অরুণ শর্মা
অরুণ শর্মা (অসমীয়া: অৰুণ শর্মা) অসমের নাট্যকার, উপন্যাসিক, প্রবন্ধ লেখক, কবি তথা অনাতর শিল্পী ছিলেন। তিনি শ্রী নিবারণ ভট্টাচার্য নাটকের জন্য বিখ্যাত। ১৯৯৭ সালে তিনি আশির্বাদের রং শীর্ষকের জন্য সাহিত্য একাডেমী পুরস্কার লাভ করেন। তিনি ৫০ অধিক অনাতর নাটক ও অনাতর রূপক রচনা করেছেন। তিনি পদ্মশ্রী পুরস্কার লাভ করেছেন।[১]
অরুণ শর্মা | |
---|---|
![]() | |
জন্ম | ৩ নভেম্বর ১৯৩১ সেন্দুরী আলি, ডিব্রুগড়, অসম, ভারত |
মৃত্যু | ২৭ মার্চ ২০১৭ |
পেশা | সহিত্যিক, নাট্যকার |
ভাষা | অসমীয়া |
জাতীয়তা | ![]() |
নাগরিকত্ব | ভারতীয় |
উল্লেখযোগ্য রচনাবলি | আশীবাদর রং |
উল্লেখযোগ্য পুরস্কার | সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার |
দাম্পত্যসঙ্গী | আরতি শর্মা |
সন্তান | নন্দিনী, অচিন্ত্য |
প্রারম্ভিক জীবনসম্পাদনা
১৯৩১ সালে অসমের ডিব্রুগড় জেলার সেন্দুরি আলী নামক স্থানে অরুণ শর্মার জন্ম হয়। তার পিতার নাম তিলক চন্দ্র শর্মা ও মাতার নাম নর্মদা কুমারী দেবী। তার পিতা সেই সময়ে দ্য টাইমস্ অফ ইন্ডিয়ার সম্পাদক ছিলেন। ১৯৩৫ সালে তার পরিবার হেমলগুরি নামক স্থানে স্থানান্তর হন। গান্ধিজীর আদর্শে অণুপ্রাণিত হয়ে তার পিতা নিজেকে কৃষি ও সমাজসেবা মূলক কাজে জড়িত রাখেন। তিনি তেজপুর সরকারী উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষাগ্রহণ করেন ও ১৯৪৮ সালে প্রবেশিকা পরীক্ষায় উর্ত্তীন হয়ে গুয়াহাটির কটন কলেজে নামভর্ত্তি করেন। কলেজে অধ্যয়ন করার সময় থেকে তিনি কবিতা ও নাটক রচনা আরম্ভ করেন।
কর্মজীবনসম্পাদনা
১৯৫৮ সালে দ্য আসাম ট্রিবিউন নামক ইংরেজি খবরের কাগজের সহিত জড়িত হয়ে তিনি প্রথম কর্মজীবনে প্রবেশ করেন । পরবর্তী সময়ে তিনি এই খবরের কাগজের সহকারী সম্পাদক ছিলেন। ১৯৫৫ সালে তিনি হালেমলৈ নামক স্থানে স্থিত এম.সি.ডি বিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যক্ষের পদে যোগদান করেন। ১৯৬০ সালে তিনি গুয়াহাটির অল ইন্ডিয়া রেডিওতে যোগদান করেন। প্রথমে তিনি গুয়াহাটি অল ইন্ডিয়া রেডিওয়ের প্রযোজক ছিলেন তারপর তিনি জৈষ্ঠ প্রযোজকের পদে নিযুক্ত ছিলেন। ১৯৬৯ সালে লন্ডন বি.বি.সি রেডিও প্রোগ্রাম প্রডাকশনের উপরে ৬মাসের প্রশিক্ষণ নেয়। ১৯৭০ ও ১৯৮০ সালে তিনি আকাশবানী কেন্দ্রের নাটক বিভাগের সহায়ক ছিলেন। এই সময়ে তিনি ৪৭টি নাটক ও গুয়াহাটি আকাশবানী কেন্দ্র ও অল ইন্ডিয়া রেডিও নেশনেল প্রোগ্রামের জন্য তিনি যথেষ্ট অনাতর তথ্যচিত্র রচনা ও নির্দেশনা করেন। তিনি এই তথ্যচিত্রের জন্য তিনিটি শ্রেষ্ঠ আন্তঃরাষ্ট্রীয় পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৮৬ সন থেকে ১৯৮৯ সন পর্যন্ত তিনি ডিব্রুগড় আকাশবানী কেন্দ্রের সঞ্চালক পদে কার্যনিবাহ করেন। ১৯৯০ সালে তিনি শিলংয়ের অল ইন্ডিয়া রেডিও নর্থ ইষ্ট সার্ভিসের সঞ্চালকের পদ থেকে অবসর গ্রহণ করেন।
তথ্যসূত্রসম্পাদনা
- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ জানুয়ারি ২০২২।