আতিকে সুলতান (তৃতীয় আহমেদের কন্যা)
আতিকে সুলতান (উসমানীয় তুর্কি: عتیقه سلطان; ২৯ ফেব্রুয়ারি ১৭১২ – ২ এপ্রিল ১৭৩৭) ছিলেন একজন উসমানীয় শাহজাদী। তিনি সুলতান তৃতীয় আহমেদের কন্যা। তিনি তৃতীয় মুস্তাফা এবং প্রথম আবদুল হামিদের সৎ বোন ছিলেন।
আতিকে সুলতান | |||||
---|---|---|---|---|---|
জন্ম | তোপকাপি প্রাসাদ, কনস্টান্টিনোপল, উসমানীয় সাম্রাজ্য (বর্তমান ইস্তাম্বুল, তুরস্ক) | ২৯ ফেব্রুয়ারি ১৭১২||||
মৃত্যু | ২ এপ্রিল ১৭৩৭ কাগালোগ্লু প্রাসাদ, ইস্তাম্বুল, উসমানীয় সাম্রাজ্য | (বয়স ২৫)||||
সমাধি | |||||
দাম্পত্য সঙ্গী | নেভসেহিরলি মেহমেদ পাশা (বি. ১৭২৪) | ||||
বংশধর | সুলতানজাদে ফুলান বে | ||||
| |||||
রাজবংশ | উসমানীয় | ||||
পিতা | তৃতীয় আহমেদ | ||||
ধর্ম | সুন্নি ইসলাম |
জীবনী
সম্পাদনাজন্ম
সম্পাদনাআতিকে সুলতান ফেব্রুয়ারি মাসে তোপকাপি প্রাসাদে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা সুলতান তৃতীয় আহমেদ।[১][২]
বিবাহ
সম্পাদনা১৭২৪ সালের ৬ জানুয়ারি[৩] তার পিতা তাকে উজির নেভেহিরলি দামাত ইব্রাহিম পাশার পুত্র এবং তার প্রথম স্ত্রী (তার দ্বিতীয় স্ত্রী ছিলেন আতিকের সৎ বোন ফাতমা সুলতান) এর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করেন।[৪][৫] ১৭২৪ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি মেহমেদ পাশার উপহার প্রধান ভেজিরের প্রাসাদ থেকে রাজকীয় প্রাসাদে নিয়ে যাওয়া হয়[৬] এবং একই দিনে বিয়ের চুক্তি সম্পাদিত হয়। একই দিনে তার সৎ বোন উম্মুগুলসুম সুলতান এবং হাতিস সুলতান বিয়ে করেন। দশ দিন পরে, ১৩ ই মার্চ আতিকের সাজসজ্জা এবং ১৬ ই মার্চ আতিকে সুলতান নিজেই তোপকাপি প্রাসাদ থেকে দিভানিওলু রাস্তায় অবস্থিত কাগালোলু প্রাসাদে যান। বিয়ের মাধ্যমে তার একটি পুত্র সন্তান হয়।[৭]
দাতব্য
সম্পাদনা১৭২৮-১৭২৯ সালে আতিকের বাবা তার নামে উস্কুদারে একটি ঝর্ণা চালু করেন।[৮][৯]
মৃত্যু
সম্পাদনাআতিকে সুলতান ১৭৩৭ সালের ২ এপ্রিল[১০] আগালোলু প্রাসাদে মারা যান এবং তাকে ইস্তাম্বুলের নতুন মসজিদে দাফন করা হয়।[৮]
বংশ
সম্পাদনাআতিকে সুলতান (তৃতীয় আহমেদের কন্যা)-এর পূর্বপুরুষ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
|
আরও দেখুন
সম্পাদনাগ্রন্থসূত্র
সম্পাদনা- Duindam, Jeroen; Artan, Tülay; Kunt, Metin (আগস্ট ১১, ২০১১)। Royal Courts in Dynastic States and Empires: A Global Perspective [রাজবংশীয় রাজ্য এবং সাম্রাজ্যের রাজকীয় আদালত: একটি বিশ্বব্যাপী দৃষ্টিকোণ] (ইংরেজি ভাষায়)। BRILL। আইএসবিএন 978-9-004-20622-9।
- Sakaoğlu, Necdet (২০০৮)। Bu mülkün kadın sultanları: Vâlide sultanlar, hâtunlar, hasekiler, kadınefendiler, sultanefendiler [এই সাম্রাজ্যের মহিলা সুলতানা: বৈধ সুলতানা, হাসেকি সুলতানা, হাতুন] (তুর্কি ভাষায়)। Oğlak Yayıncılık। আইএসবিএন 978-9-753-29623-6।
- Haskan, Mehmet Nermi (২০০১)। শতাব্দীর মধ্য দিয়ে উস্কুদার - খণ্ড ৩। Üsküdar Belediyesi। পৃষ্ঠা 1332। আইএসবিএন 978-9-759-76063-2।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ Haskan 2001, পৃ. 1041।
- ↑ Topal, Mehmet (২০০১)। সিলাহদার ফিন্ডিকলিলি মেহমেদ আগা Nusretnâme: Tahlil ve Metin (1106-1133/1695-1721)। পৃষ্ঠা 769।
- ↑ Sakaoğlu 2008, পৃ. 434।
- ↑ Duindam, Artan এবং Kunt 2011, পৃ. 341।
- ↑ Uluçay, Mustafa Çağatay (২০১১)। Padişahların kadınları ve kızları [সুলতানদের নারী ও কন্যা]। Ankara, Ötüken। পৃষ্ঠা 140।
- ↑ Duindam, Artan এবং Kunt 2011, পৃ. 364।
- ↑ Duindam, Artan এবং Kunt 2011, পৃ. 365।
- ↑ ক খ Sakaoğlu 2008, পৃ. 435।
- ↑ Haskan 2001, পৃ. 1041-42।
- ↑ Haskan 2001, পৃ. 1042।