আলাপ:ওঁ

সাম্প্রতিক মন্তব্য: Mayeenul Islam কর্তৃক ১৩ বছর পূর্বে "অ+উ+ম = ?" অনুচ্ছেদে

I may be very mistaken here, but is ওঁ not ঔঁ? Why can't we have both ওঁ and ঔঁ redirect to ॐ? ॐ is the real one isn't it?

because ॐ is not a Bengali letter. --অর্ণব (আলাপ | অবদান) ১১:১০, ১ নভেম্বর ২০০৬ (ইউটিসি)উত্তর দিন

অপ্রয়োজনীয় অংশ সম্পাদনা

ব্যবহার বাদে অনেকখানি অপ্রয়োজনীয়। প্র্যোজনীয় অংশটুকু ভালই হয়েছিল। কিন্তু ভাষায় প্রাঞ্জলতা নেই। সবচেয়ে বড় কথা সর্বত্র সূত্র নির্দেশিত হয়নি। আপাতত বাদ দিলাম। পরে ভাষার diction পালটে নির্মেদ ও প্রাঞ্জল করার চেষ্টা করুন। অর্ণব দত্ত ১৬:২৪, ২৪ আগস্ট ২০০৮ (ইউটিসি)উত্তর দিন

অ+উ+ম = ? সম্পাদনা

ওঁ বা ওম আসলে অ + উ + ম -এর একটি সংমিশ্রণ। এখন এই অ, উ, আর ম-এর প্রতিনিধিত্বকারী দেবতা কাঁরা? আমি দুটো আলাদা আলাদা অভিমত পেয়েছি। যেহেতু, উৎপত্তি-রক্ষণ-বিনাশ -এই তিন স্তরে, সত্যি করে বললে ধারাবাহিক স্তরে এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের ব্যাখ্যা করা হয়, তাই তিন কাজের যথাক্রমে তিনজন ঈশ্বর বিবেচনা করা হয় ব্রহ্মা-বিষ্ণু-শিব (ত্রিমূর্তি)। তাই খুব সহজে chronologically ব্যাখ্যাটা এভাবে করা হয়:
ব্যাখ্যা ১

এই ব্যাখ্যাটা ইংরেজি উইকিপিডিয়াতেও (এই অংশে) তুলে ধরা হয়েছে ঠিক উল্লেখযোগ্য কোনো তথ্যসূত্র ছাড়াই। কিন্তু আমি আরো দুটো অহিন্দু তথ্যসূত্রে অন্যরকম একটি ব্যাখ্যা দেখেছি:
ব্যাখ্যা ২

তথ্যসূত্র ১: বাংলা একাডেমী ব্যবহারিক বাংলা অভিধান, ২০০৩ সংস্করণ, বাংলা একাডেমী; ভুক্তি: ওঁ,ওম,ওঙ্কার; পৃষ্ঠা ১৯৬।
তথূস্যত্র ২: যার যা ধর্ম (ধর্মতাত্ত্বিক অভিধানকোষ), মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান, ফেব্রুয়ারি ২০০৯ সংস্করণ, ঐতিহ্য; ভুক্তি: ওঙ্কার,ওম,ওঁ; পৃষ্ঠা ১২০।

যেকোনো একটি ব্যাখ্যা গ্রহণ করা যায়। কিন্তু আমার ব্যক্তিগত মত হচ্ছে: বর্তমানে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে ব্যাখ্যা ১ গণহারে ব্যবহার করা হচ্ছে কারণ তারা তিনটি অক্ষরকে খুব সুন্দর ক্রনোলজিক্যালি ব্যবহার করতে পারছে, এবং এই ব্যাখ্যাটা আমার মতে শাস্ত্র দ্বারা প্রমাণিত নয়। আমার মতে, ব্যাখ্যা ২ মূলত শাস্ত্রীয় ব্যাখ্যা (জানিনা, না জেনেই বলছি), যা এখন আর কেউ জানে না, জানার চেষ্টাও করে না। ওম হতে গেলে অ,উ,ম-কে ধারাবাহিক থাকতে হয়, কিন্তু তিনটি অক্ষরের মানে বোঝাতে তিন ঈশ্বরকে ধারাবাহিক হতেই হবে এমন কথা নেই। এব্যাপারে হিন্দুধর্মের অবদানকারী/গবেষকদের থেকে পরিষ্কার তথ্যসূত্রসহ ব্যাখ্যা পেলে নিবন্ধে একটা উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন করা যেতো। —মঈনুল ইসলাম (আলাপ * অবদান) ১০:২৩, ৯ অক্টোবর ২০১০ (ইউটিসি)উত্তর দিন

এমনকি আমি মন্দুকীয় উপনিষদের সম্পূর্ণ (?) ইংরেজি সংস্করণেও এই দুই ব্যাখ্যার কোনোটাই পাইনি। তাহলে শাস্ত্রবিদগণ কোথা থেকে এই ব্যাখ্যা দাঁড় করালেন??? —মঈনুল ইসলাম (আলাপ * অবদান) ১০:৩৪, ৯ অক্টোবর ২০১০ (ইউটিসি)উত্তর দিন
বক্তব্য ১: প্রথম ব্যাখ্যাটিই লোকপ্রচলিত এবং পুরাণসিদ্ধ। এখানে উল্লেখ্য, পৌরাণিক ব্যাখ্যার সঙ্গে ঔপনিষদিক ব্যাখ্যার মিল অনেক ক্ষেত্রেই নেই। কারণ, খুব স্থূলভাবে বললে, পুরাণ পৌত্তলিক এবং উপনিষদ অপৌত্তলিক (যদিও উপনিষদে দেবতাদের উল্লেখ রয়েছে, তথাপি বৈদিক সাহিত্যে মূর্তিপূজা নেই)। তাই খুব স্বাভাবিক কারণেই, মাণ্ডুক্য (মন্দুকীয় নয়) উপনিষদে পৌরাণিক দেবতাদের নামের সঙ্গে ওঁ-কারের ব্যাখ্যা জোড়া হয়নি।
বক্তব্য ২: দ্বিতীয় ব্যাখ্যাটি আমি কোনো শাস্ত্রগ্রন্থ বা প্রামাণ্য ধর্মসম্বন্ধীয় গ্রন্থে পাইনি (প্রামাণ্য বলতে আমি ধর্মপ্রতিষ্ঠান অনুমোদিত তথ্য বোঝাতে চাইছি)।
বক্তব্য ৩: বর্তমান নিবন্ধের ৫, ৬ ও ৭ নং তথ্যসূত্র অঙ্কিত ব্যাখ্যাগুলিই হিন্দুধর্মের অথরাইজড ওঁ-কার তত্ত্বের আদি ব্যাখ্যা। হিন্দুধর্মের সর্বোচ্চ ঈশ্বর "ব্রহ্ম" (ব্রহ্মা নয়) বা "ব্রহ্মণ" নিরাকার। ওঁ-কার মূলত এই ব্রহ্মের প্রতীক। পৌরাণিক যুগে ব্রহ্মা, বিষ্ণু, শিব ইত্যাদি দেবতার সঙ্গে ওঁ-কার তত্ত্বকে মেলানোর চেষ্টা করা হয়েছে। তারই ফলস্রুতিতে অ, উ ও ম-এর সঙ্গে এই তিন দেবতার নাম জড়িয়ে পড়েছে। এবং মেঘে মেঘে হিন্দুধর্মেরও বয়স অনেক হল। তাই বটের মতো এরও অনেক ঝুরি গজিয়েছে। ওঁ-কার তত্ত্বের সহস্রাধিক ব্যাখ্যা পেতে পারেন। সবগুলিকে গ্রাহ্য করবেন না। মাথা খারাপ হয়ে যাবে। মাণ্ডুক্যে যা লিখেছে, সেটিকে সঠিক ধরে নিন।
বক্তব্য ৪: ইংরেজিতে বলে, last but not least. ওঁ-কার তত্ত্বের একটি ব্যাখ্যা হচ্ছে, এটি সৃষ্টি, স্থিতি ও প্রলয় সংঘটনকারী ঈশ্বরের প্রতীক। কিন্তু একথা লিখেছে বলেই, এটিকে ব্রহ্মা, বিষ্ণু, শিবের প্রতীক ধরতে হবে এমন কোন কথা নেই। কারণ, ওঁ-কারের আদিতম উপস্থিতি বৈদিক সাহিত্যে। বেদে ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও শিব ছিলেন অপ্রধান দেবতা। পৌরাণিক সাহিত্যে তাঁরা প্রধান দেবতার স্থান পেয়েছেন। পুরাণ রচনাকাল বেদের অনেক পরে। সুতরাং, যে ব্যাখ্যায় ওঁ-কারকে সৃষ্টি, স্থিতি ও প্রলয় সংঘটনকারী ঈশ্বরের প্রতীক বলা হয়েছে, সেই ব্যাখ্যার মানে ধরতে হবে এটি সৃষ্টি, স্থিতি ও প্রলয় সংঘটনকারী ব্রহ্মের প্রতীক। --অর্ণব দত্ত (আলাপ) ১৫:৪৮, ৯ অক্টোবর ২০১০ (ইউটিসি)উত্তর দিন

অর্ণবদা, আপনি আমার প্রশ্নের উত্তর দিয়ে উপকৃত করেছেন, সেজন্যে ধন্যবাদ। বক্তব্য আমার প্রশ্নের উত্তর হিসেবে যথেষ্ট হলেও আসলে আমার হিন্দু ধর্ম সম্পর্কে অজ্ঞানতার কারণে আমার জন্য তা যথেষ্ট নয়। আমার অনেক অনেক পড়ালেখা করতে হবে বিষয়টা সঠিকভাবে বুঝতে। তাই দয়া করে আমার উপর বিরক্ত হবেন না এবং আমার এই প্রশ্নগুলোর উত্তর দিলে বাধিত থাকবো। আমার ওঁ এবং ত্রিমূর্তি বিষয়ে কিছু বেশিই জানার দরকার হয়ে পড়েছে একটা গবেষণার প্রয়োজনে। যদিও হয়তো তা এই নিবন্ধটির আলোচনা হিসেবে খানিকটা অপ্রাসঙ্গিক ঠেকতে পারে, তাই আপনি চাইলে তা উইকিপিডিয়ার বাইরেও হতে পারে:

  1. আপনি সর্বোচ্চ ঈশ্বরকে (নিরাকার) ব্রহ্ম বলছেন। অথচ খানিক পরেই আপনি ব্রহ্মা'র উল্লেখ করেছেন, তাতে আমি কিছুটা দ্বিধান্বিত। ব্রহ্মা নিবন্ধে ক্লিব "ব্রহ্ম" আছেন, এবং পুরুষ "ব্রহ্মা" আছেন। তাই "মূল ঈশ্বর" আর "সৃষ্টিকর্তা ঈশ্বর"-এর মধ্যে কোনো ফারাক আছে কিনা -এই পুরো ব্যাপারটা বুঝতে পারিনি।
  2. মাণ্ডুক্য উপনিষদে বলা হয়েছে ওঁ হলো সৃষ্টি-স্থিতি-প্রলয়। সেখানে পরমব্রহ্ম আছেন হয়তো, বুঝিনি। তাহলে আপনার বক্তব্য ৪ অনুযায়ী এটা আমাদের জন্য অন্যায় হবে সৃষ্টি-স্থিতি-ধ্বংস প্রতিরূপায়নে ব্রহ্মা(নাকি ব্রহ্ম?)-বিষ্ণু-শিবকে জড়িয়ে ফেলা। তাই ওঁ দিয়ে বলবো পরমব্রহ্মকে এবং তাঁর তিন রূপকে বোঝায়, কখনোই ত্রিমূর্তিকে বোঝায় না। তাই কি?
  3. আপনি বলছেন: ওঁ-কার তত্ত্বের একটি ব্যাখ্যা হচ্ছে, এটি সৃষ্টি, স্থিতি ও প্রলয় সংঘটনকারী ঈশ্বরের প্রতীক। মাণ্ডুক্যে কি এই কথা আছে? মাণ্ডুক্যে মনে হয় বলা হয়েছে ওঁ হলো সৃষ্টি-স্থিতি-প্রলয়ের প্রতীক, 'ঈশ্বর' কথাটি কি আছে?

দয়া করে এই বক্তব্যকে কোনোভাবেই অযাচিত তর্ক হিসেবে নিবেন না, এটা আসলে একজন মুর্খের জানার আকুতিমাত্র। তবে একথা পরিষ্কার যে, আপনার উত্তরগুলো ইতোমধ্যেই হয়তো বিজ্ঞ অবদানকারীদের জন্য যথেষ্ট এবং আর কোনো উত্তর না দিলেও এই নিবন্ধের যথেষ্ট সুন্দর অগ্রগতি হবার জন্য সহায়ক। আপনাকে ধন্যবাদ।
"মাণ্ডুক্য উপনিষদ" বানানটা ধরিয়ে দিয়ে কী যে উপকার করলেন, তা বলে বোঝাতে পারবো না। আমি বিশাল একটা সমস্যা থেকে বেরিয়ে এসেছি এই বানানটি ধরে। :)  —মঈনুল ইসলাম (আলাপ * অবদান) ১৭:৩০, ৯ অক্টোবর ২০১০ (ইউটিসি)উত্তর দিন

আপনার প্রথম প্রশ্নের উত্তরে জানাই, হিন্দুধর্মে "ব্রহ্ম" আর "ব্রহ্মা" দুই সম্পূর্ণ পৃথক সত্ত্বা। "ব্রহ্মা" একজন পৌরাণিক দেবতা। কিন্তু "ব্রহ্ম" হলেন পরমেশ্বর বা সর্বোচ্চ ঈশ্বর। তাঁর রূপ মানুষের কল্পনার বাইরে। কিন্তু ব্রহ্মার নিজস্ব রূপ আছে (চারটে মাথা, চারটে হাত, হাঁসের পিঠে চড়া ইত্যাদি)। এই দুজনের মধ্যে পার্থক্য আছে। "ব্রহ্ম" হলেন "মূল ঈশ্বর" বা "সর্বোচ্চ ঈশ্বর" আর "ব্রহ্মা" সর্বোচ্চ ঈশ্বর নন, তিনি "সৃষ্টিকর্তা দেবতা" মাত্র। ব্রহ্মই সর্বোচ্চ সৃষ্টিকর্তা, তিনিই ব্রহ্মাকে সৃষ্টি করেছেন। আশা করি, এবার পরিষ্কার হয়েছে। আপনার দ্বিতীয় প্রশ্নের উত্তরে জানাই, ব্রহ্মা-বিষ্ণু-শিবের সঙ্গে ওঁ-কার জড়িয়ে যে ওঁ-কার তত্ত্বের ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে সেটা পৌরাণিক মত। ওই মত, উপনিষদের ব্যাখ্যায় চলবে না। দুটো ব্যাখ্যাই আপনি দিতে পারেন, তবে সেটা আপনাকে সম্পূর্ণ আলাদা আলাদা ভাবে দিতে হবে। আপনার তৃতীয় প্রশ্নের উত্তরে জানাই, "ঈশ্বর" কথাটি স্পষ্টত না থাকলেও, এটি ঈশ্বরকেই বোঝাচ্ছে। ওঁ-কার সর্বত্রই ঈশ্বরের প্রতীক, অন্য কোনো কিছুর প্রতীক নয়।
আপনি যদি উপনিষদ সম্পর্কে বিষদ জানতে চান, তবে অনুরোধ করব, উপনিষদের কোনো বঙ্গানুবাদ অনুসরণ করুন। ইংরেজিতে সব বিষয় ভাল পরিস্ফুট হয় না। আপনার কোনো কিছু জানার থাকলে আপনি আমাকে জিজ্ঞাসা করতে দ্বিধা করবেন না। প্রয়োজনে আমার ব্যবহারকারী আলাপ পাতাটিও ব্যবহার করতে পারেন। যদি আমার জানা বিষয় হয়, তবে সর্বদাই সাহায্য করতে প্রস্তুত। জ্ঞানের আদানপ্রদানে আমার কোনো ক্লান্তি বা বিরক্তি নেই। --অর্ণব দত্ত (আলাপ) ১৯:২০, ৯ অক্টোবর ২০১০ (ইউটিসি)উত্তর দিন
পরিষ্কার। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। —মঈনুল ইসলাম (আলাপ * অবদান) ০৫:৩২, ১০ অক্টোবর ২০১০ (ইউটিসি)উত্তর দিন
"ওঁ" পাতায় ফেরত যান।