আড়াই (তামিল চলচ্চিত্র)

চলচ্চিত্র

আড়াই (তামিল: ஆடை, অনুবাদ 'পোশাকগুলো') হচ্ছে ২০১৯ সালের একটি তামিল চলচ্চিত্র। চলচ্চিত্রটির পরিচালক হচ্ছেন রত্ন কুমার, প্রযোজক হচ্ছেন বীজি সুব্রমণিয়ন ভি স্টুডিওস প্রডাকশন ব্যানারে, কাহিনীকার রত্ন কুমার নিজেই।[১] রত্ন কুমার এর আগে মেয়াদা মান (২০১৭) নামের একটি ব্যবসাসফল চলচ্চিত্রের পরিচালক ছিলেন। ১৯শে জুলাই ২০১৯ তারিখে চলচ্চিত্রটি মুক্তি পায়।[২]

আড়াই
পরিচালকরত্ন কুমার
প্রযোজকবীজি সুব্রমণিয়ন
রচয়িতারত্ন কুমার
শ্রেষ্ঠাংশেঅমলা পাল
রম্য সুব্রমণিয়ন
সুরকারপ্রদীপ কুমার
উর্কা (ব্যান্ড)
চিত্রগ্রাহকবিজয় কার্তিক কন্নন
সম্পাদকশফিক মোহাম্মাদ আলী
প্রযোজনা
কোম্পানি
ভি স্টুডিওস
মুক্তি১৯ জুলাই ২০১৯
স্থিতিকাল১৪৪ মিনিট
দেশভারত
ভাষাতামিল

আড়াই এর সঙ্গীত পরিচালক হচ্ছেন প্রদীপ কুমার যিনি পরিচালক রত্ন এর আগের চলচ্চিত্রের দুটো গানের সুর করেছিলেন, এছাড়াও আড়াই চলচ্চিত্রে উর্কা ব্যান্ডও সঙ্গীত পরিচালনার দায়িত্বে আছে, উর্কা ব্যান্ড 'তেড়াদে' গানের জন্য সুনাম পায়, এই তামিল চলচ্চিত্রটিই উর্কা ব্যান্ডের প্রথম চলচ্চিত্র সঙ্গীত পরিচালনা। চলচ্চিত্রটিতে অমলা পাল মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছেন।[৩] তিনি চলচ্চিত্রটিতে কাহিনীর প্রয়োজনে সম্পূর্ণ নগ্ন হয়েছিলেন।[৪]

কাহিনীসংক্ষেপ সম্পাদনা

কামিনী নামের এক তরুণী একটি মিডিয়া প্রতিষ্ঠানে কাজ করে। সে একজন রক্ষণশীল মা দ্বারা বড় হয়েছে, তার বাবা সে ছোটো থাকতেই মারা গেছে। কামিনীর মা কামিনীর সঙ্গে মাঝেমধ্যেই ঝগড়া করে কামিনীর চরিত্রের জন্য। কামিনী, তার বান্ধবী জেনিফার এবং তার চারজন পুরুষ বন্ধু মিলে চেন্নাই শহরের বিভিন্ন জায়গায় দুষ্টামি করে ভিডিও করে এবং পরে সেটা ইউটিউবে ছেড়ে দেয়, হ্যাশ ট্যাগ নামের একটি চ্যানেলে কামিনী এবং তার বন্ধুরা এলাকার বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে করা দুষ্টামি করা ভিডিও ছাড়ে। কামিনীর মা কামিনীর জন্মদিনের দিন কামিনীকে দুষ্টামি করতে মানা করে বলে যে তাকে সিরিয়াস সংবাদ পাঠিকা হতে। কামিনী সংবাদ পড়তে যায় কিন্তু ওটা তার বান্ধবী জেনিফারের পড়ার কথা, জেনিফারের আসতে দেরী হওয়াতে কামিনী সংবাদ পড়ে। কামিনীর সংবাদ পাঠ ভালোই হয় এবং জেনিফার শৌচাগার থেকে এসে তা দেখে, তার শৌচাগারের দরজা আটকিয়ে গিয়েছিলো।

ঐ সংবাদ পাঠের দিন কামিনীর জন্মদিন ছিলো। কামিনীর বন্ধুরা রাতে ঐ মিডিয়া কার্যালয়েই গাঁজা পার্টির আয়োজন করে কামিনীর জন্মদিনের আনন্দের জন্য। হঠাৎ কামিনীর মা কামিনীকে টেলিফোনে কল দেয় এবং কামিনী ভুলবশত বলে ফেলে যে সে জেনিফারকে শৌচাগারে আটকে রেখেছিলো মানে তার শৌচাগারের দরজা লাগিয়ে রেখেছিলো যাতে সে তার সংবাদ নিজে পাঠ করতে পারে। জেনিফার কামিনীর সঙ্গে মারামারি লাগিয়ে দেয় এবং কামিনীকে বলে যে কামিনী যেহেতু সম্পূর্ণ নগ্ন হয়ে সংবাদ পাঠ করতে চেয়েছিলো তাই তাকে সম্পূর্ণ নগ্ন হতে হবে। কামিনী তার কাপড় একে একে খোলা শুরু করে যদিও পরে খোলেনা, ততক্ষণে গাঁজার প্রভাবে সবার মাথা ঘোরাচ্ছিলো।

পরের দিন সকালে কামিনী ঘুম থেকে উঠে নিজেকে সম্পূর্ণ নগ্ন অবস্থায় দেখে চমকে ওঠে। সে তার জামাকাপড় খুঁজে পায়না, যদিও সে তার মোবাইল টেলিফোন খুঁজে পায়, কিন্তু মোবাইলে ব্যালেন্স না থাকায় সে ফোন করতে পারেনা। ঐ দিন অফিস ছুটি ছিলো, সে পুরো অফিসে একাই ছিলো। সে একটি খাবার অর্ডার দেয়ার একটি টোল-ফ্রী নাম্বারে কল দিয়ে খাবার অর্ডার দেয় এবং অপেক্ষা করে। ইতোমধ্যে দুইজন স্থানীয় নিম্নশ্রেণীর তরুণ ঐ মিডিয়া কার্যালয়ের ভেতরে ঢুকে পড়ে। কামিনী একটি লোহার মোটা বড় দণ্ড নিয়ে খাবারের ডেলিভারি গার্লকে ভুল করে আঘাত করে বসে, লোহার দণ্ডটা সে নিজের আত্মরক্ষার জন্য রেখেছিলো যে যদি কোনো পুরুষ ধর্ষণ করতে আসে তাহলে সে দণ্ডটি দ্বারা পুরুষটির উপর আঘাত করবে। ডেলিভারি গার্ল দণ্ডের আঘাতে বেহুঁশ হয়ে পড়ে। কামিনী ভয় পেয়ে যায়, দুই স্থানীয় তরুণ কথা বলতে বলতে চলে আসে আর কামিনী নিজেকে আড়াল করে ফেলে, ঐ দুই স্থানীয় তরুণ ডেলিভারি গার্লের বেহুঁশ হয়ে পড়ে যাওয়া দেখে তাকে মৃত ভেবে পুলিশের কাছে টেলিফোন করে। পুলিশ চলে আসে, কামিনী পুলিশের কাছ থেকে নিজেকে আড়াল করে রাখে। পুলিশ ডেলিভারি গার্লকে এ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়। পুলিশ ঐ দালান থেকে চলে যাবার পরে ওখানে কামিনী আবার পুরো একা হয়ে যায়। গভীর রাতে সে বাইরে যায় এবং একটি ডাস্টবিনে তার শরীর ঢাকার জন্য জিনিস খুঁজতে থাকে, ডাক্ট টেপ খুঁজে পায় সে। সে তার শরীর কোনো মতে ঢেকে এক পথচারীর কাছে সাহায্য চায়, এবং যে পথচারীর কাছে সে সাহায্য চায় সে সেই ডেলিভারি গার্ল যে বেহুঁশ হয়ে গিয়েছিলো, ডেলিভারি গার্ল তাকে বলে যে সে ই তাকে পুরো নগ্ন করেছিলো।

ডেলিভারি গার্লের নাম হচ্ছে নাঙ্গেলি, সে একজন গরীব মানুষ, সে বহু কষ্টে একটি সরকারী মেডিকেল কলেজে ভর্তি হবার চেষ্টা করছিলো। সে চেন্নাইতে চলে এসেছিলো। একদিন সে অটোর (যানবাহন) জন্য অপেক্ষা করছিলো তখনই কামিনীর বন্ধুরা তার সঙ্গে দুষ্টামি করে যেটাকে নাঙ্গেলি সিরিয়াসলি নেয় এবং সে কলেজে যেতে পারেনা, তার বড় ধরনের ক্ষতি হয়ে যায়। পরের বছর আবার নাঙ্গেলি তার মাকে নিয়ে চেন্নাইতে আসে এবং আবার সে কামিনীর বন্ধুর কবলে পড়ে কলেজে যেতে পারেনা। নাঙ্গেলি এরপর চেন্নাইতেই ডেলিভারি গার্লের চাকরি নেয় একটা কোম্পানিতে এবং রাস্তায় কামিনীকে আনন্দ করতে দেখে তার বন্ধুদের সঙ্গে।

নাঙ্গেলি কামিনীকে বলে যে সে তার মনে অনেক কষ্ট পেয়েছিলো এবং প্রতিশোধ নেবার জন্যই কামিনীকে সে পুরো নগ্ন করেছিলো। নাঙ্গেলি এবং কামিনী নারীবাদ নিয়ে অনেক তর্কাতর্কি করে। এরপরে কামিনী এবং নাঙ্গেলি দুইজনেই একে অপরের কাছে ক্ষমা চায়। কামিনী দুষ্টামি করা ছেড়ে দিয়ে সিরিয়াস ভিডিও বানানোর কাজে হাত দেয় তার বন্ধুদের নিয়ে। কামিনী একজন পার্লামেন্ট মেম্বারকে পদচ্যুত করে একটি ভিডিও বানিয়ে।

অভিনয়ে সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Guru (২০১৮-০৯-০৪)। "Aadai Tamil Movie 2018 | Amala Paul | Trailer | Songs | Review"News Bugz। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১২-১১ 
  2. Upadhyaya, Prakash (২০ জুলাই ২০১৯)। "Amala Paul wins the first battle for Aadai, silences haters with stunning performance"International Business Times। সংগ্রহের তারিখ ২০ জুলাই ২০১৯ 
  3. Deva (২০১৮-০৯-০৪)। "Aadai First Look: Daring and Bleeding Amala Paul's Poster Goes Viral"News Bugz (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১২-১১ 
  4. "সেই নগ্ন দৃশ্য নিয়ে মুখ খুললেন অমলা"ntvbd.com। ৯ জুলাই ২০১৯। 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা