আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী

বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ

আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী (জন্ম: ১৯৪৩) হলেন একজন বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ, মন্ত্রী ও প্রাক্তন সংসদ সদস্য। তিনি ২০০৯ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রীর দ্বায়িত্ব পালন করেন।

আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী
Abdul Latif Siddiqui (cropped).jpg
২০১৪ সালে সিদ্দিকী
ডাক, টেলিযোগোযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়
কাজের মেয়াদ
১২ জানুয়ারি ২০১৪ – ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৪
প্রধানমন্ত্রীশেখ হাসিনা
পূর্বসূরীরাশেদ খান মেনন
পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়
কাজের মেয়াদ
জানুয়ারি ২০০৯ – ২০১৩
প্রধানমন্ত্রীশেখ হাসিনা
উত্তরসূরীএমাজউদ্দীন প্রামাণিক
সংসদ সদস্য, টাঙ্গাইল-৪
কাজের মেয়াদ
২৫ জানুয়ারি ২০০৯ – ১ সেপ্টেম্বর ২০১৫
পূর্বসূরীশাহজাহান সিরাজ
কাজের মেয়াদ
১৪ জুলাই ১৯৯৬ – ১৩ জুলাই ২০০১
পূর্বসূরীশাহজাহান সিরাজ
উত্তরসূরীশাহজাহান সিরাজ
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্মআব্দুল লতিফ সিদ্দিকী
১৯৪৩ (বয়স ৭৯–৮০)
টাঙ্গাইল
নাগরিকত্বব্রিটিশ ভারত (১৯৪৭ সাল পর্যন্ত)
পাকিস্তান (১৯৭১ সালের পূর্বে)
বাংলাদেশ
জাতীয়তাবাংলাদেশী
রাজনৈতিক দলবাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
দাম্পত্য সঙ্গীলায়লা সিদ্দিকী
সন্তান
আত্মীয়স্বজনবঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী (ভাই)
বাসস্থানঢাকা, বাংলাদেশ

কর্মজীবনসম্পাদনা

সিদ্দিকী বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের টাঙ্গাইল-৪ আসন থেকে তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। প্রথম ১৯৯৬ সালে এবং দ্বিতীয়বার ২০০৯ সালে ও তৃতীয়বার ২০১৪ সালে। তিনি ১লা সেপ্টেম্বর ২০১৫ সালে সংসদ সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করেন।

তিনি ২০০৯ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকারের পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ছিলেন। ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী দশম মন্ত্রিসভার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দ্বায়িত্ব পান। ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সালে তিনি মুসলমানদের অন্যতম ধর্মীয় ভিত্তি হজ সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্য করেন। ফলে ইসলামপন্থীদের আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন।

বিতর্কসম্পাদনা

২০১৪ সালের শেষের দিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের একটি অনুষ্ঠানে হজ ও তবলিগ জামাত, প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও সাংবাদিকদের সম্পর্কে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেন আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী।[১] ফলে তিনি নিজ দল আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত হন ও মন্ত্রিত্ব হারান। ১ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সালে তিনি সংসদ থেকে পদত্যাগ করেন।[২]

তথ্যসূত্রসম্পাদনা

  1. "হজ সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য লতিফ সিদ্দিকীর"প্রথম আলো। ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৪। 
  2. "লতিফের আসন শূন্য ঘোষণা"প্রথম আলো। ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫।