অ্যাপোলো ইমপেরিয়াল হসপিটালস
অ্যাপোলো ইমপেরিয়াল হসপিটালস (ইমপেরিয়াল হাসপাতাল নামেও পরিচিত)[১] বাংলাদেশের চট্টগ্রামে অবস্থিত একটি বেসরকারি হাসপাতাল। এটি ইমপেরিয়াল হসপিটাল লিমিটেড এর মালিকানাধীন একটি প্রতিষ্ঠান। ২০১৯ সালে ভারতীয় কার্ডিয়াক সার্জন এবং উদ্যোক্তা দেবি শেঠির উপস্থিতিতে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে হাসপালতালটিকে জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। [২][৩]
অ্যাপোলো ইমপেরিয়াল হসপিটালস ইমপেরিয়াল হসপিটাল লিমিটেড | |
---|---|
![]() | |
![]() | |
![]() | |
ভৌগোলিক অবস্থান | |
অবস্থান | জাকির হোসেন সড়ক, পাহাড়তলী, চট্টগ্রাম, বাংলাদেশ |
স্থানাঙ্ক | ২২°২১′৩৩″ উত্তর ৯১°৪৭′৩৫″ পূর্ব / ২২.৩৫৯১৯৬৯° উত্তর ৯১.৭৯৩১২০৬° পূর্ব |
সংস্থা | |
যত্ন ব্যবস্থা | বেসরকারী হাসপাতাল |
তহবিল | চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ বোর্ড ট্রাস্ট |
ধরন | বেসরকারী |
পরিষেবা | |
মানদণ্ড | আন্তর্জাতিক |
শয্যা | ৩৭৫ |
ইতিহাস | |
চালু | ২০১৯ এপ্রিল |
সংযোগ | |
ওয়েবসাইট | aihlbd |
ভবন বিশদ | |
সাধারণ তথ্যাবলী | |
অবস্থান | জাকির হোসেন সড়ক, পাহাড়তলী |
কারিগরি বিবরণ | |
তলার আয়তন | ৬,৬০,০০০ বর্গমিটার (৭১,০০,০০০ বর্গফুট) |
নকশা ও নির্মাণ | |
স্থপতি | কাপলান ম্যাকলফলিন ডিয়াজ (কেএমডি) |
ইতিহাস এবং পটভূমি
সম্পাদনাইমপেরিয়াল হাসপাতাল লিমিটেড নির্মাণের জন্য চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ বোর্ড ট্রাস্ট ৮০০ কোটি টাকা (৯৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) এবং বিশ্বব্যাংক ২০০ কোটি টাকা (২৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) বিনিয়োগ করে।[৪]
২০১৫ সালে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ একটি অস্ট্রিয়া ভিত্তিক ভেমেড ইঞ্জিনিয়ারিং জিএমবিএইচ এবং কো কেজি নামক স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ক পরামর্শদাতা গ্রুপের সাথে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে।
হাসপাতালের নকশা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক কাপলান ম্যাকলফলিন ডিয়াজ (কেএমডি) নামক স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ক স্থাপত্য ও প্রকৌশল পরামর্শক সংস্থা দ্বারা তৈরি করা হয়েছিল।[২] প্রায় ৭.৫ একর (৩.০ হেক্টর) জমি মেডিকেল কমপ্লেক্স নির্মাণের জন্য সংরক্ষিত করা হয়েছিল।[৫]
২০২২ সালে চেন্নাইয়ের অ্যাপোলো হসপিটাল গ্রুপের সাথে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে এটিকে অ্যাপোলো ইমপেরিয়াল হাসপাতাল নামে নামকরণ করা হয়। এর মাধ্যমে এটি হাসপাতাল পরিচালনা করবে।[১]
চিকিৎসা সুবিধা
সম্পাদনাহাসপাতালটি উন্নত চিকিৎসা সরঞ্জামসহ চারটি আন্তঃসংযোগযুক্ত পাঁচটি ভবন দ্বারা নির্মাণ করা হয়েছে। এটি ৬,৬০,০০০ বর্গমিটার (৭১,০০,০০০ বর্গফুট) এলাকা জুড়ে বিস্তৃত এবং এতে ৩৭৫ টি শয্যা আছে।[৫]
হাসপাতালের অন্যান্য সুবিধাগুলো হলো:
- ৮৮ টি একক কেবিন[৬]
- ৭৬ টি যুগল কেবিন
- ১৪ টি মডিউল অপারেশন কক্ষ
- ১৬ টি নার্স স্টেশন
- ৬২ টি বহির্মুখী বিভাগের রোগীদের সেবা প্রদান কক্ষ
- ৬৪ টি ক্রিটিক্যাল কেয়ার বিশিষ্ট শয্যা
- ৪৪ টি নবজাতকদের জন্য নির্ধারিত শয্যা
- ৪৪ টি নবজাতক নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র
- ৮ টি পেডিয়াট্রিক নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ)।[২][৫]
চিত্রশালা
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ "Apollo Hospitals enters into partnership with Imperial Hospital in Bangladesh"। The Business Standard। সংগ্রহের তারিখ ২০ মার্চ ২০২৩।
- ↑ ক খ গ Ullah, Salamat (১৭ এপ্রিল ২০১৯)। "'Imperial Hospital' to provide world-class healthcare service"। Daily Sun। ২৯ আগস্ট ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ "Devi Shetty launches 'Imperial Hospital' in Chattogram"। Chattogram: Chattogram Bureau bdnews24.com। ১৫ জুন ২০১৯। ২৯ জুন ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ "Imperial Hospital launched in Ctg"। Chattogram: Staff Correspondent, The Daily Observer। ৯ এপ্রিল ২০১৯। ৩০ জুন ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ ক খ গ Hussain, Anwar (৯ এপ্রিল ২০১৯)। "Imperial Hospital set to launch services in Chittagong"। Chattogram: ঢাকা ট্রিবিউন। ৯ এপ্রিল ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ "Imperial Hospital goes into operation in Ctg"। Staff Correspondent, New Age। ১৬ জুন ২০১৯। ২৯ আগস্ট ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ আগস্ট ২০১৯।