আলাপ:উমর ইবনুল খাত্তাব

সাম্প্রতিক মন্তব্য: খাত্তাব হাসান কর্তৃক ৪ মাস আগে "নিবন্ধের শিরোনাম" অনুচ্ছেদে

উমর ইবনুল খাত্তাব সচরাচর কীভাবে অভিহিত সম্পাদনা

উমর ইবনুল খাত্তাব সচরাচর হযরত উমর (রা:) নামে অভিহিত। তাঁর নাম "রা:" ব্যাতিরেকে উচ্চারণ করা হয় না। সুতরাং (রা:) অপসারণ অবিবেচনাপ্রসূত হয়েছে। অনুগ্রহপূর্ব্বক লক্ষ্য করুন, "উমর ইবনুল খাত্তাব (আরবি, عمر بن الخطاب) (৫৮০ – নভেম্বর ৩, ৬৪৪) যিনি সচরাচর হযরত উমর (রা:) নামে অভিহিত, ইসলাম ধর্মের মহানবী মুহাম্মাদ এর ঘনিষ্ঠ সাহাবী" -বাক্যটি সঠিক ছিল। তা পুন:স্থাপন করা সমীচীন। হবে। -Faizul Latif Chowdhury (আলাপ) ১৭:৩৪, ১৬ ডিসেম্বর ২০১১ (ইউটিসি)উত্তর দিন

