে বা অন্যত্র "মুক্তিযুদ্ধ" লেখার আপেক্ষিক আধিক্য যে হয়ত কোনও রাজনৈতিক ব্যবস্থাগত পক্ষপাত (political systemic bias)-এর ফসল হতে পারে, সেটাও মাথায় রাখতে হবে। বাংলাদেশে বিগত এক দশক ধরে বিভিন্ন বলয়ে এ ধরনের একপেশে ঘটনা যে ঘটছে, তা নিয়ে কথা বেশি না বাড়ানোই ভাল। এখন কথা হল বাংলা উইকিপিডিয়াতেও সেই সম্প্রতি-উদ্ভূত রাজনৈতিক ব্যবস্থাগত পক্ষপাতের প্রতিফলন ঘটা আবশ্যক কি না। আমার মতে এটা আবশ্যক না। বাংলা উইকির সম্পাদনা সম্প্রদায় তাদের নিজস্ব গতিতে চলবেন, চলতি হুজুগের বশবর্তী হয়ে নয়।
দ্বিতীয়ত, আমার যুক্তি ছিল যে চলতি হুজুগ, রাজনৈতিক ব্যবস্থাগত পক্ষপাত, দেশ-কাল-জাতি ইত্যাদির ঊর্ধ্বে উঠে শুধুমাত্র ভাষাগত দৃষ্টিকোণ থেকে উইকিপিডিয়াব্যাপী পারিভাষিক সাম্য বজায় রাখার স্বার্থে যেকোনও দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ সংক্রান্ত নিবন্ধের শিরোনামে "স্বাধীনতা যুদ্ধ" রাখাটাই কাম্য হওয়া উচিত। আপনার পালটা যুক্তি হল ইংরেজি উইকিতে এরকম করা হয় না, সেটা ঠিক আছে। কিন্তু ইংরেজি উইকির সবকিছু অন্ধের মতো অনুসরণ করাটাই আমাদের কাজ নয়। বাংলা উইকির নীতিমালা বাংলা উইকিপিডিয়ান সম্প্রদায় বানাবে। এখন সেই পারিভাষিক সমতা রক্ষার দৃষ্টিভঙ্গি থেকেও আপনি আমার সাথে একমত নন। আপনি মনে করছেন "বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ" এমনই ব্যতিক্রমী একটি পদগুচ্ছ, যার উপরে এ জাতীয় পারিভাষিক সামঞ্জস্যের নীতিভিত্তিক যুক্তি খাটে না। আপনার মতে Independence নয়, Liberation বেশি পছন্দনীয়; "স্বাধীনতা" নয়, বরং "মুক্তি"-ই বেশি পছন্দনীয়। বলাই বাহুল্য, আমি আপনার সাথে একমত নই, কারণ আমার এটা মাথাতেই ঢুকছে না কেন একটা আরেকটার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমার কাছে "বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ" আর "বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ" একই জিনিস, কোনওটাই ব্যতিক্রমী বা অধিকতর গুরুত্ববহ নয়। আপনার মতামতের অবশ্যই গুরুত্ব আছে, কিন্তু আপনি আপনার অবস্থানের স্বপক্ষে যে যুক্তি ও তথ্য দিয়েছেন, সেগুলি আমার তেমন জোরালো লাগছে না। যাই হোক, এ ব্যাপারে আমি আর কথা বাড়ানোর কোনও কারণ দেখছি না।--অর্ণব (আলাপ | অবদান) ০৯:৩৮, ৭ ডিসেম্বর ২০২০ (ইউটিসি)
@Zaheen: এখানে পছন্দনীয়-অপছন্দনীয়, আবেগ, রাজনৈতিক হুজুগ, পলিটিক্যাল সিস্টেমিক বায়াস কিংবা ব্যক্তিগত আবেগ থেকে কোনো আলোচনা শুরু করা হয় নি, না তো এটি কোনো পলিটিক্যাল হাইপোক্রিসি। না তো এখানে কোনো রাজনৈতিক মদদের প্রশ্ন আসে। উইকিপিডিয়ার একজন সাধারণ পাঠক হিসেবে এই আলোচনা শুরু করেছি এবং প্রথম থেকেই আলোচনায় পূর্বোক্ত বিষয়সমূহ দূরে সরিয়ে রেখে আমার মতো যুক্তি দাঁড় করানোর চেষ্টা করেছি। এতো দীর্ঘ আলোচনার পর আপনার মন্তব্য দেখে মনে হচ্ছে, হয় আমি তাতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছি অথবা আপনি বিষয়টি বুঝতে পারেন নি। আমি কখনোই বলি নি অন্য উইকিপিডিয়াকে অন্ধ অনুকরণ করতে, বরং অন্য উইকিপিডিয়ার দৃষ্টান্ত অবধারিতভাবেই এসেছে, কারণ হাজার হলেও সবগুলোই উইকিপিডিয়া এবং নীতিগত দিকে থেকে সবগুলোই সমান। ইংরেজি উইকিপিডিয়ার দৃষ্টান্ত যদি অপ্রাসঙ্গিক মনে হয়, তবে আপনার জন্য পিপিটি ভাই ইতোমধ্যেই জবাব দিয়ে রেখেছেন। বিগত দশ বছরের স্প্যানে যদি দলিলপত্র, আইন, মন্ত্রণালয়, বাংলাপিডিয়া, পাঠ্যবই, গণ-অনুসন্ধানের রেকর্ড, জাদুঘর অনিরপেক্ষ মনে হয়, তবে ১৯৭২ সনের সংবিধানে কেন ফিরে যাই না? ১৯৭৩ সনের আদেশগুলোতে কেন ফিরে যাই না, যেখানে যুদ্ধে অংশগ্রহণ ব্যক্তিদের "মুক্তিযোদ্ধা" হিসেবে সম্মানীত করা হয়? এখন জাহানারা ইমাম নিশ্চয়ই ১৯৭১ সালে বসে বাংলাদেশের একটি সাবেক শাসক দলের বিরুদ্ধবাদিতা করবেন না। আমরা আপনার ইচ্ছা এবং পছন্দকে অবশ্যই সম্মান করি। কিন্তু এখানে যারা "মুক্তিযুদ্ধ" এর পক্ষে বক্তব্য রেখেছেন তাদের মতামতকেও উপেক্ষা করার অবকাশ নেই। সাধারণ পাঠক হিসেবে আমার আলোচনা শুরু করার উদ্দেশ্য খুবই সাধারণ। দয়া করে সেটিকে অসাধারণ করে তুলবেন না। — আদিভাইআলাপ১২:৪৬, ৭ ডিসেম্বর ২০২০ (ইউটিসি)
দেখুন, আপনার যুক্তিগুলি যে আগ্রহজনক তাতে কোনও সন্দেহ নেই। কিন্তু শুধু আমি কেন, আমার আগের প্রজন্ম মানে আমার বাবা-মা'র প্রজন্ম, যারা আসলেই মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন, আমার পরিবারের সেই বয়োজ্যেষ্ঠদেরকেও আমি আজকে জিজ্ঞাসা করে দেখলাম এবং তাদের কাছেও "মুক্তিযুদ্ধ" ও "স্বাধীনতা যুদ্ধের" মধ্যে কোনও পার্থক্যই নেই। আপনি কোন্‌ প্রজন্মের লোক আমি জানি না। আমার মা নিজে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের একজন কর্মী ছিলেন, আপনার উল্লেখ করা জাহানারা ইমামের বইতে আমার মায়ের নামও আছে। আমার শ্বশুর-শাশুড়ী নিজে মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছিলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের নিজগৃহে আশ্রয় দিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁরা কেউই এই দুইয়ের মধ্যে আপনার মতো করে এরকম কোনও পার্থক্যই করেন না। আশা করি কেন আপনার যুক্তি বুঝতে আমি ব্যর্থ হয়েছি, সেটা বুঝতে পারবেন। একটাকে কেন আরেকটার উপরে জায়গা দিতে হবে, এটা নিয়ে কেন এরকম সুদীর্ঘ তর্ক (আমার মতে কুতর্ক) করতে হবে, এটা এখনও আমার মাথাতেই ঢুকছে না। আপনি আপনার পূর্ববর্তী প্রজন্মের, বিশেষ করে মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মের শিক্ষিত যে কাউকে সরল মনে নিজের মতামত চাপিয়ে না দিয়ে জিজ্ঞাসা করে দেখুন, আমি নিশ্চিত যে তারা এই দুইয়ের মধ্যে কোনই পার্থক্য করবেন না। দুটাই তাদের কাছে সমার্থক। যদি ব্যক্তিগত আবেগ, ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দ, রাজনৈতিক হুজুগ, বা পরোক্ষ রাজনৈতিক ব্যবস্থাগত পক্ষপাত থেকে আপনি যুক্তিগুলি না দিয়ে থাকেন, তাহলে কীসের ভিত্তিতে এই দীর্ঘ আলোচনা হচ্ছে? আমরা কি শুধু তর্কের খাতিরেই তর্ক করে যাচ্ছি? আপনাকে আঘাত দিতে চাচ্ছিনা, কিন্তু আমি বলতে বাধ্য হচ্ছি যে আমার কাছে এটা একটা সম্পূর্ণ কৃত্রিমভাবে জোর করে চাপিয়ে দেওয়া নব্যসৃষ্ট, নিরর্থক ভাষাগত সমস্যা মনে হচ্ছে। আপনিই এখানে দুটো "সাধারণ" সর্বজনবিদিত সমার্থক পরিভাষার মধ্যে "অসাধারণ" পার্থক্য করতে চাইছেন, অথচ আসলেই মুক্তিযুদ্ধ করেছেন যে প্রজন্ম বা যারা তাদের সন্তান (যেমন আমার প্রজন্ম), তারা এই পার্থক্য করেন না। আপনি যদি তর্ক করার খাতিরে "বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ" কথাটা শিরোনাম করতেই হবে, এরকম জেদ ধরেই বসেন, তাহলে বলতে বাধ্য হচ্ছি যে সেটাকে অন্তত আমার দৃষ্টিকোণ থেকে একটা শিশুসুলভ আবেগ ছাড়া আর কিছুই মনে হওয়া ছাড়া উপায় নেই। কারণ আমি আমার নিজের জীবনের চার দশকের অভিজ্ঞতা ও আমার আগের মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মের ছয় দশকের অভিজ্ঞতা মিলিয়ে এরকম কোনও পার্থক্যই অনুভব করিনি। এখন মনে হচ্ছে যে বাচ্চাকে যেমন পছন্দের চকলেট কিনে না দিলে ঘ্যানঘ্যান করতে থাকে, আপনাকেও হাজার বোঝালেও আপনার পছন্দের এই শিরোনাম না দিলে আপনি তর্ক করতেই থাকবেন। সেটা নিয়ে আমার তেমন আগ্রহ নেই। শিরোনাম যদি "বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ" করাও হয়, তাহলে কারোরই এমন কোনও আহামরি সমস্যা হবে না। তবে হলে সেটা হবে আপনার অহেতুক তর্কপ্রিয়তার জয়। --অর্ণব (আলাপ | অবদান) ১৪:৩৫, ৭ ডিসেম্বর ২০২০ (ইউটিসি)
@Zaheen: ভাই, মতের অমিল হতেই পারে। জেনারেশন গ্যাপের কারণে আপনার সাথে আমার মত না-ই মিলতে পারে। কিন্তু তার জন্য "অতর্ক, কুতর্ক, ঘ্যানঘ্যানানি" ইত্যাদি শব্দ আপনার কাছ থেকে পাবো, তার আশাই করি নি। যাই হোক, আপনার মন্তব্যের পর আর কী যুক্তি খাটে, আদৌ খাটে কিনা, তা আমার জানা নাই। শুধু একটি "সামান্য বিষয় নিয়ে বিস্তর তর্ক-বিতর্ক" থেকে শেষমেষ ব্যক্তি পর্যায়ের আক্রমণ হয়তো নির্ধারিতই ছিল। আমিও শুধু তর্কের জন্য তর্ক করে যেতে চাই না। তবে যেটা আপনার কাছে "অহেতুক তর্কপ্রিয়তার জয়", সেটাই এখানকার আলোচনায় একটা বড় অংশের মতের প্রতিফলন। অন্তত তাদের মতের প্রতি সম্মান আমি আপনার বক্তব্যে আশা করেছিলাম। যাই হোক, আপনার বক্তব্য অনুযায়ীও শিরোনাম যদি "বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ" করাও হয়, তাহলে কারোরই এমন কোনও আহামরি সমস্যা হবে না। তবে তাই হোক। পরের অংশটুকু ধরে মনোমালিন্য বাড়াবো না। — আদিভাইআলাপ১৬:৪৯, ৭ ডিসেম্বর ২০২০ (ইউটিসি)
পুনশ্চঃ আলোচনার সিদ্ধান্ত যাই হোক, দিনশেষে এটি একটি অনলাইন প্লাটফর্ম (অনেকটা ফেসবুকের মতোই)। কাজেই এই আলোচনায় কোনো কথার জেরে আশা করি তা বৃহত্তর ক্ষেত্রে ব্যক্তি পর্যায়ে মনোমালিন্যের সৃষ্টি করবে না। আমি অন্তত এতটুকুই চাই।  আদিভাইআলাপ১৬:৪৯, ৭ ডিসেম্বর ২০২০ (ইউটিসি)
বড় অংশের প্রতিফলন? আমি তো দেখতে পাচ্ছি যে আমি, তানভির, সুব্রত, আফতাব কমপক্ষে চারজন প্রশাসক প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে "বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ" শিরোনামেই রেখে দেবার পক্ষে মত দিয়েছেন, কারণ আমাদের কাছে এই দুইয়ের মধ্যে কোনও পার্থক্য নেই। আর বাংলা উইকিপিডিয়ার আলাপ পাতা আর ফেসবুকের তর্কের খাতিরে তর্ক করা আলোচনার মধ্যে পার্থক্য আছে। আমি যেখানে বলছি যে যেখানে খোদ মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী প্রজন্ম ও তাদের সন্তানদের প্রজন্মই যেখানে এই ধরনের বিভেদ মানেন না, সেখানে আপনি "জেনারেশন গ্যাপ"-এর নাম করে চাতুর্যের সাথে নিজের মতের ভার বজায় রাখতে চাইছেন। এভাবে স্বাধীনতার ৫০ বছর পরে এসে "স্বাধীনতা যুদ্ধ" আর "মুক্তিযুদ্ধ"-র মধ্যে কৃত্রিমভাবে সুক্ষ্ম পার্থক্য সৃষ্টি করতে চাইলে একটু বাধার সম্মুখীন তো হতেই হবে, তাই না? আমরা কি তাহলে এখন থেকে ২৬শে মার্চকে "মুক্তি দিবস" বলব? ২৫শে বা ২৬শে মার্চ কি "স্বাধীনতার ঘোষণা" দেওয়া হয়েছিল নাকি "মুক্তির ঘোষণা" দেওয়া হয়েছিল? "এক সাগর রক্তের বিনিময়ে বাংলার মুক্তি আনলো যারা" এভাবে গাইবো? "স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র"-কে "মুক্ত বাংলা বেতার কেন্দ্র" বলব? ৭ই মার্চের ভাষণে শেখ মুজিব যে গর্জন করে কণ্ঠে জোর দিয়ে শেষ করেছিলেন "এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম!" সেই অংশটার গুরুত্ব কমে যাবে, নাকি সেটা সেন্সর করতে হবে? আমরা কি দেশ "স্বাধীন" করিনি, শুধু "মুক্ত" করেছি? এটা কি কোনও তর্কের বিষয় হলো? আমার মাথাতে এখনও ঢুকছে না। যাই হোক, আপনার প্রতি আমার কোনই ব্যক্তিগত বিদ্বেষ নেই। এটা নিয়ে আপনার সাথে মনোমালিন্যের কোনও প্রশ্নই আসে না। আপনি বাংলা উইকিপিডিয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অবদানকারী। আপনার প্রতি শুভকামনা ছাড়া আর কিছুই নেই। তবে আমার তো মনে হয় বাংলা উইকিতে ভাষা নিয়ে এমন অদ্ভূত, অধিবাস্তব আলোচনাতে আমি আগে কখনও অংশ নেইনি। --অর্ণব (আলাপ | অবদান) ১৮:১৮, ৭ ডিসেম্বর ২০২০ (ইউটিসি)
@Zaheen: আপনার শুভকামনার জন্য ধন্যবাদ। আমি শুধু শুধু তর্ক করে নিজেকে হীন প্রমাণ করতে চাই না। তবু যখন এতটা বাড়লো-ই, তখন আরেকটু বাড়াই। আপনার এতোগুলো প্রশ্নের জবাবে আমি আবারও বলবো, "আমি মনে করি মুক্তিযুদ্ধ নিবন্ধটিকে অধিক সার্থকভাবে রিপ্রেজেন্ট করতো।" খুবই লেইম যুক্তি, সন্দেহ নাই। শেষমেষ ধৃষ্টতার সাথেই একটি সামান্য প্রশ্ন করি, সাধারণভাবে দুইটি শব্দই সমান অর্থ প্রকাশ করে, আপনার কাছে দুইটির কোনো পার্থক্য নেই। তাহলে অধিক প্রচলন ও বাংলাদেশের সংবিধান (আমি বিশ্বাস করি প্রচলন রাজনৈতিক প্রপাগান্ডা হলেও, অন্তত আপনার কাছে দেশের সংবিধানের মর্যাদা আছে) অনুসারে নিবন্ধটিকে "মুক্তিযুদ্ধ" এ নিতে আপত্তি কোথায়? প্রশ্নটা আমি এমনিই জানার জন্য জিজ্ঞাসা করছি, তর্কের খাতিরে নয়। — আদিভাইআলাপ০২:২৮, ৮ ডিসেম্বর ২০২০ (ইউটিসি)
@Meghmollar2017:, মুক্তিযুদ্ধ নিতে তাদের আপত্তির প্রধান কারণ শিরোনামের নিরপেক্ষতা। আপনি বলছেন, শিরোনামের নিরপেক্ষতা নষ্ট হয়নি। এটাই হচ্ছে প্রধান কারণ, কিন্তু আলোচনা দলিলপত্র, সংবিধান, বাংলাপিডিয়া, প্রচলন, রাজনৈতিক বিতর্ক, পাঠ্যবই ছাপিয়ে অনেক দূর চলে গেছে। একই যুক্তি আপনারা ঘুরিয়ে-প্যাঁচিয়ে দেখাচ্ছেন - এটা নিরপেক্ষ, প্রচলিত এবং সুব্যবহৃত। আবার কেউ বলছেন এটি প্রচলিত তো বটেই, তবে নিরপেক্ষ নয় এবং স্বাধীনতা যুদ্ধও তো সুব্যবহৃত। যুক্তির এ যুদ্ধ কখনোই অবসান হওয়ার নয়। সবচেয়ে ভালো হতো , যদি আমরা এক্সপার্ট অপিনিয়ন পেতাম। ইংরেজি উইকিপিডিয়ায় এক্সপার্টরা সম্পাদনা করলেও বাংলা উইকিপিডিয়ায় প্রায় সবাই সাধারণ মানুষ। এর ফলে বিতর্ক গড়িয়ে অনেক দূর চলে যায়। তবে বাংলা উইকিপিডিয়ায়ও ফয়জুল লতিফ চৌধুরীর মত পণ্ডিত ব্যক্তিরা সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন, তিনি কনক্লুডিং অপিনিয়ন দিতে পারলে ভালো হতো। আমি যেটুকু বলব- আপাতত যে শিরোনামটি আছে, সেটিই থাকুক। কারণ শিরোনাম পরিবর্তনের জন্য যে কনসেনসাস দরকার, সেটা আপনি আপাতত পাচ্ছেন না। আর এখানে আলোচকরা সুকৌশলে একে অপরকে ব্যক্তিগত অপমান করছেন। এসব বন্ধ করা হোক। Ppt2003 (আলাপ) ০৫:৩৪, ৮ ডিসেম্বর ২০২০ (ইউটিসি)
অন্যের কথা আমি জানি না, কিন্তু বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে "মুক্তিযুদ্ধ" আর "স্বাধীনতা যুদ্ধ"-র মধ্যে কোনওটাই একটা আরেকটার চেয়ে বেশি বা কম নিরপেক্ষ নয়, একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে এটাই আমি সারা জীবন বুঝে এসেছি। তবে আমি একটু সংবিধানের ইতিহাস ঘেঁটে দেখলাম যে "মুক্তি" বনাম "স্বাধীনতা" ব্যাপারটা নিয়ে আগে থেকেই একটা দোটানা চলছে। ১৯৭২-এর সংবিধানে বলা হয়েছে "জাতীয় মুক্তির জন্য ঐতিহাসিক সংগ্রাম" (historical struggle for national liberation)। সেটাকে ১৯৭৮ সালের ২য় ঘোষণাপত্রের পরিবর্তন করে "জাতীয় স্বাধীনতার জন্য ঐতিহাসিক যুদ্ধ"-তে (historical war for national independence) পরিবর্তন করা হয়। এরপর ৩৩ বছর পরে সম্প্রতি ২০১১ সালে ১৫শ সংশোধনীতে এসে আবার সেটাকে "জাতীয় মুক্তির জন্য ঐতিহাসিক সংগ্রাম"-এ ফেরত নেওয়া হয়। অর্থাৎ সংবিধানের ভাষা নিয়ে নেপথ্যে রাজনৈতিক শ্রেণীর মানুষদের মধ্যে এক ধরনের দলগত রাজনৈতিক ক্রীড়া বা দ্বন্দ্ব চলছে। মানে "মুক্তির সংগ্রাম" বা "মুক্তিযুদ্ধ" বললে আপনাকে সুক্ষ্মভাবে রাজনৈতিকভাবে এক দিকে, আর "স্বাধীনতা যুদ্ধ" বললে আপনাকে আরেক দিকে মনে করা হবে, খোদ সংবিধানের ইতিহাস যার সাক্ষী। অর্থাৎ আমজনতার জন্য দুইটি সমার্থক পরিভাষার নেপথ্যে এক ধরনের অনাকাঙ্খিত রাজনৈতিক মেরুকরণ ঘটেছে। তার মানে আমি একটু আগে যে আশঙ্কা করেছিলাম যে এই কুতর্ক যে রাজনৈতিক ব্যবস্থাগত পক্ষপাতজনিত ("systemic political bias") সংঘাতের ফসল, এটা আসলে তারই একটা খুবই দুঃখজনক উদাহরণ। আমি এই বিতর্ক থেকে নিজেকে সরিয়ে নিচ্ছি।--অর্ণব (আলাপ | অবদান) ০৬:৪০, ৮ ডিসেম্বর ২০২০ (ইউটিসি)
আচ্ছা, আরেকটা প্রসঙ্গ, আবদুল করিম খন্দকার যে তার ১৯৭১: ভেতরে বাইরে বইতে বললেন, শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়ার সাহস করেন নি, তাজউদ্দীন তাঁকে সেই ঘোষণা দিতে রাজে করাতে পারেন নি, পরে তাঁর নাম ব্যবহার করে সে সময়ের উচ্চপদস্থ লোকেরা স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে প্রচার করেছে জাতিকে বার্তা দেওয়ার জন্য, এই তথ্যটি কি উইকিপিডিয়ায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ নিবন্ধে কোন উল্লেখযোগ্য ও বিশ্বকোষীয় মূল্য বহন করবে? আমি এছাড়াও অনেকের কাছ থেকেই কাছ থেকেই শুনেছি, তাজউদ্দীন নাকি মুক্তিযুদ্ধে শেখ মুজিবের চেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছিলেন, জেলখানায় থাকাকালীন শেখ মুজিবের বড় কোন ভূমিকা নাকি ছিল না, দেশবাসী তাঁকে নেতা মানত বলে তাঁর নাম তখন নেতৃত্বের প্রেরণা হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। অনেক বয়োজ্যেষ্ঠ আওয়ামী লীগ পন্থী শ্রদ্ধাভাজন লোকের কাছেও এবং পাশাপাশি অন্য অনেক প্রবীণ লোকের কাছেও আমি এই ব্যাপারে এমন বার্তা পেয়েছি, যারা সেই সময়ের কাছাকাছি ছিলেন, তাছাড়া বাকশাল সরকারের সময়েও তাজউদ্দীন শেখ মুজিবের সঙ্গে অভিমান করে বাকশাল থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন, যেহেতু এই বিতর্কটি সবাইকে আমি লোকচক্ষুর অন্তরালে বহুবার করতে শুনেছি, তাহলে কি ধরে নেবো যে এই স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে বিতর্ক বিষয়ক তথ্যটি বিশ্বকোষে স্থান পাবার মত গুরুত্বপূর্ণ? আর আমার বিশ্বাসভাজন অনেক বয়োজ্যেষ্ঠ লোকের কাছে আমি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক যে বর্ণনা শুনেছি, তাঁর বেশিরভাগই একে খন্দকারের বর্ণনার কাছাকাছি চলে যায়। আমার মনে হয়, ফয়জুল লতিফ চৌধুরী স্যার, সবচেয়ে ভালো সমাধান দিতে পারতেন এই ব্যাপারে। বাংলাদেশের রাজনীতির প্রেক্ষাপটে খুবই স্পর্শকাতর আলোচনা করছি, ২০১৩-এর শুরু থেকে ২০১৯ পর্যন্ত গণমাধ্যমে, রাজনীতি মহলে আর বুদ্ধিজীবী মহলে এ নিয়ে আলোড়ন চলেছে, তাছাড়া বইটি প্রথমার মত একটি প্রকাশনী থেকে করা, মতিউর রহমান নাকি একে খন্দকারকে বই সংশোধনের ব্যাপারে বারণ করে বলেছিলেন, যেই গুলি একবার ছুড়েছেন, তা আবার ফিরিয়ে নেবেন কীভাবে, এমন কঠিন কথা যেখানে বলা হয়, সেখানে স্বভাবতই মনে প্রশ্ন জাগে। কারণ রাজনীতি ও রাজনৈতিক সত্যতার সাথে প্রতিটি মানুষের অধিকার সরাসরি জড়িত, তাই এ বিষয়ে তথ্য খুবই স্পর্শকাতর। তাই আমার মনে হয় এখানে বিষয়গুলোর উল্লেখযোগ্যতা নিয়ে একটু ভয়হীনভাবে কথা বলতে পারলে উইকিপিডিয়ার তথ্য বিষয়ক নৈতিকতার জায়গাটা আরও দৃঢ় হয়। এতোগুলো কথা বললাম কারণ বাংলাদেশের স্বাধীনতার যুদ্ধ নিবন্ধের একটি চুম্বক অংশ হল স্বাধীনতার ঘোষণা। 103.67.158.51 (আলাপ) ১৪:৫২, ৮ ডিসেম্বর ২০২০ (ইউটিসি) অহেতুক ভিন্ন প্রসঙ্গের অবতারণা। — আদিভাইআলাপ১৫:০৩, ৮ ডিসেম্বর ২০২০ (ইউটিসি)
@Wikitanvir, Meghmollar2017, আফতাবুজ্জামান, Zaheen, Suvray, Aishik Rehman, Ppt2003, এবং MdsShakil: দুঃখজনক হলেও সত্য, আলোচনা ভিন্ন খাতে মোড় নেওয়ার পথে। আলোচনার মাঝে বারবার "এক আইপির" অযাচিত অনুপ্রবেশ ছাড়াও, হয়েছে অনাকাঙ্খিত ব্যক্তিগত আক্রমন (রাজনৈতি মতাদর্শ নিয়ে)। তাই সবাইকে অনুরোধ করছি গঠনমূলক আলোচনায় ফিরে আসতে।
সর্বপ্রথম আদিব ভাই অধিক প্রচলণ ও সরকারি ব্যবহারের কারণে নিবন্ধটিকে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নামে স্থানান্তরের প্রস্তাব করেন। কিন্তু তানভির ভাই জাতিগত আবেগের কথা বলে এই নামটিকে "অনিরপেক্ষ" বলেন। এরপর আদিব ভাই হিন্দি উইকিতে মুক্তিযুদ্ধ শব্দের ব্যবহার উল্লেখ করে শব্দটির আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতার কথা বলেন। পাশাপাশি আফতাবুজ্জামান ভাই দুটো শব্দকেই সমান নিরপেক্ষ বলেন। এর মাঝে তানভির ভাই, স্বাধীনতা যুদ্ধের দলিলপত্র বইটার কথা উল্লেখ করলে আমি বলেছিলাম যে, বইটি প্রকাশের সময় সাংবিধানিক ভাবে স্বাধীনতা যুদ্ধ ছিল, কিন্তু স্বাধীনতার পর পর এবং বর্তমান সংবিধানানুসারে মুক্তিযুদ্ধ হওয়ায় আমি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে সমর্থন ব্যক্ত করি। কিন্তু আমি প্রথম বার্তায় "বিশেষ ব্যক্তির" নাম লেখায় কিছুটা ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়। এছাড়াও ব্যবহারকারী:Ppt2003 সাহেবও প্রথমে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে সমর্থন দেন। এরপর সুব্রত স্যার বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের পক্ষে মতামত দেন। এই পর্যন্ত আইপির অযাচিত মন্তব্য ছাড়া পরিবেশ ঠান্ডাই ছিল। কিন্তু সম্মানিত প্রশাসক জাহিন ভাই এবং আদিব ভাইয়ের মধ্যে কিছু ভুল বোঝাবুঝির কারণে পরিবেশ উত্তপ্ত হয়ে উঠে।
প্রথমত তিনি মনে করেছিলেন আদিব ভাই বলতে চাচ্ছেন "বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ" ও "বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ" আলাদা জিনিস। আবার তাঁর মতে “"মুক্তিযুদ্ধ" লেখার আপেক্ষিক আধিক্য যে হয়ত কোনও রাজনৈতিক ব্যবস্থাগত পক্ষপাত”। তিনি আরও ভাবছেন, মুক্তিযুদ্ধ ব্যবহারের পক্ষপাতিরা সবক্ষেত্রে "স্বাধীনতা" শব্দের বিরোধী। ২৬শে মার্চ "মুক্তি দিবস", "মুক্তির ঘোষণা", "এক সাগর রক্তের বিনিময়ে বাংলার মুক্তি আনলো , "মুক্ত বাংলা বেতার কেন্দ্র" ইত্যাদি বিষয়ের অবতারনা করেন। কিন্তু বাংলা উইকির সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী প্রশাসকের মন্তব্যে “অতর্ক, কুতর্ক, ঘ্যানঘ্যানানি” ইত্যাদি শব্দের ব্যবহার দুঃখজনক। এছাড়াও আরও কিছু বিষয় নিয়ে অনেক জলঘোলা হয়েছে।
সবার প্রতি সম্মান রেখে, এই প্রেক্ষিতে আমি বলতে চাই, আদিব ভাই কখনোই স্বাধীনতা যুদ্ধ শব্দটির অবমূল্যায়ন করেননি এবং “স্বাধীনতা যুদ্ধ” এবং “মুক্তিযুদ্ধ” শব্দদ্বয়ের মধ্যে একটাকে আরেকটার উপরে স্থান দিয়ে এদের মধ্যে কোন বিভেদ সৃষ্টি করেননি। বাঙালি জাতি তথা বাংলাদেশি হিসেবে আমাদের কাছে দুটো শব্দই সম-মর্যাদার, সমার্থক। এখানে আমাদের মধ্যে কোন রাজনৈতিক মতাদর্শ কাজ করেনি, বরং আদিব ভাইয়ের এই প্রস্তাব করার কারণ হচ্ছে “মুক্তিযুদ্ধ” শব্দটা অধিক প্রচলিত। এর মানে এই নয় যে, স্বাধীনতা যুদ্ধ নামটাকে ছোট করা হচ্ছে। জাহিন ভাই নিজেই বলেছেন “"মুক্তিযুদ্ধ" ও "স্বাধীনতা যুদ্ধের" মধ্যে কোনও পার্থক্যই নেই”। আদিব ভাইয়ের বক্তব্য কিন্তু এটার সাথে সাংঘর্ষিক নয়। দুটোর মধ্যে পার্থক্য না থাকায় যেটা অধিক প্রচলিত, তিনি সেটাই প্রস্তাব করেছেন।
এবার আমি আমার অবস্থান পরিষ্কার করছি। আমার কাছে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ শব্দটি শ্রুতিমধুর ও কিছুটা ‘ফর্মাল’ মনে হচ্ছে। তবে "অধিক প্রচলনের কারণে" আমি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নামটিকেই এগিয়ে রাখব।
এই আলোচনার মূল বিষয়বস্তু ছিল স্বাধীনতা যুদ্ধের বদলে মুক্তিযুদ্ধ শব্দটির নিরপেক্ষতা কতটুকু এবং কোনটি দাপ্তরিকভাবে এবং কোনটি সার্বজনীনভাবে অধিক প্রচলিত। তাই এই মূল বিষয়গুলো বাদ দিয়ে অন্য কোন অপ্রাসঙ্গিক বিষয়ের অবতারনা না করার অনুরোধ করছি।
আমার এই দীর্ঘ মন্তব্য পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। দীর্ঘ মন্তব্যের কারণে কারো যদি ধৈর্যচ্যুতি ঘটে কিংবা এই বক্তব্যে কাওকে যদি কোনভাবে আঘাত দেওয়া হয়, তার জন্য আমি আন্তরিক ভাবে ক্ষমাপ্রার্থী। আর কোন বক্তব্যে আঘাত পেয়েছেন, তা চিহ্নিত করে জানালে আমি পুনরায় ক্ষমা চেয়ে আমি তা কেটে দিব। ≈ MS Sakib  «আলাপ» ১৩:২৭, ৯ ডিসেম্বর ২০২০ (ইউটিসি)
@Meghmollar2017 এবং MS Sakib: বিশ্বকোষে সাধারণত ফর্মাল ও সুস্পষ্ট নিবন্ধ শিরোনাম-ই ব্যবহার হয়, সুতরাং সেদিক থেকে চিন্তা করলেও এই শিরোনাম ঠিক আছে। আমার আগের যুক্তিগুলোর মধ্যে কিন্তু এটাও ছিলো। এছাড়াও অনেকে অনেক কারণ বলেছেন। আমি মনে করি এখানে সবাই তাদের অবস্থান সুস্পষ্ট করেছেন এবং তাতে ‘বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ’ শিরোনামের পক্ষে সুস্পষ্ট ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়নি। নতুন করে কোনো যুক্তির আগমন না ঘটলে এই মুহুর্তে এখানে আলোচনার কিছু নেই, বরং তা দুপক্ষের কাছেই ঘ্যানঘ্যানানি মনে হবে, আর তর্কটিও হবে নিষ্ফল।
আরেকটি অনুরোধ, অনুগ্রহ করে জাহিন ভাইয়ের মন্তব্যকে ব্যক্তিগত আক্রমণ হিসেবে নেবেন না। ব্যক্তিগতভাবে আমি যতোদূর বুঝি (সুদীর্ঘ উইকি জীবনে উনার সাথে আমার প্রচুর তীব্র বাদানুবাদ হয়েছে এমনকী মোটামুটি সাম্প্রতিকালেও যা পূর্বের বিভিন্ন আলোচনায় আপনারা দেখতে পারেন) উনি ব্যক্তিগত আক্রমণ হিসেবে এমনটি বলেন না। ‘কুতর্ক’ বা ‘ঘ্যানঘ্যানানি’ শব্দ দ্বারা তিনি আলোচনার অবস্থানকে বোঝাতে চেয়েছেন বলেই আমি মনে করি। অস্বীকার করবো না, এতে রুঢ়তার ছাপ থাকতে পারে; সোজাসাপ্টা কথা রুঢ়তা মনে হতে পারে, যা বেশিরভাগ আলোচনার জন্য হয়তো কোনো খুব শান্তধারার শব্দ নয় বা আলোচনাকারী দুঃখ পেতেও পারেন। আরেকটি বিষয়, আইপির প্রবেশটিকে যে আপনারা জল ঘোলার কারণ বলে বলছেন, আমি নিজে তা মনে করি না। যারা বিরোধিতা করেছেন তারা তাদের অবস্থান থেকে যুক্তি সহকারেই করেছেন সেখানে আইপির কারণে প্রভাবান্বিত হয়ে তা করেননি, আমি নিজেও না। তারপরেও কয়েক জায়গায় ঐ আইপির এধরনের প্রচেষ্টা ও অন্যান্য স্থানে ধ্বংসপ্রবণতার কারণে আমি ঐ আইপির দুইটি রেঞ্জ ১ সপ্তাহের জন্য বাধাপ্রদান করি। তাই আপনারা এখনও যদি মনে করেন আইপির কারণে আমাদের মতামত পরিবর্তিত হয়ে আলোচনার দিক ঘুরেছে তবে ভুল বুঝছেন। যুক্তির ব্যাখ্যায় হয়তো অনেক উদারহণ পছন্দীয় বা যুক্তিযুক্ত মনে নাও হতে পারে তবে তা যে-কোনো যুক্তিপূর্ণ আলোচনার অংশ।
আর আইপি ব্যবহারকারীর প্রতিও আমার অনুরোধ থাকবে উনার রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট সংশ্লিষ্ট যুক্তি নিয়ে না আসার, আসলে কিছুক্ষণ আগে যেমন তা রোলব্যাক করা হয়েছে তেমনটি-ই করা হবে। এই নামকরণে কেউ রাজনৈতিক পক্ষ থেকে পক্ষ-বিপক্ষ নেননি, তবুও রেফারেন্স ও বিশ্লেষণের খাতিরে যতোটুকু রাজনৈতিক পরিস্থিত বা কার্যকারণ নিয়ে আলোচনা হয়েছে তা হয়ে গেছে, এবং নতুন করে কিছু আলোচনা করা উচিত হবে না। এজন্য আপনাকে বিশেষভাবে এ ধরনের আলোচনা থেকে বিরত থাকার অনুরোধ। অংশগ্রহণকারী সবাইকে অনেক ধন্যবাদ। — তানভির১৭:৫২, ৯ ডিসেম্বর ২০২০ (ইউটিসি)
@MS Sakib: আমার মনে হয় আলোচনার মোড় ঘোরেনি। বরং আলোচনা আলোচনার গতিতেই চলছে। জিনিসগুলি আলোচনা করে করেই পরিস্কার করতে হবে। আর আলোচনার মধ্যে যদি খানিকটা উত্তাপ প্রবেশ করেও থাকে, তাহলে আলোচনার বিষয়বস্তুর কারণেই প্রবেশ করেছে। আমরা তো যন্ত্র নই, মানুষ। হাজার হাজার শব্দের মধ্যে "কুতর্ক", "ঘ্যানঘ্যান", এরকম হাতেগোনা দু-একটা শব্দ আমার বিরক্তির বহিঃপ্রকাশ, তবে আপনার বা আদি ভাইয়ের good faith নিয়ে আমার এখনও কোনও সন্দেহ নেই। আশা করি আপনাদেরও আমার good faith নিয়ে কোনও সমস্যা নেই। যাই হোক, আপনার শেষ বক্তব্যে আমার কাছে এটা স্পষ্ট হয়েছে যে আপনার কাছে "বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ" ও "বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ" সম্পূর্ণ সমার্থক ও সমান ওজনের হলেও শিরোনাম হিসেবে আপনার কাছে অধিক পছন্দসই, কেননা এটা সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশের বিভিন্ন লিটারেচারে "বেশী প্রচলিত"এবং সাম্প্রতিককালে দাপ্তরিক পরিভাষায় এটি প্রাধান্য পেয়েছে। তাই তো?
আপনার বক্তব্যের প্রেক্ষিতে আমার মাথায় থাকা যুক্তিগুলিকে দুইভাবে সাজাচ্ছি। শুরুতে আলোচনা করি কেন এই মুহূর্তে এই উইকিপিডিয়া নিবন্ধের শিরোনাম "বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ" শিরোনামে স্থানান্তর করা নিষ্প্রয়োজন। প্রথমত, যদি ধরেই নিই যে মুক্তিযুদ্ধ পরিভাষাটা বাংলাদেশে বর্তমানে বেশি প্রচলিত, তাহলে সেই "পরিসংখ্যানিক প্রবণতা"টি হয়ত "সাম্প্রতিক" (কেননা আদিভাই যে উদাহরণগুলি দিয়েছেন, সেগুলি সাম্প্রতিক আর আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা বলে যে খোদ মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম ও মুক্তিযুদ্ধের সন্তানদের প্রজন্ম দুটোই সমান অর্থেই, সমান ওজনেই ব্যবহার করেন, হয়ত মুক্তিযুদ্ধ বলতে কম শক্তি খরচ করা লাগে, মুক্তি দুই সিলেবল, স্বাধীনতা চার সিলেবল, সেজন্য মুক্তিযুদ্ধ বেশি বললেও বলতে পারেন, কিন্তু এটা নিয়ে বাংলাদেশের ৫০ বছরের ইতিহাসে কোনও ভাষিক ব্যবহারের পরিসংখ্যানগত গবেষণা হয়েছে কিনা আমার সন্দেহ আছে)। দ্বিতীয়ত, দাপ্তরিকভাবে মুক্তিযুদ্ধ পরিভাষাটি বেশি প্রচলিত হবার সাম্প্রতিক প্রবণতাটি আমার মতে হয়ত "রাজনৈতিক ব্যবস্থাগত পক্ষপাতের" এক ধরনের প্রতিফলন (সাংবিধানিকভাবেও ১৯৭৮ সালের ৩৩ বছর পরে ২০১১ সালের সংশোধনীতে এসে "মুক্তির সংগ্রাম"কে "স্বাধীনতার যুদ্ধ" অপেক্ষা বেশি পছন্দ করা হয়েছে)। এমতাবস্থায় আমার উপরের অনুমানগুলি যদি সত্য হয়, তাহলে আমার মতে উইকিসম্প্রদায়ের জন্য বর্তমান নিবন্ধের শিরোনাম পরিবর্তন করাটা প্রয়োজনীয় নয়। কেননা নিবন্ধের শিরোনাম পরিবর্তনের জন্য "সাম্প্রতিক পরিসংখ্যানিক প্রবণতা" ও "রাজনৈতিক ব্যবস্থাগত পক্ষপাত"-জনিত "সাম্প্রতিক দাপ্তরিক প্রচলন বৃদ্ধি" আমার মতে যথেষ্ট নয়। অর্থাৎ দুইটি সমার্থক, সমান ওজনের পরিভাষার মধ্যে যেটি "সাম্প্রতিককালে অধিক প্রচলিত", সেটাতেই শিরোনাম নিতে হবে, এ ধরনের এক ধরনের সুক্ষ্ম হুজুগে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ব্যাপারে আমার দ্বিমত আছে। তাছাড়া "বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ" শিরোনামে রেখে দেবার ব্যাপারেও যুক্তি আছে। সেগুলিকেও গণনায় ধরতে হবে।
এখন "বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ" শিরোনামে রেখে দেওয়া কেন উচিত, সে ব্যাপারে আমার যুক্তিগুলি আবার দেই। প্রথমত, ইংরেজিতে "War of independence" বা "War of liberation" যেটাই বলুন না কেন, বাংলা ভাষাতে আন্তর্জাতিক রাজনীতির লিটারেচারে দেশ-কাল-জাতির সীমানা নির্বিশেষে "[অমুক দেশের] স্বাধীনতা যুদ্ধ" কথাটিই বেশি প্রচলিত। আমার জানামতে "মুক্তিযুদ্ধ" কথাটি শুধু বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটেই মানায়, সামগ্রিক প্রেক্ষাপটে মানায় না। আর আপনি নিজেও যেমন বললেন "স্বাধীনতা যুদ্ধ" কথাটা শুনতে বেশি ফর্মাল বা একাডেমিক লাগে। দ্বিতীয়ত, বাংলা ভাষার উইকিপিডিয়া কি শুধুমাত্র বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে রচিত বিশ্বকোষ, নাকি সার্বজনীন দেশ-কাল-জাতির ঊর্ধ্বে রচিত বিশ্বকোষ? আমার মতে দ্বিতীয়টি। সে কারণে বাংলা উইকিপিডিয়ার বিশ্বজনীন প্রেক্ষাপটে "স্বাধীনতা যুদ্ধ" কথাটাই উইকিপিডিয়াব্যাপী পারিভাষিক ওজনগত সামঞ্জস্য বজায় রাখার জন্য বেশী পছন্দনীয়। মোদ্দা কথা হল, একজন বাংলাদেশী নাগরিক হিসেবে আমার কাছে "মুক্তিযুদ্ধ", "বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ", "বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ", এই তিনটিই সমান অর্থ ও ওজন বহন করে। কিন্তু বাংলা উইকিপিডিয়ার একজন সম্পাদক হিসেবে আমার কাছে "বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ" শিরোনাম হিসেবে তুলনামূলকভাবে সামান্য বেশি হলেও পছন্দনীয়। শিরোনাম যদি "বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ" করা হয়, তাহলে আমার বাংলাদেশী সত্তার কিছু যায় আসবে না, কিন্তু আমার বাংলা উইকিপিডিয়ান সত্তার মনে খচখচানি থাকবেই, এবং সেই মতই আমি প্রকাশ করেছি।--অর্ণব (আলাপ | অবদান) ০৬:১২, ১০ ডিসেম্বর ২০২০ (ইউটিসি)
@MS Sakib, Wikitanvir, এবং Zaheen: এখানে আলোচনার সুপরিবেশ ফিরে এসেছে দেখে ভালো লাগছে। তবে আমি প্রথমেই বলে নিতে চাই, সাম্প্রতিক প্রবণতা কোনো "সূক্ষ্ম হুজুগ" নয়, বরং উইকিপিডিয়ার শিরোনাম নীতিমালার অন্যতম মূলনীতি। বলা যায়, কোনো প্রবণতাই রাতারাতি তৈরি হয় না। এর পেছনে অবশ্যই সুদৃঢ় ভিত্তি থাকবে। তাছাড়া এই প্রবণতা সাধারণ মানুষের প্রবণতা যেমন বোঝায়, তেমনি দেশের অ্যাকাডেমিক ব্যক্তিদের প্রবণতাকেও নির্দেশ করে। এই আলোচনায় জেনারেশন গ্যাপের বিষয়টি আসা স্বাভাবিক; কারণ জাহিন ভাইয়ের কথা অনুযায়ী, উনার চল্লিশ বছরের ৩১ বছরই সাংবিধানিকভাবে "বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ" স্বীকৃত ছিল। কিন্তু আমার উনিশ বছরের সংক্ষিপ্ত জীবনের প্রায় দশ বছরই সাংবিধানিকভাবে "বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ" স্বীকৃত। দুইটি শব্দের মধ্যে আমরা হয়তো কোনো পার্থক্য করি না। তারপরেও এই দুই শব্দের মর্মার্থে যে সূক্ষ্ম পার্থক্যটা রয়েছে, তা "আমি মানি না" বললেই অস্বীকার করা হয়ে যায় না। দুইটি শব্দের মধ্যে অবশ্যই পার্থক্য আছে, নয়তো আপাতসূক্ষ্ম এই বিষয় নিয়ে রাজনৈতিক ময়দানে এতো জলঘোলা হতো না। আমি একটু বিস্মিত, ৩৮ বছর পর সংবিধানের সংশোধনীর যুক্তি দেখানো হচ্ছে, কিন্তু স্বাধীনতার পরপরই সংবিধান যে সংগ্রামের স্বীকৃতি দিয়েছিল, সেটাকে কেন এড়িয়ে যাচ্ছেন? সেই সংবিধান কি মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মের (কিংবা বলা যায়, মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বের) আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি নয়? এবার আসা যাক সাম্প্রতিক প্রেক্ষাপটে। প্রথমেই বলি, ২০১১ সালে সংবিধান পরিবর্তনের দশ বছর আগেই, ২০০১ সালে, "মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়" গঠন করা হয়েছিল। কিন্তু এরপর ২০০৪ সালে সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ: দলিলপত্র নামের বইটি প্রকাশিত হয়। তবে বইয়ের নামে হয়তো তৎকালীন সংবিধান কিংবা রাজনৈতিক বিষয়টি ফুটে উঠেছিল, কিন্তু ১৯৭১ সালের নথিপত্রে এর প্রভাব কোনো দেখা যায় না। উদাহরণস্বরূপ, বইয়ের "মুক্তিযুদ্ধে প্রবাসীদের ভূমিকা" শিরোনামের একটি লেখা দ্রষ্টব্য। তাছাড়া আমি আগেও একাত্তরের দিনগুলি বইয়ের উদ্ধৃতি দিয়েছি। কাজেই, এ থেকে স্পষ্ট হওয়া গেল এই "সাম্প্রতিক হুজুগ" আদৌ কোনো "সাম্প্রতিক রাজনীতির কূটচাল" নয়, বরং ১৯৭১ সালের ইতিহাসেরই প্রতিফলন। আবার, ২০০৩ সালে বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি থেকে বাংলাপিডিয়া প্রকাশ করা হয়। তাতেও সংশ্লিষ্ট নিবন্ধের নাম রাখা হয় "মুক্তিযুদ্ধ"। আবার উল্লেখ করি, তখনও কিন্তু সাংবিধানিকভাবে "স্বাধীনতার জন্য ঐতিহাসিক যুদ্ধ" স্বীকৃত ছিল। আমার এ কথাটি বলার উদ্দেশ্য হলো, এটা বোঝানো যে, একটি ভিন্ন নামের সাংবিধানিক স্বীকৃতি সত্ত্বেও, দেশের অ্যাকাডেমিকরা বিশ্বকোষীয় নিবন্ধটির নাম "মুক্তিযুদ্ধ" রাখাটাই বেছে নিয়েছিলেন। এখানে বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট টানা অবান্তর, কারণ আলোচনাই হচ্ছে বাংলাদেশের অ্যাকাডেমিক এবং বাঙালির প্রবণতা নিয়ে। তারপরেও যদি বলতে হয়, আমি বলব বাংলা কোনো আন্তর্জাতিক ভাষা নয়, কাজেই বিশ্ব কখনই বাংলা ভাষায় উদ্ধৃতি দেবে না। উপরন্তু বাংলা উইকিপিডিয়ায় নিবন্ধের বর্তমান নামকরণ সত্ত্বেও ইংরেজি উইকিপিডিয়ার নিবন্ধশীর্ষে প্রথম যে নামটি ব্যবহার করা হয়েছে, তা হলো "মুক্তিযুদ্ধ"। আলোচনার এই পর্যায়ে আবারও একজন অ্যাকাডেমিকের মন্তব্যের প্রয়োজনীয়তা চলে আসে। এক্ষেত্রে জনাব ফয়জুল লতিফ চৌধুরীর মন্তব্য আমরা অবশ্যই কামনা করি। এই পাতাতেই অনেক পূর্বের একটি আলোচনায় স্যারের একটি মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বলব, ২০১১ সালের সংবিধান সংশোধনের পর ২০১২ সালেই দাপ্তরিক ব্যবহারের ক্ষেত্রে উনার মন্তব্য প্রাসঙ্গিক ছিল। আজকে, ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে এসে সেই প্রশ্নটি আবার জিজ্ঞাস্য থাকবে। সরকারি ও দাপ্তরিক ব্যবহারের প্রেক্ষিতে ২০১৬ সালের প্রস্তাবিত "মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতিকরণ আইন"-এর উল্লেখ করা যায়, যেখানে মুক্তিযুদ্ধকে ‘জাতীয় মুক্তির জন্য ঐতিহাসিক সংগ্রাম’ ভিন্ন অন্য কোনো নামে অবনমন বা অবমাননাকে দণ্ডনীয় অপরাধ বলা হয়েছিল। যদিও আইনটি আলোর মুখ দেখেনি। স্যারের অনুপস্থিতিতে আমি আপাতত দেশের শিক্ষায়তনিক ব্যক্তিদের কিছু কলাম আপনাদের দেখাতে চাই। সেগুলো হলো: সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, যুগান্তর, ২৬ মার্চ ২০১৯; সৈয়দ আবুল মকসুদ, প্রথম আলো, ২৬ মার্চ ২০১৯; অধ্যাপক ড. আবু সাইয়িদ, সমকাল, ৫ নভেম্বর ২০১৬ এবং মহিউদ্দিন আহমদ, প্রথম আলো, ১ মার্চ ২০২০। এখানে প্রত্যেকেই বলেছেন "স্বাধীনতা যুদ্ধ" এবং "মুক্তিযুদ্ধ" উভয় শব্দই আপাতদৃষ্টিতে সমান। কিন্তু তাদের মতে "মুক্তিযুদ্ধ" শব্দের একটি প্রতীকী তাৎপর্য রয়েছে, যা "স্বাধীনতা যুদ্ধ" শব্দে নেই; উপরন্তু তাদের ভাষ্যে "স্বাধীনতা যুদ্ধ" রাজনৈতিক পক্ষপাতমূলক। এমনকি "বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র"তেও রয়েছে, “বাংলাদেশের জনগণের জন্য সমতা, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে বর্তমান মুক্তিযুদ্ধ” সাধারণ মানুষের কাছেও দুইটি শব্দ সমান অর্থ বহন করলেও, সমান তাৎপর্যপূর্ণ নয়, যার প্রমাণ পাওয়া যায় সচলায়তন নামের একটি ব্লগে। এমনকি ১৯৭৮ সালের সংবিধানে এই শব্দগুচ্ছের পরিবর্তনকে অধ্যাপক আবু সাইয়িদ "মুক্তিযুদ্ধের দলিল লন্ডভন্ড" বলে আখ্যা দেন। তারপর, ২০১১ সালে সংবিধান পরিবর্তনের পূর্বেই ২০০৫ সালে সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনী (১৯৭৮) "হাইকোর্ট" কর্তৃক অবৈধ ঘোষণা করা হয় (কোনো রাজনৈতিক সরকার কর্তৃক নয়)। অর্থাৎ, ২০১১ সালের সংবিধানের সংশোধনীর পেছনে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের পাশাপাশি বিচার বিভাগীয় প্রেক্ষাপটও ছিল। কাজেই, আমার এতো কথার পরে আশা করি জাহিন ভাইয়ার মনের খচখচানি দূর হবে। আর অ্যাকাডেমিকদের যে অভাব অনুভূত হয়েছিল, তার কিছুটা হলেও লাঘব হবে। পরিশেষে বলি, আমি বারবার অত্যন্ত দীর্ঘ বার্তা দিচ্ছি, সেটি যদি কারও দৃষ্টিকটু লাগে, তবে তার কাছে আন্তরিক ক্ষমাপ্রার্থী। — আদিভাইআলাপ১১:৫৪, ১০ ডিসেম্বর ২০২০ (ইউটিসি)
  • উপরের সুদীর্ঘ আলোচনার সম্পূর্ণটা পড়া হয়নি, তবে অধিকাংশই পড়েছি। আমি মূল প্রসঙ্গের ভিত্তিতে আমার মতামত উপস্থাপন করছি। মুক্তিযুদ্ধ আর স্বাধীনতা যুদ্ধ দুই-ই আমার কাছে একজন সাধারণ মানুষ হিসেবে সমান আবেগের নাম। কিন্তু যখন আমি একজন উইকিপিডিয়ান হিসেবে নিরপেক্ষ এবং বিশ্বকোষীয়ভাবে চিন্তা করব, তখন "স্বাধীনতা যুদ্ধ" নামটিই অধিকতর সঠিক, অর্থবহ ও স্থিতিশীল মনে হবে। আইন, সংবিধান যুগে যুগে পরিবর্তিত হবে বিভিন্ন কারণে। বিশ্বকোষকে সেই সকল স্রোতের মধ্যেও নিরপেক্ষভাবে থাকতে হবে। ব্যক্তিগতভাবে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ বা স্বাধীনতা যুদ্ধ আমার কাছে সবচেয়ে বেশি আবেগের নাম। কিন্তু উইকিপিডিয়ান হিসেবে আমাকে বৈশ্বিক যুদ্ধসমূহের সাথে আমার নিজ দেশের যুদ্ধের আবেগতাড়িত পার্থক্যের বাইরে থাকতে হবে (আমি বলছি না আপনারা কেউ আবেগের বশবর্তীতে বা নিরপেক্ষভাবে বলছেন না বলেননি, আমি আমারটা বলছি)। আর সে কারণে "স্বাধীনতা যুদ্ধ" অন্য সকল যুদ্ধের পাশে নিরপেক্ষভাবে এই নিবন্ধকে বসায়। তানভির ভাই দেখিয়েছেন, যুদ্ধের গুরুত্বপূর্ণতম দলিলেও স্বাধীনতা যুদ্ধ ব্যবহার করা হয়েছে। সাম্প্রতিক আইনের চেয়েও মূল ঐতিহাসিক নথি অধিক গুরুত্বপূর্ণ। আর প্রমাণাদি বিচারে আমাদের স্থান, কালের উর্ধ্বে থাকতে হবে (যদি কেউ কখনো কোনো সময়কে ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা বা জ্ঞানের ভিত্তিতে গুরুত্ব দেয় তবে সেটা পরিষ্কার মৌলিক গবেষণা)। উইকিপিডিয়া কোন দেশের নিজস্ব নয়, বরং সে তার নিজস্ব নিয়মের ভিত্তিতে দেশীয় নিয়মকে গ্রহণ করে। আর এ সকল কিছু বিচারে, বলাই বাহুল্য, liberation war বা স্বাধীনতা যুদ্ধের পক্ষে না থেকে উপায় নেই। আপনারা সবাই একমত যে স্বাধীনতা যুদ্ধ আর মুক্তিযুদ্ধ একই বিষয় বহন করে, এবং তারা প্রচলিত। তাহলে সামঞ্জস্যতা, নিরপেক্ষতা ও স্থান-কালের উর্ধ্বে থেকে কেন স্বাধীনতা যুদ্ধই অধিকতর সঠিক নয় কি? খেয়াল করুন, বিভাগের নাম প্রশাসনিকভাবে পরিবর্তনের পরে পূর্বের নাম ভুল (কারণ এটা আনুষ্ঠানিকভাবে পরিবর্তিত হয়েছে)। তথাপি উইকিতে তা সাথে সাথে পরিবর্তন করা যায়না। এছাড়া সুব্রতদা উপরে অত্যন্ত সুচারুভাবে বক্তব্য দিয়েছেন, তাঁর সাথেও আমি একমত। — অংকন (আলাপ) ১২:৪৬, ১০ ডিসেম্বর ২০২০ (ইউটিসি)
@ANKAN: আপনার মতামতকে আমরা অবশ্যই সম্মান করি। তবে নিরপেক্ষতা বিষয়টি আপেক্ষিক। যেমন আমার ইমিডিয়েট আগের মন্তব্যেই দেখুন, বুদ্ধিজীবীরা "স্বাধীনতা যুদ্ধ"কেই অনিরপেক্ষ দাবি করে বসেছেন! একটি বিশ্বকোষ কখনোই খড়কুটোর মতো ভাসমান হতে পারে না, আপনার এই কথার সাথে আমি সম্পূর্ণ একমত। আর এ কারণেই "মুক্তিযুদ্ধ" নামটির সার্থকতা। ঠিক যেভাবে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আইন, দেশের সংবিধান, যেখানে ভিন্ন নামের প্রয়োগ করে, সেখানে সেই বিরুদ্ধ পরিবেশকে ডিফাই করে বিশ্বকোষীয় বাংলাপিডিয়া "মুক্তিযুদ্ধ" শব্দটির ব্যবহার করেছে। অন্যদিকে "বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ: দলিলপত্র" বিভ্রান্তিতে ভুগেছে, কারণ ১৯৭১ সালের দলিলপত্রেও "মুক্তিযুদ্ধ" শব্দটিই ব্যবহৃত হয়েছে। আশা করি, আমার বক্তব্য আপনার কাছে পরিষ্কার। — আদিভাইআলাপ১৩:০২, ১০ ডিসেম্বর ২০২০ (ইউটিসি)

আদিভাই, আপনার বক্তব্য পড়লাম। আমার মনের খচখচানি দূর হল না। দুঃখিত। আমি এখন প্রায় সম্পূর্ণ নিশ্চিত যে পানি আপনিই ঘোলা করতে নেমেছেন। অতিসহজে খণ্ডনযোগ্য ভ্রান্ত যুক্তির খড়কুটো নিয়ে আপনিই ভেসে থাকার চেষ্টা করছেন। এসব করার জন্য আপনার হাতে অনেক সময় আছে, আছে সদ্য-কৈশোর পেরোনো শিশুসুলভ আবেগ। এগুলি ভবিষ্যতে মাঠেঘাটের রাজনীতিতে বা নিদেনপক্ষে গণমাধ্যমে টক-শোগিরিতে অনেক কাজে আসবে, আমি নিশ্চিত। আমার এত ঝোল নেই। আমার জীবনের প্রায় অর্ধেক সময় পেরিয়ে এসেছি। এক কথায় বলতে গেলে আপনার যুক্তিগুলি আমার কাছে এখনও convincing নয়। আপনার শেষ বক্তব্যের প্রত্যেকটা যুক্তি খণ্ডন করা সম্ভব। কিন্তু আমার জীবনের মূল্যবান সময় এই নিস্ফল তর্কাতর্কিতে আর অপচয় করব না। --অর্ণব (আলাপ | অবদান) ১৬:৩১, ১০ ডিসেম্বর ২০২০ (ইউটিসি)

জাহিন ভাইয়ার জন্য আমি আন্তরিক দুঃখ প্রকাশ করছি। @Wikitanvir: ভাইয়া, আপনিও আপনার অনেক মূল্যবান সময় নষ্ট করে প্রথম থেকেই যথেষ্ট ধৈর্য ধরে এই আলোচনায় অংশগ্রহণ করে গেছেন। তাই এই শেষবার আপনার মন্তব্য জানতে চাইছি। তাতে আপনার সিদ্ধান্ত দিয়ে এই আলোচনার সমাপ্তি ঘোষণা করুন। মনে হয় এই আলোচনা শেষ করার মতো যথেষ্ট আলোচনা হয়ে গেছে। অনেকের মূল্যবান সময় নষ্টের সমাপ্তি কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই ব্যর্থতায় পর্যবসিত হোক, এটা আমি চাই না। আর কেবল আপনার সিদ্ধান্তেই আমি বিশ্বাস রাখব। আর পরিশেষে আমি সকলের কাছেই ক্ষমা প্রার্থনা করছি আপনাদের মূল্যবান সময় এই কুতর্কে টেনে আনার জন্য। এখানে দেওয়া ব্যর্থ শ্রম বাংলা উইকিপিডিয়ার জন্যও অনেক কিছু এনে দিতে পারত। আপনাদের আবারও সকলকে ধন্যবাদ। — আদিভাইআলাপ১৭:৫০, ১০ ডিসেম্বর ২০২০ (ইউটিসি)

সকলকে বিজয়ের মাসের শুভেচ্ছা। বিজয়ের মাসে এখানে এহেন আলোচনায় আমি সত্যি লজ্জিত, ক্ষুব্ধ। এখানে আলোচনার পরিবেশ বিশ্রীভাবে নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। একাত্তরের বিরোধী শক্তিরাই সর্বদা এই অপচেষ্টায় লিপ্ত থাকে। আমি বিগত আট বছর ধরে উইকিপিডিয়ায় যাতায়াত করি। নিবন্ধন না করেও আমি ছোটখাটো অনেক এডিট করেছি এবং আলোচনাতেও অংশ নিয়েছি। কিন্তু এখানকার মতো দীর্ঘস্থায়ী গঠনমূলক ও সুদূরপ্রসারী আলোচনা উইকিপিডিয়ায় আগে কখনো আমার চোখে পড়েনি। দুর্ভাগ্য, খুবই দুর্ভাগ্য, এই সুন্দর একটি আলোচনাকে সুকৌশলে নষ্ট করে দেওয়ার অপপ্রয়াস চালানো হয়েছে, আর সেই আঘাত এসেছে একজন প্রশাসকের কাছ থেকে।

অর্ণব ভাই নিজেকে যে প্রজন্মের দাবি করছেন, আমিও সেই প্রজন্মের প্রতিনিধিত্ব করি। বরং আমি আরও সাত বছর বেশি দেখেছি এই জীবনটাকে। তবু আমার চোখে পার্থক্যটা ধরা পড়ছে কেন বলুন তো? উইকিপিডিয়ার পুরনোরা এক দলে আর নতুনরা আরেক দলে! এখানে নিরপেক্ষ আছে একজন, স্বাধীনতা যুদ্ধের পক্ষে আছে পাঁচজন। আর মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে আছে ছয়জন। আরেকজন অজ্ঞাতনামা আইপির ওপরে কোনো কারণে সবাই অসন্তুষ্ট। তবু তাঁর স্পষ্ট মতকে উপেক্ষা করব না। মোট কথা, স্বাধীনতা যুদ্ধের পক্ষে আছেন তিনজন প্রশাসক! আর তাদের বিরুদ্ধে নবাগতরা একটু হলেও সংখ্যাগরিষ্ঠ (৫৬%)। তা সত্ত্বেও প্রশাসকেরা তাঁদের সাথে দুর্ব্যবহার করে চলেছেন। কী আশ্চর্য! ইতিহাস বারবার ফিরে আসে।

এই আলোচনাও ইতিহাসের অংশ হয়ে গেছে। বোধ করি অর্ণব ভাই সবার চেয়ে নতুন প্রশাসক। তবে প্রশাসক হওয়ার আগে যেকোনো আলোচনায় ন্যূনতম যে ভদ্রতা দেখানো প্রয়োজন তা আপনার নেই। এটি প্রশাসক হিসেবে আপনার অযোগ্যতা বৈকি। কোনো মন্তব্য আপনার মনে না ধরা যুক্তিযুক্ত। যে জেগে ঘুমায় তাকে জাগানো যায় না। আলোচনা পড়ে আমি যতদূর বুঝলাম, আপনাকে কেউ ডেকে আনে নি। আপনি স্বেচ্ছায় এসে আলোচনায় যোগ দিয়েছেন। এখন যদি আপনি বাচ্চাদের দোষ দিয়ে বলেন আপনার সময় নষ্ট করা হয়েছে সেটা ভারী অন্যায় হবে। আর আপনার বিরুদ্ধমত দমনের পন্থা অতিশয় অগ্রহণযোগ্য।

সে যাক্। রাজনীতিতে ভাষণ দেওয়ার কে যোগ্য আর কে অযোগ্য তার আলোচনা আপনার ড্রয়িংরুমে হবে। কিন্তু এই বাচ্চাদের সাথে যে আচরণটি করলেন তার নিন্দা জানাচ্ছি। প্রস্তাবক মনোকষ্টে আলোচনাটিই বন্ধ করে দিতে চাইলেন। কিন্তু দুই পক্ষে এখনও অনেক অমীমাংসিত বিষয় বাকি আছে।

প্রথমে আসে, নিরপেক্ষতার প্রশ্ন। আমার কাছে শব্দ হিসেবে দুটোর ব্যবহারে কোনো পার্থক্য নেই। কিন্তু ইতিহাস সে কথা বলে না। ইতিহাস দুই শব্দের মাঝে যে সীমারেখা টেনে দিয়েছে তাতে এদের এক করার ক্ষমতা আমাদের নেই। দেশের ইতিহাসের দিকে তাকালে দেখা যায় একটা সময় পর্যন্তও দুইটি শব্দ সমান অর্থ দিত। মুক্তিযুদ্ধের সময়েও আমরা মুক্তির জন্য লড়েছি, আমরা স্বাধীনতার জন্য লড়েছি। কিন্তু এক সময় সেই ইতিহাসকে বদলে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। আমাদের স্বাধীনতার দলিলকে বদলে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেটা কেউ মেনে নেয় নি। আবার জনগণের উত্থান হয়েছে। ইতিহাস বিকৃতির অপচেষ্টাকে রোধ করা হয়েছে। এখন আমরা সেটাকেই বলছি রাজনৈতিক মেরুকরণ। আর তারই আয়নায় বিচার করছি ইতিহাসকে! ইতিহাস রক্ষার চেষ্টাকে বলছি ইতিহাস বিকৃতির অপচেষ্টা। শুভ্র রায় দাদাই ঠিক কথাটি বলেছেন, সামান্য পরিবর্তনেই আমরা ইতিহাস বিকৃতির দিকে চলে গেছি। আমরা মূল ঐতিহাসিক স্বীকৃতির চেয়ে প্রাধান্য দিচ্ছি কেন একটি রাজনৈতিক দল নিজেদের মুক্তিযুদ্ধের ধারক বলে অন্যদের দেশদ্রোহী বলছে। অথচ বিচার করছি না কথাটি বলার সাহস তারা কোথায় পেল? তারা নিজেদের মুক্তিযুদ্ধের ধারক প্রমাণ করতে চাইছে, আর মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শক্তি তারই সুযোগ নিয়ে ইতিহাসের নিরপেক্ষতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। আর হতভাগা বাঙালি তাদের কথায় উঠবস করছে। সত্যিই হতভাগ্য!

উৎপত্তির বিচারে শব্দ দুটোর কোনো পার্থক্য না থাকলেও এখন প্রেক্ষাপট এমন দাঁড়িয়েছে যদি একাত্তরের যুদ্ধকে স্বাধীনতা যুদ্ধ বলা হয়, তাহলে এর পেছনে বাঙালির মুক্তির যে সংগ্রাম তাকে উপেক্ষা করা হবে। সেই সংগ্রাম একদিনে স্বাধীনতার সংগ্রামে পরিণত হয় নি। কাজেই স্বাধীনতা যুদ্ধ কেবল যুদ্ধকেই নির্দেশ করে, তাতে বাঙালির যে অন্তর্হিত সংগ্রাম, যে সংগ্রাম বাঙালিকে স্বাধীনতা যুদ্ধের মঞ্চে এনে দিয়েছে তাকে অকৃতজ্ঞার সাথে প্রত্যাখ্যান করা হয়। আমরা সেই ইতিহাসকে বিবেচনায় না এনে কোন শব্দের আবেগ বেশি তা নিয়ে লড়াই করছি। সত্যিই হতভাগ্য বাঙালি!

এখন উইকিপিডিয়ায় পারিভাষিক সাম্য কতটা রক্ষা করতে হয় তার বিষয়ে ধারণা আমার কম। আমি পারিভাষিক শব্দের চেয়ে সঠিক ইতিহাসকে প্রাধান্য দেব।

শেষে আপনাদের কাছে করজোড়ে মিনতি- দেশের ইতিহাস নিয়ে এই যে আলোচনা শুরু হয়েছে তাতে এই সংখ্যাগরিষ্ঠ নবাগতের মতকে উপেক্ষার চোখে দেখবেন না। এরাই দেশ এমনকি উইকিপিডিয়ার ভবিষ্যৎ। আমরা থাকব না, এরাই ভবিষ্যতে উইকিপিডিয়ার প্রশাসক হয়ে উইকিপিডিয়ার সিদ্ধান্ত নিবে। এই কচিকাঁচাদের সঠিক ইতিহাস জানার আগ্রহকে সম্মান জানিয়ে তাঁদের প্রতি দৃঢ় সমর্থন জ্ঞাপন করছি। 42.0.5.240 (আলাপ) ০৭:০২, ১৩ ডিসেম্বর ২০২০ (ইউটিসি)

সুপ্রিয় আইপি ব্যবহারকারী 42.0.5.240, আপনার বক্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনাকে আমি বিশেষভাবে অনুরোধ করব উইকিপিডিয়ার প্রশাসক ও ব্যবহারকারীদের সম্পর্কে নেতিবাচক, বিভাজনমূলক ও উস্কানিমূলক মন্তব্য না করার। আপনার এই সব কথা আমাদের উইকিসম্প্রদায়ের সংহতির কথা চিন্তা করলে অত্যন্ত দুঃখজনক এবং এই নির্দিষ্ট আলোচনাটির ব্যাপারে সিদ্ধান্তে আসার জন্য মোটেও প্রাসঙ্গিক ও উপকারী নয়। আমি আপনাকে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি যে, এই পাতাটি বাংলা উইকিপিডিয়ার হাজার হাজার নিবন্ধের মধ্যে একটি নিবন্ধের একটি আলোচনা পাতা। এটি দিনের পর দিন আঁতলামি করে চায়ের কাপে ঝড় তোলার জায়গা নয়, উদ্দেশ্যবিহীনভাবে ঘুরে ঘুরে একই কথা বলা কুতর্কের জায়গা নয়, ব্লগ নয়, ফেসবুক নয়, ফোরাম নয়, রাজনৈতিক ভাষণদানের মঞ্চ নয়। আপনি আইপি-র আড়ালে থেকে আলোচনার রেফারি বা কিংমেকার সেজে সংখ্যাগুরু-সংখালঘু, মুক্তিযুদ্ধ বনাম স্বাধীনতা যুদ্ধ, পুরনো বনাম নতুন, প্রশাসক বনাম ব্যবহারকারী এরকম বিভাজনমূলক কথা বলে বলে এক পক্ষকে victim সাজিয়ে আরেক পক্ষের দিকে লেলিয়ে দিয়ে, পায়ে পাড়া লাগিয়ে ঝগড়া লাগিয়ে মজা লুটবেন, এসব এখানে চলবে না। এখানে বর্তমান নিবন্ধের শিরোনাম বদল করা হবে কি হবে না, তা নিয়ে সুস্পষ্ট সীমার মধ্যে থেকে যুক্তিভিত্তিক আলোচনা করা উচিত। আমি আমার বক্তব্য সুস্পষ্টভাবে উপরে দিয়েছি। আপনি চাইলে শিরোনাম বদলের পক্ষে বা বিপক্ষে দলাদলি না করে নিজের ব্যক্তিগত দৃষ্টিকোণ থেকে স্পষ্ট ভাষায় যুক্তি প্রদান করুন। --অর্ণব (আলাপ | অবদান) ১০:১২, ১৩ ডিসেম্বর ২০২০ (ইউটিসি)

আমি আরেকটু ঘাঁটলাম। বাংলাদেশের বর্তমান সরকার প্রধান মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগে সশস্ত্র বাহিনী দিবসে দেওয়া ভাষণে একই অর্থে ও সমান ওজন দিয়ে "মহান স্বাধীনতা যুদ্ধ" একবার এবং "মহান মুক্তিযুদ্ধ" একবার ব্যবহার করেছেন। (উৎস দেখুন) মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটের পাতায় পাতায় মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা যুদ্ধ সমার্থক পরিভাষা হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। এই মুহূর্তে যদি আমি সেই ওয়েবসাইটে (https://molwa.gov.bd/) যাই, তাহলে সেখানে নোটিশবোর্ডে স্পষ্ট লেখা আছে "বেসামরিক গেজেটভুক্ত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণের যথার্থতা নিরূপনের লক্ষ্যে যাচাই-বাছাই এ Management Information System (MIS) এর তথ্য ব্যবহার সংক্রান্ত নোটিশ" (প্রকাশের তারিখ ১২ই ডিসেম্বর ২০২০)। অর্থাৎ উইকিপিডিয়ার নিবন্ধের শিরোনাম পরিবর্তন প্রস্তাবকারী আদিভাই যে বলেছেন বর্তমানে "স্বাধীনতা যুদ্ধ" সরকারের কোথাও ব্যবহৃত হয় না, সেটা সর্বাঙ্গে ত্রুটিপূর্ণ একটি মন্তব্য। গতকালকেই মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত এক নোটিশে "স্বাধীনতা যুদ্ধ" ব্যবহার করা হয়েছে। এটা সুস্পষ্ট যে সরকারের সমস্ত ক্ষেত্রে, সেটা প্রধানমন্ত্রী স্তরেই হোক অথবা মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় স্তরেই হোক, সেখানে "মুক্তিযুদ্ধ" ও "স্বাধীনতা যুদ্ধের" মধ্যে ইচ্ছাকৃতভাবে পার্থক্য আজ এই মুহূর্তে ২০২০-এর শেষ অবধি এসেও করা হয় না। তাহলে কি তারা আপনাদের ভাষ্যমতে তাদের ভাষণে, বক্তব্যে ও সরকারী নোটিশে "স্বাধীনতা যুদ্ধ" কথাটি বলে ১৯৭১-এর পূর্ববর্তী ইতিহাসের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করছেন? এরকম বিদঘুটে হাস্যকর প্রশ্ন কি আর হতে পারে? এভাবে সুকৌশলে sophistry (দার্শনিক কুতর্ক) করে যারা এই দুইয়ের মধ্যে একটিকে আরেকটির উপরে স্থান দিতে চান, তারা কি মনে করেন আমরা এতই বোকা? --অর্ণব (আলাপ | অবদান) ১৩:০৬, ১৩ ডিসেম্বর ২০২০ (ইউটিসি)

@Zaheen: ভাই, আমি কখনোই বলি নি স্বাধীনতা যুদ্ধ "একেবারেই" ব্যবহার করা হয় না। এটি আপনার সেল্ফ-অ্যাজিউমড স্পেকুলেশন। তাছাড়া এত উদাহরণ খোঁজার (আমি বলতে চাইছি একটি ওয়েবসাইটের এতোদূর যাওয়ার) কী প্রয়োজন? ওয়েবসাইটটির নাম মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং দেশের সংবিধানে মুক্তিযুদ্ধ কি দাপ্তরিক ব্যবহারের জন্য যথেষ্ট উদাহরণ নয়? তাছাড়া আইনের বিষয়ে আমার হাত নেই, সেটাও সরকার প্রধানের এখতিয়ার। — আদিভাইআলাপ১৩:৫৮, ১৩ ডিসেম্বর ২০২০ (ইউটিসি)
আদিভাই, আমার Assumption করার পেছনে যথেষ্ট কারণ আছে। একদম উপরে দেখুন। আপনি এই শিরোনাম বদলের প্রসঙ্গের অবতারণা করেছেনই এই বলে যে "স্বাধীনতা যুদ্ধ" নাকি ইংরেজি War of Independence-এর "আনাড়ি অনুবাদ"। আর "মুক্তিযুদ্ধ" হল দাপ্তরিক, ঐতিহাসিক ও প্রচলিত পরিভাষা। অর্থাৎ আপনি শুরুতেই পরোক্ষভাবে (এবং পক্ষপাতদুষ্টভাবে) আলোচনার শুরুতে এমন ধারণা দিতে চেয়েছিলেন যে "স্বাধীনতা যুদ্ধ" পরিভাষাটি ঐতিহাসিক, দাপ্তরিক কিংবা প্রচলিত নয়।
বলাই বাহুল্য, আপনার ঐ দুইটি বিবৃতিই সর্বাঙ্গে ভুল। স্বাধীনতা যুদ্ধ কোনও আনাড়ি অনুবাদ নয়। এটি বহুকাল ধরে এমনকি গতকাল পর্যন্ত সরকারী অসংখ্য নথিপত্রে প্রচলিত ও বহুল ব্যবহৃত একটি পরিভাষা। মুক্তিযুদ্ধ-ও একইরকমভাবে সমার্থকভাবে ও সমান ওজনে প্রচলিত হতে পারে। কোনওটাই কোনওটার চেয়ে কম নয়। In fact, স্বাধীনতা যুদ্ধ পরিভাষাটির প্রচলন সাম্প্রতিককালে কমে গেছে, এই অনুমানটিও যে ভিত্তিহীন, তা এখন সুস্পষ্ট।
"এত উদাহরণ খোঁজার কী প্রয়োজন" মানে? আপনি নেট ঘেঁটে ঘেঁটে আপনার যুক্তির স্বপক্ষের বুদ্ধিজীবীদের মতামতমূলক নিবন্ধ থেকে উদ্দধৃতি দিবেন আর ব্যক্তিগত স্মৃতিচারণমূলক গ্রন্থ থেকে আউট-অফ-কনটেক্সট উদ্ধৃতি দিয়ে নিজের মত ভারী করতে চাইবেন। আর আমি বাংলাদেশের সরকার প্রধানের সাম্প্রতিকতম ভাষণ আর মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের সাম্প্রতিকতম নোটিশকে ঐ দুই পরিভাষার সমান অর্থ ও ওজনের উদাহরণ হিসেবে দেখালে আপনি বলছেন "কী প্রয়োজন"? কুতর্ক করার একটা সীমা আছে। --অর্ণব (আলাপ | অবদান) ১৪:৩২, ১৩ ডিসেম্বর ২০২০ (ইউটিসি)
আমি সাঃ নিয়েও এত আবেগ দেখাই নি, যতটা এই মুক্তিযুদ্ধ বনাম স্বাধীনতা যুদ্ধ নিয়ে দেখতে পাচ্ছি, মনে হচ্ছে কিছুক্ষণ পরে এখানে বাংলাদেশের সরকারী হস্তক্ষেপ চেয়ে বসা হবে। 116.58.200.154 (আলাপ) ১৫:৪৮, ১৩ ডিসেম্বর ২০২০ (ইউটিসি)
হা হা হা! না ভাই, এই পুরো আলোচনাটাই আসলেই বাঙালির চায়ের কাপে ঝড় তোলার এক উৎকৃষ্ট উদাহরণ। আমরা আসলেই এক আবেগপ্রবণ জাতি। রাজনীতি আর ধর্ম নিয়ে কথা বাড়ালে বাড়তেই থাকে। এটা বিশ্বজনীন নিয়ম। আর এই সব তর্কের শেষ কখনোই ভাল হয় না। যাই হোক, আমি আবারও স্পষ্ট বলতে চাই যে, আমার উপরের ভাষা যতোই আক্রমণাত্মক শোনাক না কেন, আশা করি সেটাকে ব্যক্তিগতভাবে নিয়ে আহত হবেন না। আমি কাউকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করতে চাইনি। কিন্তু আমার বদভ্যাস হলো সোজাসাপ্টা কথা বলা। যাই হোক, আমরা সবাই এখানে একটা গঠনমূলক প্রকল্পে কাজ করতে এসেছি। ভাষার সামান্য মারপ্যাঁচ নিয়ে দিনশেষে মনোমালিন্য বাড়ানোর কোন কু-উদ্দেশ্যই আমার নেই। এই আলোচনায় অংশগ্রহণকারী সবাইকেই আমি বন্ধুসুলভ সহযোগী হিসেবেই দেখি। আমি ২০০৪ সালের শেষ থেকে এই ওয়েবসাইটে আছি, এর জন্ম আর বড় হওয়া দেখছি। কত প্রজন্মের মানুষ আসল। উইকিপিডিয়ার বর্তমান অবস্থা দেখলে আমার বুক ভরে যায়। এই আলোচনাকেও শেষ বিবেচনায় আমি ইতিবাচক হিসেবেই দেখছি। --অর্ণব (আলাপ | অবদান) ১৬:৫০, ১৩ ডিসেম্বর ২০২০ (ইউটিসি)
@Meghmollar2017:, আদিব সাহেব, আপনি এখন যেভাবে আপনার বক্তব্য উপস্থাপন করছেন, এতে করে মনে হতে পারে নিবন্ধটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নামে ছিল, কেউ একে স্বাধীনতা যুদ্ধ নামে স্থানান্তর করতে চাইছে এবং আপনি তার প্রতিবাদ করছেন। কিন্তু বাস্তবতা এর বিপরীত। দেখুন নিবন্ধের নাম পরিবর্তন করতে দরকার নিয়ার আনএনিমাস কনসেন্সাস, অর্থাৎ প্রায় সর্বসম্মত সহমত, যেটা আপনি পেলেন না। এক্ষেত্রে আপনার উচিত অলঙ্ঘনীয় কোনো যুক্তি উপস্থাপন করা, যাতে করে যারা আপনার সাথে ভিন্নমত পোষণ করবে, তারাও যেন বলে- না, এতে কিছুটা হলেও সার আছে। আপনার যুক্তিগুলো শক্ত হলেও এর পাল্টা যুক্তিগুলোও কিন্তু ফেলনা নয়। এমতাবস্থায় প্রবন্ধের নাম যা আছে, তাই থাকা উচিত কি অনুচিত, সেটা তর্কসাপেক্ষ হলেও উইকিপিডিয়ায় পরিবর্তন মাত্রেরই হওয়া উচিত অবিতর্কিত, অবিসংবাদিত। বাইরের দুনিয়ায় কী স্ট্যান্ডার্ড অনুসৃত হয়, সেটা নিয়ে মাথা না ঘামানোই উচিত। বাংলাপিডিয়া কী বললো, পাঠ্যবই কী বললো , সরকারি দলিলে কী বললো- এসব নিয়ে এত কথা বলার দরকার নেই। শুধু উইকিপিডিয়া নাম পরিবর্তনের নীতিমালাটা পড়ে দেখলেই হবে। এটা পর্যালোচনা করে বুঝতে পেরেছি, আমার অন্তরাত্মা চাইছে নামটি মুক্তিযুদ্ধ হোক কিন্তু উইকি মানদণ্ড অনুযায়ী সেটি আপাতত পরিবর্তনযোগ্য নয়। উইকির বিষয় উইকি মানদণ্ড ও নীতিমালার আলোকে সলভ করতে হবে ; নীতিমালার ঊর্ধ্বে কোনো কিছুই নয় - সে স্বাধীনতাযুদ্ধের দলিলপত্রই হোক, কিংবা পাঠ্যবই-ই হোক। @Zaheen:, আপনার যুক্তিতে গলদ একেবারেই নেই তা বলবো না। স্মর্তব্য যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি হাজার হাজার বার বলেছেন, তার দেশে ইলেকশন সুষ্ঠু হয়নি। কিন্তু তার কথাতে কিছুই পরিবর্তিত হয় না। অনুরূপভাবে সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানের বক্তব্য কোনো কিছুর ভিত্তি হতে পারেনা। তবে আপনার যুক্তিগুলো আমাকে এটা মানতে বাধ্য করেছে, যে মুক্তিযুদ্ধ রাখতে চাইলেও স্বাধীনতাযুদ্ধ নাম রাখাটাও অযৌক্তিক নয়। দেখুন, আমি মুক্তিযুদ্ধ রাখার পক্ষে হলেও আপনার যুক্তিকে কাউন্টার করার মতো রসদ আমার ভাঁড়ারে নেই। আপনি মনে করেন, স্পষ্ট কথাটা স্পষ্টভাবে বলাটাই উচিত। অথচ আপনি নিজেই আপনার ব্যবহারকারী পাতায় লিখেছেন - উইকিপিডিয়ায় সম্পাদনার মানবিক দিকটি ভুলবেন না। মনে রাখবেন আলোচনার অপর প্রান্তে একজন রক্তমাংসের সংবেদনশীল মানুষ আছেন। তাহলে আপনারও তো বুঝা উচিত, আদিব সাহেব একজন রক্তমাংসের মানুষ। হতে পারে,আপনি বয়স্ক, যুক্তিবাদী এবং আদিব সাহেব কিশোর, আবেগপ্রবণ। হতে পারে আবেগের বশেই তিনি এসবকিছু করছেন। আপনারও হয়তোবা আদিব সাহেবের বয়সে তার মতোই আবেগ ছিল। আপনি কিভাবে কার সাথে কথা বলবেন, সেটা নিতান্তই আপনার ব্যক্তিগত বিষয়। তাই আপনি যদি বয়সের বৈগুণ্যে জুনিয়র উইকিপিডিয়ান কৃত দোষগুলো আরেকটু ইতিবাচকভাবে মূল্যায়ন করেন, তাহলে বিষয়টি আরো ভালোভাবে সমাধা করা যেত বলে আমার মনে হয়। সার্বিক আলোচনার প্রেক্ষাপটে এটাই মনে হয়, নিবন্ধের নাম বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ রেখে দিন। এ নিয়ে পরবর্তীতে আরো আলোচনা করা যেতে পারে। আপাতত মধুরেণ সমাপয়তে। Ppt2003 (আলাপ) ১৭:১৮, ১৩ ডিসেম্বর ২০২০ (ইউটিসি)
আমারও মতে আলোচনা বন্ধ হোক। এরপর কেউ অকাট্য যুক্তি আনলে আলোচনা শুরু করতে পারেন। সকলকেই ধন্যবাদ। — আদিভাইআলাপ১৭:৫১, ১৩ ডিসেম্বর ২০২০ (ইউটিসি)
আলোচনা যখন হচ্ছেই তখন বলেই ফেলি, আমর সবচেয়ে বেশি হাত কাঁপে উইকিপিডিয়ায় সাঃ ছাড়া নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) এর নাম লিখতে, কারণ বিশুদ্ধ হাদিসে বলা হয়েছে, নবী সাঃ ও জিবরাইল ফেরশতা দুজনে মিলে দোআ করেছেন যে, যে ব্যক্তি নবিজি সাঃ এর নামের পর সাঃ বলবে না, তার জন্য জাহান্নাম অবধারিত হোক, তাই আমি ভাবতাম, আমার এডিটের কারণে যদি কেউ সাঃ বলতে ভুলে যায়, তাহলে তার এই মরণঘাতী পাপের সমান প্রাপ্য আমিও হব, কিন্তু উইকির যুক্তিও ফেলে দেওয়ার মত না, এভাবে সম্মানসূচক বা ধর্মীয় বাড়তি অংশ যোগ করলে সকল নিবন্ধই নিরপেক্ষতা হারাবে, অনেকে হয়তো মুহাম্মাদ নিবন্ধে সাঃ ব্যাবহারে আস্কারা পেয়ে অন্য সব নিবন্ধেও "যত খুশি যেভাবে খুশি" সেগুলোর সম্মানসূচক উপাধি যোগ করবে, তখন সেই আস্কারার দায় যাবে মুহাম্মাদ নিবন্ধের ঘাড়ে, সেটাও তো আরেক মস্ত বড় পাপ হবে, তাই যদিও আমি প্রথম ভয়টা এখনো পাই, পাশাপাশি দ্বিতীয় ভয়ও পাই, আমার মত আমার পরিচিত আমার থেকে বয়সে বড় অনেক বাংলা উইকিপিডিয়ার অভিজ্ঞ সম্পাদকও এই কাজটা করতে ভয় পান বলে আমি জানি, এবং তাদের মতে একারণে তারা মুহাম্মাদ নিবন্ধটাতে হাতই দেন না, কিন্তু এর ফলে এক বিপুল জনগোষ্ঠী বাংলায় নবিজির সম্পর্কে অজস্র উপকারী তথ্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, আর ঐ তথ্যগুলো নিরপেক্ষভাবে লিখলেও তার গুরুত্ব কমে যাবে না, কারণ হীরাকে স্বর্ণ দিয়ে সাঁজালেও হীরা, না সাঁজালেও হীরা, গোবরে ফেললেও হীরাই থাকে, আবার কয়লাকে স্বর্ণ দিয়ে সাঁজালেও কয়লা, না সাঁজালেও কয়লা, গোবরে ফেললেও কয়লাই থাকে, আর উইকিপিডিয়ার নিরপেক্ষতা হল না সাজানোর মত, আমরা বলবো এটা হীরা, এটা কয়লা, এটার মূল্যায়ন যার কাছে যেমন সে সেভাবেই করে নেবে, তার যদি সত্যিই মূল্য থাকে তবে তার নিজস্ব বিচার বুদ্ধি বোধ দিয়ে বুঝে নেবে, আলাদা করে বুঝাতে হবে না, দুটো জিনিস নিরপেক্ষভাবে পাশাপাশি রাখলেই তার তুলনা বোঝা যায়, আর উইকিপিডিয়ার কাজ একমাত্র সেটাই এর বেশি কিছু না, আমাদের কাজ হল হীরা হোক বা আর কয়লা হোক ভালো করে পরিষ্কার করে নির্লিপ্তভাবে আর কোন রকম সামান্যতম সাজসজ্জা ছাড়া তাঁকে স্পষ্টভাবে উইকির পাতায় ফুটিয়ে তোলা, আর তা থেকে মূল্য বিশ্লেষণ করার দায়িত্ব হল পাঠকদের, আমাদের না, মুক্তিযুদ্ধ কিংবা সমমানের বিষয়গুলোও তো এর ব্যতিক্রম না, তাহলে এখানে এতো আবেগ কেন আমি বুঝলাম না, এই একই দৃষ্টিকোণ থেকে কি মুক্তিযুদ্ধ, রাজনীতি, কিংবা রাজনৈতিক নেতা নেত্রীদের ব্যাপারেও একইভাবে শক্ত থাকা যায় না? ব্যক্তিগতভাবে যেমন আমি মুহাম্মাদ নিবন্ধ পড়ার সময় সাঃ বলে নিতে পারি, সেরকম বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ কিংবা শেখ মুজিবুর রহমান নিবন্ধ পড়ার সময়েও ব্যক্তিগতভাবে মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু ইত্যাদি শব্দগুলোও নিজে বলে নিতে পারি, এজন্য কেউ তো উইকি থেকে বের হয়ে এসে আমার মুখ আটকে রাখে নি। আর মুসলমানরা তার নামের পর সাঃ বলে, এই যুদ্ধ বাংলাদেশে স্থানীয়ভাবে মুক্তিযুদ্ধ নামেও সমান পরিচিত, শেখ মুজিবকে বাংলাদেশীরা বঙ্গবন্ধু নামে ডেকে থাকে, এগুলোও তো নিবন্ধে উল্লেখ করা থাকে, আর কথাগুলো কিন্তু নিরপেক্ষভাবেই লেখা হচ্ছে, আর তাতে সম্মানও কিন্তু একরত্তি কমে যাচ্ছে না। আমার অনেক কষ্ট হয়, কি বোর্ড থেকে সাঃ মুছে দিতে, কিন্তু যখন ভাবি সেই অনিরপেক্ষতার প্রভাব, তখন দাঁত কামড়ে আবার এগিয়ে আসতে হয় (আমি আরেকটা ভয় পাই, তা হল পাবলিক সেন্টিমেন্ট, মুসলিম বাঙালি পাঠকরা যদি আমার মতই আবেগপ্রবণ হয়, জাহান্নামের ভয়ে থাকে, তবে হয়তো এডিটর হিসেবে কোনদিন আমাকে খুঁজে বের করবে আর পরে রামধোলাই করবে, আর আমি হয়তো তাদেরকে আমার দৃষ্টিকোণটা বুঝানোর সুযোগও পাবো না।)। যাই হোক এটুকুই বলার ছিল, নিরপেক্ষতা আসলেই একটা আকাশ পাতাল ব্যাপার, এটা যারা অবলম্বন করার চেষ্টা করে তারা বোঝে, জিনিসটা আসলে কতটা কঠিন। (আমার এই মন্তব্যটা অনেক সুন্দর হয়েছে, কারণ লেখার পর খুব শান্তি পাচ্ছি, আর মনে হচ্ছে বারবার পড়ি।) 116.58.200.146 (আলাপ) ১৮:১৪, ১৩ ডিসেম্বর ২০২০ (ইউটিসি)
@Wikitanvir, Meghmollar2017, এবং Zaheen: এই বিষয়ে বিস্তর আলোচনা, তর্ক-বিতর্ক, বাক বিতন্ডা, ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। আমার কাছে দুটো নামই সমান, তাই আলোচনার এই পর্যায়ে আমি কোন নামের প্রতিই সমর্থন বা বিরোধিতা করছিনা। আমার কাছে মনে হচ্ছে, এখন পর্যন্ত যা হয়েছে, তা-ই যথেষ্ট। তাই তানভির ভাইকে অনুরোধ করছি বাক বিতন্ডা আরও বাড়ার সুযোগ না দিয়ে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে আপাতত আলোচনা বন্ধ করে দিন। আর জাহিন ভাই শুধু নধু নতুনদের না, পুরোনোদের কাছেও অভিবাবক স্বরূপ। তাই জাহিন ভাইকে আরেকটু সহিষ্ণু হওয়ার অনুরোধ করছি। সবাইকে ধন্যবাদ। ≈ MS Sakib  «আলাপ» ১১:০৯, ১৪ ডিসেম্বর ২০২০ (ইউটিসি)

প্রথমে একটি ইতিবাচক কথা বলি। আমার মতে, এই আলোচনায় সবচেয়ে সুন্দর দিক হচ্ছে, আমরা যতোই উত্তেজিত হয়ে উল্টাপাল্টা বকা শুরু করি না কেনো, আমাদের মনের ভেতরের ভদ্রতা, সহানুভূতি, সহিষ্ণুতা কিছুক্ষণ পরেই আবার জেগে উঠে, আর আমরা কোমল হয়ে নিজেদের আপন করে নিয়ে আবার তর্ক শুরু করি। উইকিপিডিয়ার মতো জায়গায় কাজ করতে এই মানসিকতা খুব প্রয়োজনীয়। ব্যক্তিগত আক্রমণ গ্রহণযোগ্য নয়, কিন্তু এখানে যে পরিমাণ বাদানুবাদ হয়েছে তাতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টা-পাল্টা শব্দ ব্যবহার অসম্ভব নয়। আমাদের এগুলো তাই খুব আমলে নেওয়া উচিত হবে না (যতোদূর বুঝেছি, কেউ নেয়নি)। আমরা মুখে এগুলো বলতে গেলে এই আক্রমণের পরিমাণ আরও বেশি হতো! বর্তমানে এই আলোচনায় আমার মতে তিনটি বিষয় স্পষ্ট। প্রথমত, এই আলোচনা যুক্তি দিক থেকে এখন স্থির হয়ে গেছে, যা নতুনত্ব তা সবই আগের যুক্তিগুলোর সপক্ষে উদাহরণ প্রদানের প্রচেষ্টা; দ্বিতীয়ত, দুঃখজনক হলেও সত্যি, আলোচনার ধরন এখন ফোরাম পর্যায়ে চলে গেছে, যা এখন সবাইকেই অধৈর্য করে তুলছে; তৃতীয়ত, আলোচনার এই পর্যায়ে এটা স্পষ্ট যে পাতা স্থানান্তরের বিষয়ে কোনো ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়নি।

আমাকে কয়েকজন আলোচনাটি বন্ধ করার অনুরোধ করেছেন এজন্য তাদের প্রতি আমি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। তবে আমি এই আলোচনার অন্যতম একজন অংশগ্রহণকারী হিসেবে আমার এটি করা উচিত হবে বলে মনে করছি না। আমি অন্য কোনো প্রশাসককে (আফতাব ভাই করতে পারেন, উনার অংশগ্রহণ কম ছিলো) এই কাজটি করার অনুরোধ করবো। তবে কয়েকটি আইপি ব্যবহারকারীর বেশি কিছু অসত্য বক্তব্যে আমি যারপরনাই বিরক্ত, এবং শেষ দিকে এসে তারা এই আলোচনাকে পুরোই ধর্ম ও রাজনীতির দিকে টেনে নিয়ে গেছেন। তাদের ট্রোলিংয়ের জন্য আমি তাই ১ মাসের জন্য এই আলাপ পাতায় আইপি বাধা প্রদান করতে বাধ্য হয়েছি। — তানভির১১:৪৬, ১৪ ডিসেম্বর ২০২০ (ইউটিসি)

বর্তমান নাম অক্ষুণ্ণ রেখে এই আলোচনা বন্ধের জোড়ালো দাবি জানাচ্ছি~SHEKH (বার্তা) ১২:৪১, ১৪ ডিসেম্বর ২০২০ (ইউটিসি)

উপরের আলোচনাটি সমাপ্ত হয়েছে। অনুগ্রহপূর্বক এটি পরিবর্তন করবেন না। পরবর্তী মন্তব্যসমূহ যথাযথ আলোচনার পাতায় করা উচিত। এই আলোচনাটিতে আর কোনও সম্পাদনা করা উচিত নয়।

পরিবর্তন প্রকাশিত হচ্ছে না

আমি নিবন্ধে কিছউ পরিবর্তন করেছি। কিন্তু সেগুলো দেখতে পাচ্ছি না। মনে হচ্ছে পরিবর্তন প্রকাশিত হয় নি। কেউ কি পরিবর্তনগুলো ঠিক করে দিতে পারবেন? 42.0.5.240 (আলাপ) ০৬:৪৯, ১৩ ডিসেম্বর ২০২০ (ইউটিসি)

পরিবর্তনটি প্রকাশিত হয়েছে। পাতার সুরক্ষার জন্য আপনার সম্পাদনাগুলো সাথে সাথে প্রকাশিত হচ্ছিল না। এজন্য চিন্তিত হবেন না। সম্পাদনা চালিয়ে যান। :) — আদিভাইআলাপ১৭:৫৩, ১৩ ডিসেম্বর ২০২০ (ইউটিসি)
"বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ/সংগ্রহশালা ১" পাতায় ফেরত যান।