আগষ্ট ১৪ (ওয়েব ধারাবাহিক)

আগষ্ট ১৪ হল ২০২০ সালের একটি বাংলাদেশী অপরাধ রোমহর্ষক ওয়েব ধারাবাহিক। এটি রচনা ও পরিচালনা করেছেন শিহাব শাহীন। ধারাবাহিকটি অনলাইন ভিডিও-অন-ডিমান্ড প্ল্যাটফর্ম বিঞ্জ-এ মুক্তি পায়। এতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন তাসনুভা তিশা, শতাব্দী ওয়াদুদ, শহীদুজ্জামান সেলিমমনিরা মিঠু। ধারাবাহিকটি ২০১৩ সালে ঘটে যাওয়া একটি সত্য ঘটনা হতে অনুপ্রাণিত, যেখানে পুলিশ কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী স্বপ্না রহমান তাদের নিজেদের মাদকাসক্ত কন্যা ঐশী রহমানের হাতে খুন হন।[১] এটি বাংলাদেশের সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত প্রথম ওয়েব ধারাবাহিক।[২]

আগষ্ট ১৪
ধরনঅপরাধ
রোমহর্ষক
লেখকশিহাব শাহীন
পরিচালকশিহাব শাহীন
অভিনয়েনিচে দেখুন
মূল দেশবাংলাদেশ
মূল ভাষাবাংলা
মৌসুমের সংখ্যা
পর্বের সংখ্যা(পর্বের তালিকা)
নির্মাণ
প্রযোজকরাফায়েল আহসান
সাইদুজ্জামান
নির্মাণের স্থানঢাকা
চিত্রগ্রাহকনাজমুল হাসান
সম্পাদকজোবায়ের আবীর পিয়াল
ব্যাপ্তিকাল৩০-৪০ মিনিট
নির্মাণ কোম্পানিক্ল্যাপবোর্ড এন্টারটেইনমেন্ট
মুক্তি
মূল নেটওয়ার্কবিঞ্জ
মূল মুক্তির তারিখ২৮ মে ২০২০ (2020-05-28)

