অনল চট্টোপাধ্যায়

অনল চট্টোপাধ্যায় (জন্ম: ২৪ অক্টোবর, ১৯২৭ - ১৭ এপ্রিল, ২০১৪) বাংলা গানের একজন গীতিকার ও সুরকার।[১] ১৯৪৬-এ 'দেব সাহিত্য কুটির' হতে তার লেখা বই ‘রত্নতৃষ্ণা কাহিনী’ বের হয়। ১৯৪৩ সালের দুর্ভিক্ষকে কেন্দ্র করে লেখা তার একটি বিখ্যাত গান হচ্ছে 'আজ বাংলার বুকে দারুণ হাহাকার'।

অনল চট্টোপাধ্যায়
জন্ম(১৯২৭-১০-২৪)২৪ অক্টোবর ১৯২৭
মৃত্যু১৭ এপ্রিল ২০১৪(2014-04-17) (বয়স ৮৬)
জাতীয়তাভারত ভারতীয়
পেশাগীতিকার ও সুরকার

জীবন ও কর্ম সম্পাদনা

সাহিত্যপ্রেমী এই ব্যক্তি ১৯৪৬ সনে ভারতীয় গণনাট্য সংঘের সাথে যুক্ত হন।[২] সেখানেই সলিল চৌধুরীর সহযোগী হিসেবে কাজ করেন। সলিল চৌধুরীর সহকারী হয়ে ‘পাশের বাড়ি’, ‘আজ সন্ধ্যায়’, ‘মহিলামহল’, ‘ভোর হয়ে এল’, ‘তাসের কেল্লা’, ‘বাড়ি থেকে পালিয়ে’ প্রভৃতি ছবিতে কাজ করেন।

১৯৫৪ সালে তার প্রথম রেকর্ড বের হয় হিজ মাস্টার্স ভয়েস থেকে। ১৯৫৫ সালে মৃণাল সেনের রাতভোর চলচ্চিত্রে সঙ্গীত পরিচালনা করেন। তার লেখা গান ‘কত গান হারালাম’, ‘কৃষ্ণনগর থেকে আমি’ গেয়েছিলেন গীতা দত্ত; ‘মধুমতী যায় বয়ে যায়’ গেয়েছিলেন তরুণ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ‘মনের দুয়ারে দাঁড়িয়ে থেকো না’, ‘জানি এ ভুল’ ইত্যাদি গেয়েছিলেন আরতি মুখোপাধ্যায়৷‌ আর লোকগীতি ও ঠুংরির মিশেলে তার দেয়া সুরে সুরে প্রতিমা বন্দ্যোপাধ্যায় গেয়েছিলেন ‘ছলকে পড়ে কলকে ফুলে’ গানটি এবং এই গান শুনে সুরকারের উচ্ছসিত প্রশংসা করেছিলেন পণ্ডিত রবিশঙ্কর৷‌ যাত্রাপালা এবং চলচ্চিত্রের গানেও তিনি সুরারোপ করেছিলেন।[২]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. সুধীর চক্রবর্তী, বাংলা গানের সন্ধানে; অরুণা প্রকাশনী, কলকাতা; ২৫ বৈশাখ, ১৩৯৭; পৃষ্ঠা- ১৮৪।
  2. "সুরকার অনল চট্টোপাধ্যায়ের জীবনাবসান"। Aajkaal Publishers Limited। ২২ এপ্রিল ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ এপ্রিল ২০১৪