আলফাডাঙ্গা উপজেলা

ফরিদপুর জেলার একটি উপজেলা

আলফাডাঙ্গা উপজেলা বাংলাদেশের ফরিদপুর জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা[][]

আলফাডাঙ্গা
উপজেলা
মানচিত্রে আলফাডাঙ্গা উপজেলা
মানচিত্রে আলফাডাঙ্গা উপজেলা
স্থানাঙ্ক: ২৩°১৭′২৩.২০৮″ উত্তর ৮৯°৪২′৯.৯৭২″ পূর্ব / ২৩.২৮৯৭৮০০০° উত্তর ৮৯.৭০২৭৭০০০° পূর্ব / 23.28978000; 89.70277000 উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
দেশবাংলাদেশ
বিভাগঢাকা বিভাগ
জেলাফরিদপুর জেলা
সরকার
 • উপজেলা নির্বাহী অফিসার []রাসেল ইকবাল []
আয়তন
 • মোট১২৮ বর্গকিমি (৪৯ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা (২০১১)
 • মোট১,০৮,৩০২
 • জনঘনত্ব৮৫০/বর্গকিমি (২,২০০/বর্গমাইল)
সাক্ষরতার হার
 • মোট৫৬.৫০%
সময় অঞ্চলবিএসটি (ইউটিসি+৬)
প্রশাসনিক
বিভাগের কোড
৩০ ২৯ ০৩
ওয়েবসাইটদাপ্তরিক ওয়েবসাইট উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন

অবস্থান ও আয়তন

সম্পাদনা

এই উপজেলার উত্তরে বোয়ালমারী উপজেলাচন্দনা-বারাশিয়া নদী, দক্ষিণে নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলা, পূর্বে গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী উপজেলাবোয়ালমারী উপজেলা, পশ্চিমে নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলামাগুরা জেলার মহম্মদপুর উপজেলা

ইতিহাস

সম্পাদনা

বাংলাদেশের ১৩তম জেলা যশোরের অন্তর্গত ছিল বর্তমান (২০১১) আলফাডাঙ্গা উপজেলা। কবে কখন আলফাডাঙ্গার নামকরণ করা হয়েছিল তার সঠিক তথ্য জানা যায়নি। তবে কেউ কেউ বলেন মধুমতি নদীর কূলে "আলফা" নামক এক ধরনের লতানো ফুল ডাঙ্গায় ফুটতো এবং সেই ফুলের নামানুসারে আলফাডাঙ্গার নামকরণ করা হয়েছে। আবার অনেকে মনে করেন অল্পডাঙ্গা বা আলিফাডাঙ্গা থেকে আলফাডাঙ্গার নামকরণ করা হয়। ১৯৬০ সালে আলফাডাঙ্গা থানাকে ফরিদপুর জেলার সঙ্গে যুক্ত করা হয়। পূর্বে এটি ছিল যশোর জেলার নড়াইল মহকুমার আওতাধীন। ভৌগোলিক দিক থেকে আলফাডাঙ্গা একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান। এটি ইতিহাসের অনেক সাক্ষীবহন করে আছে।

প্রশাসনিক এলাকা

সম্পাদনা

পৌরসভা ১টি, ইউনিয়ন ৬টি, মৌজা ৯২টি, গ্রাম ১২১টি।

ইউনিয়ন গুলি হচ্ছে:

  1. বুড়াইচ ইউনিয়ন
  2. গোপালপুর ইউনিয়ন
  3. আলফাডাঙ্গা ইউনিয়ন
  4. টগরবন্দ ইউনিয়ন
  5. বানা ইউনিয়ন
  6. পাঁচুরিয়া ইউনিয়ন

শিক্ষা

সম্পাদনা

আলফাডাঙ্গায় ৩ টি কলেজ রয়েছে।

  1. আলফাডাঙ্গা সরকারী ডিগ্রী কলেজ, আলফাডাঙ্গা আদর্শ কলেজ, কাজী সিরাজুল ইসলাম হোমিওপ্যাথিক কলেজ। শিক্ষার উন্নয়নে এই ৩ টি কলেজ বিশেষ ভূমিকা পালন করে আসছে। আলফাডাঙ্গা সরকারী ডিগ্রী কলেজ ১৯৮৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।

আলফাডাঙ্গা উপজেলায় দুটি নদী আছে। সেগুলো হচ্ছে মধুমতি নদীচন্দনা-বারাশিয়া নদী[][]

ঐতিহাসিক নিদর্শন

সম্পাদনা

মীরগঞ্জ নীলকুঠি

সম্পাদনা

মীরগঞ্জ নীলকুঠি আলফাডাঙ্গা উপজেলার বারাংকুলা ও ফলিয়া গ্রামের মধ্যবর্তী স্থানে বারাশিয়া নদী সংলগ্ন অবস্থিত। ফরিদপুর অঞ্চলের নীল চাষের প্রধান কার্যালয় ছিল মীরগঞ্জ নীলকুঠি। ১৮৩৩ সালের পরবর্তী সময়ে এই কুঠির আওতায় ৫২টি কুঠি ছিল। এখানে এক ইংরেজ সাহেবের সমাধী ছিল। কুঠি ঘিরে এখানে গড়ে উঠেছিল বাজার।

উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি

সম্পাদনা

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. প্রতিবেদক, বিশেষ (2025-02-1)। "আলফাডাঙ্গায় তারুণ্যের উৎসব উপলক্ষ্যে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান"বৈশাখী নিউজ। সংগ্রহের তারিখ 2024-08-20  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |তারিখ= (সাহায্য)
  2. প্রতিবেদক, বিশেষ (২০২৪-০৮-২০)। "সিটি মেয়রসহ ১ হাজার ৮৭৬ জনপ্রতিনিধিকে অপসারণ"দৈনিক প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-২০ 
  3. "আলফাডাঙ্গা উপজেলা - বাংলাপিডিয়া"bn.banglapedia.org। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৭-১০ 
  4. "আলফাডাঙ্গা উপজেলা"alfadanga.faridpur.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৭-১০ 
  5. ড. অশোক বিশ্বাস, বাংলাদেশের নদীকোষ, গতিধারা, ঢাকা, ফেব্রুয়ারি ২০১১, পৃষ্ঠা ৩৯৭, আইএসবিএন ৯৭৮-৯৮৪-৮৯৪৫-১৭-৯
  6. মানিক মোহাম্মদ রাজ্জাক (ফেব্রুয়ারি ২০১৫)। বাংলাদেশের নদনদী: বর্তমান গতিপ্রকৃতি। ঢাকা: কথাপ্রকাশ। পৃষ্ঠা ৬০৫। আইএসবিএন 984-70120-0436-4 

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা