আদি বৌদ্ধ সম্প্রদায়

আদি বৌদ্ধ সম্প্রদায় হলো বৌদ্ধধর্মের ইতিহাসের প্রথম দিকে বৌদ্ধসন্ন্যাসী সম্প্রদায়ে বিভক্ত হওয়া সম্প্রদায়সমূহ। বিভাজনগুলি মূলত বিনয়ের মধ্যে পার্থক্যের কারণে এবং পরে মতবাদগত পার্থক্য ও ভিক্ষুদের দলগুলির ভৌগলিক বিচ্ছিন্নতার কারণেও হয়েছিল। অশোকের রাজত্বের সময় বা তার পরে আদি সম্প্রদায় প্রথম প্রাথমিক সম্প্রদায়ে বিভক্ত হয়েছিল (সাধারণত স্থবির নিকায় এবং মহাসাংঘিক বলে মনে করা হয়)।[] পরে, প্রথম আদি সংঘগুলিকে আবার সর্বাস্তিবাদ, ধর্মগুপ্তকবিভজ্যবাদের মতো সম্প্রদায়ে বিভক্ত করা হয় এবং ঐতিহ্যগত বিবরণ অনুসারে সম্প্রদায়ের সংখ্যা ১৮ বা ২০টি।[]

সপ্তম শতাব্দীতে হিউয়েন সাঙ-এর সফরের সময়ে দক্ষিণ এশীয় প্রধান বৌদ্ধ সংঘগুলির প্রধান ভৌগলিক অবস্থান।
* লাল: অ-পুদ্গলবাদ সর্বাস্তিবাদ সংঘ
* কমলা: অ-ধর্মগুপ্তক বিভাজ্যবাদ সংঘ (থেরবাদের উৎস)
* হলুদ: মহাসাংঘিক
* সবুজ: পুদ্গলবাদ (সবুজ)
* ধূসর: ধর্মগুপ্তক

আদি বৌদ্ধ সম্প্রদায়গুলি কর্তৃক ভাগ করা পাঠ্য উপাদানগুলিকে প্রায়শই আদি বৌদ্ধ ধর্মগ্রন্থ বলা হয় এবং এটি তাদের মতবাদগত মিল ও পার্থক্য বোঝার জন্য গুরুত্বপূর্ণ উৎস।

সম্প্রদায়সমূহ

সম্পাদনা

সম্প্রদায়ের সম্মিলিত তালিকা নিম্নরূপ:

  1. স্থবিরবাদ
    1. পুদ্গলবাদ
      1. বৎসীপুত্রীয় (পরবর্তীতে সংমিতীয়)
      2. ধর্মোত্তরীয়
      3. ভদ্রায়ণীয়
      4. সন্নাগরীয়
    2. বিভজ্যবাদ
      1. থেরবাদ
      2. কাশ্যপীয়
      3. মহিষাসক
        1. ধর্মগুপ্তক
    3. সর্বাস্তিবাদ
      1. কাশ্যপীয়
      2. মহিষাসক
        1. ধর্মগুপ্তক
      3. সৌত্রান্তিক
      4. মূলসর্বাস্তিবাদ
      5. বৈভাষিক
  2. মহাসাংঘিক
    1. একব্যাবহারিক
      1. লোকোত্তরবাদ
    2. কুক্কুথিক
      1. বহুশ্রুতীয়
      2. প্রজ্ঞপ্তিবাদ
    3. চৈতিক
      1. অপর শইল
      2. উত্তর শইল