এই ব্যাপারে আমি দ্বিমত পোষণ করছি। রাদিয়াল্লাহু আনহু একটি দোয়া, যা কারো নামের পরে অনেক মুসলিমেরা উল্লেখ করেন। এটা কোনো অবস্থাতেই নামের অংশ না। তদুপরি উইকিপিডিয়া একটি ধর্মনিরপেক্ষ বিশ্বকোষ। এখানে বিশেষ কোনো ধর্মগোষ্ঠীর মন রক্ষা করার জন্য লেখা যথাযথ নয়। যেহেতু রাঃ একটি দোয়া, মুসলিমেরা উমরের নাম উচ্চারণ করার সময়ে মনে মনে দোয়াটি পড়ে নিতেই পারেন। কিন্তু আপনি কীভাবে জাস্টিফাই করবেন যে, একজন অমুসলিমকেও উইকিপিডিয়া পড়ার সময়ে এই দোয়াটি পড়তে হবে? সেটা তো করা যায় না কোনোভাবেই। এই কারণেই উমরের নাম যা, তাই এখানে ব্যবহার করতে হবে। --রাগিব (আলাপ | অবদান) ১৯:৩৭, ১৬ ডিসেম্বর ২০১১ (ইউটিসি)উত্তর দিন
এখানে ‘’জাস্টিফিকেশনের’’ কোনো বিষয় আদৌ জড়িত নেই। প্রশ্ন হলো তাঁকে কীভাবে সাধারণত: অভিহিত করা হয়। সচরাচর “উমর ইবনুল খাত্তাব” হিসেবে নয় ; কেবল “উমর” হিসেবে নয় ; কেবল “হযরত উমর” হিসেবে নয়। তাঁকে “হযরত উমর (রা:)” হিসেবেই সচরাচর (ধরুণ মুসলিম-অমুসলিম মিলিয়ে শতকার ৯৯% ক্ষেত্রে) অভিহিত করা হয়। সুতরাং বাস্তবতা ও বস্তুনিষ্ঠতার খাতিরেই লিখতে হবে তাঁকে সচরাচর হযরত উমর (রা:) নামে অভিহিত করা হয়। ওপরে প্রদত্ব যুক্তি অনুযায়ী বলা যায় অমুসলিমরা চাইলে (রা:) অংশটি বাদ দিয়ে তাঁর নাম পড়তে পারেন। বাক্যটির গঠন এবং পদসংস্থাপনার ক্রমের দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করছি: "উমর ইবনুল খাত্তাব (আরবি, عمر بن الخطاب) (৫৮০ – নভেম্বর ৩, ৬৪৪), যিনি সচরাচর হযরত উমর (রা:) নামে অভিহিত, ইসলাম ধর্মের মহানবী মুহাম্মাদ এর ঘনিষ্ঠ সাহাবী"। “রা:” অবশ্যই নামের অংশ নয় ;- সেটা ইমপ্লাই-ও করা হয় নি। যেহেতু তর্কাধীন বাক্যটির বক্তব্য বাস্তবতাভিত্তিক তাই তা পুন:সংযোজনের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। -Faizul Latif Chowdhury (আলাপ) ০৫:৩৮, ১৭ ডিসেম্বর ২০১১ (ইউটিসি)উত্তর দিন
আপনি কিন্তু আবারও এখানে সংখ্যাগুরুর যুক্তিটি দেখাচ্ছেন। যে অংশটি নামের অংশ নয় বরং একটি দোয়া, সেটাকে তাকে "অভিহিত করা হয়" বলাটা স্ঠিক না। ব্যাপারটা অনেকটা এরকম যে, নানা জায়গায় জনাব অমুক লেখা হয় বলে তাকে "জনাব অমুক" বলে অভিহিত করা। উইকিপিডিয়াতে নামের ক্ষেত্রে সম্মানসূচক বিশেষণ পরিহার করাই নিয়ম। আপনার উদ্ধৃত বাক্যটিতে যদি বলা হতো যে, "যিনি সচরাচর হযরত উমর নামে পরিচিত এবং যাঁর নামের শেষে মুসলমানেরা রাদিয়াল্লাহু আনহু দোয়া পড়ে থাকেন", সেটা সঠিক হতো, কিন্তু তার বদলে আপনি কিন্তু এখানে দোয়াটিকে নামের অংশ বানিয়ে দিচ্ছেন। উইকিপিডিয়াকে ধর্মীয়পিডিয়া বানাবার দরকার তো নেই। কার নামের শেষে কী দোয়া পড়তে হবে, তা পাঠকের হাতেই ছেড়ে দিন। নতুবা পরবর্তীতে সব ধর্মের লোকজনই এই রকম দাবী নিয়ে আসবে এবং নানা ধর্মীয় দোয়া অন্যদের উপরে চাপাতে চাইবে সংখ্যাগুরুত্বের দোয়াহি দিয়ে। --রাগিব (আলাপ | অবদান) ০৭:৩১, ১৭ ডিসেম্বর ২০১১ (ইউটিসি)উত্তর দিন
তর্ক যেন কুতর্কে পর্যবসিত না-হয় সেদিকে দায়িত্ববানদের খেয়াল রাখা দরকার। আবার অনড় সিদ্ধান্তমূলক ক্ষেত্রে তর্ক পরিহার্ করাই সমীচীন। সুতরাং এবারের প্রত্যুত্তর কিছুটা ঝুঁকিপূর্ণ। প্রথম কথা: তর্কাধীন বাক্যের মাধ্যমে, “উমর ইবনুল খাত্তাব”-এর নাম পরিবর্তন করা হচ্ছে না। কিংবা উইকিপিডিয়ার মাধ্যমে কোনো দোয়াকে নামের অংশে পরিণত করাও হচ্ছে না। যখন আলেকজাণ্ডারকে “আলেকজাণ্ডার দ্য গ্রেট” বলা হয়, তখন বাস্তবতার প্রতিফলনের স্বার্থেই তা করা হয়। কেননা সঙ্গত বা অঙ্গত যে কারণেই হোক, তিনি যতটা “আলেকজাণ্ডার-৩” নামে পরিচিত ইংরেজীভাষী সমাজে তার চেয়েও বেশী “আলেকজাণ্ডার দ্য গ্রেট” নামে পরিচিত। হতে পারে উইকিপিডিয়াতে নামের ক্ষেত্রে সম্মানসূচক বিশেষণ পরিহার করাই নিয়ম। কিন্তু যে কোনো নিয়ম কেবল ব্যতিক্রমের মাধ্যমে বৈধতা লাভ করে। এই সূত্রানুযায়ী