আবুল কাশেম (টাঙ্গাইলের রাজনীতিবিদ)
আবুল কাশেম (আনু. ১৯৪২ - ১৬ মার্চ ২০২৪) ছিলেন বাংলাদেশের একজন রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী। তিনি টাঙ্গাইল-৫ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন।[১][২]
আবুল কাসেম | |
---|---|
টাঙ্গাইল-৫ আসনের সংসদ সদস্য | |
কাজের মেয়াদ ২৯ ডিসেম্বর ২০০৮ – ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১২ | |
পূর্বসূরী | মাহমুদুল হাসান |
উত্তরসূরী | মাহমুদুল হাসান |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | আনু. ১৯৪২ আলালপুর, দেলদুয়ারের দেউলী, দেলদুয়ার, টাঙ্গাইল |
মৃত্যু | ১৬ মার্চ ২০২৪ টাঙ্গাইল |
রাজনৈতিক দল | জাতীয় পার্টি (এরশাদ) |
সন্তান | চার ছেলে |
প্রাথমিক জীবন
সম্পাদনাআবুল কাশেম আনু. ১৯৪২ সালে টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারের দেউলী ইউনিয়নের আলালপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বিবাহিত জীবনে তার চার ছেলে।[১]
কর্মজীবন
সম্পাদনাআবুল কাশেম ম্যাক গ্রুপের চেয়ারম্যান ছিলেন।[১]
রাজনৈতিক জীবন
সম্পাদনাআবুল কাশেম জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ছিলেন।
১২ জুন ১৯৯৬ সালের সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে টাঙ্গাইল-৫ আসন থেকে নির্বাচনে অংশ নিয়ে পরাজিত হন।
২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তিনি জাতীয় পার্টির হয়ে ইসলামী জাতীয় ঐক্য ফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে লাঙ্গল প্রতীকে টাঙ্গাইল-৫ আসন থেকে নির্বাচনে অংশ নিয়ে পরাজিত হন।
তিনি ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে টাঙ্গাইল-৫ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।[২][৩]
টেলিফোন বিল খেলাফির অভিযোগে ১৫ ডিসেম্বর ২০০৯ সালে হাইকোর্ট তার সংসদ সদস্য পদ অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে রায় দেন। আবুল কাশেম সুপ্রিম কোর্টে আপিল করেন। ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১২ সালে হাইকোর্টের রায় বহাল রোখেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। ফলে আবুল কাশেমের সংসদ সদস্য পদ বাতিল হয়ে যায়।[৪]
২০২৪ সালের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-৬ আসনে জাতীয় পার্টি থেকে দলীয় প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়ে তিনি আহসানুল ইসলাম টিটুর কাছে হেরে যান।[১]
মৃত্যু
সম্পাদনাআবুল কাশেম ১৬ মার্চ ২০২৪ সালে টাঙ্গাইলে মৃত্যুবরণ করেন।[১]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ গ ঘ ঙ যুগান্তর প্রতিবেদন (১৫ মার্চ ২০২৪)। "জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য আবুল কাশেম আর নেই"। দৈনিক যুগান্তর। সংগ্রহের তারিখ ১৬ মার্চ ২০২৪।
- ↑ ক খ "৯ম জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা"। জাতীয় সংসদ। বাংলাদেশ সরকার। ২০১৬-১১-২৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৮-২২।
- ↑ "Electoral Area Result Statistics"। Amarmp (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৫ নভেম্বর ২০১৯।
- ↑ "সাংসদ হিসেবে মাহমুদুল হাসানের শপথ ৩০ মে"। বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম। ২৮ মে ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ১৬ মার্চ ২০২৪।