আবদুল গফুর সিদ্দিকী

গবেষক, প্রাবন্ধিক, পুঁথিকার ও সাংবাদিক

আবদুল গফুর সিদ্দিকী (১৮৭২-১৯৫৯) ছিলেন একজন ভারতীয় গবেষক, প্রাবন্ধিক ও সাংবাদিক।[][][]

আবদুল গফুর সিদ্দিকী
জন্ম১৮৭২
চব্বিশ পরগনা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত
মৃত্যু১৯৫৯
শিক্ষাকলকাতা কলেজিয়েট স্কুল,

কলকাতা মাদ্রাসা,
কলকাতা ক্যামবেল মেডিক্যাল স্কুল,

কলকাতা হোমিওপ্যাথি কলেজ
পেশাগবেষক, প্রাবন্ধিক, সাংবাদিক, পুঁথিকার
উল্লেখযোগ্য কর্ম
শহীদ তিতুমীর (১৯১৬),
মুসলমান ও বঙ্গ সাহিত্য (১৯২২),
বিষাদ সিন্ধুর ঐতিহাসিক পটভূমি
পিতা-মাতা
  • মুন্সি গোলাম মওলা (পিতা)

প্রারম্ভিক জীবন

সম্পাদনা

আবদুল গফুর সিদ্দিকী ভারতের পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগনা জেলার বসিরহাটের খাসপুর গ্রামে ১৮৭২ সালে জন্মগ্রহণ করেন।[] তার পিতা মুন্সি গোলাম মওলা ছিলেন কলকাতার পুথি প্রকাশক, বিক্রেতা ও হবিবি প্রেসের স্বত্বাধিকারী।[] সিদ্দিকী কলকাতা কলেজিয়েট স্কুল, কলকাতা মাদ্রাসা এবং কলকাতা ক্যামবেল মেডিক্যাল স্কুলে অধ্যয়ন করেন। পরবর্তীতে তিনি কলকাতা হোমিওপ্যাথি কলেজে অধ্যয়ন করে হোমিও চিকিৎসায় নিয়োজিত হন।[]

তিনি ১৯৫০ সালে দাঙ্গার পর পূর্ব পাকিস্তানে এসে খুলনার দৌলতপুরের নিকট দামোদর গ্রামে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন।[][]

কর্মজীবন

সম্পাদনা

গফুর সিদ্দিকী হােমিওপ্যাথি চিকিৎসা ও পিতার পুস্তক ব্যবসায় দেখাশুনার মাধ্যমে তার কর্মজীবন শুরু করেন। যেখান থেকে দোভাষী বহু মুসলিম পুঁথি প্রকাশিত হয়েছে। পুথি সম্পাদনা, প্রকাশনা ছাড়াও পুথি সাহিত্যের সংগ্রহ এবং গবেষণাতেও তার অবদান ছিল। প্রাচীন ও মধ্যযুগের সাহিত্য, ইতিহাস ও ইসলাম ধর্মের নানা প্রসঙ্গ নিয়ে তিনি মননশীল ও তথ্যসমৃদ্ধ প্রবন্ধ রচনা করেন। পুঁথি সাহিত্য ও পুরাতত্ত্ব বিষয়ে তার আলােচনা এবং গবেষণামূলক প্রবন্ধ বাংলা সাহিত্যের উল্লেখযোগ্য সম্পদ। তিনি পশ্চিমবঙ্গে ছাপা মুসলমানি পুঁথি গুলো উদ্ধার করেন। সাংবাদিক হিসেবেও তার পরিচিতি রয়েছে। তিনি বঙ্গবাসী, হিতবাদী, বসুমতী, নবশক্তি, মিহির ও সুধাকর, সাপ্তাহিক মোহাম্মদী, দৈনিক হাবলুল মতীন (বাংলা সংস্করণ), সন্ধ্যা প্রভৃতি পত্রিকার সহকারী সম্পাদকসহ বিভিন্ন পদে নিয়োজিত ছিলেন। রাজনীতির ক্ষেত্রে তিনি বঙ্গভঙ্গের বিরোধী ছিলেন।[][]

উল্লেখযোগ্য রচনা

সম্পাদনা

তার রচিত উল্লেখযোগ্য রচনাসমূহ:[]

  • শহীদ তিতুমীর (১৯১৬)
  • মুসলমান ও বঙ্গসাহিত্য (১৯২২)
  • লাইলী-মজনু
  • শিরি-ফরহাদ,
  • হযরত গোরাচাঁদ গাজী
  • বিষাদ সিন্ধুর ঐতিহাসিক পটভূমি

পুরস্কার ও সম্মাননা

সম্পাদনা

আবদুল গফুর বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদের সদস্য ছিলেন। উক্ত পরিষদ তাকে ১৯১০ সালে অনুসন্ধান বিশারদ এবং ১৯৪০ সালে হায়দ্রাবাদের উসমানিয়া বিশ্ববিদ্যালয় তাকে ডিলিট উপাধিতে ভূষিত করেন।[]

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "আবদুল গফুর সিদ্দিকী"বাংলাপিডিয়া। সংগ্রহের তারিখ ৮ অক্টোবর ২০২০ 
  2. বাংলা একাডেমি চরিতাভিধান, ৩য় সংস্করণ, ২০১১, পৃষ্ঠা ৪৮, সংগ্রহের তারিখ: ৮ অক্টোবর ২০২০
  3. সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান, মে ১৯৭৬, পৃষ্ঠা ৪০, সংগ্রহের তারিখ: ৮ অক্টোবর ২০২০


বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা