অ্যান্টার্কটিকার জনপরিসংখ্যান

অ্যান্টার্কটিকার কোনও স্থায়ী বাসিন্দা নেই। এতে গবেষণা কেন্দ্র এবং ফিল্ড ক্যাম্প রয়েছে যা নির্দিষ্ট মৌসুমে বা সারা বছর ধরে পরিচালনা করা হয়, এছাড়াও এখানে তিমি শিকারের জন্য স্থাপিত কিছু পুরনো বসতি রয়েছে।[১] অ্যান্টার্কটিক চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী প্রায় ১২টি রাষ্ট্র অ্যান্টার্কটিক মহাদেশ এবং তার আশেপাশের মহাসাগরগুলিতে মৌসুমি (গ্রীষ্ম) বা বর্ষব্যাপী গবেষণা করার জন্য কর্মী পাঠিয়ে থাকে।

এস্পেরাঞ্জা বেস স্কুলের শিশু, কিশোর এবং শিক্ষক

মহাদেশ এবং এর আশেপাশের দ্বীপগুলিতে ৬০° দক্ষিণ অক্ষাংশের দক্ষিণাঞ্চল (অ্যান্টার্কটিক চুক্তির আওতাভুক্ত অঞ্চল)[২] নিয়ে বৈজ্ঞানিক গবেষণা বা সহায়তা করছেন এমন লোকসংখ্যা গ্রীষ্মে প্রায় ৪০০০ থেকে শীতকালে ১০০০-এর মধ্যে উঠানামা করে। এছাড়া, চুক্তি অঞ্চলের জলে জাহাজের ক্রু, চালক ও বিজ্ঞানীরা সহ প্রায় এক হাজার কর্মী বর্তমান রয়েছেন। অ্যান্টার্কটিকার বৃহত্তম স্টেশন ম্যাকমুরডো স্টেশনটিতে গ্রীষ্মকালে জনসংখ্যা থাকে প্রায় ১০০০, শীতকালে যা প্রায় ২০০ তে নেমে আসে।[৩]

অ্যান্টার্কটিকায় কমপক্ষে ১১ টি শিশুর জন্ম হয়েছে।[৪] এর মধ্যে প্রথমজন ছিলেন এমিলিও মার্কোস পালমা, যিনি ১৯৭৮ সালের ৭ জানুয়ারি অ্যান্টার্কটিক উপদ্বীপের নিকটস্থ হোপ বে-এর এসপেরাঞ্জাতে আর্জেন্টিনার দম্পতির ঘরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।[৫] অ্যান্টার্কটিক মহাদেশে জন্মগ্রহণকারী প্রথম মেয়ে হল মারিসা দে লাস নিভেস দেলগাদো, যিনি ১৯৭৮ সালের ২৭শে মে বেস এসপেরাঞ্জার (আর্জেন্টিনার সেনাবাহিনী) ফোর্তিন সারজেন্তো কাব্রালে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Cool Antarctica: Who lives in Antarctica? ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত জানুয়ারি ১২, ২০১৬ তারিখে
  2. "ATS - The Antarctic Treaty"www.ats.aq। ২০১১-০৬-০৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৪-০৭ 
  3. NSF: McMurdo Station
  4. Science Geeks: "Why 11 babies have been born in Antarctica" 14 July 2020
  5. "Born Freezing: Meet Antarctica's First Citizen - WebEcoist"webecoist.com। ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১১। ১৭ অক্টোবর ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ জুলাই ২০২১