খন্দকার মাহবুব উদ্দিন আহমদ

বাংলাদেশী আইনজীবী, রাজনীতিবিদ ও সাবেক সাংসদ
(খন্দকার মাহবুব উদ্দিন আহমাদ থেকে পুনর্নির্দেশিত)

খন্দকার মাহবুব উদ্দিন আহমাদ (৭ ডিসেম্বর ১৯২৫-১ মার্চ ২০১৪) আইনজীবী,বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের একজন রাজনীতিবিদ এবং ঢাকা-৯ আসনের সাবেক সাংসদ। তিনি ফেব্রুয়ারি ১৯৯৬ ও ২০০১ সালের নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।[১][২]

খন্দকার মাহবুব উদ্দিন আহমাদ
ঢাকা-৯ আসনের সাবেক সাংসদ
(পুনর্বিন্যাসের পর আসনটি ঢাকা-১৩)
কাজের মেয়াদ
ফেব্রুয়ারি ১৯৯৬ – জুন ১৯৯৬
পূর্বসূরীজমির উদ্দিন সরকার
উত্তরসূরীমকবুল হোসেন
কাজের মেয়াদ
২০০১ – ২০০৬
পূর্বসূরীমকবুল হোসেন
উত্তরসূরীসাবের হোসেন চৌধুরী
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম৭ ডিসেম্বর ১৯২৫
খন্দকার বাড়ি, উত্তর পাড়া, গোপীনাথপুর গ্রাম, গোপালগঞ্জ জেলা
মৃত্যু১ মার্চ ২০১৪(2014-03-01) (বয়স ৮৮)
ইউনাইটেড হাসপাতাল, ঢাকা, বাংলাদেশ
রাজনৈতিক দলবাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল
সন্তানখন্দকার শামসুদ্দিন মাহমুদ (ছেলে)
পিতামাতাখন্দকার শামস্ উদ্দিন আহাম্মাদ (পিতা)

জন্ম ও প্রাথমিক জীবন সম্পাদনা

খন্দকার মাহবুবউদ্দিন আহমেদ ৭ ডিসেম্বর ১৯২৫ সালে ব্রিটিশ ভারতের বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির (বর্তমান বাংলাদেশ) গোপালগঞ্জের গোপীনাথপুর গ্রামে উত্তর পাড়া খন্দকার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা খন্দকার শামস্ উদ্দিন আহাম্মাদ ছিলেন ব্রিটিশ ভারতের বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির এমএলএ।[৩][৪]

রাজনৈতিক ও কর্মজীবন সম্পাদনা

খন্দকার মাহবুব দীর্ঘদিন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ছিলেন। ২০০৮ সালে দলীয় কাউন্সিলে স্থায়ী কমিটির সদস্য পদ থেকে বাদ পড়েন তিনি। এরপর থেকে তাকে দলীয় কোনো কার্যক্রমে আর দেখা যায়নি।[৫]

তিনি ১৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৬ সালের ষষ্ঠ ও ২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রার্থী হিসেবে ঢাকা-৯ (২০০৮ সাল পুনর্বিন্যাসের পর আসনটি ঢাকা-১৩) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। অষ্টম জাতীয় সংসদদে তিনি আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ছিলেন। এছাড়াও তিনি সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির দুই দফা সভাপতি ও সুপ্রিমকোর্ট বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন ।[১][২][৫]

২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি ঢাকা-১২ আসনে বিএনপির প্রার্থী হয়ে পরাজিত হয়ে ছিলেন।[৬]

পারিবারিক জীবন সম্পাদনা

খন্দকার মাহবুবউদ্দিন আহমেদের স্ত্রী মৃত্যুবরণ করেছেন। তিন মেয়ে এবং এক ছেলের জনক তিনি। মেয়েরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা প্রবাসী এবং একমাত্র ছেলে খন্দকার শামসুদ্দিন মাহমুদ ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষক।[৪]

মৃত্যু সম্পাদনা

১ মার্চ ২০১৪ সালে বার্ধক্যজনিত কারণে ইউনাইটেড হাসপাতালে খন্দকার মাহবুবউদ্দিন আহমেদ মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর। জানাজা শেষে তাকে আজিমপুর কবরস্থানে দাফন করা হয়।[৭]

আরও দেখুন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "৬ষ্ঠ জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা" (পিডিএফ)জাতীয় সংসদবাংলাদেশ সরকার। ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। 
  2. "৮ম জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা" (পিডিএফ)জাতীয় সংসদবাংলাদেশ সরকার। ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। 
  3. "Khondker Shams Uddin Smrity High School"ksshighschool.edu.bd। ২০১৯-১১-১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১১-১৮ 
  4. "বরেণ্য আইনজীবী খন্দকার মাহবুব উদ্দিন আহমেদের ইন্তিকাল"The Daily Sangram। ২০১৯-১১-২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১১-১৮ 
  5. "বিএনপি নেতা খন্দকার মাহবুব আহমাদের জীবনাবসান"www.jugantor.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১১-১৮ 
  6. "খন্দকার মাহবুব উদ্দিন আহমাদ"প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১১-১৮ 
  7. "কয়েকদফা জানাযা শেষে খন্দকার মাহবুব উদ্দিনের দাফন সম্পিন্ন"The Daily Sangram। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১১-১৮ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা