আবদুল খালেক চন্টু
কেএম আবদুল খালেক চন্টু (জন্ম: ১ জানুয়ারী ১৯৪৬ - মৃত্যু: ২২ এপ্রিল ২০১৭) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের রাজনীতিবিদ এবং কুষ্টিয়া-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য। তিনি পঞ্চম ও সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন।[১][২][৩]
কে এম আব্দুল খালেক চন্টু | |
---|---|
![]() | |
কুষ্টিয়া-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য | |
কাজের মেয়াদ ১৯৯১ – ফেব্রুয়ারি ১৯৯৬ | |
পূর্বসূরী | মোঃ বদরুদ্দোজা |
উত্তরসূরী | অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন |
কাজের মেয়াদ জুন ১৯৯৬ – ২০০১ | |
পূর্বসূরী | অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন |
উত্তরসূরী | অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | ১ জানুয়ারি ১৯৪৬ মধুপুর গ্রাম, কুষ্টিয়া, বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি, ![]() (বর্তমান ![]() |
মৃত্যু | ২২ এপ্রিল ২০১৭ ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন, ঢাকা, বাংলাদেশ |
নাগরিকত্ব | ![]() ![]() ![]() |
রাজনৈতিক দল | ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (১৯৭৮ সালের পূর্বে) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল |
সম্পর্ক | মেজর জেনারেল আব্দুল ওয়াহেদ (ভাই) |
জন্ম ও প্রাথমিক জীবনসম্পাদনা
আব্দুল খালেক চন্টু ১ জানুয়ারী ১৯৪৬ সালে ব্রিটিশ ভারতের বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির (বর্তমান বাংলাদেশ) কুষ্টিয়া জেলার সদর উপজেলার আব্দালপুর ইউনিয়নের মধুপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মরহুম খাতের আলী। তিনি ১৯৬৩ সালে রংপুর জেলা স্কুল থেকে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। ১৯৬৮ সালে রংপুর সরকারি কলেজ থেকে বিএ পাশ করেন।
রাজনৈতিক ও কর্মজীবনসম্পাদনা
কেএম আবদুল খালেক চন্টু ছাত্র জীবন থেকেই জড়িয়ে পড়েন ছাত্র রাজনীতিতে। তিনি মজলুম জননেতা আবদুল হামিদ খান ভাসানী সমর্থিত ছাত্র ইউনিয়নের সক্রিয় সদস্য ছিলেন। ছাত্র জীবন শেষে তিনি ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি যোগ দিন। ১৯৭৮ সালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলে যোগদান করেন। তিনি কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক, সদর থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সাবেক সদস্য। ১৯৯১ সালে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচনে তিনি জাতীয়তাবাদী দল থেকে কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনে মনোনয়ন লাভ করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি জুন ১৯৯৬ সালে একই আসন থেকে বিএনপির সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি কুষ্টিয়ায় তার পিতার নামে প্রতিষ্ঠা করেন খাতের আলী কলেজ, এইচএন উচ্চ বিদ্যালয় এবং খাতের আলী দাখিল মাদ্রাসা।[১][২][৪][৫]
পারিবারিক জীবনসম্পাদনা
চন্টু ১৭ এপ্রিল ১৯৭৪ সালে বিয়ে করেন, তার তিন পুত্র ও ১ কন্যা সন্তান। মেজর জেনারেল আব্দুল ওয়াহেদ তার বড় ভাই।[৬]
মৃত্যুসম্পাদনা
আবদুল খালেক চন্টু ২২ এপ্রিল ২০১৭ সাল রোববার রাত সাড়ে ৯টায় বাংলাদেশের ঢাকার মিরপুরের ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর। তার মৃত্যুতে দশম জাতীয় সংসদে সর্বসম্মতিক্রমে শোকপ্রস্তাব গৃহীত হয়। তাছাড়া শোক প্রকাশ করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। জানাজা শেষে তাকে কুষ্টিয়া জেলার সদর উপজেলার মধুপুরে নিজ গ্রামে দাফন করা হয়। [৫][৬][৭][৮]
আরও দেখুনসম্পাদনা
তথ্যসূত্রসম্পাদনা
- ↑ ক খ "আবদুল খালেক চন্টু"। প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১০-০৭।
- ↑ ক খ "৫ম জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা" (পিডিএফ)। জাতীয় সংসদ। বাংলাদেশ সরকার। ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "৭ম জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা" (পিডিএফ)। জাতীয় সংসদ। বাংলাদেশ সরকার। ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "আব্দুল খালেকের মৃত্যুতে খালেদা জিয়ার শোক"। Risingbd.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১০-০৭।
- ↑ ক খ "সাবেক এমপি চন্টুর মৃত্যুতে খালেদা জিয়ার শোক"। jagonews24.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১০-০৭।
- ↑ ক খ "কুষ্টিয়ার সাবেক এমপি আব্দুল খালেক চন্টুর ইন্তেকাল"। DailyInqilabOnline। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১০-০৭।
- ↑ "যাঁদের মৃত্যুতে জাতীয় সংসদে শোকপ্রস্তাব গ্রহণ"। NTV Online। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১০-০৭।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "সাবেক সংসদ সদস্যের মৃত্যুতে খালেদা জিয়ার শোক"। The Daily Sangram। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১০-০৭।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]