অসুর (২০১৫-এর চলচ্চিত্র)

২০১৩-এর চলচ্চিত্র

অসুর (English: Demon) ২০১৫ সালের এই তেলুগু চলচ্চিত্র টি কৃষ্ণ বিজয় পরিচালিত প্রথম ছবি। ছবিটি শ্যাম দেবভক্তনি এবং কৃষ্ণ বিজয় যৌথভাবে প্রযোজনা করেছেন এবং নারা রোহিতপ্রিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন।[৩] ছবিটি সাদরে গৃহীত হয়েছিল এবং বক্স অফিসেও হিট হয়েছিল।[৪]

অসুর
প্রকাশিত পোস্টার
পরিচালককৃষ্ণ বিজয়
প্রযোজকশ্যাম দেবভক্তনি
কৃষ্ণ বিজয়
নায়রা রোহিত[১]
চিত্রনাট্যকারকৃষ্ণ বিজয়
শ্রেষ্ঠাংশেনারা রোহিত
প্রিয়া বন্দ্যোপাধ্যায়
সুরকারসাই কার্তিক
চিত্রগ্রাহকএসভি বিশ্বেস্বর
সম্পাদক
প্রযোজনা
কোম্পানি
দেবাস মিডিয়া এবং এন্টারটেনমেন্ট
কুশল সিনেমা
অরণ মিডিয়া ওয়ার্কস
মুক্তি
  • ৫ জুন ২০১৫ (2015-06-05)
স্থিতিকাল১২২ মিনিট[২]
দেশভারত
ভাষাতেলুগু

পটভূমি সম্পাদনা

ধর্মা তেজা (নারা রোহিত) রাজমন্দ্রি কেন্দ্রীয় কারাগারের একজন জেলর। তিনি কঠোর এবং আন্তরিক হলেও সংবেদনশীল এবং আন্তরিক ও দয়ালু। তাঁর বিভাগের লোকেরা তাঁর ক্রোধ এবং কঠোরতার কারণে তাঁকে অসুর বলে ডাকে। তাঁর উদ্দেশ্য কবি হয়ে ওঠা এবং তাঁর অবসর সময়ে সেই কাজেই ব্যাপৃত থকেন। ধর্মা বন্দীদের সংস্কার সম্পর্কে ভিন্ন চিন্তাভাবনা পোষণ করেন এবং তার জন্য আইন ভঙ্গ করতেও কিছু মনে করেন না। তাই তিনি তাঁর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের কাছে একটি প্রশ্নচিহ্ন স্বরূপ। একদিন প্রাক্তন হীরা ব্যবসায়ী চন্দ্রশেখর ওরফে চার্লি (রবি বর্মা) তাদের সম্পত্তির স্বার্থে তার সৎ মায়ের ভাইবোনকে হত্যা করার অভিযোগে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছিল। তার ক্ষমাভিক্ষার আবেদন রাষ্ট্রপতি বাতিল করেন। কারাগারে তার সাথে পান্ডু নামে এক চোরের দেখা হয়েছিল।

এদিকে পান্ডু চার্লির বিরুদ্ধে প্রতিহিংসাপরায়ণ ছিল। কারণ সে একবার চার্লির কাছ থেকে হীরা চুরি করার চেষ্টা করেছিল এবং চার্লি তাকে ধরে ফেলে তাকে প্রতিবন্ধী করে কারাগারে প্রেরণ করে। গার্লফ্রেন্ড সায়রার মাধ্যমে এই সংবাদটি শোনার পরে চার্লি জেল থেকে পালানোর সিদ্ধান্ত নেয়। এর জন্য পান্ডুর সাথে চার্লি একটি চুক্তি করে। ঠিক হয় পান্ডু যে দুটি হীরা চুরি করার চেষ্টা করেছিল তার অর্ধেক হীরা পান্ডুকে দেওয়া হবে যার মূল্য ৫০ কোটি টাকা। বিনিময়ে পান্ডু কারাগার থেকে পালানোর জন্য চার্লিকে সাহায্য করবে। চার্লির সাথে তার শত্রুতা ভুলে গিয়ে পান্ডু তার প্রস্তাব গ্রহণ করে। তারপরে চার্লি পাণ্ডুর জামিনের ব্যবস্থা করে। পাণ্ডু গ্যাংস্টার মুথিআম্মানা (মধুসূদন রাও) এবং তার ভাই দয়া (সত্যদেব কানচারানা) এর সাথে সাক্ষাত করে এবং তার প্রস্তাবের সহায়তার কথা জানায়। তারপরে তারা চার্লির কারাগার থেকে পালানোর পরিকল্পনা তৈরী করে। এদিকে চার্লি ঝুলন্ত থেকে অস্থায়ীভাবে বেঁচে যায় এবং ড্রাগের প্রভাবে ঘুমিয়ে পড়ে। তদন্তে ধর্মা জানতে পারেন সাক্ষাতের সময় সায়রা মিষ্টির বাক্সের মাধ্যমে ড্রাগ সরবরাহ করেছিল।

ধর্মা সায়রাকে গ্রেপ্তার করেন এবং চার্লির আরও পরিকল্পনাগুলি জানানোর জন্য চাপ দিতে থাকেন। সায়রা তার জানা সমস্ত কথা ধর্মাকে জানায়। তারপরে আবার চার্লির মৃত্যুর সাজা কার্যকর করার জন্য চেষ্টা চলতে থাকে। এদিকে দয়া এবং তার গ্যাং এক ম্যাজিস্ট্রেটের পুত্রকে অপহরণ করে। এই ম্যাজিস্ট্রেটই চার্লির মৃত্যুদন্ড অনুমোদন করেছিলেন। যে ফাঁসুড়ে চার্লির ফাঁসি কার্যকর করবে তার মা এবং ধর্মার বান্ধবী হারিকা (প্রিয়া বন্দ্যোপাধ্যায়) কেও তারা এর সাথে অপহরণ করে। তারা একে অপরের সাথে অজানা সম্বোধনে কল করে এবং চার্লিকে পালাতে সহায়তা করার জন্য তাদের ব্ল্যাকমেল করে। ধর্মা তাঁর গার্লফ্রেন্ডকে বাঁচাতে এবং চার্লির মৃত্যুদন্ড কার্যকর করাটাকে একটি চ্যালেঞ্জ হিসাবে গ্রহণ করেন। এদিকে ফাঁসুড়ে একটি প্রযুক্তিগত সমস্যা তৈরি করে ফাঁসিতে ঝুলন্ত চার্লিকে বাঁচিয়ে দেয়। তারপরে উচ্চ আধিকারিকরা ধর্মার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। তদন্তে চার্লি এবং পান্ডুর সাক্ষাৎটি জানতে পারা যায়। পান্ডুর সন্ধানে কমিশনার সফলভাবে তার আস্তানায় গিয়ে পড়লে মোটামুটি তাড়া করে দয়া পান্ডুকে মেরে ফেলে এবং দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে কমিশনার অফিসে বদলি হয়ে যায়। কমিশনার এটিকে একটি চ্যালেঞ্জ হিসাবে গ্রহণ করেন এবং চার্লিকে তার নিয়ন্ত্রণে (ফাঁসিতে) ঝোলানোর জন্য বিশেষ কারাগারে তাকে স্থানান্তরিত করেন। এই সুযোগটিকে কাজে লাগিয়ে মুথিআম্মানা এবং দয়া পুলিশের উপর আক্রমণ চালায় এবং সেই সুযোগে চার্লি সফলভাবে পলায়ন করে। হঠাৎ ধর্মা সেখানে প্রবেশ করে আক্রমণ করে। শ্যুটআউট থাকাকালীন চার্লি দয়াকে আহত করে এবং নিজে পুরোপুরি পালিয়ে যায়। ধর্মা দয়াকে হত্যা করেন। এর পরে পুলিশ চার্লির পালানোর বিষয়ে জনসাধারণকে সতর্ক করে এবং তার জন্য মুক্তিপণের ঘোষণা করে।

ধর্মা হারিকা, ফাঁসুড়ের মা এবং ম্যাজিস্ট্রেটের ছেলেকে সাফল্যের সাথে রক্ষা করেন। তারপরে মানবাধিকার কমিশন ধর্মার উপর একটি গুরুতর অভিযোগ দায়ের করে এবং তাঁকে অস্থায়ী সময়ের জন্য বরখাস্ত করা হয়। কিছু দিন পরে ধর্মা আহত মুথিআম্মানার সাথে সাক্ষাত করতে একটি গোপন আস্তানায় যান এবং বলেন যে চার্লি হারিকাকে অপহরণের পরে আগেই মারা গিয়েছিল। তখন তিনি ফাঁসুড়ে এবং ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে জানতে পারেন যে তাদের পরিবারের সদস্যদেরকেও অপহরণ করা হয়েছে। তারপরে তিনি দুষ্টু চক্র থেকে তাদের বাঁচানোর পরিকল্পনা করেন। তাই তিনি প্রচার করেছিলেন যে মিশনটিতে প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে চার্লি বেঁচে গেছে এবং এক প্রাক্তন অপরাধীকে চার্লি চরিত্রে অভিনয় করানোর ব্যবস্থা করা হয়। তাঁর পরিকল্পনা সফল হয়েছিল যখন দেখা যায় অপরাধীরা পুলিশের লোকজনকে আক্রমণ করেছিল। ধর্মা তারপরে চার্লির সাথে তার পূর্বের কথোপকথনের কথা জানায়। সে ধর্মাকে পান্ডুর সাথে হীরা দেওয়ার চুক্তি সংক্রান্ত পরিকল্পনার কথা জানায়। তখন ধর্মা জিজ্ঞাসা করেন, "আপনি যদি তাদের দ্বারা প্রতারিত হন তবে আপনি কী করবেন?" চার্লি জবাব দিয়েছিল যে তাকে প্রতারিত করা যাবে না কারণ হীরাটি একটি গোপন জায়গায় নিরাপদে রাখা আছে এবং সেটি কেবল মাত্র তার আঙুলের ছাপের মাধ্যমে খোলা যায়।

চার্লির মৃত্যুর পরে ফাঁসুড়ে চার্লির হাত কাটে। ধর্মা সায়রার মাধ্যমে সেই গুপ্ত জায়গাটিরর সন্ধান পান এবং হীরা গোপনে চার্লির সৎ মায়ের কাছে প্রেরণ করেন। ঠিক হয়েছে হীরা একটি ভাল উদ্দেশ্যে ব্যবহার করার জন্য একটি এনজিওর মাধ্যমে চার্লির সৎ মায়ের দ্বারা চালু করা হচ্ছে। এই কথা শুনে মুথিআম্মানা মারা যায়। হারিকার সাহায্যে ধর্মা তাঁর কাব্য রচনা সফলভাবে শেষ করেছেন; একই সময়ে তিনি তাঁর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের কাছ থেকে জেলাররের পদে পুনরায় যোগদানের জন্য ফোন পান। হরিকা ধর্মাকে জিজ্ঞাসা করেন তিনি তাঁর বইয়ের নাম কী রাখবেন। ধর্মা "অসুর" নাম রাখার সিদ্ধান্ত নেন। কারণ তাঁর বিভাগ তাঁকে এ জাতীয় নামে অভিহিত করে। তাই তিনি সেই প্রকৃতির অনুপ্রেরণায় বইটির নাম রেখেছেন।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Nara Rohiths Asura release date confirmed"। indiaglitz.com। ২৫ মে ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ২৬ মে ২০১৫ 
  2. "Nara Rohith's Asura gets 'U/A'"। 123telugu। সংগ্রহের তারিখ ২৫ মে ২০১৫ 
  3. "Nara Rohith Asura new audio launch on 14th"। indiaglitz.com। ১২ মে ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ১৩ মে ২০১৫ 
  4. "I've got my money, says Nara Rohith"। timesofindia.indiatimes.com। ১৯ জুন ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুন ২০১৫ 

বহি সংযোগ সম্পাদনা