আরতি মুখোপাধ্যায়
আরতি মুখার্জী/আরতি মুখোপাধ্যায় (জন্ম: ১৮ জুলাই ১৯৪৩) একজন ভারতীয় বাঙালি গায়িকা। তিনি বিভিন্ন ভাষায় গান গেয়েছেন। মূলত তিনি বাংলা, হিন্দি চলচ্চিত্র এবং আধুনিক গান গাওয়ার জন্য বিখ্যাত। তিনি বর্তমানে ভারতীয় জনতা পার্টির সদস্য।[১] তিনি অত্যধিক সুকণ্ঠী হিসেবে সমাদৃত ছিলেন। তিনি দো নয়না গানের জন্য ১৯৮৪ সালে শ্রেষ্ঠ নেপথ্য গায়িকা হিসেবে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার অর্জন করেন।
আরতি মুখার্জী | |
---|---|
প্রাথমিক তথ্য | |
জন্মনাম | আরতি মুখার্জী |
উপনাম | আরতি মুখোপাধ্যায় |
জন্ম | ১৯৪৩ পশ্চিমবঙ্গ, ভারত |
ধরন | উচ্চাঙ্গ সংগীত |
পেশা | নেপথ্য কণ্ঠশিল্পী |
বাদ্যযন্ত্র | কণ্ঠশিল্পী |
কার্যকাল | ১৯৫৫ - বর্তমান |
প্রারম্ভিক জীবন
সম্পাদনাআরতি মুখার্জী একটি সমৃদ্ধ, সাংস্কৃতিক এবং সংগীত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন, তাই বাড়িতেই ছোট বয়স থেকেই তার মা তাকে প্রশিক্ষণ দেয়া শুরু করেছিলেন। পরবর্তীকালে, তিনি সুশীল বন্দ্যোপাধ্যায়, ওস্তাদ মোহাম্মদ সাগিরউদ্দিন খান, পণ্ডিত চিন্ময় লাহিড়ী, পণ্ডিত লক্ষ্মণ প্রসাদ জয়পুরওয়ালা এবং পণ্ডিত রমেশ নাদকর্ণির অধীনে শাস্ত্রীয় সংগীতের প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। তাঁর প্রথম স্বামী হলেন সুবীর হাজরা। তাঁর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটার পাঁচ বছর পর আবারো বিবাহ করেন আরতি।
সঙ্গীত জীবন
সম্পাদনাআরতি মুখার্জী অল্প বয়স থেকেই ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীতের প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। পরবর্তীকালে, তিনি "মেট্রো-মরফি কনটেস্ট" সংগীত প্রতিযোগিতা অংশগ্রহণ করেন এবং তিনি বিজয়ী হন যেখানে বিচারকদের মধ্যে ছিলেন অনিল বিশ্বাস, নওশাদ, বসন্ত দেসাই এবং সি রামচন্দ্রের মতো সংগীত পরিচালক। তারপর থেকে তাঁকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি,[২] তিনি ১৯৫৮ সালে মিনা কুমারীর অভিনীত হিন্দি ছবি 'সাহারা'তে নেপথ্য কণ্ঠশিল্পী হিসাবে প্রথম সুযোগ পান, কিন্তু সেই ছবির সংগীত ততটা সফল হয়নি। পরে, গার্ল ফ্রেন্ড (ওয়াহিদা রেহমান অভিনীত) এর মতো ফ্লপ ছবির পরে তিনি বাংলা ছবিতে গান করবার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। সুযোগ আসে ১৯৬২ সালে "কন্যা" নামে একটি বাংলা ছবির হাত ধরে।
তাঁর অসামান্য গায়কী এবং অতি মধুর কণ্ঠ সবাইকে এতটাই মোহিত করেছিল যে তারা পূর্বের শীর্ষস্থানীয় গায়িকা সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের প্রতি মনোযোগ হারাতে শুরু করেছিলেন। ষাটের দশকের শেষের দিকে, তাঁর কণ্ঠ সন্ধ্যা মুখার্জির পরিবর্তে শীর্ষস্থানীয় অভিনেত্রী সুচিত্রা সেনের নেপথ্য কণ্ঠ হিসাবে প্রথম ব্যবহৃত হয়। ১৯৬৬ সালে, তিনি "গল্প হলেও সত্যি" ছবিতে গান গেয়েছিলেন, যা সেরা মহিলা নেপথ্য কণ্ঠশিল্পী জন্য 'বিএফজে' পুরস্কার পেয়েছিল। ১৯৭৬ সালে, তিনি "ছুটির ফাঁদে" চলচ্চিত্রের জন্য পুনরায় পুরস্কারটি পান। তিনি ষাটের দশকের শেষের দশকের শেষভাগে মাধবী মুখার্জি, শর্মিলা ঠাকুর, অপর্ণা সেন, দেবশ্রী রায়, তনুজা প্রমুখ অভিনেত্রীদের নেপথ্য কণ্ঠে কাজ করেন এবং অনেকের মতে সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের শিল্পী জীবনের পতনের পিছনে একটি বড় কারণ হিসাবে বিবেচিত হয়। ১৯৭৬ সালে, রাখি অভিনীত ছবি 'তপস্যা' দুটি গান গেয়েছিলেন। প্রথম গান 'বাচ্চে হো তুম খেল খিলনে' এবং কিশোর কুমারের সাথে 'দো পাঁচি দো তিনকে' খুব জনপ্রিয় হয়েছিল। তিনি বাংলা ভাষায় আনুমানিক ১৫০০০ গান গেয়েছেন এবং হিন্দিসহ অন্যান্য ভাষার গানেও নিজের কৃতিত্বের ছাপ রেখে চলেছেন।
পুরস্কার ও স্বীকৃতি
সম্পাদনা- বেঙ্গল ফিল্ম জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন অ্যাওয়ার্ড (1965) সেরা মহিলা গায়কের জন্য
- তার গুজরাটি ছবির গানের জন্য টানা তিন বছর গুজরাট রাজ্য সরকারের পুরস্কার।
- উড়িষ্যা সরকারের তরফ থেকে লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড (2015)
- টাইমস অফ ইন্ডিয়া গ্রুপ থেকে লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড (2016)
শেখর কাপুরের মাসুমের " দো নয়না" গানের জন্য শ্রেষ্ঠ মহিলা প্লেব্যাক গায়কের জন্য ফিল্মফেয়ার পুরস্কার।
- বেঙ্গল ফিল্ম জার্নালিস্টস অ্যাসোসিয়েশন - সেরা ফিমেল প্লেব্যাক অ্যাওয়ার্ড - ছুটির ফান্দের জন্য (1976)
- বেঙ্গল ফিল্ম জার্নালিস্টস অ্যাসোসিয়েশন - সেরা মহিলা প্লেব্যাক পুরস্কার - (1967(গল্প হলেও সত্যি চলচ্চিত্রের জন্য
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "Noted playback singer Arati Mukherjee joins BJP | India News - Times of India"। The Times of India।
- ↑ "Full of patriotic fervour Solo magic"। The Hindu। অক্টো ৩, ২০০৮। জুন ৫, ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ মে ২৮, ২০১৩।