মুহাম্মদের নামের শেষে (সা:) যোগ করা করা একটি বৈধ ব্যতিক্রম। আলেকজাণ্ডার দ্য গ্রেট, এডওয়ার্ড-৪ অব ইংল্যান্ড, গৌতম বুদ্ধ, ইত্যাদি অসংখ্য ক্ষেত্রে প্রকৃত নামের পরিবর্তে অভিধাকে নিবন্ধের শির:নাম করা হয়েছে য়ৌক্তিক কারণেই। যুক্তিটি কী? সংখ্যাগুরুত্ব বৈ অন্য কিছু নয়। তদুপরি কেবল প্রচলনসিদ্ধতার কারণেই হযরত উমর (রা:) লেখা বাঞ্চণীয়। তা নাহলে এই নিবন্ধের পাঠক যাদের অন্তত: ৬০ শতাংশ মুসলমান তারা প্রথমত: বিভ্রান্ত হতে পারে। আমরা চাই বা না-চাই “(রা:)” উমরের নামের অংশে পরিণত হয়েছে। এমত ঐতিহাসিক তথ্যকে অস্বীকার করা উইকিপিডিয়ার নীতিভুক্ত নয়। প্রায় চৌদ্দশ বছর যাবৎ “(রা:)” কার্যত: উমরের নামের অংশ ; তজ্জন্য একজন উইকিপিডিয়ানকে দায়ী করা অসমীচীন হয়েছে। এটি একটি রূঢ় অভিযোগ যে হযরত উমরকে প্রচলিত রীতি মোতাবেক হযরত উমর (রা:) হিসাবে উল্লেখ করার অর্থ হলো উইকিপিডিয়াকে ধর্মীয়পিডিয়ায় পরিণত করা। এরকম অভিযোগ অনভিপ্রেতই নয় এক্ষেত্রে অপ্রাসঙ্গিকও বটে। উইলিয়াম শেকসপিয়রের পরিচিতির প্রথমেই তার ব্যাপটাইজেশানের তারিখ উল্লেখ করা্র মাধ্যমে উইকিপিডিয়া ধর্মীয়পিডিয়ায় পরিণত হয়েছে কি-না সে প্রশ্নও অবধারিত হয়ে ওঠে।সুতরাং পুনর্বার দাবী করা যায় "উমর ইবনুল খাত্তাব (আরবি, عمر بن الخطاب) (৫৮০ – নভেম্বর ৩, ৬৪৪) যিনি সচরাচর হযরত উমর (রা:) নামে অভিহিত, ইসলাম ধর্মের মহানবী মুহাম্মাদ এর ঘনিষ্ঠ সাহাবী" বাক্যটি সর্বৈব নির্দোষ এবং উইকিপিডিয়ার ব্যবহৃত নীতিমালার সঙ্গে আদৌ সাংঘর্ষিক নয়। —Faizul Latif Chowdhury (আলাপ) ১৮:৪১, ১৭ ডিসেম্বর ২০১১ (ইউটিসি)উত্তর দিন
এখানে আপনি বার বার একটা কাজ করছেন, তা হলো একটি দোয়া, যা কোনো কোনো মুসলিম বিভিন্ন ঐতিহাসিক ব্যক্তির নামের শেষে পড়ে থাকেন, তাকে উইকিপিডিয়ায় যোগ করতে বলছেন। মুসলিম লেখকদের লেখায় উমরের নামের আগে হযরত এবং পরে অনেক সময় রাদিয়াল্লাহু আনহু দোয়া লেখা হয়ে থাকে বটে। তার মানে কিন্তু এটা কখনোই দাঁড়ায়না যে, দোয়াটি তাঁকে সম্বোধন করার কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। ধরুন আপনাকে আমি জনাব ফয়জুল লতিফ চৌধুরী বলে লিখলাম। তার মানে কি এটা দাঁড়াবে যে আপনাকে "জনাব ফয়জুল লতিফ চৌধুরী" বলে সম্বোধন করা হয়? রাঃ দোয়াটি একটি অপশনাল ব্যাপার, যা মূলত মুখে বলার জন্য।
আমার এই প্রশ্নের জবাব আপনি এখনো কিন্তু দেননি -- ইসলাম ধর্মের অনুসারীদের কিছু অংশের উচ্চারিত দোয়া কেনো একটি ধর্মনিরপেক্ষ বিশ্বকোষে দিয়ে সব ধর্মের সবাইকে পড়তে বাধ্য করা হবে। আলেকজান্ডার দি গ্রেট এর উদাহরণ এখানে প্রযোজ্য না, কারণ সেটা কোনো ধর্মের জন্য প্রযোজ্য, আর কোনো ধর্মের জন্য না, এরকম ব্যাপার নেই। গান্ধীর ক্ষেত্রেও তাই। রাদিয়াল্লাহু আনহুর অর্থটা নিশ্চয়ই জানেন। "আল্লাহ তাঁর উপরে খুশী হউন" । এরকম একটি নিতান্তই ধর্মভিত্তিক দোয়াকে কীভাবে আপনি একজন হিন্দু বা বৌদ্ধ বা খ্রিস্টান বা নিধর্মীকে পড়তে বাধ্য করতে চান, তা আমার বোধগম্য না। উইকিপিডিয়াকে কোনো ধর্মের লেবাস দেয়া তো ঠিক না। আর "প্রচলিত ব্যবহার" এই দাবীটাও সঠিক না। কোথায় প্রচলিত? মুসলিমদের কাছে ক্ষেত্রবিশেষে প্রচলিত, কিন্তু সেটাও দোয়া হিসাবে, বিশেষণ হিসাবে না। আর অমুসলিমরা তো এই দোয়াটি আদৌ পড়েন না, সেটা খুব সহজেই বোধগম্য। তাহলে কেনো উইকিপিডিয়াকে এই দোয়াটি পড়তে হবে ছাপার মাধ্যমে এবং পাঠকদের মাধ্যমে? আপনি এর সপক্ষে আসলে এমন কোনো যুক্তিই দেখাতে পারবেন না, যা উইকিপিডিয়ার নিরপেক্ষতার নীতিকে মেনে চলে। --রাগিব (আলাপ | অবদান) ০৫:৩৪, ১৯ ডিসেম্বর ২০১১ (ইউটিসি)উত্তর দিন
@Ragib এবং Faizul Latif Chowdhury: পুরনো আলোচনা জানি। এও জানি যে নিবন্ধে আলোচনার প্রভাব পড়েনি। তবে আমি রাগিব সাহেবের যুক্তির সাথে একমত। অর্ণব (আলাপ | অবদান) ০৬:৫২, ১২ ডিসেম্বর ২০১৬ (ইউটিসি)উত্তর দিন

নিবন্ধের শিরোনাম সম্পাদনা

খুলাফায়ে রাশেদীন হিসেবে আবু বকর এবং আলী নিবন্ধের মতো এই নিবন্ধের শিরোনাম উমর করার প্রস্তাব দিচ্ছি। সাজিদ   ১৮:৫৭, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৩ (ইউটিসি)উত্তর দিন

@সাজিদ শরীফ এটার কি আবশ্যকতা আছে? কারণ ইতিহাসে আবু বকর বা আলীর একই নামে সমপ্রসিদ্ধ ব্যক্তিত্ব নেই। কিন্তু উমরের নামে রয়েছেন। আর উমরের নাম ইবনুল খাত্তাবসহও সমানভাবে প্রসিদ্ধ। ― 💬 кคקย๔คภ קครђค (কাপুদান পাশা)  ☪  ১৮:৩৮, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩ (ইউটিসি)উত্তর দিন
উমর নামে যত ব্যক্তিই থাকুক না কেন তারা কেউই উমর ইবনুল খাত্তাবের মতো সমপ্রসিদ্ধ নয়। তবে নামকরণের ক্ষেত্রে সম্প্রদায় যেটা সিদ্ধান্ত নিবে সেটাই চূড়ান্ত। সাজিদ   ০৭:৩৭, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩ (ইউটিসি)উত্তর দিন
@সাজিদ শরীফ আপনি বোধহয় খেয়াল করেননি, দ্বিতীয় উমরও সমানভাবে প্রসিদ্ধ। ― 💬 кคקย๔คภ קครђค (কাপুদান পাশা)  ☪  ০৮:৩৮, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩ (ইউটিসি)উত্তর দিন
"উমর ইবনুল খাত্তাব" পাতায় ফেরত যান।