আর্মি ইনস্টিটিউট অব বিজনেস এডমিনিস্ট্রেশন, সাভার
আর্মি ইনস্টিটিউট অব বিজনেস এডমিনিস্ট্রেশন বা সেনা ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউট, সাভার হচ্ছে সাভার সেনানিবাসে অবস্থিত একটি ব্যবসায় কলেজ। এটি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মালিকানাধীন এবং তাদের দ্বারা পরিচালিত। এই কলেজটি বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস-এর অধিভুক্ত। বাংলাদেশের শিক্ষামন্ত্রী ৫ মার্চ ২০১৫ সালে এটির উদ্ভোধন করেন।
নীতিবাক্য | জ্ঞানই শক্তি |
---|---|
ধরন | বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস-এর অধীনে একটি সায়ত্বশাসিত সরকারি প্রতিষ্ঠান |
স্থাপিত | ২০১৫ |
পরিচালক | মেজর জেনারেল মোহাম্মদ কামারুজ্জামান, পিএসসি, জিএসসি (অব) |
শিক্ষার্থী | প্রায় ৭০০ |
স্নাতক | ৫০০ |
স্নাতকোত্তর | ২০০ |
অবস্থান | , |
ওয়েবসাইট | aibasavar |
ইনস্টিটিউটটি প্রাথমিকভাবে কেবল বিবিএ প্রদান করে; ৪০ জন শিক্ষার্থী প্রথম সেমিস্টারে ভর্তি হয়। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি প্রতি সেমিস্টারে ৮০ জন শিক্ষার্থীকে মেধা ভিত্তিতে ভর্তি করে। প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে বিবিএ এবং এমবিএ ডিগ্রি প্রদান করে।
প্রশাসন
সম্পাদনাপরিচালনা পর্ষদ
সম্পাদনাআর্মি আইবিএ বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দ্বারা পরিচালিত হয় এবং বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস কর্তৃক নির্ধারিত প্রবিধানে চলে। এই ইনস্টিটিউটের সভাপতিত্ব করেন সাভার অঞ্চলের কমান্ডার, এটি দশ সদস্যের পরিচালনা পর্ষদ দ্বারা পরিচালিত হয়। মহাপরিচালক (ডিজি) প্রতিষ্ঠানের সার্বিক পরিচালনার জন্য দায়বদ্ধ। আর্মি আইবিএ-এর বর্তমান মহাপরিচালক (ডিজি) হলেন মেজর জেনারেল মোহাম্মদ কামারুজ্জামান, পিএসসি, জিএসসি (অব)।[১]
ট্রাস্টি বোর্ড
সম্পাদনাসেনাবাহিনী প্রধান (জেনারেল) এবং বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের উপাচার্যসহ নয় সদস্যের একটি বোর্ড এই ইনস্টিটিউটের কার্যক্রম তদারকি করে।
একাডেমিক পরিষদ
সম্পাদনাএকাডেমিক পরিষদ আর্মি আইবিএ-এর একাডেমিক প্রোগ্রামগুলির পর্যালোচনা করে। আর্মি আইবিএ-এর সকল প্রশিক্ষক এবং সহযোগী অধ্যাপকরা বোর্ডের সদস্য এবং আর্মি আইবিএ-এর মহাপরিচালক হলেন বোর্ডের চেয়ারম্যান।
ছাত্র সংগঠন
সম্পাদনা- আর্মি আইবিএ ব্যবসা ও নেতৃত্ব ক্লাব
- আর্মি আইবিএ সাংস্কৃতিক ক্লাব
- আর্মি আইবিএ ক্রীড়া ক্লাব
- আর্মি আইবিএ সাহিত্য ও বিতর্ক ক্লাব
- আর্মি আইবিএ গবেষণা ও উন্নয়ন ক্লাব
- আর্মি আইবিএ প্রোডাকশন অ্যান্ড অপারেশনস ম্যানেজমেন্ট ক্লাব
- আর্মি আইবিএ ফিনান্স অ্যান্ড অ্যাকাউন্টিং ফোরাম
- আর্মি আইবিএ ফটোগ্রাফি ক্লাব
ভর্তি প্রক্রিয়া
সম্পাদনাশিক্ষার্থীদের অবশ্যই একটি বাছাই পদ্ধতিতে উর্ত্তীর্ণ হতে হয়। এইচএসসি এবং এসএসসিতে ন্যূনতম প্রয়োজনীয় গ্রেড পয়েন্ট গড় (জিপিএ) পূরণকারী শিক্ষার্থীরাই ভর্তি পরীক্ষা দিতে পারে। এই রেকর্ডটি মোট ভর্তি পরীক্ষার স্কোরের ২৫% ভাগ। তারপরে শিক্ষার্থীদের একটি ১০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা দিতে হয় যা মোট ভর্তি পরীক্ষার স্কোরের ৫০%। লিখিত পরীক্ষা থেকে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের একটি মৌখিক দক্ষতা পরীক্ষায় (ভাইভা) উর্ত্তীর্ণ হতে হয় যা মোট ভর্তি পরীক্ষার স্কোরের ২৫%। সর্বশেষ, তিনটি পর্যায়ে সেরা স্কোর অর্জনকারী প্রার্থী শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে ৮০-১০০ জন নির্বাচিত হয়।[২]
আরো দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "Governing Body of Army IBA"
- ↑ "Admission Eligibility"। www.aibasavar.edu.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১১-২২।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- আর্মি আইবিএর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট
- বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট