আবদুল হালিম চৌধুরী

বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ

আবদুল হালিম চৌধুরী (১৯২৮-১৯৮৭) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের রাজনীতিবিদ এবং সাবেক সংসদ সদস্য ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রী ছিলেন। তিনি পাকিস্তান সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন এবং বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে যুদ্ধ করেছেন। [১]

আবদুল হালিম চৌধুরী
সংসদ সদস্য
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম(১৯২৮-০২-০১)১ ফেব্রুয়ারি ১৯২৮
শিবালয়, মানিকগঞ্জ, বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি, ব্রিটিশ ভারত,
(বর্তমান  বাংলাদেশ)
মৃত্যু৭ অক্টোবর ১৯৮৭(1987-10-07) (বয়স ৫৯)
রাজনৈতিক দলন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি ১৯৭৯ সালের পূর্বে

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ১৯৮৬ সালের পূর্বে

জাতীয় পার্টি

জন্ম ও প্রাথমিক জীবন সম্পাদনা

আবদুল হালিম চৌধুরী ১ ফেব্রুয়ারি ১৯২৮ সালে ব্রিটিশ ভারতের পূর্ব বাংলার মানিকগঞ্জের শিবালয়ে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ফরিদপুর জেলা স্কুল থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে বিএ শেষ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর শুরু করেন।[২]

কর্মজীবন সম্পাদনা

১৯৫০ সালে ছাত্র থাকাকালীন আবদুল হালিম চৌধুরী পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। সেনাবাহিনীতে তিনি প্রথম পাঞ্জাব রেজিমেন্টে অ্যাডজুটান্ট এবং কোয়ার্টার মাস্টার হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৪ তম বিভাগের জিওসির সহায়ক শিবিরের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি পূর্ব পাকিস্তানের বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স ট্রেনিং কর্পস ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার ছিলেন। ১৯৬২ সালে তিনি স্বাস্থ্যগত কারণে সেনাবাহিনী থেকে অবসর গ্রহণ করেন। তিনি পূর্ব পাকিস্তান শিল্প উন্নয়ন কর্পোরেশনে যোগদান করেন। কুষ্টিয়ায় একটি সুগার মিল স্থাপনের অভিযোগে তাকে অভিযুক্ত করা হয়েছিল। ১৯৬৬ সালে তিনি ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টিতে যোগ দেন। ১৯৭০ সালে পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে তিনি মোজাফফর আহমেদের নেতৃত্বে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির মনোনীত প্রার্থী হয়ে প্রতিদ্ধন্দিতা করেন। [৩]

১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তিনি মানিকগঞ্জের বিপ্লবী কমিটি গঠনে সহায়তা করেন। তাকে ঢাকা সদর ও গাজীপুরে সামরিক অভিযানের দায়িত্বে নিযুক্ত করা হয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরে ১৯৭৩ সালের বাংলাদেশ সাধারণ নির্বাচনে তিনি আবারও ন্যাপ (এম) প্রার্থী হিসাবে প্রতিদ্ধন্দিতা করেন।। [৩] এর পর তিনি ইউনাইটেড পিপলস পার্টির সভাপতি হন। ১৯৭৯ সালে তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মন্ত্রিসভায় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। পরে তিনি রাষ্ট্রপতি আবদুস সাত্তারের খাদ্য ও ত্রাণ মন্ত্রীর মন্ত্রিসভায় ছিলেন। তিনি বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন। হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ ক্ষমতায় আসার পর তিনি জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন। তখন তিনি কৃষি ও খাদ্যমন্ত্রী ছিলেন। [২]

মৃত্যু সম্পাদনা

আবদুল হালিম চৌধুরী ৭ অক্টোবর ১৯৮৭ সালে তিনি মারা যান। [২]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Manikganj, Bogra freed this day"The Daily Star। ১৩ ডিসেম্বর ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৬ 
  2. Hossain, Abu Md. Delwar (২০১২)। "Chowdhury, Abdul Halim"Banglapedia: National Encyclopedia of Bangladesh (Second সংস্করণ)। Asiatic Society of Bangladesh। ২০ এপ্রিল ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জানুয়ারি ২০২০ 
  3. Chakravarty, S. R. (১৯৮৮)। Bangladesh, the Nineteen Seventy-nine Elections। South Asian Publishers। পৃষ্ঠা 122। আইএসবিএন 81-7003-088-9