আব্দুল ওহাব খান (বরিশালের রাজনীতিবিদ)
আবদুল ওহাব খান (জন্ম: ১৮৯৮, মৃত্যুঃ ১৯৭২) অবিভক্ত পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের স্পিকার ছিলেন।[১]
আবদুল ওহাব খান | |
---|---|
জন্ম | ১৮৯৮ |
মৃত্যু | ১৯৭২ |
জাতীয়তা | বাংলাদেশী |
নাগরিকত্ব | বাংলাদেশ |
পরিচিতির কারণ | অবিভক্ত পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের স্পিকার |
জন্ম ও শিক্ষাজীবন
সম্পাদনাআবদুল ওহাব খান বরিশালের বাবুগঞ্জের রহমতপুরে ১৮৯৮ সালে জন্মগ্রহণ করেন। বরিশাল ব্রজমোহন কলেজ থেকে ১৯১৮ সালে বি.এ. এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯২১ সালে বি.এল. পাশ করেন তিনি।
রাজনৈতিক জীবন
সম্পাদনাআবদুল ওহাব ছিলেন কৃষক প্রজা পার্টির অন্যতম নেতা। পাশাপাশি তিনি বরিশাল আদালতে প্রায় ২০ বছর সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটরপদে নিযুক্ত ছিলেন। ১৯২২ সালে বরিশাল সদর লোকাল বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান, জেলা বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান (১৯২৭-১৯৩৩), এবং পরে উক্ত সংস্থার চেয়ারম্যান পদে উন্নীত হন (১৯৪০-১৯৫২) তিনি। পরপর তিনবার বরিশাল মিউনিসিপ্যালিটির কমিশনার নির্বাচিত আবদুল ওহাব খান। তিনি যথাক্রমে কৃষক প্রজা পার্টির মনোনয়নে বঙ্গীয় আইন সভার সদস্য (১৯৩৭), বরিশাল জেলা স্কুল বোর্ডের ভাইস-প্রেসিডেন্ট (১৯৪২) ও জেলা স্কুল বোর্ডের প্রেসিডেন্ট (১৯৫০) নির্বাচিত হন। ১৯৫৩ খ্রিষ্টাব্দে কৃষক-শ্রমিক পার্টি গঠনে তার বলিষ্ঠ ভূমিকা ছিল। ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্টের মনোনয়নে পূর্ববঙ্গ আইনসভার সদস্য ও ১৯৫৫ সালে কৃষক-শ্রমিক মনোনয়নে পাকিস্তান গণপরিষদের সদস্য ও স্পিকারপদে যোগ দেন। তার সভাপতিত্বে গণপরিষদে ১৯৫৬ খ্রি. শাসনতন্ত্র গৃহীত হয়। নয়াশাসনতন্ত্র মোতাবেক গণপরিষদ জাতীয় পরিষদে রূপান্তরিত হলে স্পিকারপদে পুনর্বহাল হন। ১৯৫৮ খ্রি. সামরিক সরকার জাতীয় পরিষদ ভেঙে দিলে তিনিও স্পিকারপদ হারান। শেরে বাংলা এ.কে. ফজলুল হকের রাজনীতির তিনি একজন অণুসারী ছিলেন।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "দখলবাজদের ছোবলে হারিয়ে গেছে বরিশালের অসংখ্য খাল"। আমার দেশ। ১৭ মার্চ ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জুন ২০১৬।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]