আজীজুল হক (২ মার্চ ১৯৩০–২৭ আগস্ট ২০০১) বাংলাদেশের সাহিত্যিক, শিক্ষাবিদ, প্রাবন্ধিক ও কবি ছিলেন। বাংলা সাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য তিনি ১৯৮৯ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার পান।[১][২][৩]

কবি
আজীজুল হক
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম২ মার্চ ১৯৩০
তারাউজাল, শ্রীপুর, মাগুরা, বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি, ব্রিটিশ ভারত
মৃত্যু২৭ আগস্ট ২০০১
যশোর
সমাধিস্থলযশোর কারবালা গোরস্থান
জাতীয়তাব্রিটিশ ভারত (১৯৪৭ সাল পর্যন্ত)
পাকিস্তান (১৯৭১ সালের পূর্বে)
বাংলাদেশ
দাম্পত্য সঙ্গীসেলিনা বেগম (বি. ১৯৬২)
সন্তানদুই পুত্র
প্রাক্তন শিক্ষার্থীঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়,
সরকারি পি.সি. কলেজ
পুরস্কারবাংলা একাডেমি পুরস্কার (১৯৮৯)

জীবনী সম্পাদনা

আজীজুল হক ২ মার্চ ১৯৩০ সালে তৎকালীন যশোর জেলার মাগুরা মহাকুমার শ্রীপুরের তারাউজাল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মুন্সী মোহাম্মদ জবেদ আলী এবং মাতা রহিমা খাতুন। তিনি গ্রামের আপার প্রাইমারী স্কুলে এবং পরে আম তৈল মধ্য ইংরেজি স্কুলে লেখাপড়া করে ১৯৪৭ সালে তিনি শ্রীপুর মহেশচন্দ্র উচ্চ ইংরেজি স্কুল থেকে ম্যাট্রিকুলেশন পাশ করেন। ১৯৪৯ সালে তিনি বাগেরহাট পি সি কলেজ থেকে আইএ পাশ করেন। এর পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৫১ সালে বিএ এবং ১৯৫৬ সালে ভাষা ও সাহিত্যে এমএ ডিগ্রী অর্জন করেন।

হক ১৯৫৭ সালে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজে অধ্যাপনার মাধ্যমে কর্মজীবন শুরু করেন। তিনি ১৯৫৮ সালে সরকারি মাইকেল মধুসূদন মহাবিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে যোগদান করেন এবং ১৯৮৮ সালে অবসরগ্রহণ করেন।[৪]

হক ১৯৬২ সালে সাতক্ষীরা জেলার সুলতানপুর গ্রামের সেলিনা বেগমকে বিয়ে করেন। এই দম্পতীর দুই পুত্র এম এম সবজুল হক ও এম সীমাউল হক।

তার কাব্যজীবনের সূচনা হয় বিদ্যালয়ে পাঠকালীন সময়ে। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে রচিত ‘কৃষ্ণ চূড়ার তৃষ্ণা’ তার সমাজ সচেতনতার ও শিল্প রূপায়নের অপূর্ব বহিঃ প্রকাশ। ১৯৬৮ সালে তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘ঝিনুক মুহূর্ত সূর্যকে’। ১৯৭৬ সালে দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ ‘বিনষ্টের চিৎকার’ ১৮৮৯ সালে তৃতীয় কাব্যগ্রন্থ ‘ঘুম ও সোনালী ঈগল’ এবং ১৯৯৪ সালে ‘আজীজুল হকের কবিতা’ নামক কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয়।[৩]

গ্রন্থ সম্পাদনা

আজীজুল হকের উল্লেখযোগ্য প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে:-

  • ঝিনুক মুহূর্ত সূর্যকে
  • বিনষ্টের চিৎকার
  • ঘুম ও সোনালী ঈগল
  • আজীজুল হকের কবিতা

পুরস্কার ও সম্মাননা সম্পাদনা

  • বাংলা একাডেমী সাহিত্য পুরস্কার (১৯৮৯),
  • যশোর সাহিত্য পরিষদ পুরস্কার (১৯৮৬),
  • সুহৃদ সাহিত্য পুরস্কার (১৯৮৫),
  • মধুসূদনের একাডেমী পুরস্কার (১৯৮৯),
  • যশোর শিল্পী গোষ্ঠীপদক (১৯৯৪)
  • চাঁদের হাট পদক (১৯৯৬)

মৃত্যু সম্পাদনা

আজীজুল হক ২৭ আগস্ট ২০০১ সালে যশোরে মৃত্যুবরণ করেন। তাকে যশোরের কারবালাস্থ গোরস্থানে সমাহিত করা হয়।[২]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার বিজয়ী"বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন। ১৯ ডিসেম্বর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ জানুয়ারি ২০২২ 
  2. কাজী শওকত শাহী। যশোরের যশস্বী, শিল্পী ও সাহিত্যিকবাংলাদেশ 
  3. "কবি আজীজুল হক ও তাঁর কবিতা"দৈনিক জনকণ্ঠ। ২১ আগস্ট ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ১১ জানুয়ারী ২০২২ 
  4. "ব্যক্তিত্ব, আজীজুল হক"দৈনিক কালের কণ্ঠ। ২৭ আগস্ট ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ১২ জানুয়ারি ২০২২