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. Cox 1995, পৃ. 23।
  2. Hanh 1999, পৃ. 16।
  • "Buddhist Council", Encyclopædia Britannica, ১৯৯৮ 
  • Berkwitz, Stephen C. (২০০৯), South Asian Buddhism: A Survey, Routledge, আইএসবিএন 978-0-415-45248-9 
  • Buswell, Robert E. Jr., সম্পাদক (২০০৩), Encyclopedia of Buddhism, MacMillan, আইএসবিএন 0-02-865718-7 
  • Buswell, Robert E. Jr.; Lopez, Donald S. (২০১৩), The Princeton Dictionary of Buddhism, Princeton University Press [আইএসবিএন অনুপস্থিত]
  • Cousins, L.S. (1996). "The Dating of the Historical Buddha: A Review Article" in Journal of the Royal Asiatic Society, Series 3, 6.1 (1996): 57–63. Retrieved 29 Nov 2008 from "Indology" at https://web.archive.org/web/20210413104729/https://indology.info/papers/cousins/
  • Cox, Collett (১৯৯৫), Disputed Dharmas: Early Buddhist Theories on Existence, Tokyo: The Institute for Buddhist Studies, আইএসবিএন 4-906267-36-X 
  • Dutt, Nalinaksha  (১৯৭৮), Buddhist Sects in India (2nd সংস্করণ), Delhi: Motilal Banarsidass, আইএসবিএন 978-0-89684-043-0 
  • Embree, Ainslie T.; Hay, Stephen N.; de Bary, Wm. Theodore, সম্পাদকগণ (১৯৮৮) [1958], Sources of Indian Tradition: From the Beginning to 1800, 1, A.L. Bashram, R.N. Dandekar, Peter Hardy, J.B. Harrison, V. Raghavan, Royal Weiler, and Andrew Yarrow (2nd সংস্করণ), New York: Columbia University Press, আইএসবিএন 0-231-06651-1 
  • Gombrich, Richard F. (1988; 6th reprint, 2002). Theravāda Buddhism: A Social History from Ancient Benares to Modern Colombo (London: Routledge). আইএসবিএন ০-৪১৫-০৭৫৮৫-৮
  • Gombrich, Richard F. (১৯৯৭), How Buddhism Began, Munshiram Manoharlal 
  • Harvey, Peter (১৯৯০), An Introduction to Buddhism: Teachings, History and Practices, Cambridge: Cambridge University Press, আইএসবিএন 0-521-31333-3 
  • Hanh, Thich Nhat (১৯৯৯), The Heart of Buddha's Teachings, Harmony, আইএসবিএন 978-0767903691 
  • Hazra, Kanai Lal (১৯৯৪), Pali Language and Literature: A Systematic Survey and Historical Survey, 1 [পূর্ণ তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
  • Hoiberg, Dale; Ramchandani, Indu (২০০০), "Early Buddhist schools", Students' Britannica India, Popular Prakashan, আইএসবিএন 0-85229-760-2 
  • Huifeng, Shi (২০১৩), "'Dependent Origination = Emptiness' – Nāgārjuna's Innovation? An Examination of the Early and Mainstream Sectarian Textual Sources", Journal of the Centre for Buddhist Studies, Sri Lanka, 11, পৃষ্ঠা 175–228, আইএসএসএন 1391-8443 
  • Hirakawa, Akira (১৯৯০), History of Indian Buddhism, 1: From Sakyamuni to Early Mahāyāna, Paul Groner কর্তৃক অনূদিত, Hawai'i University Press, hdl:10125/23030 
  • Keown, Damien and Charles S Prebish (eds.) (2004). Encyclopedia of Buddhism (London: Routledge). আইএসবিএন ৯৭৮-০-৪১৫-৩১৪১৪-৫.
  • Lindtner, Christian (১৯৯৭), "The Problem of Precanonical Buddhism", Buddhist Studies Review, 14 (2): 2, ডিওআই:10.1558/bsrv.v14i2.14851, ২০২২-০১-২৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা, সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১১-০৫ 
  • Lindtner, Christian (১৯৯৯), "From Brahmanism to Buddhism", Asian Philosophy, 9 (1): 5–37, ডিওআই:10.1080/09552369908575487 
  • Nattier, Jan (২০০৩), A Few Good Men : The Bodhisattva Path According to the Inquiry of Ugra (Ugraparipṛcchā), University of Hawai'i Press, আইএসবিএন 978-0824830038 
  • Prebish, Charles S., সম্পাদক (২০১০), Buddhism: A Modern Perspective, Pennsylvania State University Press, আইএসবিএন 978-0-271-03803-2 
  • Robinson, Richard H. and Willard L. Johnson (1970; 3rd ed., 1982). The Buddhist Religion: A Historical Introduction (Belmont, CA: Wadsworth Publishing). আইএসবিএন ০-৫৩৪-০১০২৭-X.
  • Skilton, Andrew (২০০৪), A Concise History of Buddhism, Windhorse Publications, আইএসবিএন 978-0904766929 
  • Walser, Joseph (২০০৫), Nagarjuna in Context: Mahayana Buddhism and Early Indian Culture [পূর্ণ তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
  • Williams, Paul (১৯৮৯), Mahayana Buddhism, Routledge, আইএসবিএন 978-0-415-35653-4 
  • Williams, Paul; Tribe, Anthony (২০০০), Buddhist Thought: A Complete Introduction to the Indian Tradition, London: Routledge, আইএসবিএন 0-415-20701-0 
  • Xing, Guang (২০০৪), The Concept of the Buddha: Its Evolution from Early Buddhism to the Trikaya Theory, Routledge Critical Studies in Buddhism, Routledge, আইএসবিএন 978-0415333443 

আরও পড়ুন

সম্পাদনা
  • Coogan, Michael D., সম্পাদক (২০০৩), The Illustrated Guide to World Religions, Oxford University Press, আইএসবিএন 1-84483-125-6 
  • Gethin, Rupert (১৯৯৮), Foundations of Buddhism , Oxford University Press, আইএসবিএন 0-19-289223-1 
  • Gunaratana, Bhante Henepola (২০০২), Mindfulness in Plain English, Wisdom Publications, আইএসবিএন 0-86171-321-4 
  • Hurvitz, Leon (১৯৭৬), Scripture of the Lotus Blossom of the Fine Dharma, Columbia University Press [আইএসবিএন অনুপস্থিত]
  • Jong, J. W. de (১৯৯৩), "The Beginnings of Buddhism", The Eastern Buddhist, 26 (2) 
  • Nakamura (১৯৮৯), Indian Buddhism, Motilal Banarsidas [আইএসবিএন অনুপস্থিত]
  • Rahula, Walpola (১৯৭৪), What the Buddha Taught, Grove Press, আইএসবিএন 0-8021-3031-3 
  • Shun, Yin (১৯৯৮), The Way to Buddhahood: Instructions from a Modern Chinese Master, Wing, Yeung H. কর্তৃক অনূদিত, Wisdom Publications, আইএসবিএন 0-86171-133-5 
  • Vimalakirtinirdesa (১৯৭৬), Holy Teaching of Vimalakirti: Mahayana Scripture , Thurman, Robert A. F. কর্তৃক অনূদিত, Pennsylvania State University Press, আইএসবিএন 0-271-00601-3 

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা