আরিফ হোসেন মুন

বাংলাদেশী ফুটবলার

আরিফ হোসেন মুন (জন্ম: ৫ জুন ১৯৭৩; আরিফ হোসেন নামে সুপরিচিত) হলেন একজন বাংলাদেশী সাবেক পেশাদার ফুটবল খেলোয়াড়, ক্রীড়া সংগঠক, রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী। আরিফ তার খেলোয়াড়ি জীবনের অধিকাংশ সময় বাংলাদেশের হয়ে একজন রক্ষণভাগের খেলোয়াড় হিসেবে খেলেছেন।[১] তিনি বর্তমানে নীলফামারীর ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন, যেখানে তিনি তৃণমুল পর্যায়ে ফুটবলের উন্নয়নে কাজ করছেন। এরপূর্বে তিনি নীলফামারী জেলা ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন।[২]

আরিফ হোসেন
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম আরিফ হোসেন মুন
জন্ম (1973-06-05) ৫ জুন ১৯৭৩ (বয়স ৫০)
জন্ম স্থান রংপুর, বাংলাদেশ
উচ্চতা ১.৮০ মিটার (৫ ফুট ১১ ইঞ্চি)
মাঠে অবস্থান রক্ষণভাগের খেলোয়াড়
জ্যেষ্ঠ পর্যায়*
বছর দল ম্যাচ (গোল)
১৯৮৬–১৯৮৯ আদমজী জুট মিলস
১৯৮৯–১৯৯৩ ব্রাদার্স ইউনিয়ন
১৯৯৪–১৯৯৭ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ
জাতীয় দল
১৯৯১ বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২৩
১৯৯৩ বাংলাদেশ (০)
* কেবল ঘরোয়া লিগে ক্লাবের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা গণনা করা হয়েছে

আরিফ ১৯৯৩ সালে বাংলাদেশের হয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অভিষেক করেছিলেন; বাংলাদেশের জার্সি গায়ে তিনি সর্বমোট ৪ ম্যাচে অংশগ্রহণ করেছিলেন।

প্রারম্ভিক জীবন সম্পাদনা

আরিফ হোসেন মুন ১৯৭৩ সালের ৫ই জুন তারিখে বাংলাদেশের নীলফামারীর (তৎকালীন রংপুর) ডোমার উপজেলার চিকনমাটিতে জন্মগ্রহণ করেছেন এবং সেখানেই তার শৈশব অতিবাহিত করেছেন।[৩] তার বাবার নাম মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, যিনি একজন সুনামধন্য আইনজীবী ও রাজনীতিবিদ ছিলেন। এছাড়াও তার পিতা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নীলফামারী জেলা শাখার সভাপতি ছিলেন।[৪]

আন্তর্জাতিক ফুটবল সম্পাদনা

১৯৯৩ সালের ১১ই এপ্রিল তারিখে, মাত্র ১৯ বছর ১০ মাস ৭ দিন বয়সে, আরিফ জাপানের বিরুদ্ধে ১৯৯৪ ফিফা বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের প্রথম পর্বের গ্রুপ এফ-এর ম্যাচে অংশগ্রহণ করার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ফুটবলে বাংলাদেশের হয়ে অভিষেক করেছিলেন। তিনি উক্ত ম্যাচের মূল একাদশে অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। ম্যাচটি বাংলাদেশ ৮–০ গোলের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছিল।

১৯৯৩ সালের ৭ই মে তারিখে আরিফ ১৯ বছর বয়সে বাংলাদেশের তার সর্বশেষ ম্যাচটি খেলে আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসর গ্রহণ করেছিলেন। সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ের আল মাখতুম স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে উক্ত ম্যাচে বাংলাদেশ ৩–০ গোলের ব্যবধানে জয়লাভ করেছিল, ম্যাচটিতে তিনি পূর্ণ ৯০ মিনিট খেলেছিলেন। আন্তর্জাতিক ফুটবলে, তার ১ বছরের কম সময়ের খেলোয়াড়ি জীবনে তিনি সর্বমোট ৪ ম্যাচে অংশগ্রহণ করেছিলেন।

অবসর সম্পাদনা

খেলোয়াড়ি জীবনের ইতি টানার পর ২০১২ সালে তিনি বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।[৫] ২০১৮ সালে এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের অর্থায়নে ১৬ কোটি টাকা ব্যয়ে নীলফামারী জেলা স্টেডিয়ামের (বর্তমান শেখ কামাল স্টেডিয়াম) উন্নয়নে তিনি ব্যাপক ভূমিকা পালন করেন।[৬] অন্যদিকে, রাজনৈতিক অঙ্গনে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাথে জড়িত রয়েছেন। তিনি আওয়ামী লীগ নীলফামারী জেলার শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন।[৭][৮]

পরিসংখ্যান সম্পাদনা

আন্তর্জাতিক সম্পাদনা

দল সাল ম্যাচ গোল
বাংলাদেশ ১৯৯৩
সর্বমোট

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক করোনা পজিটিভ" 
  2. "কর্মকর্তাবৃন্দ"sportso.nilphamari.gov.bd। জেলা ক্রীড়া সংস্থা, নীলফামারী। ২০১৯-০২-১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০২-০৬ 
  3. "শুভ জন্মদিন আরিফ হোসেন মুন | দেশ সময় | Dailydeshsomoy"। জানুয়ারি ৬, ২০২১। 
  4. প্রতিবেদক, নিজস্ব। "'এলাকায় থাকতে ভালো লাগে'"Prothomalo 
  5. "'ব্যর্থতা যেমন আছে সফলতাও আছে'"প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০২-০৬ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  6. "Nilphamari set for stunning debut"। ২৩ জানুয়ারি ২০১৯। 
  7. "The Daily Star Web Edition Vol. 4 Num 140"। ১৮ অক্টোবর ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ ডিসেম্বর ২০২২ 
  8. "Nilphamari regional passport office a den of corruption | Daily Sun |" 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা