আলফাডাঙা উপজেলা
আলফাডাঙ্গা, বাংলাদেশের ফরিদপুর জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা।[১][২]
আলফাডাঙ্গা | |
---|---|
উপজেলা | |
বাংলাদেশে আলফাডাঙা উপজেলার অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ২৩°১৭′৭″ উত্তর ৮৯°৪৩′৫″ পূর্ব / ২৩.২৮৫২৮° উত্তর ৮৯.৭১৮০৬° পূর্ব | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | ঢাকা বিভাগ |
জেলা | ফরিদপুর জেলা |
আয়তন | |
• মোট | ১২৮ বর্গকিমি (৪৯ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১) | |
• মোট | ১,০৮,৩০২ |
• জনঘনত্ব | ৮৫০/বর্গকিমি (২,২০০/বর্গমাইল) |
সাক্ষরতার হার | |
• মোট | ৫৬.৫০% |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
প্রশাসনিক বিভাগের কোড | ৩০ ২৯ ০৩ |
ওয়েবসাইট | প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট ![]() |
অবস্থান ও আয়তনসম্পাদনা
এই উপজেলার উত্তরে বোয়ালমারী উপজেলা ও চন্দনা-বারাশিয়া নদী, দক্ষিণে নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলা, পূর্বে গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী উপজেলা ও বোয়ালমারী উপজেলা, পশ্চিমে নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলা ও মাগুরা জেলার মহম্মদপুর উপজেলা।
প্রশাসনিক এলাকাসম্পাদনা
ইউনিয়ন ৬টি, মৌজা ৯২টি, গ্রাম ১২১টি। ইউনিয়ন গুলি হচ্ছে:
ইতিহাসসম্পাদনা
বাংলাদেশের ১৩তম জেলা যশোরের অন্তর্গত ছিল বর্তমান (২০১১) আলফাডাঙ্গা উপজেলা। কবে কখন আলফাডাঙ্গার নামকরণ করা হয়েছিল তার সঠিক তথ্য জানা যায়নি। তবে কেউ কেউ বলেন মধুমতি নদীর কূলে "আলফা" নামক এক ধরনের লতানো ফুল ডাঙ্গায় ফুটতো এবং সেই ফুলের নামানুসারে আলফাডাঙ্গার নামকরণ করা হয়েছে। আবার অনেকে মনে করেন অল্পডাঙ্গা বা আলিফাডাঙ্গা থেকে আলফাডাঙ্গার নামকরণ করা হয়। ১৯৬০ সালে আলফাডাঙ্গা থানাকে ফরিদপুর জেলার সঙ্গে যুক্ত করা হয়। পূর্বে এটি ছিল যশোর জেলার নড়াইল মহকুমার আওতাধীন। ভৌগোলিক দিক থেকে আলফাডাঙ্গা একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান। এটি ইতিহাসের অনেক সাক্ষীবহন করে আছে।
শিক্ষাসম্পাদনা
আলফাডাঙ্গায় ৩ টি কলেজ রয়েছে।
- আলফাডাঙ্গা সরকারী ডিগ্রী কলেজ, আলফাডাঙ্গা আদর্শ কলেজ, কাজী সিরাজুল ইসলাম হোমিওপ্যাথিক কলেজ। শিক্ষার উন্নয়নে এই ৩ টি কলেজ বিশেষ ভূমিকা পালন করে আসছে। আলফাঙ্গা সরকারী ডিগ্রী কলেজ ১৯৮৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।
নদনদীসম্পাদনা
আলফাডাঙ্গা উপজেলায় দুটি নদী আছে। সেগুলো হচ্ছে মধুমতি নদী ও চন্দনা-বারাশিয়া নদী।[৩][৪]
ঐতিহাসিক নিদর্শন ও ঐতিহ্যসম্পাদনা
মীরগঞ্জ নীলকুঠিসম্পাদনা
মীরগঞ্জ নীলকুঠি আলফাডাঙ্গা উপজেলার বারাংকুলা ও ফলিয়া গ্রামের মধ্যবর্তী স্থানে বারাশিয়া নদী সংলগ্ন অবস্থিত। ফরিদপুর অঞ্চলের নীল চাষের প্রধান কার্যালয় ছিল মীরগঞ্জ নীলকুঠি। ১৮৩৩ সালের পরবর্তী সময়ে এই কুঠির আওতায় ৫২টি কুঠি ছিল। এখানে এক ইংরেজ সাহেবের সমাধী ছিল। কুঠি ঘিরে এখানে গড়ে উঠেছিল বাজার।
তথ্যসূত্রসম্পাদনা
- ↑ "আলফাডাঙ্গা উপজেলা - বাংলাপিডিয়া"। bn.banglapedia.org। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৭-১০।
- ↑ "আলফাডাঙ্গা উপজেলা"। alfadanga.faridpur.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৭-১০।
- ↑ ড. অশোক বিশ্বাস, বাংলাদেশের নদীকোষ, গতিধারা, ঢাকা, ফেব্রুয়ারি ২০১১, পৃষ্ঠা ৩৯৭, আইএসবিএন ৯৭৮-৯৮৪-৮৯৪৫-১৭-৯।
- ↑ মানিক মোহাম্মদ রাজ্জাক (ফেব্রুয়ারি ২০১৫)। বাংলাদেশের নদনদী: বর্তমান গতিপ্রকৃতি। ঢাকা: কথাপ্রকাশ। পৃষ্ঠা ৬০৫। আইএসবিএন 984-70120-0436-4।