কুশীলব সম্পাদনা

পর্ব সম্পাদনা

নং.শিরোনামপরিচালকমূল মুক্তির তারিখ
"অন্ধকারের দিন"শিহাব শাহীন২১ মে ২০২০ (2020-05-21)
তুশি ভোরে তার ছোট ভাই ও কাজের মেয়েকে নিয়ে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে পড়ে এবং সিএনজি নিয়ে এদিক সেদিক ঘুরতে থাকে এবং জিমি নামে তার এক বন্ধুকে বারবার ফোন করতে থাকে। রাতে সে সিএনজি চালকের নিকট কাজের মেয়েকে রেখে তার ভাইকে নিয়ে এক পরিচিত ব্যক্তির অ্যাপার্টমেন্টে চলে যায়। সেখান থেকে সে তার খালুকে ফোন করে জানায় তারা বাবা মা ঝগড়া করে বাড়ি ছেড়ে চলে গেছে। পরের দিন সকালে তার মামা অ্যাপার্টমেন্টে এসে তারা বাবা মায়ের মৃতদেহ খুঁজে পায়।
"তুশি কোথায়"শিহাব শাহীন২১ মে ২০২০ (2020-05-21)
গোয়েন্দা কর্মকর্তা খালেদ এই মামলাটি তদন্ত শুরু করেন। তিনি তুশির খোঁজ করতে শুরু করেন। তুশি তার ছোট ভাইকে বাড়ি পাঠিয়ে দিয়ে বন্ধু রুমির সাহায্য নিয়ে ভারতে পালিয়ে যেতে চায়। কিন্তু বাস স্টপেজে এক ব্যক্তি তাকে চিনে ফেলে এবং থানায় খবর জানিয়ে দেয়। পুলিশের তৎপরতা দেখে তারা পালিয়ে যায় এবং রুমির খালার বাড়িতে আশ্রয় নেয়। রুমি তার নিকট লেনদেনের ব্যাপারে পীড়াপীড়ি করে। তুশি সকালে রুমিকে ঘুমের মধ্যে রেখেই পালিয়ে যায় এবং গোয়েন্দা অফিসে আত্মসমর্পণ করে।
"ধূর্ত শয়তান"শিহাব শাহীন২১ মে ২০২০ (2020-05-21)
তুশিকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয়। সেখানে সে সবকিছু এড়িয়ে যেতে শুরু করে এবং মিথ্যা জবানবন্দি দেয়। সিএনএজি চালক কাজের মেয়েটিকে রামপুরা থানায় রেখে যায় এবং সেখান থেকে গোয়েন্দা অফিসে তার খোঁজ দেওয়া হয়। তুশির সামনে কাজের মেয়েকে উপস্থাপন করা হলে মেয়েটি তুশির ভয়ে কিছু বলতে পারে না। তুশি জানায় সে খুন করেনি, বরং তার বন্ধুরা তার বাবা-মাকে খুন করেছে।
"ক্রীতদাসের কান্না"শিহাব শাহীন২১ মে ২০২০ (2020-05-21)
তুশিকে নিয়ে খালেদ ও তার দল রুমিকে ধরতে বের হয়। কয়েকবার স্থান পরিবর্তন করার পর সে ধরা পড়ে। কিন্তু রুমি জবানবন্দি দেয় সে খুনের সাথে জড়িত নয় ও সে কেবল তুশিকে আশ্রয় দিয়েছে। এমনকি সে খুনের সময়ে অন্য স্থানে ছিল এবং তা যাচাই করে দেখা যায় সে খুন করেনি। তুশির বয়সের কথা বিবেচনা করে তার জন্য সমাজকল্যাণ থেকে একজন কর্মকর্তা রাখা হয়। খালেদ তাদেরকে নিয়ে অপরাধ সংগঠিত হওয়ার অ্যাপার্টমেন্টে যান। সেখানে তুশি সবকিছু স্বীকার করার কথা বলে।
"ড্যান্সমাস্টার জিমি"শিহাব শাহীন২১ মে ২০২০ (2020-05-21)
২ বছর পূর্বে, তার বাবা পুলিশের কাজ এবং মা বহুস্তরবিশিষ্ট বিপণন কোম্পানি ডেস্টিনি নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। এই সুযোগে তুশি তার বাবা-মায়ের অবাধ্য হয়ে পড়ে। একাধিক যুবকের সাথে তার দৈহিক সম্পর্ক তৈরি হয়। তাদের মধ্যে অন্যতম হল জিমি। এক রাতে সে নেশায় আসক্ত হয়ে বাড়ি ফিরলে তার বাবা তাকে রুমে আটকে দেয় এবং তার মায়ের অনুমতি ছাড়া বাইরে যাওয়া নিষিদ্ধ হয়ে পড়ে। একরাতে সে পালিয়ে জিমির কাছে চলে যায়। কিন্তু জিমি তাকে বাড়ি থেকে টাকা পয়সা নিয়ে আসতে বলে।
"অন্ধকারের মেয়ে"শিহাব শাহীন২১ মে ২০২০ (2020-05-21)
পরের দিন জিমিকে ধরা হয়। জিমিও নির্দোষ প্রমাণিত হয়। তুশি তার জবানবন্দিতে বলে সে তার বাবা-মায়ের কাছে ভালো সন্তান হওয়ার অভিনয় করে। ঈদের দিন সে তার বাবা-মাকে ঈদের শুভেচ্ছা জানায়। পরের দিন মায়ের অনুমতি নিয়ে বাইরে বের হয় এবং ওষুধের দোকান থেকে কিছু ওষুধ কিনে বাড়ি ফিরে। সে কাজের মেয়েকে ভয় দেখায় এবং কফিতে সে ওষুধ মিশিয়ে বাবা-মাকে খাইয়ে দেয়। তারা ওষুধ খেয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়লে সে তাদের উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে খুন করে।

পুরস্কার সম্পাদনা

চ্যানেল আই ডিজিটাল মিডিয়া পুরস্কার
বছর বিভাগ মনোনীত ফলাফল সূত্র
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ওয়েব ধারাবাহিকে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী তাসনুভা তিশা বিজয়ী [৩]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা