আবু বকর আব্দুল্লাহ
আবু বকর আব্দুল্লাহ বিন মুহাম্মদ বিন সাহাবার বিন আনুসেরভান আল-রাযি (ফার্সি: نجمالدین رازی) ,সাধারণত নাজম আল-দিন দায়া, লকব বা উপনামে পরিচিত। একটি নবজাতক শিশুর জীবন রক্ষার জন্য শাল বা মায়ের দুগ্ধের প্রয়োজনীয়তা ধারণা থেকে হামিদ আলগার ফার্সি শব্দ মেরসাদ রূপান্তর করেন যার অর্থ দাড়াঁয় মায়ের পরিবর্তে যিনি নবজাতক শিশুকে দুগ্ধ পান করান,[১] (৫৭৩ হিজরী/১১৭৭ খ্রিষ্টাব্দ – ৬৫৪ হিজরী/১২৫৬) তেরতম শতাব্দির পারস্যেরে বিশিষ্ট সুফি ছিলেন।
সুফি পণ্ডিত আবু বকর আব্দুল্লাহ বিন মুহাম্মদ বিন সাহাবার বিন আনুসেরভান আল-রাযি | |
---|---|
উপাধি | নাজম আল-দিন রাযি |
জন্ম | ৫৭৩/১১৭৭ |
মৃত্যু | ৬৫৪/১২৫৬ |
জাতিভুক্ত | পারস্য |
যুগ | Islamic golden age |
মাজহাব | সুফি |
মূল আগ্রহ | সুফিবাদ |
লক্ষণীয় কাজ | মিরসাদ আল-ইবাদ ম্যাঁ মাবদা ইলা আল-মা’দ |
যাদের দ্বারা প্রভাবিত হয়েছেন |
তার নামের অংম দায়া সুফি তরিকা কুবরিয়া তরিকাকে, যা নেজাম আল-দিন কুবরা কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত, নির্দেশ করে। তিনি কারজমে ভ্রমণ করেন এবং নেজাম আল-দিন কুবরার হাতে বায়াত দান করে মুরীদ বা শিষ্যত্ব (এমন একজন যিনি পীর বা গুরু হাতে বায়াত দানের মাধ্যমে সুফি পরিবেশে শিক্ষাগ্রহণ করেন এবং পীরের দেখানো পথ অনুসরণ করেন) গ্রহণ [২]) এরপর কুবরা শেখ মাজদ আল-দিন বাগদাদীকে তার আধ্যাত্বিক গুরু হিসেবে নিযুক্ত করেন যিনি দায়ার আধ্যাত্বিক জীবনে বেশ প্রভাব বিস্তার করেন। দায়া প্রায় সময় আল-দিন বাগদাদীকে "আমাদের শেখ বা পীর বা গুরু" হিসেবে সম্বোধন করতেন। [৩]
যখন তার পীর, নেজাম আল-দিন কুবরা, ৬১৮ হিজরী/১২২১ খিস্ট্রাব্দে খুন হন, দায়া হামদান, এরপর আরদাবিল এবং পরবর্তীতে আনাতলিয়াতে পালিয়ে যান যেখানে অবশেষে তিনি বসতি স্থাপন করেন।
সেখানে তিনি তার পীর নেজামউদ্দিন কুবরার দেয়া শিক্ষাকে ফার্সি ভাষায় একটি গ্রন্থ লেখেন যার আরবি শিরোনাম হচ্ছে মিরসাদ আল-ইবাদ মিন আল মাবদা ইলাল মা’দ(ِِআরবি: مرصاد العباد من المبدأ الی المعاد) যার সংক্ষিপ্ত রূপ হচ্ছে মেরাসাদ আল ইবাদ, এবং গ্রন্থটি সুফিবাদ এবং ইসলামি ধর্মীয়শাস্ত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ হিসেবে বিবেচিত হয়।
জীবনী সম্পাদনা
দায়া ১১১৮ খ্রিস্টাব্দে ইরানে জন্মগ্রহণ করেন। ২৬ বছর বয়সে তিনি সিরিয়া, মিশর, হেযাজ, ইরাক এবং আজারবাইযানসহ অনেক দেশ ভ্রমণ করেন। অবশেষে তিনি কারাজমে বসতি স্থাপন করেন এবং নেজাম আল-দিন কুবরার, আধ্যাত্বিক গুরু এবং কুবরিয়া তরিকার প্রতিষ্ঠাতা, হাতে বায়াত দান করে মুরীদ বা শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন।তারপর থেকেই রাযি শেখ মাজদ আল-দিন বাগদাদির নিকট আধ্যাত্বিক সুক্ষাতিসুক্ষ বিষয়ের উপর জ্ঞান অর্জন করতেন এবং প্রায় সময় উনাকে "আমাদের শেখ বা পীর বা গুরু" হিসেবে সম্বোধন করতেন। [৩] মঙ্গলে হামলা সম্পর্কে কুবরার ভবিষ্যদ্বাণী বুঝতে পেরে কারজমে পালিয়ে যান। নিজ পরিবারকে ইচ্ছাকৃতভাবে সেখানে রেখে রাযি রেইয়ে পালিয়ে যান। হামাদান, ইরবিল এবং দিয়াবেকির ভ্রমণের মধ্য দিয়ে ১২২১ খ্রিষ্টাব্দের অক্টোবরে তিনি মধ্য আনাতলিয়ার কায়সেরিতে পৌঁছান।
মালাতিয়াতে রাযি শেখ সেহাব আল-দিন আবু হাফস ওমর আল সোহরার্দিয়া, সোহরার্দিয়া তরিকার প্রতিষ্ঠাতার ভ্রাতুষ্পুত্রের সাথে দেখা করেন।