কার্বন-১৪
কার্বন-১৪ হলো কার্বনের তেজষ্ক্রীয় রূপভেদ। এই কার্বন-১৪ দিয়ে কোনো বিশেষ প্রকারের তেজষ্ক্রীয় কার্বন কোনো বস্তু কতটুকু ধারণ করেছে, তার ভিত্তিতে প্রত্নবস্তুর বয়স নির্ধারণ করা যায়।
| ||||||||||||||||||
আবিষ্কার সম্পাদনা
১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দে উইলার্ড লিবি নামের এক মার্কিন বিজ্ঞানী প্রথম আবিষ্কার করলেন যে, জৈব বস্তুসামগ্রী, যেমন কাঠ, কাঠকয়লা, হাড়, অতসী, শিং এবং পীট, যেগুলো একসময় কোনো না কোনো প্রাণসত্তার অংশ ছিলো, সেগুলো প্রকৃতি থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ কার্বন-১৪ গ্রহণ করে। এই পরিমাণ পরবর্তিতে কতটুকু ক্ষয়প্রাপ্ত হয়েছে, তা নির্ণয় করে বস্তুটির সঠিক বয়স নির্ণয় করা যেতে পারে।[৪]
ব্যবহার সম্পাদনা
কার্বন-১৪ পদ্ধতির বহুল ব্যবহার হয়ে থাকে প্রত্নতত্ত্বে। গবেষণায় বেরিয়ে এসেছে জীবিত গাছপালা বায়ুমণ্ডল থেকে প্রায় সমপরিমাণ তেজষ্ক্রীয় কার্বন ১৪ এবং অতেজষ্ক্রীয় কার্বন কার্বন ১২ শোষণ করে, আর যেসব প্রাণী এই উদ্ভিজ্জাত খাদ্য গ্রহণ করে তারাও এই দুই প্রকার কার্বন গ্রহণ করে। মৃত্যু হয়ে গেলে প্রাণী আর কার্বন শোষণ করতে পারে না। তখন এর কলাতন্ত্রে আর কোষগুলোতে অবস্থানকারী কার্বন-১৪ ক্ষয়প্রাপ্ত হতে বা এর তেজষ্ক্রীয়তা হারিয়ে যেতে থাকে। তখন এই অবক্ষয়ের হারটি জানা গেলে জানা যায় ঐ বস্তুটির বয়স।[৪]
তথ্যসূত্র সম্পাদনা
- ↑ কনদেব, এফ.জি.; ওয়াং, এম.; হুয়াং, ডব্লিউ.জে.; নাইমি, এস.; আউডি, জি. (২০২১)। "The NUBASE2020 evaluation of nuclear properties" [পারমাণবিক বৈশিষ্ট্যের নুবেস২০২০ মূল্যায়ন] (পিডিএফ)। চাইনিজ ফিজিক্স সি (ইংরেজি ভাষায়)। ৪৫ (৩): ০৩০০০১। ডিওআই:10.1088/1674-1137/abddae।
- ↑ Oganessian, Yu. Ts.; Utyonkov, V. K.; Lobanov, Yu. V.; Abdullin, F. Sh.; Polyakov, A. N.; Sagaidak, R. N.; Shirokovsky, I. V.; Tsyganov, Yu. S.; ও অন্যান্য (২০০৬-১০-০৯)। "Synthesis of the isotopes of elements 118 and 116 in the 249Cf and 245Cm+48Ca fusion reactions"। Physical Review C। 74 (4): 044602। ডিওআই:10.1103/PhysRevC.74.044602। বিবকোড:2006PhRvC..74d4602O। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০১-১৮।
- ↑ Oganessian, Yuri Ts.; Rykaczewski, Krzysztof P. (আগস্ট ২০১৫)। "A beachhead on the island of stability"। Physics Today। 68 (8): 32–38। ওএসটিআই 1337838। ডিওআই:10.1063/PT.3.2880। বিবকোড:2015PhT....68h..32O।
- ↑ ক খ Iris Barry। "কার্বন ১৪ বিপ্লবের পথে"। Discovering Archaeology (প্রিন্ট) । আসাদ ইকবাল মামুন কর্তৃক অনূদিত (ফেব্রুয়ারি ২০১০ সংস্করণ)। ঢাকা: ঐতিহ্য। পৃষ্ঠা ১৪৩। আইএসবিএন 978-984-8863-22-0। অজানা প্যারামিটার
|accessyear=
উপেক্ষা করা হয়েছে (|access-date=
ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে) (সাহায্য); অজানা প্যারামিটার|accessmonth=
উপেক্ষা করা হয়েছে (|access-date=
ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে) (সাহায্য); এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:|সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য);
বহিঃসংযোগ সম্পাদনা
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |