আনা মারিয়া রেকার্সচেল্ড


আনা মারিয়া রেকার্সচেল্ড (৫ ফেব্রুয়ারি ১৭২৫ - ২৫ মে ১৮০৫, জন্মনাম রোকার) একজন সুইডিশ লেখক, যিনি অষ্টাদশ এবং উনবিংশ শতকের গোড়ার দিকে গৃহকর্ম এবং রান্নার বিষয়ে বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় বই লিখেছিলেন। তিনি নারীদের ভালো পারিবারিক শিক্ষার ব্যাপারে সোচ্চার ছিলেন এবং ১৭৭০ সালে একটি বেনামী চিঠির মাধ্যমে তার এই দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ্যে প্রচার করেছিলেন। কাজসা ওয়ার্গ এবং অন্যান্য রান্নারবই লেখকদের মধ্যে যারা নারী ছিলেন তাদের পাশাপাশি তাকে সমকালীন সময়ে সুইডেনের রন্ধনসম্পর্কিত বিষয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব হিসেবে মনে করা হয়।

১৭৯৬ সালে প্রকাশিত Den Nya och Fullständiga Kok-Boken বইএর শিরোনাম পাতা। রেকার্সচেল্ডের একমাত্র লেখাটি প্রায় সম্পূর্ণরূপে রান্নায় নিবেদিত।

জীবনী সম্পাদনা

 
অষ্টাদশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধের একটি রান্নাঘরের অভ্যন্তরের চিত্রকর্ম En piga öser soppa ur en kittel (একজন দাসীএকটি কই থেকে স্যুপ ঢেলে নিচ্ছে"); পেহর হিলস্ট্রম-এর ক্যানভাসে আঁকা তৈলচিত্র।

রেকার্সচেল্ড ১৭২৫ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন ইমেরেন্তিয়া পোহেম এবং রেনহোল্ড রোকার কন্যা। তার পিতা স্থানীয় হানডে্রডের বিচারক যিনি স্টকহোমের উচ্চ আদালতে নিযুক্ত ছিলেন। তিনি স্টার্নসুড এবং হেডেমোরায় বেড়ে ওঠেন, তিনি পরিবারের দশ সন্তানের একজন ছিলেন, তারা সাত বোন এবং তিন ভাই ছিলেন। তারা আভিজাত পরিবারের ছিল না, তবে সমাজের উচ্চপদস্থদের অন্তর্ভুক্ত ছিল এবং তার পিতা অবশেষে ১৭৫১ সালে নাইট খেতাব পান এবং ঐ বছরই মারা যান। রিনহোল্ড রোকার স্টকহোমে কাজ করার সময় অনেকটা সময় বাড়ি থেকে দূরে ছিলেন এবং এ সময় তার স্ত্রীকে সংসার চালাতে হয়েছে। রেকার্সচেল্ড উদ্ভাবক এবং শিল্পপতি ক্রিস্টোফার পোহেমের নাতনী ছিলেন এবং তার শৈশবকালে কিছু সময় তার দাদার সাথে স্টার্নসুন্ডে তার এস্টেটে কাটিয়েছিলেন। রেকার্সচাল্ডের বয়স যখন বারো বছর, সেসময় তার তিন ভাইকে মর্যাদাপূর্ণ উপসালা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার জন্য প্রেরণ করা হয়। বাকি সাত বোন কোনধরনের প্রথাগত শিক্ষা না নিয়ে হেডেমোরায় বাড়িতে রয়ে গেলেন, যা ছিল সেই সময়কার মেয়েদের লালন-পালনের প্রচলিত নিয়ম।[১]

১৭৫০ সালে রেকার্সচেল্ড স্টকহোমের উচ্চ আদালতের একজন হিসাবরক্ষক জোনাস জ্যাকোবসন ডালকে বিয়ে করেন। ডাল উপসালা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা গ্রহণকারী এবং কারখানার মালিকের পুত্র ছিলেন। রেকার্সচেল্ড তার প্রথম নামটি সারা জীবন ধরে রেখেছিলেন, তবে ১৭৫১ সালে তার পিতাকে নাইট খেতাব প্রদান করার পরে স্কেল্ড ("সিল্ড") তার নামের শেষে যুক্ত হওয়ায় এটি একমাত্র তখনই পরিবর্তিত হয়েছিল। যখন বিয়ে হয় তখন রেকার্সচেল্ডের বয়স ২৫ বছর আর ডালের বয়স ৩৩, তার স্বামী ৮ বছরের বড় ছিলেন। ১৭৫১ সালে এই দম্পতির প্রথম সন্তান ইমেরেন্তিয়া জন্মগ্রহণ করে এবং তারা ১৭৬০ সালে স্টকহোমের উত্তরে সাত্রা গার্ডে (বর্তমানে উপল্যান্ডস ভাসবি) পাড়ি জমান। রেকার্সচেল্ড ১৭৫৯ থেকে ১৭৬৫ সালের মধ্যে আরও তিন সন্তান মারিয়া, ফ্রেড্রিকা এবং ক্রিস্টোফারের জন্ম দেন। চতুর্থ সন্তান চিয়েরস্টিন জন্মের মাত্র সাত ঘণ্টা পরে মারা যায়। অন্য তিন সন্তান পূর্ণ বয়স্ক হয়। ইমেরেন্তিয়া স্মল্যান্ডের একজন আইনজীবিকে বিয়ে করেছিলেন, যখন তার বোন মারিয়া, ফ্রেড্রিকা চিরকুমারী ছিলেন। ক্রিস্টোফার সমুদ্রে গিয়েছিলেন কিন্তু এর পরে আর কখনও তার কথা শোনা যায়নি। পরিবার সাত্রা গার্ড থেকে স্টকহোমে চলে আসে। স্টকহোমে তাদের আবাসের প্রথম রেকর্ডটি ১৭৭৫ সালের এবং এই দম্পতি তাদের বাকী জীবন এখানেই কাটায়। বাবা-মা দুজনেই সন্তানদের ছাড়া বাকিটা সময় কাটান; ডাল ১৯৯৬ সালে এবং রেকার্সচেল্ড নয় বছর পরে ১৮০৫ সালে ৮০ বছর বয়সে মারা যান।[১]

প্রকাশ্য বিতর্ক সম্পাদনা

রেকার্সচেল্ড তার রান্না এবং গৃহস্থালীর কাজ সম্পর্কিত বইগুলোর জন্য সর্বাধিক পরিচিত, তবে তিনি নারীদের জন্য গৃহশিক্ষার পক্ষে এক নিবন্ধ লিখে পরিচিতি পান। ১৭৭০ সালের ফেব্রুয়ারিতে "ডিট অলিক্লিগা স্বয়েনেস্কা ফ্রুয়েন্টিম্রেটস বনেস্ক্রিফট টিল অলমানহেটেন" ("সাধারণ জনগণের প্রতি অসন্তুষ্ট সুইডিশ নারীর অনুরোধ") শীর্ষক একটি চিঠি ফ্রু ডি, মিসেস ডি (" সম্ভবত "মিসেস ডাহল") কর্তৃক রচিত সাময়িকী আলমান্না ম্যাগাজিনেটে প্রকাশিত হয়। এই চিঠিটি রেকার্সচেল্ডকে আরোপ করা হয়েছে, যেহেতু জানা গেছে যে তিনি কয়েক সপ্তাহ পরেই আলমানা ম্যাগাজিনেট এবং অন্যান্য কাগজের প্রকাশক কার্ল ক্রিস্টোফার জারভেলকে একটি চিঠি লিখেছিলেন। চিঠিতে তিনি তার একটি লেখার প্রকাশের জন্য জরভেলের কাছে কৃতজ্ঞতা, এবং ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন যে "মেয়েদের সুবিধার জন্য আমি যে পরামর্শগুলো মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছি, তার মধ্যে সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম অংশ হলেও বেঁচে থাকেতে বাস্তবায়ন দেখে যেতে চাই"।[২]

নিবন্ধটি প্রকাশিত হয় তীব্র প্রকাশ্য বিতর্কের মধ্যে। ১৭৬৬ সালে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠিত হয় এবং সুইডিশ সমাজকে কীভাবে উন্নত করা যায় সে সম্পর্কে তাদের পরামর্শ দেওয়ার জন্য জনগণকে উত্সাহিত করা হয়। অর্থনীতি, দেশত্যাগ, কৃষি ও শিক্ষা ছিল বিতর্কের বিষয়  পাশাপাশি মধ্যবিত্ত অবিবাহিত নারীদের সমস্যাজনিত পরিস্থিতিও ছিল। ১৮তম শতাব্দীতে সুইডেনে একজন স্বামীহীন নারীর নিজেকে টিকিয়ে রাখা কঠিন ছিল, বিশেষত নিম্ন স্তরের চাকরিজীবিদের প্রায়শই দাসী হিসাবে বিবেচনা করা হতো এবং এর ফলে অবিবাহিত নারীদের কর্মসংস্থানের সংখ্যা হ্রাস পায়।[৩]

রেকার্সচেল্ড পুরুষ ও নারী কাজের ক্ষেত্রগুলোর মধ্যে "প্রাকৃতিক" বিভাজনকে স্বীকার করেছেন, তবে তিনি নারীদের জন্য রান্না, বপন এবং প্রাথমিক পারিবারিক অর্থনীতির মতো গৃহস্থালী কর্তব্য শেখানোর জন্য স্কুলগুলোর পক্ষে মত দিয়েছেন। তিনি বিশ্বাস করতেন যে  সংগীত, সূচিকর্ম এবং শিল্প জ্ঞাণের মতো সামাজিক দক্ষতার তুলনায় ব্যবহারিক গৃহস্থালিসংক্রান্ত জ্ঞাণকে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত।[৪] রূপকার্থের মাধ্যমে, এই চিঠিতে বিপরীত লিঙ্গের মধ্যে সম্পর্কের বিষয়ে রেকার্সচেল্ডের দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করা হয়েছে এবং তার সাথী নারীদের জন্য তার উৎসাহ উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি গ্রীক পৌরাণিক কাহিনীর চরিত্র ফিলোমেলার সাথে নারীর দুর্দশার তুলনা করে পরিস্থিতির গুরুত্ব চিত্রিত করার চেষ্টা করেন, ফিলোমেলাকে তার বোনের স্বামী ধর্ষণ করেছিল তারপরে এ সম্পর্কে কাউকে যেন কিছু বলতে না পারে সে জন্য তার জিহ্বা কেটে ফেলেছিল। ফিলোমেলা অবশেষে যত্নের সাথে তার সূচিকর্মের সাহায্যে তার গল্পটি ব্যাখ্যা করে স্বামীকে জানাতে সক্ষম হন।[৫]

সমসাময়িক মধ্যবিত্ত শেণীর নারীদের গৃহস্থালী বিষয়ে দৃঢ় শিক্ষা লাভের পক্ষে তার সর্মথনের জন্য সাংবাদিক ও লেখক ইনগ্রিড আর্লেমাম রেকার্সচেল্ডকে “সতর্ক নারীবাদী” বলে বর্ণনা করেছেন।[৬] অলমান্না ম্যাগাজিনেটের চিঠিতে তিনি ফ্রানকোইস ফেনেলোনের ট্রেইট ডি লেডুকেশন ডেস ফিলস ("মেয়েদের শিক্ষার উপর নিবন্ধ") এর উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি শিক্ষণবিদ্যায় সমসাময়িক সাহিত্যের সাথে ভালভাবে পড়া এবং পরিচিত হওয়ার লক্ষণগুলোও দেখান, যার সুইডিশ অনুবাদ ১৭৬২ প্রকাশিত হয়। রেকার্সচেল্ডের মতো, ফেনেলোন যুবতী নারীদের  গৃহস্থালি শিক্ষার পক্ষে জোরালো পরামর্শ দিয়েছেন।[৭]

গৃহস্থালি এবং রান্না সম্পাদনা

 
এন লিটেন হুশেলস-বকের প্রথম সংস্করণের শিরোনাম পৃষ্ঠা

নারীদের গৃহস্থালী শিক্ষার পক্ষে তার আবেদন লেখার ১৫ বছর পরে ১৭৮৫ সালে রেকার্সচেল্ড এন লিটেন হুশেলস-বোক ("একটি ছোট গৃহস্থালীসংক্রান্ত বই") প্রকাশ করেন। এটি তার নিজের নামে প্রকাশিত হয়েছিল এবং দক্ষ গৃহস্থালী পরিচালনার বিষয়ে বিভিন্ন ব্যবহারিক পরামর্শ রয়েছে; যেমন রান্না করা, পরিষ্কার করা, ওয়াশিং, মদ তৈরি করা, মাংস প্রস্তুতকরণ ইত্যাদি। রেকার্সচেল্ড তার সময়ের ব্যবসায়িক অর্থনৈতিক ধারণাগুলোর দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিলেন, এবং পাঠকদের স্থানীয় উত্পাদনের আরও ভাল সুবিধা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন যেমন, বেরি ও মাশরুমের এবং স্থানীয়ভাবে সহজলভ্য পণ্য যেমন দেশীয় ফল থেকে তৈরি রস বা ভিনেগার আমদনিকৃত ওয়াইনের পরিবর্তে ব্যবহারের পরামর্শ দেন। রান্নার জন্য কয়েকটি বাস্তব রেসিপি রয়েছে এবং এদের সবগুলোই প্রতিদিনের খাদ্য হিসেবে বেশি ব্যবহৃত হয়, যেমন সহজ পরিজ এবং স্যুপ। আরও পরিশোধিত রান্নার জন্য, রেকার্সচেল্ড অন্যান্য সমসাময়িক রান্নারবইয়ের সুপারিশ করেছেন, যার মধ্যে কাজসা ওয়ার্গকে সর্বাধিক উল্লেখ করা হয়েছে।[৮]

বইটির আরও দুটি সংস্করণ ছাপার জন্য যথেষ্ট জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিল এবং ১৭৯৬ সালে রেকার্সচেল্ডের প্রথম আসল রান্নারবই ড্যান নিয়া ওচ ফুলস্ট্যান্ডিগা কোক-বোকেন ("নতুন এবং পরিপূর্ণ রান্নারবই”) প্রকাশিত হয়। এটি তার আগের কাজের তুলনায় অনেক বড় ছিল, তিনশ’রও বেশি পৃষ্ঠা এবং আরও পরিমার্জিত খাবারের রেসিপি অন্তর্ভুক্ত ছিল। তা সত্ত্বেও, রেকার্সচেল্ড তার পরিমিত আদর্শকে ধরে রাখতে চেষ্টা করেছেন। বইটির ভূমিকায় তিনি কাজসা ওয়ার্গস রান্নার বইটিকে অত্যধিক অমিতব্যয়ী বলে বর্ণনা করেছেন, যদিও এটি আংশিকভাবে ক্ষমা করা হয়েছে কারণ এটি অধিক অর্থপ্রাচুর্যের সময়ে এবং লেখক সম্পদশালীর রান্নাঘরের খরুচে উপকরণ ব্যবহার করেছেন। রেকার্সচেল্ড বইয়ে তার লক্ষ্য অনবরত প্রচার করেছেন যে, সকল নারীকে দক্ষ গৃহকর্র্তী এবং রান্নায় দক্ষ হওয়া উচিত; এ জাতীয় জ্ঞান না থাকলে তারা নারী হিসাবে তাদের দায়িত্ব পালন করতে সক্ষম হবে না। ভূমিকায় দেওয়া সুপারিশ ছাড়াও বইটিতে কল্পিত গৃহবধূদের বিবরণসহ একটি ছোট অধ্যায়ও রয়েছে যা সৌন্দর্যবর্ধন, পাঠ, ধর্ম এবং চাকরদের দিয়ে কাজকরানোর মাধ্যমে গৃহকর্মকে অবহেলা করার বিষয়ে সতর্কতার উদাহরণ হিসাবে ব্যবহৃত হয়েছে। আদর্শ গৃহিণী কেবল চূড়ান্ত উদাহরণ বেনিঙ্গনিয়া দ্বারা মূর্ত হন। নম্র, অধ্যয়নশীল ও জ্ঞানবান এবং আগে ঘুম থেকে ওঠা ও পরে বিছানায় যাওয়ার মাধ্যমে তিনি হয়ে উঠেন "তার স্বামীর গর্ব, পরিবারের শিরোমনি, চাকরদের আনন্দ, বন্ধুদের আহ্লাদ, দরিদ্রের সহকারী, নিগৃহীতদের সান্ত্বনা, নিপীড়িতদের আশ্রয়স্থল, এবং সর্বশেষে, নীচমনা প্রতিবেশীদের হিংসার পাত্রী "।[৯]

মৃত্যুর আগে রেকার্সচেল্ড গৃহকর্ম এবং রান্নাবান্না সম্পর্কিত আরও দুটি বই লিখেন: ফ্যাটিগ ম্যানস উইস্থাস ওচ কক ("দরিদ্র মানুষের ভাঁড়ারঘর এবং রান্নাঘর") এবং এন লিটেন হুশেলস-ক্যাচেস ("একটি ছোট গৃহস্থালী প্রশ্নোত্তর")। প্রথম বইটি ১৭৯৬ সালে প্রকাশিত হয় এবং এটি পূর্ববর্তী বইগুলোর চেয়ে বিস্তৃত পাঠকদের উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে। এর মধ্যে কেবলমাত্র পরিমিত শহুরে পরিবার নয়, এমনকি চাষী বধুদেরকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয় যারা ঐ সময়ে সুইডেনের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠী ছিল। আবার রেকার্সচেল্ড নারীদের যথাযথ গৃহকর্মে দক্ষতা জানার গুরুত্বের উপর জোর দিয়েছেন এবং অযোগ্য স্বামীদের পারিবারিক সম্পদ নষ্ট করার হাত থেকে রক্ষার জন্য পরিবারের অর্থনীতিতে ভাল যত্নশীল হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। সাধারণ খাবারের দিক নির্দেশনা ছাড়াও, নিজের রুটি বেক করার মতো অর্থ সাশ্রয়ের কৌশল বা কম দামে বিপুল পরিমাণে খাদ্য কিনতে প্রতিবেশীদের সাথে সমবায়  করার মতো অর্থ-সাশ্রযয়ি কৌশল ছিল। রেকার্সচেল্ডের বইটিতে তাকে কৃষক পরিবার পরিদর্শন করতে দেখা গেছে, শস্যাগার, ভাঁড়ারঘর, উদ্ভিজ্জ বাগান ইত্যাদি দেখানো হয়েছে এবং সর্বত্র উন্নয়নের জন্য পরামর্শ রয়েছে। দরিদ্র পরিবারের জন্য রচিত প্রথম রান্নার বই হওয়ার জন্য প্যাট্রিয়টিস্কা সেলসকাপেট ("দেশপ্রেমিক সমাজ") কর্তৃক ফ্যাটিগ মানস উইস্টস ওচ কককে রৌপ্যপদক প্রদান করা হয়। বিশ বছর আগে, সমাজ এই লক্ষ্য নিয়ে একটি চ্যালেঞ্জ জারি করেছিল, তবে রেকার্সচেল্ডের আগে কেউই এই ধরনের বই লিখতে পারেনি। ১৭৯৭ সালে বইটি প্রথম প্রকাশের এক বছর পর এর দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হয়।[১০]

এন লিটেন হুশেলস-ক্যাচেস ১৮০০ সালে প্রকাশিত হয় এবং এটি মাত্র ৪৩ পৃষ্ঠার ছিল। তার শেষ বইটিতে রেকার্সচেল্ড গৃহকর্মে দক্ষতা জানার গুরুত্ব সম্পর্কে তার পূর্ববর্তী অবস্থানগুলো পুনরাবৃত্তি করেছেন এবং বলেছেন মেয়েদের অল্প বয়স থেকেই গৃহস্থালী কাজে অংশগ্রহণ করার অনুমতি দেওয়া উচিত, অন্যথায় আদুরে ও অদক্ষ হয়ে পড়বে। তিনি জোর দিয়ে বলেন একজন নারীর ঈশ্বরের প্রদত্ত স্থান বাড়িতে এবং তার নম্রতা ও আনুগত্যে অভ্যস্ত হওয়া উচিত, তিনি নারীদেরও নিজের হাতে জিনিস নিতে উত্সাহিত করেন; গৃহস্থালী বিষয়ে শিক্ষার অভাব কেবলমাত্র তথ্য ভাগ করে নেওয়া এবং জ্ঞানকে এক প্রজন্ম থেকে অন্য প্রজন্মের কাছে নিয়ে যাওয়ার মাধ্যমেই সমাধান করা যেতে পারে।[১১]

গ্রন্থপঞ্জি সম্পাদনা

আরও দেখুন সম্পাদনা

টীকা সম্পাদনা

  1. Helmius, pp. 18–21
  2. ...och skulle jag i min lilla wrå blifwa fullkomligen tillfredställd, om jag finge öfwerlefwa det minsta åtgärd af det jag till min kiöns förmåner i min simpla skrift dristat pårycka., quoted in Helmius, p. 11.
  3. Helmius, pp. 31–32
  4. Helmius, pp. 33–35
  5. Helmius, pp. 39–42
  6. Ärlemalm, p. 35.
  7. Ärlemalm, p. 47
  8. Helmius, pp. 61–67
  9. ...sin mans Ära, husets krona, husfolkets glädje, wännernas frögd, de fattigas hugswalerska, de tröstlösas råd, de bertryktas tillflygt, och slutligen elaka grannars afunds föremål.; quoted in Helmius, pp. 67–70
  10. Helmius, pp. 70–72
  11. Helmius, pp. 73–74

উৎস সম্পাদনা

  • Helmius, Agneta "Det Olyckliga Swenska Fruentimret": Om kokboksförfattarinnan Anna Maria Rückerschöld och kvinnors villkor på 1700-talet. Polhemsstiftelsen i Stjernsund, Hedemora. 1993.
  • Ärlemalm, Inger Cajsa Warg, Hiram och de andra: om svenska kokboksförfattarinnor. Ordalaget, Bromma. 2000. আইএসবিএন ৯১-৮৯০৮৬-১৫-৫

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা