আন্তর্জাতিক ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় মালয়েশিয়া

মালয়েশিয়ার ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়

আন্তর্জাতিক ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় মালয়েশিয়া (মালয়: Universiti Islam Antarabangsa Malaysia; আরবি: الجامعة الإسلامية العالمية بماليزيا) সংক্ষেপে আইআইইউএম নামেও পরিচিত। এটি মালয়েশিয়ার একটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। এর সদর দপ্তর সেলাঙ্গরের গোম্বাক জেলায় অবস্থিত। পুরো মালয়েশিয়া জুড়ে এর আরও ছয়টি ক্যাম্পাস রয়েছে: পাহাংয়ের গামবাং -এ দুটি চিকিৎসা কেন্দ্রিক ক্যাম্পাস এবং ভিত্তি অধ্য্যনের জন্য একটি কেন্দ্র, কুয়ালালামপুরে দুটি শহুরে ক্যাম্পাস এবং জোহোরের পাগোহতে একটি ভাষা ও পর্যটন ক্যাম্পাস।

আন্তর্জাতিক ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় মালয়েশিয়া
Universiti Islam Antarabangsa Malaysia
নীতিবাক্যTaman Ilmu dan Budi (Malay)
বাংলায় নীতিবাক্য
জ্ঞান ও পুণ্যের বাগান
ধরনআন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়
স্থাপিত২৩ মে ১৯৮৩[১]
বৃত্তিদান৪০০ মিলিয়ন মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত (২০১৮)
আচার্যতুংকু আজিজা আমিনা মায়মুনা ইস্কান্দারিয়া
সভাপতিমোহাম্মদ দাউদ বকর
রেক্টরজুলকিফলি আব্দুল রাজাক
শিক্ষায়তনিক ব্যক্তিবর্গ
১৯০৪ (২০১৯)
শিক্ষার্থী২৬,২৬৬ (২০১৯)
অবস্থান, ,
শিক্ষাঙ্গনশহুরে, ৭০০ একর (২.৮ কিলোমিটার²)
পোশাকের রঙ          সোনালিফিরোজা
অধিভুক্তিঅ্যাসোসিয়েশন অব সাউথইস্ট এশিয়ান ইনস্টিটিউশন অব হায়ার লার্নিং,[২] কমনওয়েলথ বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি,[৩] অ্যাসোসিয়েশন অব ইউনিভার্সিটিস অব এশিয়া অ্যান্ড দ্য প্যাসিফিক,[৪] ফেডারেশন অব দ্য ইউনিভার্সিটিস অব দ্য ইসলামিক ওয়ার্ল্ড[৫]
ওয়েবসাইটwww.iium.edu.my
মানচিত্র

বিশ্ববিদ্যালয়টির পৃষ্ঠপোষকতায় রয়েছে আটজন সরকার এবং ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি)। এটি পাকিস্তানের আন্তর্জাতিক ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামাবাদ এবং বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম থেকে ভিন্ন।

বিশ্ববিদ্যালয়টি ইসলামি নীতির উপর ভিত্তি করে ১৯৮৩ সালের ২৩ মে প্রতিষ্ঠিত হয়।[১] এর সকল শাখায় ইসলামি মূল্যবোধ নিহিত। আইআইইউএম তার ১৪টি অনুষদে স্নাতক, স্নাতকোত্তর এবং ডক্টরেট ডিগ্রি কোর্স প্রদান করে।

১৯৮৭ সাল থেকে, আইআইইউএম বিশ্বের ১০০টিরও বেশি দেশ থেকে ৭০,০০০ টিরও বেশি গ্র্যাজুয়েট এবং আন্ডারগ্র্যাজুয়েট তৈরি করেছে। তাদের অধিকাংশই মালয়েশিয়ার

ইতিহাস সম্পাদনা

মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাহাথির বিন মোহাম্মদ[৬] [৭] ১৯৮২ সালে জ্ঞানের ইসলামিকরণের বিষয়ে ওআইসি নেতাদের মধ্যে একটি বৈঠকের সময় ইসলামি শিক্ষার একটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের ধারণা কল্পনা করেন। ধারণাটি তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী সুলায়মান দাউদ; তৎকালীন শিক্ষা মহাপরিচালক মুরাদ মোহাম্মদ নর; এবং অন্য দুজনের সাথে শেয়ার করা হয়। তৎকালীন ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব মালয়েশিয়ার মোহাম্মদ কামাল হাসান সভায় যোগ দেওয়া একজন ঊর্ধ্বতন একাডেমিক কর্মকর্তার সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের ধারণাটির উপর প্রথম কার্যপত্র তৈরি করেন।[৬]

আইআইইউএম একসময় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছিল। বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার ভাষা মালয় না হয়ে বরং ইংরেজি এবং আরবি হওয়ার কারনে প্রাথমিকভাবে মালয়েশিয়ার আইন দ্বারা এটি নিষিদ্ধ ছিল। আইআইইউএমকে প্রাথমিকভাবে বর্তমানে বাতিল হওয়া কোম্পানি আইন ১৯৬৫ -এর অধীনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। যাইহোক, বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ আইন ১৯৭১ -এর ধারা ৫ক (২) দ্বারা ১৯৮৩ সালের ২৩ মে আইআইইউএম-কে আনুষ্ঠানিকভাবে একটি সর্বজনীন বিশ্ববিদ্যালয় করা হয়। মালয়েশিয়া সরকার, অন্যান্য সাতজন সরকার এবং ওআইসির মধ্যে সহ-জামিনদারের কূটনৈতিক মন্তব্যের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়টি পাহাংয়ের তৎকালীন রাজা আহমদ শাহের কাছ থেকে প্রতিষ্ঠার আদেশ পায়।[৬]

মালয়েশিয়া এবং বিদেশের ১৫৩ জন শিক্ষার্থীর একটি ব্যাচ প্রথম শিক্ষাবর্ষের জন্য নথিভুক্ত হয়, যা ১৯৮৩ সালের ৮ জুলাই শুরু হয়। কোর্সগুলো অর্থনীতি অনুষদ, আইন অনুষদ, মৌলিক জ্ঞান কেন্দ্র এবং ভাষা কেন্দ্রের অধীনে পরিচালিত হয়। এই প্রথম ব্যাচের সদস্যরা ১৯৮৭ সালের ১০ অক্টোবরে অনুষ্ঠিত প্রথম সমাবর্তনের সময় তাদের ডিগ্রি এবং ডিপ্লোমা গ্রহণ করে। ৬৮ জন অর্থনীতিবিদ্যায় স্নাতক ডিগ্রি, ৫৬ জন আইনবিদ্যায় স্নাতক ডিগ্রি এবং ২৯ জন কাধীকে ইসলামি বিচার বিভাগের আইন ও প্রশাসনে ডিপ্লোমা প্রদান করা হয়।

শাসন সম্পাদনা

একটি সর্বজনীন বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে, আইআইইউএম এর একটি আনুষ্ঠানিক প্রধান রয়েছে যাকে সাংবিধানিক প্রধান বলা হয়, যিনি সমাবর্তনে সভাপতিত্ব করেন এবং সমস্ত সাংবিধানিক বিষয়ের জন্য তথ্যসূত্র হিসেবে কাজ করেন। অন্যান্য সর্বজনীন বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্যদের মতো তারা সাত বছরের মেয়াদের জন্য ফেডারেল সরকারের সুপারিশে রাজা কর্তৃক নিযুক্ত হন।

পাহাংয়ের রাজা আহমদ শাহ ১৯৮৩ সালের ১লা জুলাই থেকে প্রতিষ্ঠাতা সাংবিধানিক প্রধান ছিলেন। তার মৃত্যুর আগে, তিনি তার পুত্রবধূ, বর্তমান রানী, তুংকু আজিজা আমিনা মায়মুনা ইস্কান্দারিয়া দ্বারা প্রতিস্থাপিত হন। তাকে ২০১৯ সালের ১২ এপ্রিলে পাঁচ বছর মেয়াদে সাংবিধানিক প্রধান করা হয়। আইআইইউএম এ তার শ্বশুরের মন্ত্রিকানা ৩৬ বছর পর শেষ হয়েছিল, কিন্তু নিয়োগের উপকরণটি শুধুমাত্র ফেডারেল সরকার তাকে ২০১৯ সালের ১৭ই জুন উপস্থাপন করেছিল।[৮]

একটি ফেডারেল সংবিধিবদ্ধ সংস্থা হিসেবে, আইআইইউএম গভর্নরদের বোর্ডের তত্ত্বাবধানে কাজ করে। এটি একটি সংস্থা, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত বিষয় পরিচালনা করে এবং তত্ত্বাবধান করে। বোর্ডের সভাপতিত্ব করেন একজন রাষ্ট্রপতি, যিনি পাঁচ বছরের মেয়াদের জন্য ফেডারেল সরকারের পরামর্শে সাংবিধানিক প্রধান দ্বারা নিযুক্ত হন। ঐতিহ্য অনুসারে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মহাসচিব বোর্ডের সহকারী চেয়ারম্যান হন। সভাপতি এবং একজন সহকারী চেয়ারম্যান ছাড়াও বোর্ডে ওআইসি এর মহাসচিব এবং সদস্য রাষ্ট্রগুলোর কূটনৈতিক প্রধানসহ বাংলাদেশ, মিশর, লিবিয়া, মালদ্বীপ, পাকিস্তান, সৌদি আরবতুরস্কের প্রায় ১৫ জন সদস্য রয়েছে। মালয়েশিয়ার ইসলামি অর্থ বিশেষজ্ঞ মোঃ দাউদ বকর ২০১৯ সালের ১লা জুলাই থেকে অষ্টম এবং বর্তমান রাষ্ট্রপতি হিসেবে নিযুক্ত হন।[৯]

গভর্নর বোর্ডকে একটি সিনেট, একটি সংস্থা (যা একাডেমিক এবং ছাত্র বিষয়ক বিষয়গুলো প্রদান করে) এবং একটি ব্যবস্থাপনা কমিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিদিনের কার্যক্রমের তত্ত্বাবধান করতে সাহায্য করে। সিনেট এবং ব্যবস্থাপনা কমিটি উভয়েরই সভাপতিত্ব করেন একজন অধীপুরুষ, যিনি তিন বছর মেয়াদের জন্য ফেডারেল সরকারের পরামর্শে সাংবিধানিক প্রধান দ্বারা নিযুক্ত হন।

১৯৮৩ সাল থেকে নেতাবৃন্দ সম্পাদনা

# নাম মেয়াদ শুরু মেয়াদ শেষ
সাংবিধানিক প্রধান
1 পাহাং এর আহমদ শাহ ১ জুলাই ১৯৮৩ ১১ এপ্রিল ২০১৯
2 তুংকু আজিজা আমিনা মায়মুনা ইস্কান্দারিয়া ১২ এপ্রিল ২০১৯[৮] বর্তমান
রাষ্ট্রপতি
1 হুসাইন অন ১৯৮৩ ১৯৮৭
2 আনোয়ার ইব্রাহীম ১৯৮৮ ১৯৯৮
3 নাজিব রাজাক ১৯৯৮ ১৯৯৯
4 সানুসি জুনিদ ফেব্রুয়ারি ২০০০ ১ জুন ২০০৮
5 মোঃ সাইদ হাসান ২ জুন ২০০৮ ১ জুন ২০১৩
6 রইস ইয়াতীম ২ জুন ২০১৩ ১ জুন ২০১৮
7 মাসজলী মালিক ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ৯ নভেম্বর ২০১৮[১০]
8 মোঃ দাউদ বকর ১ জুলাই ২০১৯ বর্তমান
অধিপুরুষ
1 মুহাম্মদ এম আব্দুল রউফ ১৯৮৩ ১৯৮৯
2 আব্দুল হামিদ আবু সুলায়মান ১৯৮৯ ১৯৯৮
3 মোঃ কামাল হাসান ৫ এপ্রিল ১৯৯৮ ৩১ মে ২০০৬
4 সৈয়দ আরাবি ইদিদ ১ জুন ২০০৬ ১ জুন ২০১১
5 জালেহা কামার উদ্দিন ২ আগস্ট ২০১১ ৩১ জুলাই ২০১৮
6 জুলকিফলি আব্দুল রাজাক ১ আগস্ট ২ বর্তমান

গভর্নরদের বোর্ড সম্পাদনা

জুন ২০১৯-এর হিসাব অনুযায়ী, আইআইইউএম এর গভর্নর বোর্ড:

ব্যবস্থাপনা সম্পাদনা

অক্টোবর ২০২০-এর হিসাব অনুযায়ী, আইআইইউএম পরিচালনা কমিটি:

  • জুলকিফলি আব্দুল রাজাক, অধিপুরুষ
  • আহমদ ফারিস ইসমাইল, সহকারী অধিপুরুষ (একাডেমিক এবং শিল্প সংযোগ)
  • আহমাদ হাফিজ জুলকিফলি, সহকারী অধিপুরুষ (দায়িত্বপূর্ণ গবেষণা ও উদ্ভাবন)
  • জুলকিফলি হাসান, সহকারী অধিপুরুষ (ছাত্র উন্নয়ন ও সম্প্রদায় সংযুক্তি)
  • আহমাদ ফারিস ইসমাইল, সহকারী অধিপুরুষ প্রাবরণ (আন্তর্জাতিককরণ এবং বিশ্বব্যাপী সংযোগস্থাপন)
  • আব্দুল রহিম আহমাদ, নির্বাহী পরিচালক, ব্যবস্থাপনা সেবা বিভাগ
  • আহমেদ জায়লান শারী, নির্বাহী পরিচালক, অর্থ বিভাগ
  • মোঃ হিলমি ওয়ান কামাল, নির্বাহী পরিচালক, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগ
  • কামারুজ্জামান ইউনুস, কুয়ান্তান ক্যাম্পাস পরিচালক
  • বদরুল হিশাম রাজা মোঃ আলী, আইন উপদেষ্টা
  • নরবিক বাশাহ ইদ্রিস, প্রধান তথ্য কর্মকর্তা

ক্যাম্পাস সম্পাদনা

 
আন্তর্জাতিক ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় মালয়েশিয়া, গোম্বাক ক্যাম্পাস

আইআইইউএম এর সদর দফতর সেলাঙ্গরের গোম্বাক জেলার ৭০০ একর (২.৮ কিমি²) জমির উপর স্থাপিত। এছাডাও এর আরও ছয়টি ক্যাম্পাস রয়েছে। তিনটি ক্যাম্পাস পাহাংয়ের কুয়ান্তান এ রয়েছে, যেখানে গামবাং এ অবস্থিত সেন্টার ফর ফাউন্ডেশন স্টাডিজ, বন্দর ইন্দেরা মাহকোতায় অবস্থিত চিকিৎসা কেন্দ্রিক ক্যাম্পাস এবং তেংকু আম্পুয়ান আফজান হাসপাতালের কাছে অবস্থিত ক্লিনিক্যাল ক্যাম্পাসও রয়েছে। দুটি শহুরে ক্যাম্পাস কুয়ালালামপুরের পার্সিয়ারান দুতা ও জালান দামানসারায় এবং আরেকটি ক্যাম্পাস জোহোরের বান্দর ইউনিভার্সিটি পাগোহতে অবস্থিত।

অধ্যয়ন কেন্দ্র সম্পাদনা

আইআইইউএম এর ১৪টি অনুষদ রয়েছে। তাদের প্রত্যেককে আরবিতে বলা হয় "কুল্লিয়্যা" (বহুবচনে "কুল্লিয়াত"):

তবে, অন্যান্য একাডেমিক কেন্দ্রও রয়েছে যেগুলো কুল্লিয়্যার সমতুল্য নয়, কিন্তু প্রাক-বিশ্ববিদ্যালয়, স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর কোর্স প্রদান করে:

  • একাডেমি অব গ্র্যাজুয়েট অ্যান্ড প্রফেশনাল স্টাডিজ (একাডেমি) - গোম্বাক এবং কুয়ালালামপুর
  • সেন্টার ফর ফাউন্ডেশন স্টাডিজ (সিএফএস) - গামবাং
  • সেন্টার ফর ল্যাঙ্গুয়েজ অ্যান্ড প্রাক-ইউনিভার্সিটি একাডেমিক ডেভেলপমেন্ট (সেলপাড) - গোম্বাক, কুয়ান্তান এবং পাগোহ
  • ইনস্টিটিউট অব ইসলামি ব্যাংকিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স - গোমবাক
  • ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হালাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং (ইনহার্ট) - গোম্বাক
  • ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ইসলামিক সিভিলাইজেশন অ্যান্ড মালয় ওয়ার্ল্ড (ইশতাক) - কুয়ালালামপুর

সু্যোগ-সুবিধা সম্পাদনা

আইসিটি সুবিধা সম্পাদনা

আইআইইউএম এর অনলাইন পরিষেবা রয়েছে, যেমন আই-মা'লুম (i-Ma'luum), যেখানে আইআইইউএম শিক্ষার্থীরা তাদের ব্যক্তিগত সময়সূচী এবং কেন্দ্রীভূত অনলাইন তথ্যশালার তথ্য যাচাই এবং সংগঠিত করতে পারে। আইআইইউএম এর একটি ই-লার্নিং এবং অনলাইন সাম্প্রদায়িক পোর্টাল রয়েছে (যাকে বলা হয় i-Ta'leem), যেখানে শিক্ষার্থীরা তাদের সময়সূচী, ঘোষণা এবং কার্যক্রম সংগঠিত ও সমন্বয় করতে পারে।

গ্রন্থাগার সম্পাদনা

আইআইউএম এর ছয়টি গ্রন্থাগার আছে। প্রধান গ্রন্থাগারটি আইআইইউএম ইনস্টিটিউট অব ইসলামিক ব্যাংকিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স গ্রন্থাগারের সাথে গোম্বাক ক্যাম্পাসে অবস্থিত এবং স্যাটেলাইট গ্রন্থাগারগুলো কুয়ালালামপুরের কুয়ান্তান ক্যাম্পাস, গামবাংয়ের সেন্টার ফর ফাউন্ডেশন স্টাডিজ, পাগোহের ভাষা ও ব্যবস্থাপনার কুল্লিয়া এবং সৈয়দ মুহাম্মদ নকিব আল-আত্তাস গ্রন্থাগারে অবস্থিত।

সাংস্কৃতিক কেন্দ্র সম্পাদনা

আইআইইউএম সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হলো বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে বড় কেন্দ্র। এটি বার্ষিক সমাবর্তন অনুষ্ঠানের ভেন্যু হিসেবে ব্যবহৃত হয়। আইসিসি একটি পরীক্ষার ভেন্যুতে রূপান্তরিত হতে পারে। কেন্দ্রে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আলোচনা এবং সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

আজমান হাশিম কমপ্লেক্স সম্পাদনা

আজমান হাশিম কমপ্লেক্স হলো একটি আরএম৭ মিলিয়ন বহুমুখী হল এবং বাণিজ্যিক কেন্দ্র, যা আইআইইউএম ছাত্রদের চাহিদা পূরণ করে। এটি আইআইইউএম বৃত্তিসংক্রান্ত তহবিলেরও একটি রাজস্ব উৎস।

ক্রীড়া কমপ্লেক্স সম্পাদনা

আইআইইউএম এর চারটি ক্রীড়া কমপ্লেক্স রয়েছে। গোম্বাক ক্যাম্পাসে ছেলে ও মেয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদাভাবে দুটি ক্রীড়া কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হয়। আরও দুটি ক্রীড়া কমপ্লেক্স কুয়ান্তান ক্যাম্পাসে এবং গামবাং-এ সেন্টার ফর ফাউন্ডেশন স্টাডিজে অবস্থিত।

ছাত্রাবাস সুবিধা সম্পাদনা

আইআইইউএম-এর ছাত্রদের আবাসিক কলেজগুলো "মহল্লা" (বহুবচনে, "মহাল্লাত") নামে পরিচিত, যা আরবীতে 'প্রতিবেশী'। আইআইইউএম এর আবাসিক কলেজগুলো শুধুমাত্র পরিষেবার সাথেই নয়, কার্যক্রমের সাথেও স্বয়ংসম্পূর্ণ এবং নবীর নেতৃস্থানীয় সাহাবী এবং মহিলা মুজাহিদা এবং স্যুহাদার নামে নামকরণ করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠার প্রথম বছর থেকে, আইআইইউএম তার পূর্ণ-সময়ের স্নাতক ছাত্রদের জন্য সম্পূর্ণ বাসস্থানের অনুশীলন করেছে। স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থীদের জন্য, কক্ষের প্রাপ্যতার উপর ভিত্তি করে আবাসনের ব্যবস্থা করা হয়। অ-মালয়েশিয়ান ছাত্রদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়, বিশেষ করে নতুন গ্রহণকৃত ছাত্রদের।

স্বাস্থ্য সুবিধা সম্পাদনা

২০১৬ সাল থেকে, আইআইইউএম এর কুয়ান্তানে "আইআইইউএম মেডিকেল সেন্টার" নামে একটি শিক্ষামূলক হাসপাতাল রয়েছে। শিক্ষাদান হাসপাতাল ব্যতীত, আইআইইউএম এর বেশ কয়েকটি ডাক্তারখানা এবং একটি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসা কেন্দ্রও রয়েছে যা কুয়ান্তানের গোমবাকের একটি স্বাস্থ্য ও সুস্থতা কেন্দ্র এবং গামবাং-এ সেন্টার ফর ফাউন্ডেশন স্টাডিজের একটি উপগ্রহ ক্লিনিক।

সুলতান হাজী আহমদ শাহ মসজিদ সম্পাদনা

সুলতান হাজী আহমদ শাহ মসজিদ গোম্বাক ক্যাম্পাসের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত। মসজিদের প্রধান প্রার্থনা হলের সর্বাধিক ধারণক্ষমতা ৯০০০ জন। এছাড়া দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্তরে মহিলা প্রার্থনা হল রয়েছে। মসজিদটি বিবাহ ও জানাযা ব্যবস্থাপনা, তিলাওয়াত এবং তাহফিজুল-কোরআনের মতো ধারণার উপর বক্তৃতা, সেমিনার এবং ক্লাসের পাশাপাশি কিয়ামুল্লাইল এবং তারবিয়্যাত এবং ছাত্রদের প্রশিক্ষণের মতো কার্যক্রমের আয়োজন করে।

সুলতান হাজী আহমদ শাহ মসজিদ কুয়ান্তান ক্যাম্পাসেও নির্মিত হয়।

শিক্ষাবিদ সম্পাদনা

শিক্ষার্থী সম্পাদনা

১৯৮৩ সালে ১৫৩ জন ছাত্র নিয়ে আইআইইউএম যাত্রা শুরু করেছিল। বর্তমানে, প্রতি বছর প্রায় ৩,০০০ শিক্ষার্থী ভর্তি হয়। এখন পর্যন্ত, ৪০টিরও বেশি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের প্রায় ২৭,০০০ শিক্ষার্থী আইআইইউএম-এ অধ্যয়ন করছে। সেইসাথে জার্মানি, ফিনল্যান্ড, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান, ভারত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, থাইল্যান্ড, লাওস, কম্বোডিয়া, মিয়ানমার, ভিয়েতনাম, শ্রীলঙ্কা এবং ফিলিপাইনের মতো অমুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের শিক্ষার্থীরাও এখানে অধ্যয়ন করছে।

১৯৮৭ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত, ৬০,৭৮৫ জন স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর আইআইইউএম-এ তাদের পড়াশোনা শেষ করেছে। এর মধ্যে ৫৩,২৪১ জন মালয়েশিয়ার এবং ৭,৫৩০ জন আন্তর্জাতিক ছাত্র।[১১] সারা বিশ্বে স্নাতকের জন্য আইআইইউএম থাইল্যান্ড, বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা, ইন্দোনেশিয়া, মালদ্বীপ, অস্ট্রেলিয়া, সৌদি আরব, ওমান এবং সিঙ্গাপুরে প্রাক্তন ছাত্র অধ্যায় স্থাপন করেছে। এছাড়াও তুরস্ক, চীন, নাইজেরিয়া, ফিলিপাইন, ইয়েমেন, ব্রুনাই, সেনেগাল, দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ, গাম্বিয়া, গিনি এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতেও প্রাক্তন ছাত্র অধ্যায়ের শাখা খোলা হয়েছে।

শিক্ষার মাধ্যম সম্পাদনা

ইসলামি বিজ্ঞান যেমন ধর্মতত্ত্ব, আইনশাস্ত্র এবং নীতিশাস্ত্রের অধ্যয়নের সাথে সম্পর্কিত কোর্সসমূহে শিক্ষার মাধ্যম হিসেবে ইংরেজি এবং আরবি ভাষা ব্যবহার করা হয়। প্রাথমিক আরবি একটি বাধ্যতামূলক কোর্স। এছাড়াও, আন্তর্জাতিক স্নাতক ছাত্রদের জন্য মৌলিক মালয় ভাষা বাধ্যতামূলক।

উসরা সম্পাদনা

আইআইইউএম মালয়েশিয়ার একমাত্র সর্বজনীন বিশ্ববিদ্যালয়, যেটির সমস্ত ফাউন্ডেশন এবং স্নাতক ছাত্রদের উসরাতে যোগদান করতে হয়। এতে সামাজিক, আধ্যাত্মিক এবং বুদ্ধিবৃত্তিক উন্নতির উদ্দেশ্যে সাপ্তাহিক ইসলামি অধ্যয়ন চক্র অনুষ্ঠিত হয়। আইআইইউএম প্রতিষ্ঠার পর থেকে, আইআইইউএম থেকে স্নাতক হওয়ার জন্য ছাত্রদের জন্য উসরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ২০১৪ সাল থেকে, কেন্দ্রীভূত উসরার পাশাপাশি আবাসিক কলেজগুলোতে একটি পৃথক উসরা অনুষ্ঠিত হয়, যা ক্যাম্পাসে বসবাসরত অন্তর্বর্তী স্নাতক ছাত্রদের জন্যও বাধ্যতামূলক।[১২]

অর্জন সম্পাদনা

পুরস্কার এবং স্বীকৃতি সম্পাদনা

আইআইইউএম বিতর্ক, জনসাধারনে ভাষ্য এবং বাদানুবাদের ক্ষেত্রে স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে সুপরিচিত। ২০১৪ সালে, ৩৫ তম ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটিজ ডিবেটিং চ্যাম্পিয়নশিপে অংশগ্রহণকারী ৪৪০ টি দলের মধ্যে আইআইইউএম দশম স্থানে ছিল।[১৩] ২০১৬ সালে, আইআইইউএম ইউনাইটেড এশিয়ান ডিবেটিং চ্যাম্পিয়নশিপ, অস্ট্রেলিয়ান ইন্টারভার্সিটি ডিবেট চ্যাম্পিয়নশিপ এবং এশিয়ান ব্রিটিশ পার্লামেন্টারি চ্যাম্পিয়নশিপ জিতেছে। এছাড়াও ২০১৭ সালে, আইআইইউএম ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটিজ আরবি ডিবেটিং চ্যাম্পিয়নশিপের রানার-আপ হয়েছিল।[১৪]

বহু-স্তরবিশিষ্ট টুর্নামেন্টে যোগদান এবং জয়ী হওয়া ছাড়াও, আইআইইউএম মালয়, ইংরেজি এবং আরবি ভাষার মানসম্পন্ন বিতার্কিক এবং বক্তা তৈরি করতে সফল হয়েছে, যেমন সৈয়দ সাদ্দিক সৈয়দ আবদুল রহমান, আমিরা নাতাশা মুর, মুবাররাত ওয়াসি (ইংরেজির জন্য), আবদুল মুইজ মুস্তাফা, মোঃ শরুল নিজাম মোঃ রনি (মালয়ের জন্য), মুহাম্মদ নুরফিরমান মোহাম্মদ এবং মুহাম্মদ ইকমল হাকিমি মোঃ হেলনি (আরবি ভাষার জন্য)।

গবেষণার ক্ষেত্রে, পেনসিপ্টা, ইনপেক্স, আইটেক্স জেনেভা এবং কিপাসহ প্রদর্শনী এবং প্রকাশে স্বর্ণ, রৌপ্য এবং ব্রোঞ্জ পদক জিতে আইআইইউএম আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে স্বীকৃতি পেয়েছে।[১৫] আইআইইউএম উদ্বোধনী প্রোটন গ্রীন মোবিলিটি চ্যালেঞ্জ ২০১২ (পিজিএমসি) এ প্রবেশ করে, যখন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশ, "স্মার্ট মোবিলিটি" নামে একটি বিদ্যুৎ চালিত প্রোটন সাগা বিএলএম সামগ্রিকভাবে চ্যাম্পিয়ন হয় এবং "দূরতম দূরত্ব" ও "ফাস্টেস্ট টু ল্যাপস চ্যালেঞ্জ" পুরস্কারও গ্রহণ করে।[১৬]

জাকিম এবং ইয়াদিম এর সহযোগিতায় আইআইইউএম মালয়েশিয়ার শরিয়ত সূচক তৈরিতে জড়িত ছিল, যা গ্রহণের মাধ্যমে মালয়েশিয়া বিশ্বের প্রথম দেশ হবে।[১৭] এই সূচকটি "মাকাসিদ শরীয়াহ" বা শরিয়তের উদ্দেশ্যগুলোর সাথে বিচার বিভাগ, রাজনীতি, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, সংস্কৃতি, অবকাঠামো এবং পরিবেশ ও সামাজিক এই আটটি ক্ষেত্রের সম্মতি পরিমাপ করবে। মালয়েশিয়ার শরিয়ত সূচকটি আনুষ্ঠানিকভাবে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী[১৮] ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে চালু করেন।

মর্যাদাক্রম সম্পাদনা

আইআইইউএম বিশ্বের শীর্ষ পাঁচটি ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে একটি হিসেবে বিবেচিত হয় এবং ইসলামি শিক্ষা, বৈজ্ঞানিক ও সাংস্কৃতিক সংস্থা দ্বারা "প্রিমিয়ার ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক রিসার্চ ইউনিভার্সিটি" হিসেবে স্বীকৃ্তি পায়।[১৯] উপরন্তু, এটি ইন্টিগ্রেশন, ইসলামিকরণ, আন্তর্জাতিকীকরণ এবং ব্যাপক উৎকর্ষের একটি নির্দিষ্ট মিশনসহ মালয়েশিয়ার সেরা সর্বজনীন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে একটি।

উল্লেখযোগ্য প্রাক্তন শিক্ষার্থী সম্পাদনা

প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের তালিকা অন্তর্ভুক্ত:

উল্লেখযোগ্য অনুষদ সদস্য সম্পাদনা

বর্তমান অনুষদ সদস্য সম্পাদনা

  • আবদুল রশিদ মোতিন, কেআইআরকেএইচএস এর অধ্যাপক এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞানী
  • আবদুল্লাহ আল-আহসান, কেআইআরকেএইচএস এর অধ্যাপক এবং সমসাময়িক মুসলিম ইতিহাসবিদ
  • আওয়াং সারিয়ান, আইএসটিএসি এর অধ্যাপক, মালয় ভাষার পণ্ডিত এবং মালয়েশিয়ার দেওয়ান বাহাসা দ্যান পুস্তকার মহাপরিচালক (২০১২-২০১৬)
  • ইরওয়ান্দি জাসভির, কেওই এর অধ্যাপক এবং বিশ্ব হালাল বিজ্ঞানী
  • জামাল আহমেদ বশির বদি, কেআইআরকেএইচএস -এর অধ্যাপক, সমালোচনামূলক এবং সৃজনশীল চিন্তাবিদ
  • মাজদি ইব্রাহিম, কেআইআরকেএইচএস এর অধ্যাপক এবং আরবি ভাষা বিশেষজ্ঞ
  • মাশকুরি ইয়াকব, কেওই এর অধ্যাপক, বৈদ্যুতিক প্রকৌশল বিশেষজ্ঞ এবং মালয়েশিয়ার ইউনিভার্সিটি তেনাগা ন্যাশনাল এর উপাচার্য (২০০৭-২০১৫)
  • নিক আহমদ কামাল নিক মাহমুদ, আইকোলের ঊর্ধ্বতন অধ্যাপক, সংবিধান বিশেষজ্ঞ
  • রুসফা হাশিম, কেআইসিটি এর সহযোগী অধ্যাপক, মালয় বিজয়ী
  • রোসনানি হাশিম, কেওএডি এর ঊর্ধ্বতন অধ্যাপক এবং মালয়েশিয়ার ইসলামি শিক্ষার পণ্ডিত
  • শামরাহায়ু আব্দুল আজিজ, আইকোল এর সহযোগী অধ্যাপক এবং সংবিধান বিশেষজ্ঞ
  • সৈয়দ আরাবি সৈয়দ আবদুল্লাহ ইদিদ, আইআরকেএইচএস এর ঊর্ধ্বতন অধ্যাপক, মিডিয়া এবং যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ এবং আইআইইউএম এর অধীপুরুষ (২০০৬-২০১১)
  • সাইদ বাবা, কেওইডি এর ঊর্ধ্বতন অধ্যাপক, ইসলামি চিন্তাধারা এবং মালয়েশিয়ার শিক্ষার পণ্ডিত
  • তোরলা হাসান, কেওই এর ঊর্ধ্বতন অধ্যাপক এবং পদার্থবিজ্ঞান বিশেষজ্ঞ
  • জালেহা কামারুদিন, আইকোল এর অধ্যাপক, পারিবারিক আইন বিশেষজ্ঞ এবং আইআইইউএম এর অধীপুরুষ (২০১১-২০১৮)

প্রাক্তন অনুষদ সদস্য সম্পাদনা

  • আব্দুল আজিজ বারী, আইকোল এর প্রভাষক এবং অধ্যাপক (১৯৮৯-২০১১), তেবিং তিংগির বিধায়ক, পেরাক এবং মালয়েশিয়ার পেরাক স্টেট এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের সদস্য (২০১৮ সাল থেকে)
  • আব্দুল হামিদ আবু সুলায়মান, আইআইইউএমের অধিপুরুষ (১৯৮৮-১৯৯৮)
  • আহমদ মোহাম্মদ ইব্রাহিম, আইকোল এর প্রতিষ্ঠাতা যাজক এবং সিঙ্গাপুরের মহান্যায়বাদী (১৯৫৯-১৯৬৭)
  • আহমেত দাভুতোগলু, কেআইআরকেএইচএস এর রাষ্ট্রবিজ্ঞানের প্রভাষক (১৯৯৩-১৯৯৬) এবং তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী (২০১৪-২০১৬)
  • আতাউল হক প্রামাণিক, কেইএনএমএসের অর্থনীতির অধ্যাপক (১৯৮৮-২০১৮)
  • মাহমুদ জুহদি আব্দুল মজিদ, কেআইআরকেএইচএস এর ঊর্ধ্বতন অধ্যাপক (২০১২-২০১৫) এবং ইসলামি আইন বিশেষজ্ঞ
  • মাসজলি মালিক, কেআইআরকেএইচএস এর প্রভাষক (২০০২-২০১৮), সিম্পাং রেংগামের এমপি, আইআইইউএম এর সভাপতি এবং মালয়েশিয়ার শিক্ষামন্ত্রী (২০১৮-বর্তমান)
  • মুহাম্মদ হাশিম কামালী, আইকোল এবং আইএসটিএসি -এর ইসলামি আইনের অধ্যাপক (১৯৮৫-২০০৭) এবং ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব অ্যাডভান্সড ইসলামিক স্টাডিজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (২০০৭-বর্তমান)
  • মোঃ কামাল হাসান, আইইউএম এর অধীপুরুষ (১৯৯৯-২০০৬)
  • মুহাম্মদ আরিফ জাকাউল্লাহ, কেইএনএমএসের অধ্যাপক এবং আইআইইউএম বিতর্ক দলের প্রতিষ্ঠাতা
  • মুহাম্মদ উসমান এল-মুহাম্মাদ, আইএসটিএসি এর শীর্ষ একাডেমিক ফেলো (২০১৩ সাল পর্যন্ত), ইসলামি চিন্তাধারা এবং দাওয়াতের পণ্ডিত
  • সৈয়দ মুহাম্মদ নকিব আল-আত্তাস, আইএসটিএসি -এর প্রতিষ্ঠাতা এবং তৎকালীন ইউটিএম এর পরিদর্শন প্রফেসর
  • ইসমাউই বিন জেন, প্রাক্তন সহকারী অধীপুরুষ (১৯৯৯-২০০৫), মসজিদিল হারামের সম্প্রসারণের জন্য প্রধান প্যানেলিস্ট এবং তোকো মাল হিজরা সারওয়াক ২০১০

আরও দেখুন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Aiming to be premier Islamic university"thestar.com.my। ৩০ নভেম্বর ২০০৭। ৮ জুন ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ ডিসেম্বর ২০০৯ 
  2. "The Association of Southeast Asian Institutions of Higher Learning"। Seameo.org। ৪ জুলাই ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ আগস্ট ২০১২ 
  3. "Archived copy"। ১৮ অক্টোবর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ এপ্রিল ২০১০ 
  4. "Association of Universities of Asia and the Pacific - List of the Members Universities"। Auap.sut.ac.th। ১৩ অক্টোবর ২০০৮। ৯ জুলাই ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ আগস্ট ২০১২ 
  5. [১] ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৬ জানুয়ারি ২০০৫ তারিখে
  6. "History of International Islamic University Malaysia"। সংগ্রহের তারিখ ৩ আগস্ট ২০১৪ 
  7. Ibrahim, Ismail (১২ এপ্রিল ২০০১)। "UIAM lambing kecemerlangan Malaysia"। Utusan Malaysia। সংগ্রহের তারিখ ৩ আগস্ট ২০১৪ 
  8. "Raja Permaisuri Agong Ketua Perlembagaan UIAM baharu"Berita Harian (মালয় ভাষায়)। ১৭ জুন ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুন ২০১৯ 
  9. Md Khairudin, Mohd Khairul Anam (১১ জুলাই ২০১৯)। "Dr Mohd Daud Presiden Baharu UIAM"Berita Harian (মালয় ভাষায়)। ১১ জুলাই ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ জুলাই ২০১৯ 
  10. Choong, Jerry (১১ জুলাই ২০১৯)। "After Maszlee, Islamic finance expert Daud Bakar is IIUM's new president"Yahoo! News Singapore। সংগ্রহের তারিখ ১১ জুলাই ২০১৯ 
  11. "28th IIUM Convocation Ceremony"। International Islamic University Malaysia। ২৩ অক্টোবর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ অক্টোবর ২০১২ 
  12. Awang Marusin, Awang Abdul Muizz (২০১৮)। "The Practice of Usrah in Teaching and Learning: Case Study at the International Islamic University Malaysia" (পিডিএফ)Bukit Mertajam: Institute of Teacher Education, Tuanku Bainun Campus: 1–14। ৩০ জুলাই ২০১৮ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ মে ২০২২ 
  13. "IIUM debate team ranked 10th in World championship - Nation - The Star Online"www.thestar.com.my 
  14. Yop, Ridzuan (১৩ এপ্রিল ২০১৭)। "UIAM Naib Juara Debat Bahasa Arab"Berita Harian। সংগ্রহের তারিখ ৩১ জুলাই ২০১৮ 
  15. "Indah Water Konsortium ~ IWK"। Web6.bernama.com। ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ আগস্ট ২০১২ 
  16. "Proton Green Mobility Challenge: IIUM is overall champion, UMP and UTeM are runners-up"। ১০ অক্টোবর ২০১২। 
  17. "Archived copy"। ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-০২-১০ 
  18. "Shariah Index good for non-Muslims too, PM says"। ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৫। 
  19. "ISESCO certification of IIUM as the Premier International Islamic Research University –"www.iium.edu.my (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২০-০২-২৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৪-০২ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা

  উইকিমিডিয়া কমন্সে আন্তর্জাতিক ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় মালয়েশিয়া সম্পর্কিত মিডিয়া দেখুন।